সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে ঘেরা ‘মরুদ্বীপ-৭১ স্বাধীনতা পার্ক’

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কিশোরগঞ্জে গড়ে উঠেছে স্বাধীনতা থিম পার্ক। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ফুটিয়ে তুলতে জেলার কটিয়াদী উপজেলার ছায়া সুনিবিড় নিভৃত গ্রামীণ পরিবেশে গড়ে উঠেছে ‘মরুদ্বীপ-৭১ স্বাধীনতা পার্ক’ নামে একটি বিনোদনকেন্দ্র।

কটিয়াদী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে লোহাজুড়ি ইউনিয়নের উত্তর লোহাজুড়ির কুঁড়েরপাড় গ্রামে অবস্থিত দেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিনোদনকেন্দ্র ‘মরুদ্বীপ-৭১ স্বাধীনতা পার্ক’।

এখানে বাংলার গৌরবময় ইতিহাসকে সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের সবকিছুই আগামী প্রজন্মের জন্য তুলে ধরা হয়েছে। বিনোদনের পাশাপাশি দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে কিছু সময় আলিঙ্গন করতে ও সবুজের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতেই মনোরম স্থানে এই স্বাধীনতা পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। পার্কের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ভেতরে রয়েছে ২১০ প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফলজ, বনজ, ঔষধি ও ফুলের গাছ।

জানা যায়, ২০০৮ সালে কুঁড়েরপাড় গ্রামে গিয়েছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন এবং বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি। তাদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় অ্যাড. নুরুজ্জামান ইকবাল ব্যক্তি উদ্যোগে শুরু করেন স্বাধীনতা পার্কের কাজ। একক প্রচেষ্টায় নিজস্ব ২০ একর জমির উপর তিনি গড়ে তুলেছেন পার্কটি। বর্তমানে ৫০ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই পার্ক। সরকারি জমি ও পৈতৃক জমির সমন্বয়ে পার্কটির নান্দনিক চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

স্বাধীনতা পার্কের প্রবেশ পথের শুরুতেই চোখে পড়বে খ্যাতিমান ভাস্কর প্রয়াত মৃণাল হকের তৈরি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। বাংলাদেশের সংগ্রামী মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বাস্তব রূপ দেখতে এখানে বিশেষ দিনগুলোতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। পার্কের ভেতর প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ও ক্ষুদিরাম বসুর ভাস্কর্য। পার্কের ভেতরে দেয়ালের একপাশে মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের যে ১১টি সেক্টর ছিল সবগুলোর পরিচিতি এলাকাসহ তুলে ধরা হয়েছে। ছবিসহ ৭ বীরশ্রেষ্ঠের পরিচিতিও তুলির রঙে আঁকা রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, ভাস্কর্য ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতি, সাত বীরশ্রেষ্ঠের ম্যুরাল, অস্ত্রধারী মুক্তিযোদ্ধাদের ভাস্কর্যসহ রয়েছে শিশু পার্ক। দেয়ালে দেয়ালে ঠাঁই পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন কবিতা ও স্বাধীনতার স্লোগান। স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর শহীদদের স্মরণে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিসৌধ। সুবিশাল জায়গাজুড়ে প্রতিষ্ঠিত পার্কটি বাঙালি জাতির মুক্তির নেপথ্যে পরিশ্রমী নেতাদের ভাস্কর্য ও প্রতিকৃতির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাঁথাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, রেসকোর্স ময়দানে নিয়াজির আত্মসমর্পণ ইত্যাদিও ভাস্কর্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে। সেই কাজগুলো এখনো বাকি রয়েছে। ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু হয় এই পার্কের। বিনোদন পার্কটির বাকি কার্যক্রমগুলো এখনো চলছে ধীরগতিতে। পার্কের পরিপূর্ণরূপ পেতে আরও সময়ের প্রয়োজন।

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক প্রয়াত আব্দুল গাফফার চৌধুরী পার্কের মূল ফটকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১০ সালের ৩০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, প্রয়াত বিচারপতি হাবিবুর রহমান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক প্রয়াত আবু জাফর সিদ্দিকী এ পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

পার্কের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান ইকবাল জানিয়েছেন, আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরার উদ্দেশ্যে এই স্বাধীনতা পার্কটি গড়ে তোলা হয়েছে। এ পার্কের মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম যেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সংগ্রামী, বিপ্লবী, বিশেষ ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানতে ও দেখতে পারে সেটাই মূল লক্ষ্য।

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তিল তিল করে গড়ে উঠা পার্কটির অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ হলে এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করতে চান বলেও জানান নুরুজ্জামান।

এসজি

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে