বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

পাতিল নিয়ে খাল সাঁতরে স্কুলে যাতায়াত

ঘড়ির কাটায় সকাল ৮টা ৩০ মিনিট। স্কুল শুরুর ঘণ্টা বাজতে ৪৫ মিনিট বাকি। এরই মধ্যে স্কুলে যাওয়ার তড়িঘড়ি। বাড়ি থেকে বই-খাতা-কলমের সঙ্গে রান্না করার বড় একটি পাতিল নিয়ে স্কুলের উদ্দেশে রওনা দেয় কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থী। সেই পাতিলের মধ্যে তাদের বইপুস্তক ও আর স্কুলের পোশাক। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, শিশু শিক্ষার্থীদের হাতে পাতিল কেন?। জানা গেল, স্কুলে পৌঁছানোর আগে মাঝপথেই পড়ে খাল। ২০০ ফুটের বেশি চওড়া সেই খালে পাতিল ভাসিয়ে সাঁতরে তীরে উঠতে হয় শিশুদের। এরপর ভেজা জামা কাপড় রোদে শুকিয়ে স্কুল পোশাকে ক্লাসে ছুঁটে যায় ওরা। এই চিত্র প্রতিবেদকের কাছে নতুন হলেও স্থানীয়দের কাছে পুরনো।

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দিয়ারচর ও উত্তর চরমোন্তাজ (দক্ষিণ অংশ) গ্রাম নামক দুইটি চর থেকে এভাবে খাল সাঁতরে স্কুলে আসা-যাওয়া করে প্রায় অর্ধশত শিশু শিক্ষার্থী।

খাল সাঁতরে স্কুলে যাওয়া ওদের মধ্যের একজন শিক্ষার্থী জান্নাতুল (৮)। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এই শিক্ষার্থীর বাড়ি দিয়ারচর গ্রামে। পড়ালেখা করে মাঝেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এর মাঝখানে বয়ে যাওয়া বাইলাবুনিয়া নামক একটি খাল সাঁতরে স্কুলে যেতে হয় তাকে।

তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল বলে, ‘আমাদের আসতে অনেক ভয় হয়। দুই-এক সময় হাত থেকে পাতিল ছুইট্টা (ছুটে) যায়। আমরা অনেক কষ্ট করি। দুই-তিন দিন আগে হাত থেকে পাতিল ছুইট্টা গেছে। আমরা অনেক কান্না করছি। কেউ ছিল না। পরে আমরাই আস্তে আস্তে কিনারে আসছি। বই খাতা ভিজে গেছে। এখনও শুকায়নি।’

জান্নাতুলের মতো ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির নাসরিন, চতুর্থ শ্রেণির কেয়ামনি, নাজমুলের ভাষ্য, খাল সাঁতরে স্কুলে যেতে ভয় করে ওদের। কষ্ট হয় এই শীতে খাল পার হতেও অনেক কষ্ট। তাই শিশু শিক্ষার্থীদের দাবি খালটিতে একটি সেতু নির্মাণের।

স্থানীয় লোকজন জানায়, উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দিয়ারচর ও উত্তর চরমোন্তাজ (দক্ষিণ অংশ) গ্রামে কোনও স্কুল নেই। তাই পার্শ্ববর্তী মাঝেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে ওই দুই চরের শিশুরা। কিন্তু স্কুল এবং দুই চরের মাঝখানে বাইলাবুনিয়া খাল। এই খাল পেড়িয়ে স্কুলে যেতে হয় শিশুদের। কেউ খাল সাঁতরে পার হয়। কেউ আবার পার হয় নৌকায়।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, স্থানীয়দের উদ্যোগে কয়েকবার বাশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু নোনা জলে সাঁকো বেশি দিন টিকে না। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলে সাঁকো থাকাকালীন ৩০০-৪০০ শিক্ষার্থী ছিল। এর মধ্যে ২০০’র মতো শিক্ষার্থী ছিল ওই দুই চরের। সাঁকো না থাকায় এখন শিক্ষার্থী কমে গেছে। এখন দুই চর থেকে ৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী আসে। এদের কেউ কেউ নিয়মিত আসেও না।

শিক্ষার্থী অভিভাবক দিয়ারচর গ্রামের হোসেন মিয়া বলেন, ‘আমার দুই ছেলে এই স্কুলে পড়ে। সপ্তাহ খানেক আগে আমার এক ছেলে খাল পার হতে গিয়ে ডুবে যাওয়া ধরছে। আমি এসে উডাউয়া (উঠিয়ে) স্কুলে দিয়ে গেছি। অনেক কষ্টে এই দুই ছেলেকে এখন স্কুলে আনা-নেওয়া করতে হয়। এর চেয়ে এখানে একটি স্কুল হলে ভালো হয়। আর তা না হলে এই খালে একটি ব্রিজ হলেও ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পড়তে দেওয়া যায়।’

মাঝেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘দিয়ারচর ও উত্তর চরমোন্তাজের শিক্ষার্থীরা পাতিল নিয়ে খাল সাঁতরে এই বিদ্যালয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসে। অনেক অভিভাবক এই ঝুঁকি নিয়ে ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে আসতে দেয় না। যদি স্কুলের পূর্ব পাশের এই খালে একটি ব্রিজ হতো তাহলে শিশু শিক্ষার্থীরা এই ঝুঁকি থেকে রেহাই পেত। এই শীতের সময়ে শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট হয়। অনেকেই প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে স্কুলে আসে। অনেকে নিয়মিত স্কুলেও আসতে পারে না।’

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্গম এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের একটি খাল পেড়িয়ে স্কুলে আসতে হয়। সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য বেশ কিছুদিন আগে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা দিয়েছি। এই মুহূর্তে জরুরি ভিত্তিতে বিকল্প কি করা যায় সেজন্য আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে অতি দ্রুত বিষয়টি সমাধাণের চেষ্টা করব।’

এ প্রসঙ্গে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুল কবির বলেন, ‘আমরা সেখানকার খোঁজ-খবর নিব। প্রয়োজনে ব্রিজ নির্মাণের জন্য আয়রন ব্রিজ প্রকল্পে প্রস্তাবনা পাঠাব।’

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা জেনেছি স্কুলে যেতে শিশু শিক্ষার্থীরা বই-খাতা এবং জামা-কাপড় পাতিলে ভরে সাঁতার কেটে স্কুলে যায়। যেটা জেনে আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। আগামী দিনে কোমলমতি শিশুরা যাতে সুন্দরভাবে স্কুলে যেতে পারে সেজন্য আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব এবং কোমলমতি শিশুদের পারাপারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সালেক মূহিদ জানান, এ বিষয়টি আমরা উত্থাপন করব। দ্রুত বিষয়টি সমাধানের জন্য রাজস্ব তহবিল অথবা পিআইও অফিসের প্রকল্পের মাধ্যমে ওখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।’

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার

‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা। ছবি: সংগৃহীত

টাকা আয়ের জন্য সন্তানদের ওপর ‘নির্যাতন চালিয়ে’ ভিডিও বানানোর অভিযোগে ‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এবার তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সাভার থেকে গ্রেফতার করে ‘ক্রিম আপা’কে আশুলিয়া থানায় নেয়া হচ্ছে।

আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত বুধবার (৯ এপ্রিল) আশুলিয়া থানায় মামলাটি করেন সাভার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জামান।

মামলার বিবরণে বলা হয়, শারমিন শিলা পেশায় একজন বিউটিশিয়ান এবং ‘ক্রিম আপা’ নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত। নিজের তৈরি ক্রিম ও মেকআপ বিষয়ক ভিডিও ছাড়াও তিনি প্রায়ই তার সন্তানদের—এক ছেলে ও এক মেয়েকে—ভিডিওতে ব্যবহার করে থাকেন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় শিলা জোর করে মেয়ের মুখে কেক জাতীয় খাবার গুঁজে দিচ্ছেন। ভিডিওতে মেয়েটিকে আতঙ্কিত ও কাঁদতে দেখা যায়। এমন ভিডিও তার অন্যান্য কনটেন্টেও লক্ষ করা গেছে, যেখানে মেয়েটির মুখে ভয়, আতঙ্ক ও মানসিক অস্বস্তির ছাপ স্পষ্ট।

এই ধরনের আচরণকে শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা, অবহেলা ও মাতৃসুলভ আচরণের লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে মামলার বাদী পক্ষ। শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

সাভারের বাইপাইলে ‘ক্রিম আপা বিউটি পার্লার’ নামের একটি বিউটি সেলুন পরিচালনা করেন শারমিন শিলা। সেখানে থেকে বিভিন্ন রূপচর্চা ও ব্যক্তিগত জীবনের ভিডিও প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় আসেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘একাই একশো’ ঢাকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শিলার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। পরে জেলা প্রশাসন থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়। অভিযোগের পর শারমিন শিলা এক ফেসবুক লাইভে এসে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে জানান, তিনি আর কখনও এমন ভিডিও করবেন না।

Header Ad
Header Ad

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও আকাশছোঁয়া। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম পৌঁছেছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ টাকায়, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সর্বশেষ প্রতি ভরিতে ২ হাজার ৪০৩ টাকা বৃদ্ধির ফলে এই নতুন রেকর্ড তৈরি হলো।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩০ হাজার ১১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৩৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ৮ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার ১৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫ হাজার ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ৯ এপ্রিল থেকে।এ নিয়ে চলতি বছর ১৯ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৪ বার, আর কমেছে মাত্র ৫ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

Header Ad
Header Ad

ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের

নিহত সাক্ষী সিং। ছবি: সংগৃহীত

ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম করেছিলেন এক তরুণী। এটাই তার ‘অপরাধ’। আর সেই ‘অপরাধের’ সাজা হিসেবে প্রাণ দিতে হলো তাঁকে—আর কেউ নন, খুন করেছেন তার জন্মদাতা পিতা নিজেই। ভারতের বিহার রাজ্যের সমস্তিপুর জেলায় ঘটেছে এমনই এক নির্মম ঘটনা, যা স্তম্ভিত করেছে সাধারণ মানুষকেও।

নিহত ওই তরুণীর নাম সাক্ষী সিং, বয়স ২৫ বছর। কলেজে পড়ার সময়ই প্রেমে জড়ান স্থানীয় এক মুসলিম তরুণের সঙ্গে। প্রেমটা ছিল পরিণয়ের দিকেই, কিন্তু পরিবার, বিশেষ করে সাক্ষীর বাবা মুকেশ সিং কখনোই মেনে নিতে পারেননি এই সম্পর্ক। পরিবার ছিল কট্টর রক্ষণশীল ও ধর্মীয় ভাবনায় আচ্ছন্ন।

গত ৪ মার্চ প্রেমিকের হাত ধরে দিল্লিতে পালিয়ে যান সাক্ষী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তাঁর বাবা। মেয়েকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনার জন্য নানা নাটকীয়তা করেন মুকেশ। শেষ পর্যন্ত মেয়েকে ‘মাফ’ করার নাটক করে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। সাক্ষীও হয়তো ভেবেছিলেন—সব কিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। কিন্তু তিনি জানতেন না, তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এক নির্মম পরিকল্পনার অংশ হিসেবে।

বাড়ি ফেরার কয়েকদিন পর হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান সাক্ষী। মেয়েকে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁর মা। মেয়েকে কোথায় নিয়ে গেছেন—এই প্রশ্নে উত্তরে মুকেশ বলেন, "সাক্ষী আবার পালিয়েছে।" কিন্তু মায়ের সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপরই তিনি থানায় অভিযোগ করেন। বুধবার রাতে পুলিশ যখন তদন্তে সাক্ষীর বাড়িতে আসে, তখন একাধিক ঘর ছিল তালাবদ্ধ। সবচেয়ে সন্দেহজনক ছিল শৌচাগার। সেখান থেকে বেরোচ্ছিল তীব্র দুর্গন্ধ। পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকতেই দেখতে পায় সাক্ষীর গলাকাটা মরদেহ। মরদেহটি আংশিক পচে-গলে গিয়েছিল।

জিজ্ঞাসাবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত নিজের অপরাধ কবুল করেন মুকেশ। জানান, মেয়ের প্রেম মেনে নিতে পারেননি বলেই তাকে হত্যা করেন। পুলিশ বলছে, হত্যার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। এর আগেও মেয়ের প্রেমিককে খুন করতে গিয়েছিলেন তিনি, তবে তখন যুবকটি বাড়িতে ছিলেন না।

ঘটনার পর এলাকায় নেমে আসে শোক আর ক্ষোভ। প্রতিবেশীরা বলেন, “মেয়েটা চুপচাপ স্বভাবের ছিল, কারও সঙ্গে ঝামেলাও করত না। ভাবতে পারছি না নিজের বাবাই এমনটা করতে পারে!”

পুলিশ ইতোমধ্যে মুকেশ সিংকে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যার উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা, এবং আরও কেউ এর সঙ্গে জড়িত ছিল কি না—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতের মা ও মামার দেওয়া জবানবন্দিও গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ৪ বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে ফেরত