শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

গর্ভাবস্থায় যে খাবার এড়িয়ে চলতে হবে

ছবি : সংগৃহীত

নারীর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো গর্ভকালীন অবস্থা। এ সময় অনেক শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন হয় হবু মায়ের।

ভালো খাদ্য মা ও শিশুকে পুষ্ট করে। তবে সম্ভাব্য ক্ষতিকারক খাদ্য গুরুতর ঝুঁকিরও সৃষ্টি করতে পারে। আপনার গর্ভাবস্থার শুরুতেই কী খাবেন আর কী খাবেন না তা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

গর্ভাবস্থায় কী খাওয়া উচিত নয়, জেনে নিন-

১) কাঁচা বা আধা সিদ্ধ সি-ফুড ও মাছ

গর্ভবতী অবস্থায় কাঁচা বা আধা সিদ্ধ সি-ফুড ও মাছ খাওয়া যাবে না। ম্যাকেরেল, হাঙ্গর, তলোয়ার মাছ এবং টাইলফিশের মতো কিছু মাছে পারদ উচ্চ মাত্রায় থাকে। গর্ভাবস্থায় পারদ গ্রহণ করলে আপনার সন্তানের বিকাশ বিলম্বিত হতে পারে ও মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। এর পরিবর্তে চাঙ্ক লাইট টুনার মতো মাছ খান। এতে পারদ নিম্ন মাত্রায় থাকে।

মাছে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই মাছ ভালোভাবে সিদ্ধ বা রান্না করে খেতে হবে। অন্তত ১৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মাছ রান্না করার চেষ্টা করুন।

২) কাঁচা বা আধা সিদ্ধ ডিম

অনেকেই অল্প সিদ্ধ বা কম রান্না করা ডিম খেতে ভালোবাসেন। তবে গর্ভাবস্থায় সেগুলোকে একদম এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ সেগুলো সালমেনেলা দ্বারা দূষিত হতে পারে। এটি একটি জীবাণু, যা ডায়রিয়া ও বমিভাব সৃষ্টি করে। কাস্টার্ড এবং মুশেসহ কাঁচা ডিম থেকে তৈরি অন্যান্য খাবার এবং ডেজার্টগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থার সময় ডিম খাওয়ার সবচেয়ে ভাল উপায় হলুদ অংশটি শক্ত না হওয়া পর্যন্ত রান্না করা। অন্যথায় ডিমহীন সালাদ, মেয়োনিজ ও অন্যান্য খাবার যেগুলোর ডিমহীন বিকল্প আছে সেগুলো খান।

৩) কাঁচা বা বিরল মাংস

একজন আমিষভোজী মায়ের ডায়েটে মাংস অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি কিছু যত্ন এবং বিধিনিষেধ মেনে করা উচিত। গবেষণায় দেখা যায় যে, কাঁচা মাংসে লিস্টেরিয়া ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। যা গর্ভাবস্থায় এড়ানো উচিত। এটি সন্তানসম্ভবা নারীর বমিভাব, ভ্রূণের ক্ষতি এবং গর্ভপাত ঘটাতে পারে।

যখনই মাংস খাবেন তা ঠিকভাবে রান্না করার বিষয়টি নিশ্চিত করুন। সব ব্যাকটেরিয়ার অপসারণ হওয়া নিশ্চিত করার জন্য লবণ এবং জল দিয়ে সঠিকভাবে মাংস ধুয়ে নিন।

৪) অপাস্তুরিত দুগ্ধজাত পণ্য

আপনার সন্তানের যথাযথ বিকাশের জন্য আপনার দৈনিক দুধ খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা আপনাকে এবং আপনার শিশুকে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি যেমন খনিজ, ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সরবরাহ করে। তবে আপনাকে পাস্তুরিত দুধ খাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। না অপাস্তুরিত দুধে প্যাথোজেন থাকতে পারে, যা গুরুতর খাদ্য বিষাক্ততার কারণ হতে পারে। পরামর্শ দেওয়া হয় যে অপাস্তুরিত সব ধরনের দুগ্ধজাত দ্রব্যগু এড়াতে হবে। আপনি সর্বদা তাজা ফোটানো দুধ খাওয়া নিশ্চিত করুন।

৫) অ্যালার্জি সৃষ্টি করা কাঁচা অঙ্কুর ও বাদাম

কাঁচা অঙ্কুর প্রোটিন এবং খনিজের একটি অন্যতম উৎস। তবে গর্ভাবস্থায় না খাওয়ার তালিকায় এখনও রয়েছে এ খাদ্য। কারণ এর মধ্যে ক্ষতিকারক ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা খাদ্য বিষাক্ততার কারণ হতে পারে। তাই অঙ্কুর খাওয়ার সময় সেগুলো হালকা করে ভেজে নিন। যদি রান্না করে নিতে পারেন তাহলে আরও ভালো হয়।

গর্ভাবস্থায় আপনি বিভিন্ন ধরনের বাদাম উপভোগ করতে পারেন। যেমন- চিনাবাদাম ও কাঠবাদাম। বাদাম ভিটামিন এবং খনিজের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা ভ্রুণের বিকাশের জন্য উপকারী। কিন্তু আপনার শরীরে অ্যালার্জি এবং ফুসকুড়ি তৈরি করতে পারে এমন কিছু বাদাম আছে। এমনকি এগুলোতে প্রাথমিকভাবে অ্যালার্জি না থাকলেও বেশি খেলে সময়ের সঙ্গে অ্যালার্জিগুলো বিকাশ করতে পারে। আপনার ডায়েটের মধ্যে কোন বাদাম অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং গর্ভাবস্থায় সম্পূর্ণরূপে কোন বাদাম এড়িয়ে চলতে হবে তা নিয়ে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

৬) অত্যধিক ক্যাফিন

অনেকেই কফি খেতে খুব পছন্দ করেন। কিন্তু গর্ভাবস্থায় আপনার ডায়েটে ক্যাফিন থাকা ভালো নয়। এটি একটি মূত্রবর্ধক, যার থেকে অত্যধিক প্রস্রাব হতে পারে। এতে আপনি দ্রুত ডিহাইড্রেটেড হবেন। ক্যাফিন অত্যধিক নিলে ভ্রূণের মৃত্যু, প্রসবকালীন শিশুর মৃত্যু এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

নিশ্চিত করুন যে আপনি দিনে ২০০ মিলি বা ২ কাপের বেশি কফি পান করবেন না।

৭) ভেষজ সম্পূরক ও ভেষজ চা

অনেকেই পরামর্শ দিতে পারেন যে, আপনি গর্ভবতী হওয়ার সময় ভেষজ টনিক এবং চা গ্রহণ করা শুরু করুন। তবে এটি ভালো করার চেয়ে আপনার আরও ক্ষতি করতে পারে। বেশি পরিমাণে নেওয়া হলে কিছু ভেষজ অকাল প্রসবের শ্রম বা গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ওয়ার্মউড, শ পালমেটো এবং সেন্নার মতো ভেষজ এড়িয়ে যান। কারণ তারা অন্যান্য ওষুধের মতো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষিত না, এবং গর্ভাবস্থায় এগুলো খেতে পরামর্শ দেওয়া উচিত কি না, সে বিষয়ে মতামত এখনও বিভক্ত। আপনার যদি শক্তির অভাব বা ক্লান্তি অনুভব হয়, তবে আপনার ডাক্তারকে মাল্টিভিটামিন প্রেস্ক্রাইব করতে বলুন এবং ভেষজ মিশ্রণগুলো নিয়ে পরীক্ষা করার পরিবর্তে আপনার নিয়মিত চা খাওয়া চালিয়ে যান।

৮) অত্যধিক চিনি সমৃদ্ধ খাদ্য

আপনি আপনার গর্ভাবস্থায় আইসক্রিম এবং চকোলেট অনেকবার খেতে চাইবেন। তবে এগুলোতে থাকা উচ্চ চিনির মাত্রা আপনার রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। যা ভ্রূণকে ক্ষতি করতে পারে। প্রতিদিন কত পরিমাণে চিনি খাচ্ছেন তা পরীক্ষা করুন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিনি এড়াতে যথাসাধ্য চেষ্টা করুন।

৯) অত্যধিক ফ্যাটযুক্ত খাবার

যেহেতু এ সময় আপনার ওজন বাড়ার কথা, তাই অত্যধিক ফ্যাটযুক্ত খাদ্য আপনার রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। যা স্থূলতা ও হৃদরোগে ঝুঁকি বাড়াবে। তাই প্রলোভন প্রতিরোধ করুন। সংযমী মাত্রায় ফ্যাটযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করুন।

ওমেগা-৩, ৬, ও ৯ ফ্যাটি অ্যাসিড ধারণকারী খাদ্য গ্রহণ করুন। কারণ এটি আপনার শিশুর বিকাশের জন্য উপকারী। এ রকম কিছু খাবারের মধ্যে রয়েছে- অ্যাভোকাডো, বাদাম, জলপাই এবং কুমড়োর বীজ। যাই হোক, এই খাবারগুলি অনিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাবেন না এবং সবসময় সংযমের সঙ্গে খান।

১০) প্রেস্ক্রাইব না করা ভিটামিন

ভিটামিন অবশ্যই গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টির একটি ভালো উৎস। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে তা ক্ষতিকারক হতে পারে। ভ্রূণের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করতে পারে এবং এটি অকাল শ্রমের কারণ হতে পারে। ভিটামিন নেওয়ার ব্যাপারে আপনার নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবেন না। সর্বদা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খান।

১১) যষ্টিমধু

অনেক রান্নাতে যষ্টিমধু ব্যবহার করা হয়, যা সাধারণত একটি ক্ষতিহীন মশলা। কিন্তু গর্ভাবস্থায় যষ্টিমধু জরায়ুর সংকোচনের কারণ হতে থাকে। এর থেকে অকাল প্রসব যন্ত্রণা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় এটি যেকোনো ভাবে এড়িয়ে যান।

১২) অ্যালকোহল

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, অ্যালকোহল গ্রহণ করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। কেবল গর্ভবতী হলে নয়, জীবনের যে কোনো সময় ক্ষতিকর। কিন্তু যদি আপনি মনে করেন যে গর্ভবতী থাকাকালীন মাঝে মাঝে মদ্যপান করা ঠিক আছে, তাহলে আপনি ভীষণ ভুল ভাবছেন।

অ্যালকোহল প্ল্যাসেন্টা দ্বারা ফিল্টার হয় না এবং আপনার শিশুর কাছে আম্বিলিক্যাল কর্ডের মাধ্যমে পৌঁছাতে পারে। এটি শুধু গর্ভপাত এবং প্রসবের সময় শিশুমৃত্যুই ঘটাতে পারে না, সঙ্গে ফেটাম অ্যালকোহল স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (এফএএসডি) নামে একটি অবস্থা সৃষ্টি করার মাধ্যমে জীবনভর শারীরিক ও বৌদ্ধিক অক্ষমতাও তৈরি করতে পারে। আপনার গর্ভাবস্থায় অ্যালকোহল ব্যবহারের কোনো নিরাপদ সময় বা নিরাপদ পরিমাণ নেই।

গর্ভাবস্থার জন্য সর্বোত্তম ডায়েট সম্পর্কে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিলে আপনার একটি সুষম খাবার গ্রহণ করতে সহায়তা হবে। নিরাপদ ডায়েটারি পছন্দগুলোতে সীমিত থাকুন।

টিটি/

Header Ad
Header Ad

জুমার নামাজের ফজিলত, গুরুত্ব ও হাদিস

ছবি: সংগৃহীত

মুমিনের ইবাদতের কিছু বিশেষ মৌসুম রয়েছে। যে মৌসুমগুলোতে একজন মুমিন অল্প আমলেও অধিক সাওয়াবের অধিকারী হতে পারেন। 

আর শুক্রবার সপ্তাহের সেরা দিন। জুমা নামে পবিত্র কুরআনে একটি সুরা রয়েছে। আর ইসলামের দৃষ্টিতে জুমার দিনটি অনেক বরকতময় ও তাৎপর্যপূর্ণ।মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা এ দিনকে অন্যান্য দিনের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। পবিত্র কোরআন ও হাদীসে জুমার দিনের বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।আল্লাহ তায়ালা এই দিনের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন‘মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝ।’ (সূরা জুমুআ : ০৯)।

 

জুমার নামাজ

‘জুমা’ শব্দের অর্থ এক জায়গায় জড়ো হওয়া বা কাতারবদ্ধ হওয়া। শুক্রবার মসজিদে জোহরের চার রাকাতের পরিবর্তে কাতারবদ্ধ হয়ে দুই রাকাতের যে ফরজ নামাজ আদায় করা হয়, ইসলামের পরিভাষায় সেটিই সালাতুল জুমা বা জুমার নামাজ।

জুমার নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব

জুমার নামাজ অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র আল-কোরআনে ‘জুমা’ (জমায়েত) নামে একটি স্বতন্ত্র সুরা আছে। সেটি ৬২ নম্বর সুরা। তাতে জুমার নামাজের গুরুত্ব বর্ণনা করে আল্লাহ বলছেন, ‘হে বিশ্বাসীরা! জুমার দিন যখন নামাজের জন্য ডাকা হয়, তখন তোমরা আল্লাহকে মনে রেখে তাড়াতাড়ি করবে ও কেনাবেচা বন্ধ রাখবে। এ-ই তোমাদের জন্য ভালো; যদি তোমরা বোঝো।’ (সুরা জুমা, আয়াত: ৯)

জুমার নামাজের আজান দেওয়ার পর সব বৈষয়িক কাজ স্থগিত রেখে নামাজ আদায় করার জন্য আল্লাহ সবাইকে মসজিদে কাতারবন্দী হওয়ার আদেশ দিয়েছেন। এর পরের আয়াতেই বলা হয়েছে, ‘নামাজ শেষ হলে তোমরা বাইরে ছড়িয়ে পড়বে ও আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে এবং আল্লাহকে বেশি করে ডাকবে; যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা, আয়াত: ১০)। অর্থাৎ আল্লাহর হক আদায় করার মাধ্যমে আখিরাতের সম্পদ অর্জন করার পর আবার দুনিয়ার সম্পদ তথা স্বাভাবিক রুটিরুজির অন্বেষণে ছড়িয়ে পড়তে বলা হচ্ছে।
জুমার নামাজ সম্পর্কে হাদিস
জুমার দিনটি এবং এই দিনের আমল সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এককভাবে অন্য কোনো দিন বা দিনের নামাজ নিয়ে এত বর্ণনা আর পাওয়া যায় না। আমলের দিক থেকে আল্লাহ তাআলা যেসব দিনকে ফজিলত ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করেছেন, জুমা তার অন্যতম।

মক্কায় লাখো মুসল্লির জুমার নামাজ আদায়

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন,

‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে প্রথম মসজিদে হাজির হয়, সে যেন একটি উট কোরবানি করল;

দ্বিতীয় যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে, সে যেন একটি গরু কোরবানি করল;

তৃতীয় যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল এবং সে যেন একটি ছাগল কোরবানি করল।

অতঃপর চতুর্থ যে ব্যক্তি মসজিদে গেল, সে যেন একটি মুরগি সদকা করল।

আর পঞ্চম যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল, সে যেন একটি ডিম সদকা করল।

এরপর ইমাম যখন বেরিয়ে এসে মিম্বরে বসে গেলেন খুতবার জন্য, তখন ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুতবা শুনতে বসে যায়।’ (বুখারি: ৮৮১)

Header Ad
Header Ad

ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে জম্মু-কাশ্মীরের লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) দুই পক্ষের মধ্যে এই গুলিবিনিময় হয়।

সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী প্রথমে ভারতের কয়েকটি পোস্ট লক্ষ্য করে গুলি চালায়। জবাবে ভারতের সেনাবাহিনীও গুলি চালিয়েছে।

সূত্রগুলো আরও দাবি করেছে, ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী কার্যকরভাবে জবাব দিয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

মঙ্গলবার ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগামে হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার কয়েক দিন পর দুই দেশের মধ্যে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটল। ভারত সরকার এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও ইসলামাবাদ এই দাবি তীব্রভাবে অস্বীকার করে এবং ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ হিসেবেও অভিহিত করেছে।

হামলার পরদিন বুধবার প্রতিবেশী দেশটির নাগরিকদের ভিসা বাতিল ও সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় ভারত।

ভারতের পদক্ষেপের জবাবে পাকিস্তানও কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারতীয়দের ভিসা বাতিল, দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত, ভারতের বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধসহ বুধবার বেশ কয়েকটি পালটা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ। পালটাপালটি এসব পদক্ষেপে দেশ দুটির মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে যা হয়তো সামরিক সংঘাতে গড়াতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

এবার ভারতীয়দের সকল ভিসা স্থগিত করল পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-শাসিত কাশ্মিরে হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে এবং এরই প্রেক্ষিতে ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা তথা সমানুপাতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পাকিস্তান।

ইসলামাবাদ তাৎক্ষণিকভাবে ভারতীয় নাগরিকদের দেওয়া সমস্ত ভিসা স্থগিত করেছে। এর পাশাপাশি প্রতিবেশী ভারতের কিছু কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে এবং ভারতীয় বিমানের জন্য পাকিস্তানি আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কাশ্মিরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আবারও চরম উত্তেজনায় পৌঁছেছে। গত মঙ্গলবারের ওই হামলায় একদল বন্দুকধারী পর্যটকদের ওপর গুলি চালায়, যাতে ২৬ জন প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন।

ঘটনাটিকে গত কয়েক বছরের মধ্যে কাশ্মিরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। হামলার পর ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের স্তর কমিয়ে আনে এবং একাধিক পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে—দুই দেশের মধ্যে চলাচলের প্রধান স্থলপথ আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া, পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা বন্ধ করে দেওয়া এবং ৬০ বছরের পুরোনো সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের ঘোষণাও রয়েছে।

জবাবে পাকিস্তানও বেশ কিছু পাল্টা কড়া সিদ্ধান্ত নেয়। দেশটি ভারতের সব ফ্লাইটের জন্য পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ করে দেয়, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য স্থগিত করে। এছাড়া ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে কর্মরত কূটনীতিকের সংখ্যা ৩০ জনে নামানোর নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি ভারতীয় নৌ, বিমান ও সামরিক উপদেষ্টাদের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে পাকিস্তান ছাড়তে বরঅ হয়েছে।

এদিকে কাশ্মিরজুড়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৫০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। কয়েকদিন ধরে বন্ধ থাকা স্কুল, দোকানপাট ও ব্যবসা এখন ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে হামলার এই ঘটনার পর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় কাশ্মিরি মুসলিম শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জম্মু-কাশ্মির ছাত্র সংঘের প্রধান নাসির খুইহামি জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডে একটি কট্টর হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে কাশ্মিরি শিক্ষার্থীদের মারধরের হুমকি দিয়ে একটি ভিডিও ছড়িয়েছে।

যদিও এই ভিডিওগুলোর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জুমার নামাজের ফজিলত, গুরুত্ব ও হাদিস
ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি
এবার ভারতীয়দের সকল ভিসা স্থগিত করল পাকিস্তান
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের স্ত্রী জাহানারা আবেদিন মারা গেছেন
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের জামাতাকে অবসরে পাঠালো সরকার
পারভেজ হত্যার ঘটনায় সেই দুই নারী শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আওয়ামী লীগ নই: রুমিন ফারহানা
পাকিস্তানে ঢুকে আটক বিএসএফ জওয়ান, দু’দেশের সীমান্তে ফের উত্তেজনা
টাঙ্গাইলে ফাঁকা গুলি ছু‌ড়ে ৭৮ লাখ টাকা ডাকাতি, গ্রেফতার ২
পাবনায় ইজিবাইক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২ এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
পাকিস্তানের আকাশে ঢুকতে পারবে না ভারতীয় বিমান, নতুন চাপে মোদি
টানা ৫ দিন চুয়াডাঙ্গায় বইছে তাপপ্রবাহ, বিপর্যস্ত জনজীবন
বাংলাদেশ সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আমাদের নিয়ত পরিষ্কার, যা কমিটমেন্ট করেছি তা বাস্তবায়ন করবো: তারেক রহমান
টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিং: দেশের শীর্ষে বুয়েট ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়
অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. জাহাঙ্গীর কবির-তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ (ভিডিও)
তন্ময়সহ শেখ পরিবারের ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী
পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত