'টাইটানিক দুর্ঘটনায় দুজনের বেঁচে থাকা সম্ভব ছিল না'
‘অ্যাভাটার: দি ওয়ে অব ওয়াটার’ এর প্রচারণার সময় পরিচালক এবং ‘টাইটানিক’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা জেমস ক্যামেরন জানিয়েছেন, তিনি টাইটানিকের ওপর একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা করেছেন এবং প্রামাণ্যচিত্র আকারে বন্দী করেছেন। তার এই গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, টাইটানিক জাহাজের ডুবে যাবার শেষ অবস্থায় একটি ভাসমান দরজার ওপর দুজন মানুষ ভেসে থাকতে পারেন না।'
লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও মরতেন কী না? এই বিষয়ে টাইটানিক সিনেমার ভক্তরা অসংখ্যবার বিতর্ক করেছেন। এই চলচ্চিত্রের অনেক দর্শক এই অভিযোগও করেছেন যে, টাইটানিকে জ্যাক ও রোজের জন্য অনেক ঘর ছিল। ফলে তারা যেকোনো দুটি ঘরের দরজাও খুলে নিয়ে সেগুলোকে ভাসমান বানিয়ে বেঁচে থাকতে পারতেন। তবে এই সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরন জানিয়েছেন যে তিনি নিজেই তাদের এই প্রশ্নের জবাবে গবেষণা করেছেন।
টরেন্টো সানের সঙ্গে আলাপ করতে গিয়ে ক্যামেরন বলেছেন, ‘আমরা একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা করেছি এই পুরো বিষয়টিকে বিশ্রামে পাঠানোর জন্য এবং এজন্য আবারও বাজি ধরে এগিয়েছি টাইটানিকের সকল ভক্তের জন্য। আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে একটি ফরেনসিক বিশ্লেষণ করেছি। এজন্য আমরা একজন হাইপোথার্মিয়া বিশেষজ্ঞর সাহায্যও গ্রহণ করেছি। তিনি ছবিটির ভেলাকে আবার তৈরি করেছেন। আমাদের এই বিশেষ কাজটি আগামী ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হবে।’
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ফোর-কে রেজুলেশনে টাইটানিক সিনেমাটিকে আবার সিনেমা হলগুলোতে মুক্তি দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত এবং সূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তার সঙ্গে জেমস ক্যামেরনের সর্বশেষ বৈজ্ঞানিক প্রামাণ্যচিত্রও যুক্ত হবে।
ক্যামেরন আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা দুজন স্টান্টম্যানকে নিয়েছি যারা পুরুষ এবং নারী ও তাদের কেট এবং লিও’র শারিরীক আকার, আকৃতি আছে। আমরা তাদের শরীরের সবখানে সেন্সরগুলো লাগিয়েছি। তাদের আমরা বরফের পানিতে নামিয়েছি। কাজগুলো এই পরীক্ষাটি করার জন্য করা হয়েছে যে, সকলের জানা প্রয়োজন, তারা দুজনে কীভাবে বেঁচে থাকতে পারেন (যেভাবে বেঁচে থাকার প্রশ্নগুলো উঠেছে) এবং উত্তরটি হলো যে, তাদের দুজনের বেঁচে থাকার কোনো উপায় ছিল না। কেবল একজনই বাঁচতে পারতেন।’
ক্যামেরন জানিয়েছেন 'জ্যাকের মরে যাওয়া প্রয়োজন ছিল। এই ভালোবাসার বিষয়টি রোমিও এবং জুলিয়েটের মতো। আমার এই ছবিটি হলো ভালোবাসা, আত্মদান ও মানবতার। নিজেকে বলিদানের মাধ্যমে ভালোবাসাটি প্রকাশিত হয়েছে। ২৫ বছর পর সম্ভবত আমি আর এই বিষয়গুলো নিয়ে নিজেও কাজ করতাম না, যদি না ভক্তরা প্রশ্ন তুলতেন।’
ওএফএস/এএস