‘দেশের সাড়ে চার কোটি মানুষ ফ্যাটিলিভারে আক্রান্ত’
দেশে প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ ফ্যাটিলিভারে আক্রান্ত। স্বাধীনতার পরে স্বাস্থ্য সেবায় প্রভূত উন্নতি সাধন সত্ত্বেও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী উন্নত স্বাস্থ্যসেবা থেকে এখনো অনেকাংশেই বঞ্চিত রয়ে যাচ্ছে।
সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশানস্থ উদয় টাওয়ারে অনুষ্ঠিত কার্নিভাল কেয়ার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলণে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, ‘লিভার সিরোসিস রোগের অন্যতম প্রধান কারণ ফ্যাটিলিভারে আক্রান্ত হওয়া । তবে আশংকাজনক হলেও সত্য যে দেশের প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ ফ্যাটিলিভারে আক্রান্ত। এ ছাড়া, হেপাটাইটিসবি-তে আক্রান্ত দেশের প্রায় শতকরা ১০শতাংশ মানুষ। দেশের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যানসারের অসংখ্য রোগী যারা যথাযথ চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত।’
মূলত, কার্নিভাল কেয়ারের ওয়েব সাইট ভিজিট/হটলাইনে ফোন করার পর একজন রোগী, একজন অভিজ্ঞ এবং দক্ষচিকিৎসকের কাছে সকল শারীরিক সমস্যার কথা বলবেন। রোগী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ গ্রহণ করার পরে যে সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা করার প্রয়োজন হবে কার্নিভালকেয়ারের টেকনোলজিস্ট সেই সকল নমুনা রোগীর বাসা বা কর্মস্থল থেকে সংগ্রহ করবেন এবং রোগীকে পরবর্তীতে রিপোর্ট পৌঁছে দেবেন। পরবর্তীতে রোগী সেই রিপোর্ট নিয়ে অনলাইনে লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলণে অধ্যাপক (ডা.) মামুন আল-মাহতাব বলেন, বাস্তবতার নিরিখে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অনেকেই চিকিৎসা কিংবা পরামর্শের জন্য আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারেন না। এছাড়াও ঢাকার বাইরে থেকে অনেক রোগী আমাদের কাছে আসেন যারা পরবর্তী ফলোআপ চিকিৎসা নিতে জটিলতার সম্মুখীন হন। এ প্লাটফর্মটি সেই সমস্যাগুলোর সমাধান করবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি।
কার্নিভাল কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা.ফারশিদ ভূইয়া বলেন, সঠিক পরামর্শ ও দিকনির্দেশনার মাধ্যমে যকৃত রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করাই কার্নিভাল কেয়ারের মূল উদ্দেশ্য।
অন্যান্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এম এ রহিম, কার্নিভাল কেয়ারের পরিচালক ওয়ালী উল ইসলাম, ডটলাইনস গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহবুবুল মতিন সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
আরইউ/এমএএমএ/