ক্যাম্পসের স্বাস্থ্য সেবা পেলেন তিন হাজার মানুষ
প্রায় তিন হাজার সুবিধা বঞ্চিত রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ সরবরাহ করেছে স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস)।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ব্যতিক্রমধর্মী এ আয়োজন গত ১৮ বছর ধরে করে আসছে ক্যাম্পস। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯তম বছরেও ক্যাম্পস টাঙ্গাইল জেলার সখিপুরে ‘ফ্রি মেডিকেল ও চক্ষু ক্যাম্প’ এর মাধ্যমে অসহায় রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় কিডনি বিশেষজ্ঞ এবং ক্যাম্পস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ এর প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে দিনব্যাপী ‘ সবার জন্য কিডনি স্বাস্থ্য-সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সংগঠনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল-৮ এর সংসদ সদস্য অ্যাড. জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জসীম উদ্দীন হায়দার, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনছুরুল আলম (হীরা)।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল হালিম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আওলাদ হোসেন (সুমন), শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আমিমুল এহসান কবির সখিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আলমসহ অন্যরা।
সভায় কিডনি বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ।
অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ বলেন, এক সময় ছিল যখন কলেরা, কালাজ্বর, গুটি বসন্ত, প্লেগ, ম্যালেরিয়া সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে বেশির ভাগ মানুষের অকাল মৃত্যু হতো। গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে যেত। বর্তমানে চিত্র বদলে বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় পাঁচ কোটি মৃত্যুর মধ্যে চার কোটি মৃত্যু ঘটে অসংক্রামক ব্যাধিতে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বছরে যত মৃত্যু হয় তার ৫০ ভাগের বেশি কোনা না কোনোভাবে কিডনি রোগে সম্পৃক্ত।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি কোভিড-১৯ মহামারিতে যত মানুষ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে তার চেয়ে বেশি লোক মারা গেছে হৃদরোগ, কিডনি বিকল, ক্যান্সারসহ অনেক চিকিৎসা যোগ্য অসংক্রামক ব্যাধিতে, লকডাউন, যানবাহন ও সময়মতো চিকিৎসার অভাবে।
জেডএ/এমএমএ/