শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘চোখ গেল’ ‘চোখ গেল’ কেন ডাকিস রে...

চোখ গেল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

সম্প্রতি নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলায় যাওয়ার জন্য রওনা হই। মোটরসাইকেল যোগে যখন মহাদেবপুর উপজেলার ছাতড়া বিলে পৌঁছাই তখন ঘড়িতে সকাল সাড়ে ৮ টা বাজে। চারিদিকে কুয়াশাচ্ছন্ন তীব্র শীত। এমন সময় বিলের মধ্য দিয়ে সংযোগ সড়কের ব্রিজের পিলারের উপর বসে থাকা একটি পাখি নজরে আসে। দ্রুত মোটরসাইকেলটি রাস্তার পাশে দাঁড় করালাম।

তখন বিলের মাঝে সংযোগ সড়কটি জনমানব শূন্য। দূরে কিছু দেখা যাচ্ছে না কুয়াশায়। সেদিন তাপমাত্রা পারদ ছিলো ১০ এর নিচে। ধীরে ধীরে পাখিটির কাছে গেলাম, আমাদের দেখে একটুকু ভয় পেল না। তীব্র শীতে পাখিটি উড়তে পারছে না।

সচরাচর এই পাখিটি মাটিতে নামেনা। আবার শীতকালে দেখাও যায় না। বলতে গেলে আমাদের সৌভাগ্য তারপর বেশ কয়েকটা ছবি তুললাম খু্ব কাছ থেকে তবুও উড়ে গেল না। উড়ে যখন যাচ্ছে না তখন তাকে আর বিরক্ত না করি; এই ভেবে রওনা দিলাম গন্তব্যস্থলে।

পাখিটির নাম: চোখ গেল

 

পাখিটির বাংলা নাম: ‘চোখ গেল’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন,

‘চোখ গেল’ ‘চোখ গেল’ কেন ডাকিস রে–
‘চোখ গেল’ পাখি রে!
তোরও চোখে কাহার চোখ পড়েছে নাকি রে–
‘চোখ গেল’ পাখি রে!
তোর চোখের বালির জ্বালা জানে সবাই রে–
জানে সবাই
চোখে যার চোখ পড়ে তার ওষুধ নাই রে–
তার ওষুধ নাই ;
কেঁদে কেঁদে অন্ধ হয় কাহার আঁখি রে–
‘চোখ গেল’ পাখি রে॥
তোর চোখের জ্বালা বুঝি নিশিরাতে বুকে লাগে
‘চোখ গেল’ ভুলে রে ‘পিউ কাঁহা’ ‘পিউ কাঁহা’ বলে
তাই ডাকিস অনুরাগে রে।
ওরে বন-পাপিয়া, কাহার গোপন প্রিয়া ছিলি–
আর-জনমে
আজও ভুলতে নারিস আজও ঝুরে হিয়া
ওরে পাপিয়া বল, যে হারায় তাহারে কি
পাওয়া যায় ডাকি রে–
‘চোখ গেল’ পাখি রে।
‘চোখ গেল’ পাখি॥

‘চোখ গেল’, ইংরেজি নাম: “কমন হাক কুক্কু”, (Common Hawk Cuckoo), বৈজ্ঞানিক নাম: “হাইরোকক্সিস ভেরিয়াস”, (Hierococcyx varius), গোত্রের নাম: কুকুলিদি। এরা লম্বায় ৩৩-৩৪ সেন্টিমিটার। ঠোঁট তীক্ষ। ঠোঁটের ডগা কালো বাদবাকি হলদেটে সবুজ। মাথা থেকে লেজের প্রান্ত পর্যন্ত ধূসর। তবে লেজের ওপর কিছু কালো বলয় রয়েছে। গলার নিচ থেকে বুক পর্যন্ত লালচে বাদামি। বুকের দু’পাশে সরু বাদামি দাগ। চোখের তারা, বলয় হলুদ। পা, আঙুল হলুদ। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম।

দেশী কালো কোকিলের মত মিষ্টি ডাক কিন্তু অতটা জোড়ালো না। মোটামুটি ১ মিটার দূরে গেলেই মিলিয়ে যায় বাতাসে এমন ক্ষীন স্বরে ডাকে। শীতকালে এরা সাধারনত চোখে পড়ে না। কিন্তু বসন্ত এলেই গাছের উঁচু ডালে ডালে এদের বসে থাকতে দেখা যায়। সাধারণত ঘন সবুজ বনে এদের দেখা যায় আর বাসা বাধে গাছের উঁচু অংশেএ কোটরে বা দুটি ডালের মাঝের খাঁজে। পারতপক্ষে এরা মাটিতে নামে না।

গাছে গাছে কিংবা শূন্যে ওড়াউড়ি করেই সময় কাটায়। পতঙ্গ ভক্ষণের লোভে ঝোপ-জঙ্গলের কাছাকাছি বেশিরভাগ সময় উড়ে বেড়াতে দেখা যায়। দেখা যায় রসালো নরম ছোট ফল গাছের আশপাশেও। এদের খাবার এর তালিকায় রয়েছে কীটপতঙ্গ, পোকামাকড়, ছোটখাটো সরীসৃপ। ছোট নরম ফল-ফলাদিও খায়। নিজেরা বাসা বাঁধতে জানে না। জ্ঞাতিভাই কোকিলের মতো পরের বাসায় ডিম পেড়ে পালিয়ে যায়। বেশিরভাগ সময় ডিম পাড়ে একটি। ডিম পাড়ে ঘুঘু, ফিঙ্গে, হলদে পাখির বাসায়।

সাধারণত একাকী বিচরণ করে। প্রজনন সময় ঘনিয়ে এলে জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। মার্চ থেকে জুন মাস এদের প্রজনন ঋতু। অন্যের বাসায় ডিম পাড়ে বলে সঠিক ডিম ফোটার সময় নির্ধারণ করা যায় নি। তবে একটি ডিম ফুটে বাচ্চা হলে সেই বাচ্চাকে হিংসুটে বাচ্চা বলা যেতে পারে। কারণ সে ডিম থেকে বেড় হয়েই নিজের শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে অন্য সকল ডিম গুলোকে বাসা থেকে বের করে দেয় বা ফেলে দেয়। এ যেনো প্রকৃতির এক নির্মম নিষ্ঠুরতা।

Header Ad
Header Ad

ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ

ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক। ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক মুক্তাদির মুক্তকে শিক্ষার্থীরা ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগ থেকে তাকে আটক করে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মুক্তাদির মুক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নিয়মিতভাবে গুজব ছড়িয়ে দেশের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে আসছিলেন।

বিস্তারিত আসছে...

Header Ad
Header Ad

এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই। সবাই এদেশের গর্বিত নাগরিক। সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আপনারা শান্তিতে থাকুন, আমাদেরকেও শান্তিতে থাকতে দিন। আপনাদের পাকের ঘরে কি হয় আমরা জানতে চাই না, আমাদের পাকঘরে উঁকি মারবেন না।’‘আপনারা শান্তিতে থাকুন, আমাদেরকেও শান্তিতে থাকতে দিন। আপনাদের পাকের ঘরে কি হয় আমরা জানতে চাই না, আমাদের পাকঘরে উঁকি মারবেন না।

তিনি বলেন, আমাদের আপনারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেন, আপনাদের চেহারাটা আয়নায় দেখেন। আপনারা যাদের মাইনরিটি বলেন, তাদের সাথে কি আচরণ করেন? আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছবক দিতে আসবেন না। যুগ যুগ ধরে এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের মানুষ তা প্রমাণ করেছেন।

জামায়াতে ইসলামীর আমীর আরও বলেন, আমরা সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। সেই সঙ্গে বৈষম্যকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেব। আমরা চাই না বারবার জাতি প্রতারিত হোক। আমরা চাই ঘুষ, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজ মুক্ত একটি বাংলাদেশ।

সকাল থেকেই বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল এসে সম্মেলনেস্থল লোকে লোকারণ্য হয়। আয়োজকদের দাবি, ৩০ হাজার মানুষ এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে মৌলভীবাজারে উন্মুক্ত স্থানে হাজারো কর্মী-সমর্থকের অংশগ্রহণে এ রকম কোনো সম্মেলন হয়নি। প্রথমবারের মতো খোলা মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।

Header Ad
Header Ad

আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল

ফাইল ছবি

উত্তর গোলার্ধে বছরের সবচেয়ে ছোট দিন এবং দীর্ঘতম রাত হিসেবে স্বীকৃত ২১ ডিসেম্বর। সেইসাথে আগামীকাল (২২ ডিসেম্বর) পৃথিবীর এই অর্ধে বছরের সবচেয়ে ছোট দিনও। ঠিক বিপরীত চিত্র অবশ্য বিরাজ করবে দক্ষিণ গোলার্ধে। বিষুবরেখার দুই পাশে সূর্যের আলো পড়ার প্রেক্ষাপটে বছরের ৪টি এমন তারিখ আসে। ‘দিবা-রাত্রি’র হিসেবে এগুলোর মধ্যে ২টি তারিখে সমান ও ২টি সময়ের পরিসরে সবচেয়ে ছোট-বড়।

২১ ডিসেম্বর দিনটিতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের থেকে অনেকটাই দূরে থাকে। ফলে সেখানে সূর্যের আলো এতটাই কম পড়ে যে দিন খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় বলে মনে হয় আর রাত হয় দীর্ঘ। সৌরজগতের নিয়ম অনুযায়ী পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে। এ সময় যে কোনো একদিকে একটু হেলে থাকে সূর্য। ফলে কখনো উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছাকাছি আসে, আবার কখনো দক্ষিণ গোলার্ধ।

২১ জুন দিনটাতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছাকাছি থাকে। তাই সূর্যের রশ্মি দীর্ঘসময় পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে পড়ে। সূর্য এদিন কর্কটক্রান্তি রেখায় লম্বভাবে বা খাড়াভাবে কিরণ দেয়। তাই মনে হয় দিন শেষই হচ্ছে না। মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে দেশগুলোতে বেশি পরিমাণ সূর্যালোক পৌঁছায়। এর ফলে এই সময়কালে সেইসব দেশে গ্রীষ্মকাল থাকে। বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলে ‘সামার সলসটিস’ বা উত্তরায়ণ। এর পর থেকে দিন ছোট হয়ে শুরু করে।

ডিসেম্বর মাস থেকে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলতে থাকে। আর উত্তর গোলার্ধ চলে যায় অনেকটা দূরে। এই সময় উত্তরে সূর্যের আলো ক্ষীণভাবে পড়ে। ফলে সেখানে তখন সৃষ্টি হয় শীতকাল, আর দক্ষিণে গরমকাল।

একে বলে উইন্টার সলসটিস বা সূর্যের দক্ষিণ অয়নান্ত। এই সময় দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় হয় আর উত্তর গোলার্ধে রাত দীর্ঘতম হয়। অর্থাৎ একই সময়ে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে থাকবে দীর্ঘতম দিন ও ক্ষুদ্রতম রাত।

এদিকে আজ বছরের দীর্ঘতম রাত হলেও পূর্ণিমার কারণে আকাশে থাকবে চাঁদের উজ্জ্বল আলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
হামজাকে নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু ধর্মের বিকাশে কাজ করতে চায় কমিশন: ফারুকী
অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে ত্রিপুরায় শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি গ্রেফতার
টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজির সংঘর্ষ: নিহত ২
চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি, দুদিনের মধ্যে অভিযান: ডিএমপি কমিশনার
আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী সিরিয়ার নতুন সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছে
দেশের সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্র বিএনপির কাছে নিরাপদ: টুকু
গত ১৫ বছরে নানকের সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে ওঠেছে ৩০ গুণ
দেশের বৃহত্তম রেলসেতুতে বঙ্গবন্ধুর নাম বাতিল হচ্ছে
গুচ্ছ ভর্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ
ঢাকাসহ তিন বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
নিয়ন্ত্রণে বনানী বস্তির আগুন