শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সারোগেসির কথা বলি

অন্যের গর্ভ ভাড়া নিয়ে সন্তান জন্মদানের পদ্ধতিকে বলে সারোগেসি। নানা দেশে এভাবে ছেলেমেয়ের জন্ম দিচ্ছেন সন্তান জন্মদানে অক্ষম বাবা-মা। আবার অনেকে জেনেশুনেও এই পথে চলেছেন নানা কারণে। এই আধুনিক, আলোচিত বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন সারা জেরীন তাসপিয়া

বাবা-মা হওয়ার ক্ষমতা প্রকৃতির এক অনন্য আশীর্বাদ। মানুষের ভালোবাসার ধন, আদরের দুলাল হলো তার সন্তান। প্রকৃতির নিয়মে প্রতিটি মা-ও বাবা চান নিজের রক্ত ধারণ করা সন্তানের বাবা-মা হতে কিন্তু সে ক্ষমতাটি থাকে না অনেকের। তাহলে তারা কী কখনো সন্তানের বাবা-মা হতে পারবেন না? তবে আধুনিক বিজ্ঞান বলে, যারা প্রাকৃতিকভাবে সন্তান ধারণে অক্ষম, তারাও ‘সারোগেসি’ পদ্ধতিতে নিজের সন্তান পেতে পারেন। আবার আধুনিক বিজ্ঞানের জয়-জয়কারের এই সময়ে বাবা-মা হওয়ার ক্ষমতা থাকলেও অনেকে ‘সারোগেসি’তে বাবা-মা হয়ে থাকেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক সারোগেসি পদ্ধতি সম্পর্কে

সারোগেসি কি?
সারোগেসি একটি সহায়ক প্রজননভিত্তিক পদ্ধতি। যেখানে কাংখিত বাবা-মা অন্য নারীর গর্ভটি ভাড়া করেন। পদ্ধতিটিতে একজন নারী অর্থের বিনিময়ে তার নিজের গর্ভে অন্যের সন্তান বড় করেন ও তাকে জন্ম দেন। গর্ভ ভাড়া ও সন্তানের জন্মদান এই পুরো প্রক্রিয়াটি দুই পক্ষের একটি চুক্তিপত্রের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। একজন নারীর গর্ভে অন্য দম্পতির সন্তান ধারণের প্রক্রিয়াটিকে ‘সারোগেসি’ বলে।

দুই ধরণের...
পার্শিয়াল সারোগেসি : পার্শিয়াল সারোগেসিতে সন্তান ধারণে মা কোনো ভূমিকা পালন করেন না। বাবার শুক্রাণু ও সারোগেট মায়ের ডিম্বাণু আলাদাভাবে ফার্টিলাইজ করে সারোগেট মায়ের গর্ভধারণের মাধ্যমে এ সন্তান প্রসব প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। পার্শিয়াল সারোগেসিতে সারোগেট মায়ের ডিম্বাণু ও গর্ভ দুটোই ভাড়া নেওয়া হয়। ফলে এই ক্ষেত্রে সন্তানের ওপর মায়ের জৈবিক একটি অধিকার থেকে যায়। তাই অনেকে স্পার্ম ব্যাংক ও ডিম্বাণু ব্যাংক থেকে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু সংগ্রহ করে সারোগেসি পদ্ধতিটি সম্পন্ন করা বেশি নিরাপদ মনে করেন।
জেস্টেশনাল সারোগেসি : এই পদ্ধতিটিতে মূলত দম্পতিদের শুক্রাণু ও ডিম্বাণু নিয়ে ল্যাবে ভ্রুণ তৈরি করা হয়। পরে সারোগেট মায়ের জরায়ুতে ভ্রূণটি প্রতিস্থাপন করা হয়। জেস্টেশনাল সারোগেসি পদ্ধতি এখন খুব জনপ্রিয়তা লাভ করছে। তবে সারোগেট মাকে বায়োলজিক্যাল মা বলা যাবে না।

গর্ভ ভাড়া প্রক্রিয়া
সন্তান ধারণে অক্ষম কিংবা যারা গর্ভধারণ করতে আগ্রহী নন-এমন কোনো দম্পতি একজন মহিলার গর্ভ ভাড়া নেন। এরপর তাদের সন্তানটি অন্য মহিলার গর্ভে বেড়ে ওঠে। সে জন্মের পরে চুক্তিপত্র অনুসারে অবিভাবক তাদের সন্তানকে নিয়ে নেন। সারোগেট মা অর্থের বিনিময়ে তার গর্ভ ভাড়া দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে সন্তানের প্রতি তার কোনো অধিকার থাকে না।

পদ্ধতিটির জনপ্রিয়তার কারণ
অনেক চেষ্টার পরেও যখন সন্তান লাভের আর কোন পথ থাকে না, তখন সারোগেসি হয় সন্তানের জন্য ব্যাকুল মা-বাবার অন্যতম আশ্রয়। যদিও বাংলাদেশে সন্তান দত্তক নেবার চলটি খুব বেশি আছে। তারপরও অনেক কারণেই সারোগেসি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে আছে-ক. অনেক মা গর্ভধারণে আগ্রহী নন। ফলে তারা সারোগেট মায়ের শরণাপন্ন হন। খ. অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও বারবার মিসক্যারেজ বা গর্ভপাত হয়ে গেলে। গ. অকাল মেনোপজ, ঘ. জরায়ুতে অস্বাভাবিকতা বা অস্ত্রোপাচারের কারণে জরায়ু কেটে বাদ দিয়ে দিলে, ঙ. গর্ভধারণে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে বা গর্ভধারণ করলে শারীরিক জটিলতাসহ যেকোনো শারীরিক দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি থাকলে, চ. সমকামী কিন্তু সন্তান লাভে আগ্রহী কোনো দম্পতি, ছ. অনেকেই আছেন যারা একা, একাই নিজের সন্তানের অভিভাবক হতে চান, ছ. কেউ, কেউ আছেন যারা গর্ভধারণকালীন বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক কষ্ট সহ্য করতে আগ্রহী নন।

সারোগেসির ঝুঁকি
সারোগেসি খুব সহজ কোনো প্রক্রিয়া নয়। পদ্ধতিটিতে অনেক ধরণের ঝুঁকি থাকে। ভ্রুণের জীবনের প্রি-ইমপ্লানন্টেশন, প্রসবপূর্ব জটিলতা ছাড়াও আরো অনেক ঝুঁকি আছে। ফলে ডিম্বাশয় উদ্দীপনা, আইভিএফ চক্র, আইভিএফ ও জেনেটিক ল্যাবরেটরির মধ্যে ভ্রুণ ও এ বিষয়ক অনেক জটিল চিকিৎসাও হয়ে থাকে। এই পদ্ধতিতে মানসিক প্রস্তুতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের দেশের সারোগেসি:
আমাদের এই বাংলাদেশে সারোগেসির বিষয়টি এখনো প্রচলিত নয়। তবে গোপনে গর্ভ ভাড়া নিয়ে বাবা-মা হওয়ার ঘটনা ঘটছে। আইনগতভাবে বৈধ না হওয়ায় কেউই বিষয়গুলো প্রকাশ করেন না। আইনী ঝামেলা এড়াতে কেউ, কেউ বিদেশে গিয়ে গর্ভ ভাড়া নিচ্ছেন।

ইসলাম বলে :
মহান আল্লাহ জৈবিক চাহিদা পূরণ ও সন্তান ধারণ-গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি বলেছেন। আমাদের ধর্ম ইসলাম মানুষের বংশধারার পবিত্রতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। পুরুষের জন্য এমন কোনো নারীর শরীরে তার শুক্রাণু প্রবেশ করানো জায়েজ নয়, যা পবিত্র ধর্ম ইসলামে হালাল নয়। শারীরিক সম্পর্ক বা ভিন্ন কোনো পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমেও জায়েজ নয়। হারাম। ফলে ইসলামে এ পদ্ধতিকে জায়েজ বলার সুযোগ নেই।

 

ওএস।

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের