শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আমি এইসব গ্রুপ-ট্রুপকে পাত্তা দেই না: জাকারিয়া সৌখিন

জাকারিয়া সৌখিন একজন নাট্যকার ও নির্মাতা। দীর্ঘদিন নাটক নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত আছেন। তার নির্মিত নাটকগুলো দর্শকরা গ্রহন করেছে। বিশেষ করে ভিউয়ের বিচারেও তার নাটক আলোচিত। এসব বিষয় ও অন্যান্য প্রসঙ্গে ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার নতুন নাটক ‘আই অ্যাম সিঙ্গেল’ মাত্র ১৫ দিনে কোটি ভিউ অতিক্রম করেছে। কেমন লাগছে?

জাকারিয়া সৌখিন: অবশ্যই ভালো লাগছে। দর্শকের ব্যাপক সাড়া পেয়ে খুশিতে বাকবাকুম অবস্থা আমার। কারণ, আমি বরাবরই দর্শকের জন্য কাজ করি। সুতরাং আমার কাজ যত দ্রুত বেশি সংখ্যক দর্শক গ্রহণ করবে, ভালো লাগা ততই বেড়ে যাবে।

ঢাকাপ্রকাশ: কী কারণে নাটকটি দর্শকরা এত পছন্দ করছেন?

জাকারিয়া সৌখিন: আমার ধারণা ৩টি কারণে। বর্তমান সময়ের গল্প, উপস্থাপন স্টাইল এবং আফরান নিশোর অনবদ্য অভিনয়। সবকিছু মিলিয়ে দর্শকের পালস কানেক্ট করেছে।

ঢাকাপ্রকাশ: নাটকটি নিয়ে কিছু মিশ্র প্রতিক্রিয়াও দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপগুলোতে-

জাকারিয়া সৌখিন: হ্যাঁ, আমিও শুনেছি। কিন্তু, আমি এইসব গ্রুপ-ট্রুপকে পাত্তা দেই না। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, যেসব নাটক নিয়ে এই গ্রুপগুলোতে তুমুল আলোচনা হয়, প্রশংসা করে ফাটিয়ে ফেলা হয়, সেই নাটকগুলো মূলত ফ্লপ। দর্শক গ্রহণ করে না। এরা যেসব নাটকের সমালোচনা করে সেগুলো সাধারণ দর্শকের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য। সুতরাং আমি ১৮ কোটি মানুষের জন্য নাটক নির্মাণ করি, এইসব গ্রুপ-ট্রুপের ২/৩ জনের জন্য না।

ঢাকাপ্রকাশ: ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে। একটু ব্যাখ্যা করবেন?

জাকারিয়া সৌখিন: আমার কথা বাদ দিন। ব্যাখ্যা করার জন্য আমি অন্য একজন নির্মাতার উদাহরণ দিচ্ছি। তিনি বর্তমানে জনপ্রিয় নির্মাতাদের একজন। তিনি হলেন কাজল আরেফিন অমি। সত্যি বলতে, অমি জনপ্রিয়তায় আমাদের সবার উপরে আছে। খেয়াল করলে দেখবেন, অমি গ্রুপগুলোতে সবচাইতে বেশি সমালোচিত। অথচ সে সবচাইতে জনপ্রিয়। কিন্তু গ্রুপগুলোতে যারা খুব প্রশংসিত তারা মূলত অজনপ্রিয়। দর্শকের কাছাকাছি পৌঁছাতে তারা ব্যর্থ।

ঢাকাপ্রকাশ: এর কারণ কী?

জাকারিয়া সৌখিন: কারণ দুইটা। প্রথম কারণ, যেই নাটক সবাই পছন্দ করে, এনজয় করে, এইসব অহেতুক সমালোচনাকারীরা তাদের বিপক্ষে গিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করে আমি ব্যতিক্রম, আমি আলাদা, আমার রুচি সবার মতো না। এটাকে তারা ভাব মনে করে। অথচ সমালোচনা লিখতে গেলে এদের বানান ভুল থাকে, বাক্য গঠন ভুল থাকে, ব্যাকরণ তো জানেই না। তারমানে এদের শিক্ষা-দীক্ষায়ও গলদ আছে।

আর দ্বিতীয় কারণ, অজনপ্রিয় নির্মাতাদের নিয়ে লিখলে তারা লেখায় লাইক দেয়, শেয়ার করে এতে সমালোচনাকারীরা নিজস্ব ফ্রেন্ডসার্কেলে ভাব নিয়ে বলতে পারে, অমুকে আমার লেখা শেয়ার দেয়। তাই নিজের দাম বাড়ানোর জন্য তারা লেখা আরও বাড়িয়ে দেয়। এদিকে অজনপ্রিয় নির্মাতারা নিজেদের কাজ প্রশংসিত হচ্ছে মনে করে লাইক-শেয়ারও বাড়িয়ে দেয়। এভাবেই দু’পক্ষের সুবিধামতো সমোঝোতা বা হিসেব-নিকেষে ব্যাপারটা চক্রাকারে চলতে থাকে।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে কি সমালোচনা থাকবে না?

জাকারিয়া সৌখিন: অবশ্যই থাকবে। সমালোচনা না থাকলে শুদ্ধতার চর্চা কীভাবে হবে! কিন্তু সমালোচনাকারীদের সমালোচনা করার যোগ্যতা থাকতে হবে। ধরুন সমালোচনা যদি প্রথমসারির গণমাধ্যমে হয় সেটা অবশ্যই গ্রহণ করা যায়। কিন্তু গ্রুপ-ট্রুপ কী! অযথা, ফালতু।

ঢাকাপ্রকাশ: ‘আই অ্যাম সিঙ্গেল’ই তো আপনার দ্রুততম কোটি ভিউয়ের নাটক?

জাকারিয়া সৌখিন: হ্যাঁ। গত ঈদে আমার একটি নাটক ছিল ‘ভুলো না আমায়’ নামে। ওটাও দর্শক তুমুলভাবে গ্রহণ করেছিলেন। ওটার ভিউ ১৬ দিনে কোটি হয়েছিল।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার নির্মিত অনেক নাটকই জনপ্রিয় হয়েছে। তারপরও মিডিয়াতে আপনি সরব নন কেন?

জাকারিয়া সৌখিন: আমি লজ্জাবতী লতা টাইপের চরিত্র। গুটিয়ে থাকি, লুকিয়ে থাকি। পরিচিতরা আমাকে গর্তজীবি বলে ডাকেন। অথচ এখন প্রচারের যুগ। তাই ভাবছি, শামুকের মতো গুটিয়ে থাকব না আর। যেহেতু আমার নির্মাণ সাধারন মানুষ পছন্দ করছে, তাই তাদের সঙ্গে কানেক্টিভিটি তৈরি করব। এখন আমার মূলমন্ত্র একটাই-থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগৎটাকে...।

ঢাকাপ্রকাশ: টেলিভিশন পেরিয়ে ইউটিউবে নাটক দেখার জন্য দর্শকরা ঝুঁকছে বেশি। টেলিভিশনের চেয়ে ইউটিউবে নাটক নির্মাণে কি নির্মাতারা বেশি স্বাধীন?

জাকারিয়া সৌখিন: হ্যাঁ। অবশ্যই। আর এ কারণেই নির্মাতারা এখন অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে নাটক নির্মাণ করতে পারছেন। আমার বিশ্বাস এই স্বাধীনতার কারণেই আমাদের নির্মাণে বর্তমান সময় আরও পরিস্কারভাবে ফুটে উঠবে।

ঢাকাপ্রকাশ: নতুন কাজের খবর বলুন।

জাকারিয়া সৌখিন: বেশকিছু কাজের পরিকল্পনা করছি, স্ক্রিপ্ট লিখছি। দ্রুত শুটিংয়ে যাব।

ঢাকাপ্রকাশ: নাটকের সিন্ডিকেটের কথা অনেকদিন থেকেই শোনা যাচ্ছে। আপনার কী মনে হয়?

জাকারিয়া সৌখিন: এগুলো শুধু আওয়াজ। এখানে খাদ্যদ্রব্যের মতো পণ্য আটঁকিয়ে দাম বাড়ানোর কোনো ব্যবস্থা নেই, কালো টাকা সুইস ব্যাংকে পাচারের কোনো আয়োজন নেই আর রাজনৈতিক বিবেচনায় ঠিকাদারি পাওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই। তাহলে সিন্ডিকেট কেন থাকবে? এখানে সবাই শিল্পী। এখানে শিল্পচর্চা হচ্ছে। দর্শকদের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা বেশি তারা বেশি সুফল পাচ্ছেন, যাদের গ্রহণযোগ্যতা কম তারা সুফল কম পাচ্ছেন। সিন্ডিকেট একটা অহেতুক টার্ম। অনেকেই দর্শকদের কাছাকাছি পৌঁছাতে না পেরে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য সিন্ডিকেট টার্ম ব্যবহার করেন। এটা তাদের আত্মরক্ষার ঢাল।

এএম/এমএমএ/

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী

ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন চিত্রনায়িকা পরীমনির প্রথম স্বামী ইসমাইল হোসেন জমাদ্দার (৪২) ।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোর রাতে ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের শিবচরের পাচ্চর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ইসমাইল জমাদ্দার মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের ছোট শৌলা গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির হোসেন জমাদ্দারের ছেলে।

নিহত ইসমাইল হোসেনের চাচা কবির হোসেন জমাদ্দার বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন ইসমাইল ও তার বন্ধু মনির। শুক্রবার ভোর রাতে ঢাকা-ভাঙ্গা হাইওয়ের শিবচরের পাচ্চর এলাকায় একটি ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলটিকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসমাইলকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইসমাইলের বন্ধু মনিরকে ঢাকা মেডিকেল থেকে আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে মনিরের একটি পা কেটে ফেলা হয়েছে। মনির এখনো ওই হাসপাতালেই আছেন, বলে জানান তিনি।

শুক্রবার রাতে ইসমাইলের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। রাতেই জানাজা শেষে ছোট শৌলা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে বলেও জানান তার চাচা।

এ বিষয়ে শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিল আহমেদ বলেন, শুক্রবার ভোর রাতের কোন এক সময়ে ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের মাদারীপুরের শিবচরের পাচ্চর এলাকায় একটি দুর্ঘটনায় ইসমাইল হোসেন জমাদার নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কীভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মরদেহ শনাক্তের পর পরিবারের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫