বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

গর্ভাবস্থায় যে খাবার এড়িয়ে চলতে হবে

ছবি : সংগৃহীত

নারীর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো গর্ভকালীন অবস্থা। এ সময় অনেক শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন হয় হবু মায়ের।

ভালো খাদ্য মা ও শিশুকে পুষ্ট করে। তবে সম্ভাব্য ক্ষতিকারক খাদ্য গুরুতর ঝুঁকিরও সৃষ্টি করতে পারে। আপনার গর্ভাবস্থার শুরুতেই কী খাবেন আর কী খাবেন না তা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

গর্ভাবস্থায় কী খাওয়া উচিত নয়, জেনে নিন-

১) কাঁচা বা আধা সিদ্ধ সি-ফুড ও মাছ

গর্ভবতী অবস্থায় কাঁচা বা আধা সিদ্ধ সি-ফুড ও মাছ খাওয়া যাবে না। ম্যাকেরেল, হাঙ্গর, তলোয়ার মাছ এবং টাইলফিশের মতো কিছু মাছে পারদ উচ্চ মাত্রায় থাকে। গর্ভাবস্থায় পারদ গ্রহণ করলে আপনার সন্তানের বিকাশ বিলম্বিত হতে পারে ও মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। এর পরিবর্তে চাঙ্ক লাইট টুনার মতো মাছ খান। এতে পারদ নিম্ন মাত্রায় থাকে।

মাছে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই মাছ ভালোভাবে সিদ্ধ বা রান্না করে খেতে হবে। অন্তত ১৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মাছ রান্না করার চেষ্টা করুন।

২) কাঁচা বা আধা সিদ্ধ ডিম

অনেকেই অল্প সিদ্ধ বা কম রান্না করা ডিম খেতে ভালোবাসেন। তবে গর্ভাবস্থায় সেগুলোকে একদম এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ সেগুলো সালমেনেলা দ্বারা দূষিত হতে পারে। এটি একটি জীবাণু, যা ডায়রিয়া ও বমিভাব সৃষ্টি করে। কাস্টার্ড এবং মুশেসহ কাঁচা ডিম থেকে তৈরি অন্যান্য খাবার এবং ডেজার্টগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থার সময় ডিম খাওয়ার সবচেয়ে ভাল উপায় হলুদ অংশটি শক্ত না হওয়া পর্যন্ত রান্না করা। অন্যথায় ডিমহীন সালাদ, মেয়োনিজ ও অন্যান্য খাবার যেগুলোর ডিমহীন বিকল্প আছে সেগুলো খান।

৩) কাঁচা বা বিরল মাংস

একজন আমিষভোজী মায়ের ডায়েটে মাংস অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি কিছু যত্ন এবং বিধিনিষেধ মেনে করা উচিত। গবেষণায় দেখা যায় যে, কাঁচা মাংসে লিস্টেরিয়া ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। যা গর্ভাবস্থায় এড়ানো উচিত। এটি সন্তানসম্ভবা নারীর বমিভাব, ভ্রূণের ক্ষতি এবং গর্ভপাত ঘটাতে পারে।

যখনই মাংস খাবেন তা ঠিকভাবে রান্না করার বিষয়টি নিশ্চিত করুন। সব ব্যাকটেরিয়ার অপসারণ হওয়া নিশ্চিত করার জন্য লবণ এবং জল দিয়ে সঠিকভাবে মাংস ধুয়ে নিন।

৪) অপাস্তুরিত দুগ্ধজাত পণ্য

আপনার সন্তানের যথাযথ বিকাশের জন্য আপনার দৈনিক দুধ খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা আপনাকে এবং আপনার শিশুকে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি যেমন খনিজ, ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সরবরাহ করে। তবে আপনাকে পাস্তুরিত দুধ খাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। না অপাস্তুরিত দুধে প্যাথোজেন থাকতে পারে, যা গুরুতর খাদ্য বিষাক্ততার কারণ হতে পারে। পরামর্শ দেওয়া হয় যে অপাস্তুরিত সব ধরনের দুগ্ধজাত দ্রব্যগু এড়াতে হবে। আপনি সর্বদা তাজা ফোটানো দুধ খাওয়া নিশ্চিত করুন।

৫) অ্যালার্জি সৃষ্টি করা কাঁচা অঙ্কুর ও বাদাম

কাঁচা অঙ্কুর প্রোটিন এবং খনিজের একটি অন্যতম উৎস। তবে গর্ভাবস্থায় না খাওয়ার তালিকায় এখনও রয়েছে এ খাদ্য। কারণ এর মধ্যে ক্ষতিকারক ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা খাদ্য বিষাক্ততার কারণ হতে পারে। তাই অঙ্কুর খাওয়ার সময় সেগুলো হালকা করে ভেজে নিন। যদি রান্না করে নিতে পারেন তাহলে আরও ভালো হয়।

গর্ভাবস্থায় আপনি বিভিন্ন ধরনের বাদাম উপভোগ করতে পারেন। যেমন- চিনাবাদাম ও কাঠবাদাম। বাদাম ভিটামিন এবং খনিজের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা ভ্রুণের বিকাশের জন্য উপকারী। কিন্তু আপনার শরীরে অ্যালার্জি এবং ফুসকুড়ি তৈরি করতে পারে এমন কিছু বাদাম আছে। এমনকি এগুলোতে প্রাথমিকভাবে অ্যালার্জি না থাকলেও বেশি খেলে সময়ের সঙ্গে অ্যালার্জিগুলো বিকাশ করতে পারে। আপনার ডায়েটের মধ্যে কোন বাদাম অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং গর্ভাবস্থায় সম্পূর্ণরূপে কোন বাদাম এড়িয়ে চলতে হবে তা নিয়ে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

৬) অত্যধিক ক্যাফিন

অনেকেই কফি খেতে খুব পছন্দ করেন। কিন্তু গর্ভাবস্থায় আপনার ডায়েটে ক্যাফিন থাকা ভালো নয়। এটি একটি মূত্রবর্ধক, যার থেকে অত্যধিক প্রস্রাব হতে পারে। এতে আপনি দ্রুত ডিহাইড্রেটেড হবেন। ক্যাফিন অত্যধিক নিলে ভ্রূণের মৃত্যু, প্রসবকালীন শিশুর মৃত্যু এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

নিশ্চিত করুন যে আপনি দিনে ২০০ মিলি বা ২ কাপের বেশি কফি পান করবেন না।

৭) ভেষজ সম্পূরক ও ভেষজ চা

অনেকেই পরামর্শ দিতে পারেন যে, আপনি গর্ভবতী হওয়ার সময় ভেষজ টনিক এবং চা গ্রহণ করা শুরু করুন। তবে এটি ভালো করার চেয়ে আপনার আরও ক্ষতি করতে পারে। বেশি পরিমাণে নেওয়া হলে কিছু ভেষজ অকাল প্রসবের শ্রম বা গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ওয়ার্মউড, শ পালমেটো এবং সেন্নার মতো ভেষজ এড়িয়ে যান। কারণ তারা অন্যান্য ওষুধের মতো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষিত না, এবং গর্ভাবস্থায় এগুলো খেতে পরামর্শ দেওয়া উচিত কি না, সে বিষয়ে মতামত এখনও বিভক্ত। আপনার যদি শক্তির অভাব বা ক্লান্তি অনুভব হয়, তবে আপনার ডাক্তারকে মাল্টিভিটামিন প্রেস্ক্রাইব করতে বলুন এবং ভেষজ মিশ্রণগুলো নিয়ে পরীক্ষা করার পরিবর্তে আপনার নিয়মিত চা খাওয়া চালিয়ে যান।

৮) অত্যধিক চিনি সমৃদ্ধ খাদ্য

আপনি আপনার গর্ভাবস্থায় আইসক্রিম এবং চকোলেট অনেকবার খেতে চাইবেন। তবে এগুলোতে থাকা উচ্চ চিনির মাত্রা আপনার রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। যা ভ্রূণকে ক্ষতি করতে পারে। প্রতিদিন কত পরিমাণে চিনি খাচ্ছেন তা পরীক্ষা করুন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিনি এড়াতে যথাসাধ্য চেষ্টা করুন।

৯) অত্যধিক ফ্যাটযুক্ত খাবার

যেহেতু এ সময় আপনার ওজন বাড়ার কথা, তাই অত্যধিক ফ্যাটযুক্ত খাদ্য আপনার রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। যা স্থূলতা ও হৃদরোগে ঝুঁকি বাড়াবে। তাই প্রলোভন প্রতিরোধ করুন। সংযমী মাত্রায় ফ্যাটযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করুন।

ওমেগা-৩, ৬, ও ৯ ফ্যাটি অ্যাসিড ধারণকারী খাদ্য গ্রহণ করুন। কারণ এটি আপনার শিশুর বিকাশের জন্য উপকারী। এ রকম কিছু খাবারের মধ্যে রয়েছে- অ্যাভোকাডো, বাদাম, জলপাই এবং কুমড়োর বীজ। যাই হোক, এই খাবারগুলি অনিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাবেন না এবং সবসময় সংযমের সঙ্গে খান।

১০) প্রেস্ক্রাইব না করা ভিটামিন

ভিটামিন অবশ্যই গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টির একটি ভালো উৎস। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে তা ক্ষতিকারক হতে পারে। ভ্রূণের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করতে পারে এবং এটি অকাল শ্রমের কারণ হতে পারে। ভিটামিন নেওয়ার ব্যাপারে আপনার নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবেন না। সর্বদা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খান।

১১) যষ্টিমধু

অনেক রান্নাতে যষ্টিমধু ব্যবহার করা হয়, যা সাধারণত একটি ক্ষতিহীন মশলা। কিন্তু গর্ভাবস্থায় যষ্টিমধু জরায়ুর সংকোচনের কারণ হতে থাকে। এর থেকে অকাল প্রসব যন্ত্রণা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় এটি যেকোনো ভাবে এড়িয়ে যান।

১২) অ্যালকোহল

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, অ্যালকোহল গ্রহণ করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। কেবল গর্ভবতী হলে নয়, জীবনের যে কোনো সময় ক্ষতিকর। কিন্তু যদি আপনি মনে করেন যে গর্ভবতী থাকাকালীন মাঝে মাঝে মদ্যপান করা ঠিক আছে, তাহলে আপনি ভীষণ ভুল ভাবছেন।

অ্যালকোহল প্ল্যাসেন্টা দ্বারা ফিল্টার হয় না এবং আপনার শিশুর কাছে আম্বিলিক্যাল কর্ডের মাধ্যমে পৌঁছাতে পারে। এটি শুধু গর্ভপাত এবং প্রসবের সময় শিশুমৃত্যুই ঘটাতে পারে না, সঙ্গে ফেটাম অ্যালকোহল স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (এফএএসডি) নামে একটি অবস্থা সৃষ্টি করার মাধ্যমে জীবনভর শারীরিক ও বৌদ্ধিক অক্ষমতাও তৈরি করতে পারে। আপনার গর্ভাবস্থায় অ্যালকোহল ব্যবহারের কোনো নিরাপদ সময় বা নিরাপদ পরিমাণ নেই।

গর্ভাবস্থার জন্য সর্বোত্তম ডায়েট সম্পর্কে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিলে আপনার একটি সুষম খাবার গ্রহণ করতে সহায়তা হবে। নিরাপদ ডায়েটারি পছন্দগুলোতে সীমিত থাকুন।

টিটি/

Header Ad
Header Ad

আখাউড়ায় ট্রেনের ছাদে টিকটক বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নিহত ২

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় চলন্ত ট্রেনের ছাদে টিকটক ভিডিও বানানোর সময় নিচে পড়ে আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুইজনে।

আজ বুধবার (২ এপ্রিল) ঈদের তৃতীয় দিনে উপজেলার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে রেলব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার কাইয়ুম (২৩) ও কসবা উপজেলার তারেক। এদের মধ্যে কাইয়ুম ঘটনাস্থলেই মারা যান, আর তারেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে কয়েকজন টিকটক ভিডিও বানাচ্ছিলেন। ট্রেনটি রেলব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে ডিসের তারে পেঁচিয়ে চারজন নিচে পড়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই কাইয়ুমের মৃত্যু হয়। বাকিদের উদ্ধার করে কসবা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারেক মারা যান।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ভারতের ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের

টিপরা মোথার প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোৎ মাণিক্য। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, ত্রিপুরার এক রাজনীতিবিদ ‘বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার’ আহ্বান জানিয়েছেন। এই বিতর্কিত মন্তব্যটি করেছেন ত্রিপুরার দ্বিতীয় বৃহত্তম দল টিপরা মোথার প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোৎ মাণিক্য।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মাণিক্য পরামর্শ দিয়েছেন, দিল্লি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সংযোগ স্থাপন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘শত শত কোটি টাকা খরচ’ না করে বরং বাংলাদেশের সেই অংশগুলো দখল করে নিক, যা ‘সব সময়ই ভারতের অংশ হতে চেয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জাতীয় স্বার্থ এবং তাদের মঙ্গলের জন্য এটি ব্যবহার করা উচিত।’ পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা যদি বাংলাদেশকে ভেঙে নিজেদের জন্য সমুদ্রপথ তৈরি করি, তাহলে সেটা হয়তো আরও সুবিধাজনক হবে। কারণ, এ ধরনের চ্যালেঞ্জিং এবং ব্যয়বহুল প্রকৌশল পরিকল্পনায় বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা খরচের প্রয়োজন পড়বে না।’

ত্রিপুরার এই নেতা দাবি করেন, চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল আদিকাল থেকেই আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাসের স্থান ছিল এবং ১৯৪৭ সাল থেকেই তারা ভারতের অংশ হতে চেয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে লাখ লাখ ত্রিপুরি, গারো, খাসি ও চাকমা জনগোষ্ঠী রয়েছে, যারা তাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী ভূমিতে অত্যন্ত দুরবস্থার মধ্যে জীবনযাপন করছে। তাদের স্বার্থ রক্ষা করেই ভারতের জাতীয় স্বার্থ নিশ্চিত করা উচিত।

প্রদ্যোৎ মাণিক্যের এই মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিলেও তিনি নিজের অবস্থানে অবিচল রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কখনোই আমাদের বন্ধু ছিল না... তাই আসুন আমরা বোকা না হই।’ তার মতে, ভারতে বাংলাদেশের একমাত্র ‘বন্ধু’ ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাস করি এবং প্রতিদিন স্পষ্ট ও উপস্থিত বিপদ দেখতে পাই। আমি বুঝতে পারছি, আপনার বামপন্থী ঝোঁক এটিকে কঠিন করে তোলে... তবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিও উপলব্ধি করুন।’

প্রদ্যোৎ মাণিক্যের এই মন্তব্য মূলত আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বক্তব্যের সম্প্রসারণ। বিশ্বশর্মা ড. ইউনূসের মন্তব্যকে ‘আপত্তিজনক’ ও ‘তীব্র নিন্দনীয়’ বলে অভিহিত করেছেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রেল ও সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

এর আগে, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছিলেন, ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত সাতটি রাজ্য সম্পূর্ণরূপে ল্যান্ডলকড (স্থলবেষ্টিত)। সমুদ্রের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের কোনো উপায় নেই। আমরাই এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।’

এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, ‘এই মন্তব্যটি ভারতের কৌশলগত চিকেনস নেক করিডরের সঙ্গে জড়িত দীর্ঘস্থায়ী দুর্বলতার ন্যারেটিভটিকেই তুলে ধরে।’ তিনি বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সংযোগ নিশ্চিত করতে বিকল্প সড়ক ও রেলপথ তৈরির কাজ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

চট্টগ্রাম বন্দরের কৌশলগত গুরুত্ব সম্পর্কে বিশ্বশর্মা বলেন, এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম বন্দরই নয়, বরং দিল্লি এটিকে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় পণ্য পরিবহনের জন্য একটি ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে বিবেচনা করছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতা বন্দর থেকে আগরতলায় পরিবহনের খরচ প্রতি টনে ৬,৩০০ থেকে ৭,০০০ টাকা। তবে চট্টগ্রাম থেকে ত্রিপুরায় পণ্য পরিবহন খরচ অনেক কম।

এই বিতর্কিত মন্তব্যের পর ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে।

Header Ad
Header Ad

বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি নির্বাচন আগে না সংস্কার—এমন বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালিয়ে জনগণের মধ্যে ভুল ধারণা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি।

বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিচারব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে হবে। তবে জনগণের মতামত উপেক্ষা করে কোনো সংস্কার হলে বিএনপি তা মেনে নেবে না।

তিনি আরও বলেন, দেশে কোনো সংঘাতের শঙ্কা নেই। প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের মতামত প্রকাশ করবে এবং জনগণের সামনে নিজেদের নীতিমালা উপস্থাপন করবে। পরে জনগণ তাদের উপযুক্ত নেতৃত্ব বেছে নেবে—এটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত রূপ। তাই নির্বাচন জরুরি।

সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের সঙ্গে বর্তমান সরকারের সংস্কার প্রস্তাবের মিল রয়েছে। তবে সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে বিএনপি তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, একটি দল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধরে রাখলে স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কম থাকে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ডানপন্থি রাজনীতির উত্থান হচ্ছে এবং তারা বলছেন যে গণতন্ত্র এখন হুমকির মুখে। যদি কোনো দল স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে, তাহলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে। তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সবচেয়ে কার্যকর সমাধান।

বিএনপির ভেতরে কিছু ব্যক্তি অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বহিষ্কারসহ কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে এসব ঘটনা অনেকটাই কমে এসেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আখাউড়ায় ট্রেনের ছাদে টিকটক বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নিহত ২
বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ভারতের ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের
বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি: মির্জা ফখরুল
বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় আটক ৫
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এক ইমামের ১৭০ স্বজনের মৃত্যু
ঈদের আনন্দে যমুনার দুর্গম চরে গ্রাম-বাংলার ঘুড়ি উৎসব, আনন্দে মেতে উঠে বিনোদনপ্রেমীরা!
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
লন্ডনে একসঙ্গে দেখা গেলো সাবেক চার আওয়ামী মন্ত্রীকে
ঢাকায় ফিরছে ঈদযাত্রীরা, অনেকে ছুটছেন শহরের বাইরে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭
বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২
থানায় জিডি করলেন ভোক্তা অধিকারের জব্বার মন্ডল
রাশিয়া আমাদের চিরকালের বন্ধু, কখনো শত্রু নয়: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান খালেদা জিয়ার
দ্বিতীয় দফায় মিয়ানমারে ত্রাণ সহায়তা পাঠালো বাংলাদেশ