সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

রাজশাহীতে প্রতীকী রূপে টিকে আছে ৩৫ ঢোপকল

পুঠিয়ার বিখ্যাত জমিদার মহারাণী হেমন্ত কুমারী দেবী রাজশাহীর মানুষকে কলেরার হাত থেকে রক্ষা করতে রক্ষাকবজ হিসেবেই তৈরি করেছিলেন ‘ঢোপকল’। কলেরার সেই ক্লান্তিলগ্ন পেরিয়েছে বহু আগেই। প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে জনজীবনেও। ‘ঢোপকল’ ছাপিয়ে এসেছে ‘ওয়াটার ট্যাংক’। নিরাপদ পানি সরবরাহের প্রতিশ্রুতি নিয়ে গঠিত হয়েছে ওয়াসা। আর একারণেই কালের বির্বতনের সঙ্গে সংগ্রাম করে এখন প্রতিকী রুপেই টিকে আছে ঢোপকল।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একসময় রাজশাহী মহানগরে শতাধিক ঢোপকল ছিল। ঢোপকলের উপযোগিতা ফুরিয়েছে অনেক আগেই। তবে এখন ৩৫টির মতো ঢোপকল আছে। এরমধ্যে ১২টি ঢোপকলে ওয়াসার পানি সাপ্লায়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেটা গত বছরও ছিল ২২টির মতো। ঢোপকলগুলো দীর্ঘ দিনের পুরোনা হওয়ায় পানি রির্জাভে রাখার সক্ষমতাও হারাচ্ছে। এতে প্রতি বছর ঢোপকলের সংখ্যাও কমছে। আর ঐতিহ্যের অংশ হিসেবেই প্রতীকী রূপে কিছু ঢোপকল সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

জানা যায়, ১৯৩০ এর দশকে রাজশাহীতে পানিবাহিত রোগ কলেরার প্রাদুর্ভাব হয়েছিল। নোংরা, জীবাণুতে ভর্তি পানি খেয়ে অনেকে মারা গেছেন। তখন পুঠিয়ার জমিদার মহারাণী হেমন্ত কুমারী দেবীর টাকায় সুপেয় পানির কলের ব্যবস্থা করা হলো। যুগান্তকারী উদ্যোগে বানানো হলো ‘ঢোপকল’। সুপেয় পানির সরবরাহকারী কল হিসেবে ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল এসব। তবে এখন ঢোপকলের উপযোগিতা ফুরিয়েছে। রাজশাহী ওয়াসার পানির লাইন আছে আলাদা।

এক একটি ঢোপকল ১২ ফুট উঁচু, ৪ ফুট চওড়া। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই কলগুলো বিশেষভাবে বানানো। মূল উপকরণ সিমেন্ট ও ইটের খোয়া। প্রতিটি কলের গায়ে উপর থেকে নিচের দিক পর্যন্ত বিশেষ একটি ঢেউ খেলানো ডিজাইন রয়েছে। নকশাটি করা হয়েছে টিন ব্যবহার করে। চারিদিকে টিনের রাউন্ড বানিয়ে তার ভেতরে সিমেন্ট ও ইটের খোয়ার ঢালাই ঢেলে দেওয়া হয়েছে। ঢালাইটি আড়াই থেকে তিন ইঞ্চির, আজও দারুণ শক্ত। অসাধারণ ডিজাইন, পুরোটাই সিমেন্টের দারুণ কারুকাজ আর পানির ফিল্টারিং ব্যবস্থা রাজশাহীর ঢোপকলের বিশেষত্ব। প্রতিটি ঢোপকলের পানি ধারণ ক্ষমতা ৪৭০ গ্যালন।

সবগুলো ঢোপকলে সুপেয় পানি দেওয়ার জন্য মহারাণী হেমন্ত কুমারী দেবী নিজের নামে একটি বিশেষ পানিশোধন কেন্দ্র তৈরি করে দিয়েছিলেন। তার কেন্দ্র থেকেই লোহা ও পানির ক্ষার দূর করে ঢোপকলে পানি দেওয়া হতো। কলগুলোর প্রতিটির আলাদা ফিল্টারিং ব্যবস্থার মাধ্যমে পুরোপুরি স্বচ্ছ ও সুপেয় পানি খেতেন নগরের মানুষ। পাথরের কুঁচি আছে ভেতরে কোনোভাবে ঢুকে পড়া ময়লাগুলো থেকে পানিকে বাঁচাতে। বালি ও পাথরের স্তরও আছে প্রতিটি কলে। তা ছাড়া সিমেন্টের কল বলে পানি কোনোভাবেই গরম হয় না। শীতকালে তীব্র শীতের প্রভাব পড়ে না পানিতে।

১৯৩৭ থেকে ১৯৬৫ টানা ২৮ বছর রাজশাহী শহরের সুপেয় পানি ব্যবস্থা ছিল ঢোপকলগুলোর মাধ্যমে। এরপর নগরায়ন হলো। প্রতিষ্ঠিত হলো ওয়াসা। তারা নিজেদের ব্যবস্থা গড়ে তুলল। তারপরও যে কয়েকটি বেঁচে আছে, সেগুলোর মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটিকে তারা রিজার্ভ পানির ট্যাংকি হিসেবে সচল রেখেছেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) জেলা শাখার সভাপতি ও রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেছেন, ‘আমাদের রাজশাহী নগরীতে সুপেয় পানি সরবরাহের কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে এই ঢোপকলগুলো। মহারাণী হেমন্ত কুমারী দেবীর দান ও প্রশাসনিক এই উদ্যোগ ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। সে সময় নগরবাসীকে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহে ঢোপকল স্থাপন প্রকল্প যে জীবনদায়ী ভূমিকা রেখেছে। এই প্রকল্পকে রাজশাহী ওয়াসা রক্ষা করতে পারেনি। বিশুদ্ধ পানির সরবরাহের প্রশ্নেও ওয়াসা পিছিয়ে আছে। আবার আধুনিকতার সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে ঢোপকলগুলো যত্ন ও কাজে লাগানোর অভাবে পিছিয়ে গিয়েছে। নগর উন্নয়ন কাজে কিছু ঢোপকল ভেঙে ফেলা হয়েছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ. এইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের আন্তরিকতা ও ও সুশীল সামাজের দাবিতে ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বাকিগুলো সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এই ঢোপকলগুলো ভবিষ্যতের কাছে সাক্ষী হয়ে থাকবে।’

রাজশাহী ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মো. পারভেজ মাসুদ বলেছেন, ‘সময়ের সঙ্গে পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। ঢোপকলগুলোর কার্যকারিতাও এখন বিলুপ্তিতে। ওয়াসা যে ঢোপকলগুলো পানির রির্জাভার হিসেবে ব্যবহার করছিল। দীর্ঘ দিনের পুরোনো হওয়ায় সেখানে ব্যাকটেরিয়া ও জীবানুর প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছিল। এতে যুগের চাহিদায় বিকল্প ভাবতে হচ্ছে। তবে ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে রাজশাহী নগরের দর্শনীয় স্থান, গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও জাদুঘরে ঢোপকলগুলো স্থানান্তর করা হচ্ছে।

এসএন

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে