বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

অবহেলায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি

ভাষাবিদদের মতে গ্রন্থাগারকে বলা হয় জনতার বিশ্ববিদ্যালয়। যেখান থেকে সাধারণ মানুষ আগ্রহ থাকলে সুযোগ হয় জ্ঞানার্জনের সুযোগ। পাকভারেতের শাসন আমলে পাশ্চাত্য দেশগুলোতে যখন গণ গ্রন্থাগার ছড়িয়ে পড়ছিল। ভারতীয় উপমহাদেশে ১৮৩৫ সালে কলকাতা পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৫০ সালের ১৪ আগস্ট ‘পাবলিক লাইব্রেরি অ্যাক্ট অব ইংল্যান্ড’ পাস হওয়ার পরের সময়কে বলা হয়ে থাকে পাবলিক লাইব্রেরির মুভমেন্ট। কারণ এই আইনের ফলে তৎকালীন ভারতবর্ষে প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে গণ গ্রন্থাগার। যার ছোঁয়া লাগে তৎকালীন পূর্ববঙ্গেও। ১৮৫৪ সালে বগুড়া, যশোর, বরিশাল ও রংপুরে গণ গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা ছিল যুগান্তকারী ঘটনা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, দেশের ১৬৮ বছরের পুরনো রংপুরের ঐতিহাসিক গণ গ্রন্থাগারের বর্তমান অবস্থা খুবই করুন। রংপুর শহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে বিশাল এলাকা জুড়ে কয়েকটি ভবন মিলে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরির ব্যাপ্তি ছিল। স্থানীয়দের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ১৯ দশকে এখানে টাউন হল নির্মাণ করা হয়। ১৯৭১ সালের পর এর পেছনে গড়ে ওঠে শিল্পকলা একাডেমি ভবন। গণ গ্রন্থাগার চত্বরেই নির্মাণ করা হয় স্বাধীন বাংলার প্রথম শহীদ মিনার।

 

 

গণ গ্রন্থাগারের নিযুক্ত কর্মচারীরা জানান, করোনা মহামারির শুরুর পর দুই বছর ধরে গণ গ্রন্থাগারটি বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ ও চেয়ার-টেবিল না থাকায় এখন আর এটি চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না।করোনা মহামারির আগে শুধু ৭টি জাতীয় দৈনিক ও একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা পড়তে এখানে মূলত বয়স্করা আসতেন।

রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ও সাহিত্যিক আকবর হোসেন বলেন, রংপুরের গণ গ্রন্থাগারের বরাদ্দকৃত জায়গার একটি অংশ দখল করে সর্বাধুনিক শিল্পকলা একাডেমির ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া মূল ভবনের একটি অংশে রংপুর ফাউন্ডেশন ও রংপুর সাহিত্য পরিষদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বর্তমানে গণ গ্রন্থাগারের দুটি ভবন, যার একটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। অন্যটিতে বই সংরক্ষিত আছে। এছাড়া আরেকটি ভবনে সভা-সমাবেশ করার জন্য ছোট পরিসরে একটি মিলনায়তন আছে, এটিও বন্ধ। রংপুর পাবলিক লাইব্রেরী এখন বেসরকারি একটি কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২১ জন সদস্য আছেন এই কমিটিতে। সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাহিত্যিক আকবর হোসেন ঐতিহাসিক গণ গ্রন্থাগারটি দখল হয়ে থাকা নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, রংপুর পাবলিক লাইব্রেরির পেছনে ৫৫ শতক জায়গায় শিল্পকলা একাডেমি ভবন তৈরি করা হয়েছে। তারা নির্মাণের আগে ক্ষতিপূরণ দিবে বলেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত এক টাকাও দেয়নি।

তিনি জানান, ২০১০ সালে সদস্য সংখ্যা ছিল ৪৩২ জন এবং ২০১১ সালে ছিলেন ২২৮ জন। পরের বছরগুলোর আর কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৯০ জন আজীবন সদস্য থাকার একটি তথ্য পাওয়া যায়। এখানে যে কেউ আজীন সদস্য হওয়ার আবেদন করতে পারেন। এজন্য ৫ হাজার টাকা এককালীন অনুদান দিতে হয়। গণ গ্রন্থাগারটি মোট বইয়ের সংখ্যা ৫ হাজার ২৮২টি। এর মধ্যে ইংরেজি ভাষায় ১৯০০ শতকের পাঁচটি জার্নাল রয়েছে।

আকবর হোসেন আরো বলেন, গণ গ্রন্থাগারে ৬ হাজার বই আছে। এর মধ্যে দুই হাজার প্রাচীন আমলের বই নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। সেগুলো রক্ষায় বাইন্ডিং করে বস্তাবন্দি করে রাখা হয়েছে। আলমারি সহ বই রাখার প্রয়োজনীয় জায়গা না থাকায় সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যাচ্ছে না প্রাচীন আমলের বই গুলো।তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় সবচেয়ে ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি। রংপুর শহরের রাজাকারদের ট্রেনিং ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ফলে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালেই প্রতিষ্ঠাকালীন অধিকাংশ মূল্যবান বই-জার্নাল চুরি হয়ে যায় কিংবা ধ্বংস করে দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে এখানে ৩০ হাজারেরও বেশি বই ছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজাকাররা হাজার হাজার বই আগুনে পুড়িয়ে রান্নার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করেছে। গণ গ্রন্থাগারে পাঠক ফিরিয়ে আনতে তেমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। উন্নয়ন বলতে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরির বাইরে দেয়ালে রঙ ও নতুন সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। মূল ভবন এখনও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ভিতরে কোন সংস্কার কাজ হয়নি। গণ গ্রন্থাগারে শতবর্ষ আগের দুটি বড় টেবিল আছে, যেগুলো ব্যবহার হয় না। বর্তমানে লাইব্রেরিতে চেয়ার নেই। নেই মানসম্মত কোন টেবিল। বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা আছে তাও খুবই অপ্রতুল্য। আমরা রংপুর গণপূর্ত প্রকৌশলীদের দিয়ে নকশা ও সম্ভাব্য বয়ের হিসাব করে তিন দফা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। অনেক চেষ্টা করেও ঐতিহাসিক এই গণগ্রন্থাগারকে রক্ষা করতে পারছি না।

রংপুরের জেলা প্রশাসক ও রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি কমিটির সভাপতি আসিব আহসান বলেছেন, গণ গ্রন্থাগারটি সংস্কারের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার

‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা। ছবি: সংগৃহীত

টাকা আয়ের জন্য সন্তানদের ওপর ‘নির্যাতন চালিয়ে’ ভিডিও বানানোর অভিযোগে ‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এবার তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সাভার থেকে গ্রেফতার করে ‘ক্রিম আপা’কে আশুলিয়া থানায় নেয়া হচ্ছে।

আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত বুধবার (৯ এপ্রিল) আশুলিয়া থানায় মামলাটি করেন সাভার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জামান।

মামলার বিবরণে বলা হয়, শারমিন শিলা পেশায় একজন বিউটিশিয়ান এবং ‘ক্রিম আপা’ নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত। নিজের তৈরি ক্রিম ও মেকআপ বিষয়ক ভিডিও ছাড়াও তিনি প্রায়ই তার সন্তানদের—এক ছেলে ও এক মেয়েকে—ভিডিওতে ব্যবহার করে থাকেন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় শিলা জোর করে মেয়ের মুখে কেক জাতীয় খাবার গুঁজে দিচ্ছেন। ভিডিওতে মেয়েটিকে আতঙ্কিত ও কাঁদতে দেখা যায়। এমন ভিডিও তার অন্যান্য কনটেন্টেও লক্ষ করা গেছে, যেখানে মেয়েটির মুখে ভয়, আতঙ্ক ও মানসিক অস্বস্তির ছাপ স্পষ্ট।

এই ধরনের আচরণকে শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা, অবহেলা ও মাতৃসুলভ আচরণের লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে মামলার বাদী পক্ষ। শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

সাভারের বাইপাইলে ‘ক্রিম আপা বিউটি পার্লার’ নামের একটি বিউটি সেলুন পরিচালনা করেন শারমিন শিলা। সেখানে থেকে বিভিন্ন রূপচর্চা ও ব্যক্তিগত জীবনের ভিডিও প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় আসেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘একাই একশো’ ঢাকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শিলার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। পরে জেলা প্রশাসন থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়। অভিযোগের পর শারমিন শিলা এক ফেসবুক লাইভে এসে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে জানান, তিনি আর কখনও এমন ভিডিও করবেন না।

Header Ad
Header Ad

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও আকাশছোঁয়া। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম পৌঁছেছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ টাকায়, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সর্বশেষ প্রতি ভরিতে ২ হাজার ৪০৩ টাকা বৃদ্ধির ফলে এই নতুন রেকর্ড তৈরি হলো।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩০ হাজার ১১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৩৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ৮ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার ১৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫ হাজার ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ৯ এপ্রিল থেকে।এ নিয়ে চলতি বছর ১৯ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৪ বার, আর কমেছে মাত্র ৫ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

Header Ad
Header Ad

ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের

নিহত সাক্ষী সিং। ছবি: সংগৃহীত

ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম করেছিলেন এক তরুণী। এটাই তার ‘অপরাধ’। আর সেই ‘অপরাধের’ সাজা হিসেবে প্রাণ দিতে হলো তাঁকে—আর কেউ নন, খুন করেছেন তার জন্মদাতা পিতা নিজেই। ভারতের বিহার রাজ্যের সমস্তিপুর জেলায় ঘটেছে এমনই এক নির্মম ঘটনা, যা স্তম্ভিত করেছে সাধারণ মানুষকেও।

নিহত ওই তরুণীর নাম সাক্ষী সিং, বয়স ২৫ বছর। কলেজে পড়ার সময়ই প্রেমে জড়ান স্থানীয় এক মুসলিম তরুণের সঙ্গে। প্রেমটা ছিল পরিণয়ের দিকেই, কিন্তু পরিবার, বিশেষ করে সাক্ষীর বাবা মুকেশ সিং কখনোই মেনে নিতে পারেননি এই সম্পর্ক। পরিবার ছিল কট্টর রক্ষণশীল ও ধর্মীয় ভাবনায় আচ্ছন্ন।

গত ৪ মার্চ প্রেমিকের হাত ধরে দিল্লিতে পালিয়ে যান সাক্ষী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তাঁর বাবা। মেয়েকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনার জন্য নানা নাটকীয়তা করেন মুকেশ। শেষ পর্যন্ত মেয়েকে ‘মাফ’ করার নাটক করে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। সাক্ষীও হয়তো ভেবেছিলেন—সব কিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। কিন্তু তিনি জানতেন না, তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এক নির্মম পরিকল্পনার অংশ হিসেবে।

বাড়ি ফেরার কয়েকদিন পর হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান সাক্ষী। মেয়েকে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁর মা। মেয়েকে কোথায় নিয়ে গেছেন—এই প্রশ্নে উত্তরে মুকেশ বলেন, "সাক্ষী আবার পালিয়েছে।" কিন্তু মায়ের সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপরই তিনি থানায় অভিযোগ করেন। বুধবার রাতে পুলিশ যখন তদন্তে সাক্ষীর বাড়িতে আসে, তখন একাধিক ঘর ছিল তালাবদ্ধ। সবচেয়ে সন্দেহজনক ছিল শৌচাগার। সেখান থেকে বেরোচ্ছিল তীব্র দুর্গন্ধ। পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকতেই দেখতে পায় সাক্ষীর গলাকাটা মরদেহ। মরদেহটি আংশিক পচে-গলে গিয়েছিল।

জিজ্ঞাসাবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত নিজের অপরাধ কবুল করেন মুকেশ। জানান, মেয়ের প্রেম মেনে নিতে পারেননি বলেই তাকে হত্যা করেন। পুলিশ বলছে, হত্যার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। এর আগেও মেয়ের প্রেমিককে খুন করতে গিয়েছিলেন তিনি, তবে তখন যুবকটি বাড়িতে ছিলেন না।

ঘটনার পর এলাকায় নেমে আসে শোক আর ক্ষোভ। প্রতিবেশীরা বলেন, “মেয়েটা চুপচাপ স্বভাবের ছিল, কারও সঙ্গে ঝামেলাও করত না। ভাবতে পারছি না নিজের বাবাই এমনটা করতে পারে!”

পুলিশ ইতোমধ্যে মুকেশ সিংকে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যার উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা, এবং আরও কেউ এর সঙ্গে জড়িত ছিল কি না—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতের মা ও মামার দেওয়া জবানবন্দিও গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ৪ বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে ফেরত