শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ | ২৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

আমি এইসব গ্রুপ-ট্রুপকে পাত্তা দেই না: জাকারিয়া সৌখিন

জাকারিয়া সৌখিন একজন নাট্যকার ও নির্মাতা। দীর্ঘদিন নাটক নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত আছেন। তার নির্মিত নাটকগুলো দর্শকরা গ্রহন করেছে। বিশেষ করে ভিউয়ের বিচারেও তার নাটক আলোচিত। এসব বিষয় ও অন্যান্য প্রসঙ্গে ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার নতুন নাটক ‘আই অ্যাম সিঙ্গেল’ মাত্র ১৫ দিনে কোটি ভিউ অতিক্রম করেছে। কেমন লাগছে?

জাকারিয়া সৌখিন: অবশ্যই ভালো লাগছে। দর্শকের ব্যাপক সাড়া পেয়ে খুশিতে বাকবাকুম অবস্থা আমার। কারণ, আমি বরাবরই দর্শকের জন্য কাজ করি। সুতরাং আমার কাজ যত দ্রুত বেশি সংখ্যক দর্শক গ্রহণ করবে, ভালো লাগা ততই বেড়ে যাবে।

ঢাকাপ্রকাশ: কী কারণে নাটকটি দর্শকরা এত পছন্দ করছেন?

জাকারিয়া সৌখিন: আমার ধারণা ৩টি কারণে। বর্তমান সময়ের গল্প, উপস্থাপন স্টাইল এবং আফরান নিশোর অনবদ্য অভিনয়। সবকিছু মিলিয়ে দর্শকের পালস কানেক্ট করেছে।

ঢাকাপ্রকাশ: নাটকটি নিয়ে কিছু মিশ্র প্রতিক্রিয়াও দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপগুলোতে-

জাকারিয়া সৌখিন: হ্যাঁ, আমিও শুনেছি। কিন্তু, আমি এইসব গ্রুপ-ট্রুপকে পাত্তা দেই না। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, যেসব নাটক নিয়ে এই গ্রুপগুলোতে তুমুল আলোচনা হয়, প্রশংসা করে ফাটিয়ে ফেলা হয়, সেই নাটকগুলো মূলত ফ্লপ। দর্শক গ্রহণ করে না। এরা যেসব নাটকের সমালোচনা করে সেগুলো সাধারণ দর্শকের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য। সুতরাং আমি ১৮ কোটি মানুষের জন্য নাটক নির্মাণ করি, এইসব গ্রুপ-ট্রুপের ২/৩ জনের জন্য না।

ঢাকাপ্রকাশ: ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে। একটু ব্যাখ্যা করবেন?

জাকারিয়া সৌখিন: আমার কথা বাদ দিন। ব্যাখ্যা করার জন্য আমি অন্য একজন নির্মাতার উদাহরণ দিচ্ছি। তিনি বর্তমানে জনপ্রিয় নির্মাতাদের একজন। তিনি হলেন কাজল আরেফিন অমি। সত্যি বলতে, অমি জনপ্রিয়তায় আমাদের সবার উপরে আছে। খেয়াল করলে দেখবেন, অমি গ্রুপগুলোতে সবচাইতে বেশি সমালোচিত। অথচ সে সবচাইতে জনপ্রিয়। কিন্তু গ্রুপগুলোতে যারা খুব প্রশংসিত তারা মূলত অজনপ্রিয়। দর্শকের কাছাকাছি পৌঁছাতে তারা ব্যর্থ।

ঢাকাপ্রকাশ: এর কারণ কী?

জাকারিয়া সৌখিন: কারণ দুইটা। প্রথম কারণ, যেই নাটক সবাই পছন্দ করে, এনজয় করে, এইসব অহেতুক সমালোচনাকারীরা তাদের বিপক্ষে গিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করে আমি ব্যতিক্রম, আমি আলাদা, আমার রুচি সবার মতো না। এটাকে তারা ভাব মনে করে। অথচ সমালোচনা লিখতে গেলে এদের বানান ভুল থাকে, বাক্য গঠন ভুল থাকে, ব্যাকরণ তো জানেই না। তারমানে এদের শিক্ষা-দীক্ষায়ও গলদ আছে।

আর দ্বিতীয় কারণ, অজনপ্রিয় নির্মাতাদের নিয়ে লিখলে তারা লেখায় লাইক দেয়, শেয়ার করে এতে সমালোচনাকারীরা নিজস্ব ফ্রেন্ডসার্কেলে ভাব নিয়ে বলতে পারে, অমুকে আমার লেখা শেয়ার দেয়। তাই নিজের দাম বাড়ানোর জন্য তারা লেখা আরও বাড়িয়ে দেয়। এদিকে অজনপ্রিয় নির্মাতারা নিজেদের কাজ প্রশংসিত হচ্ছে মনে করে লাইক-শেয়ারও বাড়িয়ে দেয়। এভাবেই দু’পক্ষের সুবিধামতো সমোঝোতা বা হিসেব-নিকেষে ব্যাপারটা চক্রাকারে চলতে থাকে।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে কি সমালোচনা থাকবে না?

জাকারিয়া সৌখিন: অবশ্যই থাকবে। সমালোচনা না থাকলে শুদ্ধতার চর্চা কীভাবে হবে! কিন্তু সমালোচনাকারীদের সমালোচনা করার যোগ্যতা থাকতে হবে। ধরুন সমালোচনা যদি প্রথমসারির গণমাধ্যমে হয় সেটা অবশ্যই গ্রহণ করা যায়। কিন্তু গ্রুপ-ট্রুপ কী! অযথা, ফালতু।

ঢাকাপ্রকাশ: ‘আই অ্যাম সিঙ্গেল’ই তো আপনার দ্রুততম কোটি ভিউয়ের নাটক?

জাকারিয়া সৌখিন: হ্যাঁ। গত ঈদে আমার একটি নাটক ছিল ‘ভুলো না আমায়’ নামে। ওটাও দর্শক তুমুলভাবে গ্রহণ করেছিলেন। ওটার ভিউ ১৬ দিনে কোটি হয়েছিল।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার নির্মিত অনেক নাটকই জনপ্রিয় হয়েছে। তারপরও মিডিয়াতে আপনি সরব নন কেন?

জাকারিয়া সৌখিন: আমি লজ্জাবতী লতা টাইপের চরিত্র। গুটিয়ে থাকি, লুকিয়ে থাকি। পরিচিতরা আমাকে গর্তজীবি বলে ডাকেন। অথচ এখন প্রচারের যুগ। তাই ভাবছি, শামুকের মতো গুটিয়ে থাকব না আর। যেহেতু আমার নির্মাণ সাধারন মানুষ পছন্দ করছে, তাই তাদের সঙ্গে কানেক্টিভিটি তৈরি করব। এখন আমার মূলমন্ত্র একটাই-থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগৎটাকে...।

ঢাকাপ্রকাশ: টেলিভিশন পেরিয়ে ইউটিউবে নাটক দেখার জন্য দর্শকরা ঝুঁকছে বেশি। টেলিভিশনের চেয়ে ইউটিউবে নাটক নির্মাণে কি নির্মাতারা বেশি স্বাধীন?

জাকারিয়া সৌখিন: হ্যাঁ। অবশ্যই। আর এ কারণেই নির্মাতারা এখন অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে নাটক নির্মাণ করতে পারছেন। আমার বিশ্বাস এই স্বাধীনতার কারণেই আমাদের নির্মাণে বর্তমান সময় আরও পরিস্কারভাবে ফুটে উঠবে।

ঢাকাপ্রকাশ: নতুন কাজের খবর বলুন।

জাকারিয়া সৌখিন: বেশকিছু কাজের পরিকল্পনা করছি, স্ক্রিপ্ট লিখছি। দ্রুত শুটিংয়ে যাব।

ঢাকাপ্রকাশ: নাটকের সিন্ডিকেটের কথা অনেকদিন থেকেই শোনা যাচ্ছে। আপনার কী মনে হয়?

জাকারিয়া সৌখিন: এগুলো শুধু আওয়াজ। এখানে খাদ্যদ্রব্যের মতো পণ্য আটঁকিয়ে দাম বাড়ানোর কোনো ব্যবস্থা নেই, কালো টাকা সুইস ব্যাংকে পাচারের কোনো আয়োজন নেই আর রাজনৈতিক বিবেচনায় ঠিকাদারি পাওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই। তাহলে সিন্ডিকেট কেন থাকবে? এখানে সবাই শিল্পী। এখানে শিল্পচর্চা হচ্ছে। দর্শকদের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা বেশি তারা বেশি সুফল পাচ্ছেন, যাদের গ্রহণযোগ্যতা কম তারা সুফল কম পাচ্ছেন। সিন্ডিকেট একটা অহেতুক টার্ম। অনেকেই দর্শকদের কাছাকাছি পৌঁছাতে না পেরে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য সিন্ডিকেট টার্ম ব্যবহার করেন। এটা তাদের আত্মরক্ষার ঢাল।

এএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

ভারী বর্ষণ-বজ্রপাতে ভারত ও নেপালে প্রায় ১০০ জনের প্রাণহানি

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও নেপালের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০০ জন। বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া এ দুর্যোগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বহু প্রাণহানির ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা ও গণমাধ্যম। খবর, রয়টার্সের।

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বুধবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাতে সেখানে অন্তত ৮২ জন নিহত হয়েছে।

অন্যদিকে, দেশটির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেখানে ১৮ জনেরও বেশি মানুষ বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।

দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি) পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে বজ্রঝড় ও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে শনিবার (১২ এপ্রিল) পর্যন্ত একটি সতর্কতা জারি করেছে।

ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপালেও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টির কারণে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ গত সপ্তাহে জানিয়েছিল, এপ্রিল মাসজুড়ে অধিকাংশ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি গরম পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-পাকিস্তানে বর্ষা মৌসুম শুরু হয় জুন মাসে থেকে। শীতের শেষে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত সাধারণত শুষ্ক আবহাওয়া থাকে।

Header Ad
Header Ad

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৮ বস্তা টাকা, গণনা চলছে

ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের পৌর শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বক্স খোলা হয়েছে। এবার চার মাস ১২ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭টায় ১১টি দানবাক্স ও একটি ট্রাঙ্ক থেকে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। সঙ্গে পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গহনা। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনায় অংশ নিয়েছেন প্রায় ৪০০ জনের একটি দল।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেন, এবার আমরা চার মাস ১২ দিন পর দানবক্স খুলেছি। এবার ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। ব্যাংক কর্মকর্তা ও মাদরাসার ছাত্ররা টাকা গণনার কাজ করছেন।

এর আগে, গত বছরের ৩০ নভেম্বর দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া যায়, আর গণনা শেষে তখন রেকর্ড ভেঙে ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা সংগ্রহ হয়েছিল। প্রায় ১০ ঘণ্টায় ৪০০ জনের একটি দল এ টাকা গণনার কাজ শেষ করেন। সঙ্গে ছিল স্বর্ণালংকার, বৈদেশিক মুদ্রা, এমনকি রুপার অলংকারও।

মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৯টি দান দানবাক্স খোলা হয়েছে। দান দানবাক্সগুলো খুলে ৩০টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় আনা হয়েছে গণনার জন্য। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।

টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন, কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ মাদরাসার ২৮৫ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৮০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য।

মসজিদের খতিব, এলাকাবাসী ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন সূত্রে জানা যায়, এ মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ মসজিদে দান করে থাকেন।

জনশ্রুতি আছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী।

কিন্তু ওই সাধকের দেহাবসানের পর থেকে আশ্চর্যজনকভাবে এলাকা এমনকি দেশের দূর-দূরান্তের লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে। মানত কিংবা দান খয়রাত করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন বয়সের হিন্দু-মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের নারী-পুরুষ মানত নিয়ে আসেন এ মসজিদে। তারা নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ ও রুপার অলঙ্কারের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি এমনকি বৈদেশিক মুদ্রাও দান করেন।

বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর মসজিদটি গড়ে উঠলেও বর্তমানে মসজিদ কমপ্লেক্সটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জায়গা আছে। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য।

এরই মধ্যে দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়।

পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানিয়েছে, ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৩০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

Header Ad
Header Ad

অবশেষে জানা গেল কলকাতার কোথায় আছেন ওবায়দুল কাদের

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচিত এক চরিত্র ওবায়দুল কাদের। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ছিলেন। ওবায়দুল কাদের কলকাতার অভিজাত এলাকা রাজারহাট নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রীকে নিয়ে থাকছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিনি ডিএলএফ নিউটাউন হাইটস প্লাজায় আছেন। এটি মূলত হাইরাইজ কমপ্লেক্স, যেখানে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা আছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজী নাসির উদ্দীন আহমেদ নামে এক ব্যক্তি ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য প্রকাশ করেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‌‘তার এক বন্ধু কলকাতায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে শুক্রবার বিকালে অ্যাপোলো হাসপাতালের অ্যান্ডোক্রাইনোলজিস্ট শ্যামাশীষ ব্যানার্জির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় তিনি সেখানে ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে পান।’

নাসির উদ্দীন লিখেছেন, ডাক্তারের রুম বন্ধ, ফোনও বন্ধ। ডাক্তারের সহকারী বলেন- স্যার লাঞ্চে। এক ঘণ্টার মতো অপেক্ষার পর রুমের কপাট খুলল। এর পর আকাশি রঙের টি-শার্ট ও প্যান্ট পরা এক ভদ্রলোক বের হলেন। লোকটাকে চিনে ফেলে, যেই না বলছে, ‘ওবায়দুল কাদের না!’ ভদ্রলোক সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক মুখে দিয়ে হন হন করে হেঁটে চলে গেলেন।

তিনি আরও লেখেন, ‘আমার বন্ধু বলছেন- পুরা চকচক করতেছিলেন স্যার। দেখে মনে হয়েছে, তিনি সুস্থ আছেন।’

কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ভারতের সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ব্যাপারে ‘ওয়াকিবহাল’। তাই কোনো অপরাধ না করলে তাদের ‘হয়রানি’ করা হয় না।

হাজারী নিজেও ওই ভবনের আরেকটি ফ্ল্যাটে থাকেন বলে জানা গেছে। নিউটাউন হাইটস প্লাজায় আরও থাকেন টাঙ্গাইল-২ আসনের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির। ছোট মনির সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী ও শ্রমিকনেতা শাজাহান খানের জামাতা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা কলকাতা থেকে জানিয়েছেন, দলের সাধারণ সম্পাদক বাসা থেকে খুব একটা বের হন না। তবে মাঝেমধ্যে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যান। ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখাও করেন না। তিনি মূলত নিজাম হাজারী ও ছোট মনিরের বলয়ের মধ্যেই থাকেন।

জানা গেছে, ওবায়দুল কাদের ৫ আগস্টের পরও কয়েক মাস দেশেই পালিয়ে ছিলেন। পরে তিনি সীমান্ত পার হয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং চলে যান। সেখানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অনেক নেতাকে নিয়ে ছিলেন ওবায়দুল কাদের। শিলংয়ে কিছুদিন থেকে পরে স্থলপথে আসাম হয়ে সস্ত্রীক কলকাতা যান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারী বর্ষণ-বজ্রপাতে ভারত ও নেপালে প্রায় ১০০ জনের প্রাণহানি
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৮ বস্তা টাকা, গণনা চলছে
অবশেষে জানা গেল কলকাতার কোথায় আছেন ওবায়দুল কাদের
স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ
মার্চ ফর গাজা: প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী, আসছে মানুষ-জনসমুদ্রের অপেক্ষা
চারুকলায় আগুন, নববর্ষের দুদিন আগে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মোটিফ’
কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা
রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি
বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদল নয়, বরং ঐতিহ্যে ফেরত: ঢাবি উপাচার্য
তৃতীয় বিয়ের ইতি, রোশন সিংয়ের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন শ্রাবন্তী
৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে “মার্চ ফর গাজা”, পাঁচটি স্থান থেকে শোভাযাত্রা শুরু
অবশেষে নতুন চুক্তি সালাহর, লিভারপুলে থাকছেন ২০২৭ পর্যন্ত
পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় হাসিনার মুখাবয়ব
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল ওপেনএআই
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক
বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৪৭ দেশ, বাড়ছে বিশ্বজনমত