করোনায় আরও ৪৬১ মৃত্যু, শনাক্ত ৯৪ হাজার
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে আরও ৪৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৯৩ হাজার ৮৫৩ জন।
বুধবার (১ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৮ লাখ ১৫৪ জনে। আর মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৭ কোটি ৯৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯১৪ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ব্রাজিল, জাপান, তাইওয়ান, রাশিয়া ও ফ্রান্স।
গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮১ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ হাজার ৭০৬ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৭০ লাখ ৫২ হাজার ৯৩৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৮৭ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৮৮১ জন এবং মারা গেছেন ৮৫ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৫২ লাখ ৮৪ হাজার ৭০৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪১ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৮১৭ জন এবং মারা গেছেন ১৬ জন। জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৫২৪ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন। ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৬৫১ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ৭৫৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। পেরুতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ জন এবং মারা গেছেন ২৩ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১০ হাজার ১২০ জন এবং মারা গেছেন ৪০ জন। পোল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৭২ জন এবং মারা গেছেন ১৬ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/