সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫ | ২৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

হাওড়ের মেয়ে নিকলী

নিকলীর গল্প সবার জানা। কিশোরগঞ্জের হাওড়ের কাহিনীগুলো রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাড়ি বলে সবাই জানেন। সেখানে ঘুরে এলেন ভ্রমণবিদ মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম। সে গল্পের ছবি তাদের দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ দিলো
রাত প্রায় সাড়ে এগারটা। হুট করেই মাথায় চেপে বসল ঘোরার ইচ্ছে। মেসেঞ্জারে নক করলাম আরেক ভ্রমণবিদ হানিফকে। মজা করছি-এ রকমটাই ভাবল কিন্তু যখন লিখলাম, ‘বাপের বেটা হলে এখনি বাইক নিয়ে চলে আস।’ আর সহ্য করতে পারলো না। ঠিকই চলে এলো ভালোবাসার টানে। এরপর ভাবল, হয়ত আশেপাশে ঘুরব। আমি তাকে সোজা নিকলীর পথে যেতে বললাম। যাচ্ছে। তবুও কল্পনা করতে পারল না। শুধু জানাল, ‘তুমি যেতে পারলে, আমিও পারব।’ “সাব্বাশ-এরকমদেরই তো ‘দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ’ খুঁজে।” ঢাকার আশুলিয়া বেড়ীবাঁধ হয়ে আমাদের মটরবাইক চলছে। রাত গভীরেও যানজট। গাজীপুর পৌঁছতেই বাসায় খবর হয়ে গেল। একে, একে পরিবারেরসহ বংশের ছোট-বড় অনেকেই ফোন দিলেন। ফেরাতে চাইলেন। বাসায় কাউকে বলে যায়নি তো। আমিও-এক কাপড়েই বের হয়েছি। এতেই যত বিপত্তি। কারো কোনো ফোনকলই অবশ্য ফেরাতে পারল না। ভ্রমণ ইচ্ছে আজ তুঙ্গে। যদি ফিরে আসি, হানিফকে যা লিখে ঘর থেকে বের করেছি, এখন উল্টোটাই আমাকেই ফিরিয়ে দেবে। না, না-তা হতে পারে না। গুণ, গুণ করে গাইতে, গাইতে-‘আমায় ডেকোনা/ ফেরানো যাবে না/ ফেরারী পাখিরা/ কুলোয় ফিরে না’-গাজীপুর চৌরাস্তা। পার হয়ে খাস্তা পরোটা আর ডিম ভাজা দিয়ে রাতের খাবার সেরে নিলাম। এসব হোটেলগুলো যেন আমাদের মত ভ্রমণপ্রিয়দের জন্যই খোলা রাখে।
খাওয়া-দাওয়া শেষে বাইক স্টার্ট। রাতের নিরবতা ভেদ করে চলছে। চকচকে পিচের প্রশস্ত ফাঁকা রাস্তা। একপশলা বৃষ্টি এসে রণে ভঙ্গ দেয়ার জন্য আক্রমণ করলো। তবুও থামাতে পারলো না। হার মেনে বৃষ্টিই পালালো। চলতে, চলতে মহাসড়ক ছেড়ে, ডানে মোড় নিয়ে কাপাসিয়ার দিকে যাওয়া সড়কে চলছি। পথটা কেমন যেন ভৌতিক। দুপাশে ঘন শালবন। মাঝে সরু সড়ক। রাত গভীরে গা ছমছম করে, সুনসান নিরিবিলি পথ। অন্যরকম অনুভব।
যেতে, যেতে শীতলক্ষা নদীর উপর তৈরি করা ফকির মজনু শাহ্ সেতু পার হয়ে মিয়ার বাজারে ব্রেক কষলাম। রাত প্রায় আড়াইটা। এক দোকানী এই রাত গভীরেও এরকম গ্রাম্য জনপদে, তার চায়ের পসরা নিয়ে বসে আছেন। চা, বিস্কুট খেয়ে পান চিবুতে, চিবুতে আবারও ছুটে চললাম মূল পথে, নিকলীর দিকে।
প্রায় সুবহে সাদিকের সময় কিশোরগঞ্জের বিন্নাটির মোড়ে পৌঁছলাম। রাতজাগা দোকানীদের মুখে নিকলি যাবার সঠিক পথ জেনে নিতে হলো আমাদেরও। তবে এগুতে থাকলাম। অল্প সময়ের মধ্যেই পুলের ঘাট বাজার। ফ্রিজ আছে। ঠান্ডা পানি, বিস্কুট খেতে, খেতে দোকানিদের সঙ্গে আলাপ জুড়লাম। তারা এরকম সময়ে না যাওয়ার জন্য যেমন বলছেন, নিরাপত্তার কোন সমস্যা নেই, সে অভয়ও দিচ্ছেন। মানে ফিফটি, ফিফটি নিন। কেন? গিয়েই দেখি।
ফজরের আযান ও জামাতের আরো অনেক দেরী। ঘরের কাছে এসে কার মনে চায়, অযথাই সড়কের পাশে সময় কাটাতে? হানিফকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আগাবে?’ সোজা উত্তর, ‘তোমার ইচ্ছে।’ ইচ্ছে যখন আমারই, ‘চলো আল্লাহর নাম নিয়ে আগাই।’ যেতে, যেতেই ফজর আযান হলো। পথের পাশের এক মসজিদে নামাজ আদায় করলাম। এরপর রাইড।
শখ জেগেছে, নিকলি গিয়ে সূর্যোদয় দেখব। যেতে, যেতে পথের সৌন্দর্যে বিভোর আমরা। মাঝে, মধ্যেই থমকে যাই। গ্রামবাংলার অসাধারণ নয়নাভিরাম রূপ, নিকলীর পথের গ্রামগুলোর ওপর ভর করেছে। ভোরের আলোয় চেনা-অচেনা পাখির কলতানগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বাইক চলছে মন্থরে। এই পথের প্রেমে পড়ে সূর্যোদায়ের কথা ভুলে গেলাম। নিকলী বেড়িবাঁধে যখন ঢুকলাম-এ যেন অন্য জগত। যে জগতে শুধু প্রকৃতিদেবেরই বিচরণ। আমরা হলাম অনাহুত, আগন্তক।
উপজেলা পরিষদের ভবন পেছনে ফেলে আরো এগিয়ে গেলাম। একেবারে বেড়িবাঁধের শেষঅব্দি। যতদূর চোখ যায়, পানি আর পানি। সে অপরূপ। এই হাওড়ের নাম নিকলী। কিশোরগঞ্জ জেলার অন্যতম বৃহৎ ও নয়নাভিরাম হাওড়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও অসাধারণ, ভালোলাগার। নিকলী বেড়িবাঁধ, হাওরের নান্দনীকতা বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে জেলেদের মাছধরার মহাকর্মযজ্ঞ। ভ্রমণ পিপাসুরা ইচ্ছে করলে ছৈ তোলা নৌকায় ভেসে বেড়াতে পারেন। যাওয়া যাবে একেবারে অথৈ পানির মাঝে, ছোট্ট দ্বীপের মত জেগে থাকা গ্রামগুলোতে। হাওড়ের সূর্যোদয়, সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য, তীর থেকে দেখতে পাওয়া কম বিষয় নয়। হিজল, করচ গাছগুলো টইটুম্বুর পানির বুকে মাথা উঁচু করে জানান দেয় সমসময়-শত প্রতিকুলতার মাঝেও কীভাবে টিকে থাকতে হয়? আসলে ভ্রমণ শুধু বিনোদনই নয়, শিক্ষা লাভেরও অবিশ্বাস্য মাধ্যম।
দেখা হলো তাদের সঙ্গে-পাটের আঁশ তোলা শ্রমজীবী মানুষ। তাদের কায়িক পরিশ্রম। তবুও মানুষগুলোর চোখেমুখে সুখের হাসি। সুখী হতে হলে জীবনে প্রাচুর্যতার চাইতে সুন্দর মন ও মানসিকতাই যথেষ্ট। ভ্রমণকালীন আমি প্রকৃতির রূপ-লাবণ্য উপভোগ করার পাশাপাশি স্থানীয়দের যাপিত জীবন সম্পর্কেও জানতে ভালোবাসি।
ঘুরতে, ঘুরতে চোখ আটকাল একটি ঝুপড়ি দোকানে। খেতে ভালোবাসি তো, এগিয়ে গেলাম। যেতেই দেখি, ধোঁয়া তোলা চিতই পিঠা ও নানা ভর্তা। আহ্, না খেয়ে আর পারলাম না। সাতসকালের নাশতার পর্ব সুরমার হাতে বানানো পিঠা দিয়ে সারলাম। তাকে ধন্যবাদ দিয়ে ফেরার পালা।

যাবেন : বন্ধুরা আর দেরী কেন? ঘুরে আসুন কিশোরগঞ্জ জেলার মোট ৯৭টি হাওড়ের সম্বৃদ্ধ একটি, তাদের মতো সুন্দর নিকলীতে। আশেপাশেও যেতে পারেন অন্য কোনো হাওরে।
কিভাবে : ঢাকা থেকে সরাসরি বাস ও ট্রেনে কিশোরগঞ্জ। সদর হতে সিএনজিতে নিকলী। জানা ভালো-সকাল, সকাল রওনা দিলে দিনে দিনে ঘুরে আসা যায়।
বাস-ট্রেনের সময় : মহাখালী ও সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে দিনে-রাতেই বিভিন্ন পরিবহনের বাস ছেড়ে যায়। কমলাপুরে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত তিনটি ট্রেন ছেড়ে যায়। দুপুরে ট্রেন আছে। দিনে, দিনে ফেরার জন্য সকালের ট্রেনই ভালো।

ওএস।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ

নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে নওগাঁর সর্বস্তরের মানুষ ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন। সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ অন্তত ১০টি সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

এসময় সমাবেশগুলো থেকে ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ঘোষণা দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নওগাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা শহিদ ফাহমিন চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি কলেজ চত্বর প্রদক্ষিণ করে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

পরে শিক্ষার্থীরা সেখানে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ ‘নেতানিয়াহুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’ ‘স্টপ জেনোসাইড’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে একাত্মতা ঘোষণা করে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও অংশগ্রহণ করেন।

নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এদিকে বেলা ১২টার দিকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের সামনে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও যোহরের নামাজ শেষে শহরের মডেল মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জামায়াতে ইসলামী। পরে শহরের মুক্তির মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলোত্তর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নওগাঁ জেলা জামায়াতের আমির খ.ম আব্দুর রাকিব, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মহিউদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, নওগাঁ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এ্যাড: আ.স.ম সায়েম, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক নাসির উদ্দীন, নওগাঁ সদর উপজেলা আমির মাও. মোনায়েম হোসাইন, পৌরসভা আমির মাও. শফিকুল ইসলাম, রানীনগর উপজেলা আমির ডা. আনজির হোসেন, পৌর জামায়াতের নায়েবে আমির হাফেজ মাও. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

লাঠিপেটা না করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল

পুলিশ কনস্টেবল রিয়াদ হোসেন। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনকারীদের আঘাত না করেই ছাত্রভঙ্গ করে আলোচনায় আসা পুলিশ কনস্টেবল রিয়াদ হোসেনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত আছেন। আন্দোলন দমনে বুদ্ধিদীপ্ত পুলিশিং কৌশল প্রয়োগ করায় রিয়াদকে এই পদক দেওয়া হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব তৌফিক আহমেদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশে গত ২৭ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তৌফিক আহমেদ এতে সই করেন। যা সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশ করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘২০২৫ সালে নাগরিকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে জনশৃঙ্খলা রক্ষায় অভিনব বুদ্ধিদীপ্ত পুলিশিং কৌশলের স্বীকৃতি হিসেবে পুলিশ সদস্য রিয়াদ হোসেনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা)’ প্রদান করা হলো। প্রজ্ঞাপনে তারিখ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।’

অতীতে বাংলাদেশ পুলিশ পদক-বিপিএম এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক-পিপিএম পদক পুলিশ সপ্তাহে পুলিশ সদস্যদের পরিয়ে দেওয়া হতো। রিয়াদের সময়ে এবার তা ভিন্নভাবে দেওয়া হলো।

লাঠিপেটা না করে বরং লাঠিপেটার অভিনয় করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে দেখা যায় একজন পুলিশ সদস্যকে। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর প্রশংসায় ভাসেন রিয়াদ হোসেন।

বর্তমানে রিয়াদ হোসেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত আছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনকারীরা রাস্তা দখল করে রেখেছিলেন। এতে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া উত্তেজনা মুহূর্তে রূপ নিতে পারে সংঘর্ষে। কিন্তু পুলিশ সদস্য রিয়াদ বন্দুক তোলেননি, ব্যাটনও চালাননি কারও গায়ে। তার হাতে লাঠি ছিল, কিন্তু সেই লাঠির আঘাত করেছেন শূন্যে-রাস্তার ওপর, বৈদ্যুতিক খুঁটিতে। যেন জানিয়ে দিচ্ছিলেন-আপনারা চলে যান, আমার দায়িত্ব আছে, কিন্তু আপনাদের প্রতি সম্মানও আছে।

এই সম্মান আর মানবিক কৌশলের এক ঝলক দৃশ্য হয়ে ধরা দেয় সেই ঘটনার ভিডিওতে, যা অল্প সময়েই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। শত শত মানুষ ভিডিওটি শেয়ার করে বলেন-এই রকম পুলিশই তো দরকার আমাদের সমাজে! সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক, বিশ্লেষক-সবাই অভিভূত হয়ে পড়েন এক পুলিশ সদস্যের এমন সংযমী, সংবেদনশীল আচরণে।

এমন অভিনব কৌশল আর দায়িত্বশীলতার স্বীকৃতি এসেছে কিছুটা দেরিতে হলেও, এসেছে সগৌরবে। রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন রিয়াদ হোসেন।

Header Ad
Header Ad

ইন্ডিয়ান আইডলের শিরোপা জিতলেন কলকাতার মানসী ঘোষ

মানসী ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ইন্ডিয়ান আইডল-এর ১৫তম সিজনে শিরোপা জিতেছেন পশ্চিমবঙ্গের মানসী ঘোষ। এই প্রথম কোনো বাঙালির হাতে উঠল ইন্ডিয়ান আইডলের শিরোপা। ফাইনালে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন পশ্চিমবঙ্গের আরেক প্রতিযোগী শুভজিৎ চক্রবর্তী এবং তৃতীয় হয়েছেন স্নেহা শঙ্কর।

গত রোববার রাতেই প্রচারিত হয় ইন্ডিয়ান আইডলের এবারের সিজনের গ্র্যান্ড ফিনালে, যেখানে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয় মানসী ঘোষকে। ট্রফি, ২৫ লাখ রুপি এবং একটি নতুন গাড়ি ছাড়াও তাকে বিভিন্ন প্লেব্যাক অফারও মিলেছে। বিশেষ করে, বিচারক বাদশা ঘোষণা করেছেন যে, তিনি মানসী ঘোষের সঙ্গে একটি গান গাইবেন, যা ইতিমধ্যেই রেকর্ড করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়া, শানের সঙ্গে একটি গানও রেকর্ড করেছেন তিনি।

বিজয়ী হওয়ার পর নিজের অনুভূতি জানিয়ে মানসী বলেন, ‘আমার পরিবার সবাই ফাইনালে এসেছিল, তারা আনন্দে চোখে পানি এনে কাঁদছিল। কিন্তু আমার জন্য কিছুটা সময় লেগেছিল, কী বলব, কী অনুভব করব সেটা বুঝতে। তবে আমরা সবাই খুব খুশি, আমার জীবন একেবারে বদলে গেছে।’

মানসী ঘোষ, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা। মাত্র চার বছর বয়সে মা-বাবার অনুপ্রেরণায় গান শেখা শুরু করেন তিনি। ১৩ বছর বয়সে প্রথম স্টেজ শোতে অংশ নেন এবং ১৫-১৬ বছর বয়স থেকে স্টেজ শো করে নিজের রোজগার শুরু করেন। জীবনের প্রতি দায়িত্বশীলতা নিয়ে মানসী পড়াশোনা এবং গান একসাথে চালিয়ে গেছেন।

মানসী ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত

ইন্ডিয়ান আইডলের আগে ২০২১ সালে সংগীত রিয়েলিটি শো ‘সুপার সিঙ্গারে’ অংশ নেন তিনি এবং সেখানে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। এই শো থেকেই তার প্রতি দর্শক ও বিচারকদের নজর পড়ে, যা তাকে পরবর্তীতে ইন্ডিয়ান আইডলের আসরে অংশ নিতে অনুপ্রাণিত করে। তাঁর ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্সের ফলে শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত শিরোপা জয় করে তিনি পৌঁছেছেন শীর্ষে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ
লাঠিপেটা না করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল
ইন্ডিয়ান আইডলের শিরোপা জিতলেন কলকাতার মানসী ঘোষ
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
নতুন শুল্ক প্রস্তাব স্থগিত করতে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি
ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের জন্য চলাচলে সতর্কতা জারি
ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার নিন্দা জানালো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন্নপূর্ণা–১ জয় করলেন বাবর আলী
বৈশাখে যারা ইলিশ কিনে খাবেন তারা আইনের লঙ্ঘন করবেন: উপদেষ্টা ফরিদা
ঢাকা-রংপুর ৪ লেন প্রকল্পে পলাশবাড়ীতে এক জমি দুইবার বিক্রি, গাইবান্ধা ডিসি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ১৫ কোটি টাকার অধিক লুটপাটের চেষ্টা
ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোয় ভারতে বিদ্যুৎ বিভাগের 'মুসলিম কর্মী' বরখাস্ত
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বেনাপোল ও শার্শায় বিক্ষোভ মিছিল
গাজার কর্মসূচি নিয়ে হুমকি, চাকরি হারালেন ড্যাফোডিলের সেই শিক্ষিকা
নওগাঁয় নিজ বাড়ি থেকে ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার
ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার আইসিসিতে পাঠানোর কথা ভাবছে সরকার: প্রেস সচিব
ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সারাদেশে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি
যুদ্ধের মাঝে ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটলেন নেতানিয়াহু
রাজশাহীতে ট্রাক-বাসের সংঘর্ষে নিহত তিন, আহত অর্ধশত
পুরান ঢাকায় নাজিমউদ্দিন রোডে আগুন, নিহত ১