রাইসির মৃত্যু আর সৌদি বাদশাহর অসুস্থতার জেরে বেড়েছে তেলের দাম!
রাইসির মৃত্যু আর সৌদি বাদশাহর অসুস্থতার জেরে বেড়েছে তেলের দাম। ছবি: সংগৃহীত
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এ খবর এখন সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সাথে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স বাদশাহ’র স্বাস্থ্যের সমস্যা উল্লেখ করে জাপান সফর বাতিল করেছেন।
এদিকে প্রধান তেল উৎপাদনকারী দুটি দেশের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার জেরেই সোমবার (২০ মে) তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ৪১ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৮৪ দশমিক ৩৯ ডলারে উঠেছে। মে মাসের ১০ তারিখের পর এটাই ব্রেন্ট ক্রুডের সর্বোচ্চ দাম।
এছাড়া ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ২৩ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮০ দশমিক ২৯ ডলারে উঠেছে। এর আগে, ১ মে এই তেলের দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৮০ দশমিক ২৩ ডলার।
গতকাল আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। আর সেখানে যাওয়ার পথে বৈরি আবহাওয়ায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি।
অন্যদিকে, আজ সোমবার জাপান সফরে যাওয়ার কথা ছিল সৌদি আরবের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। কিন্তু বাদশাহ সালমানের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ থাকায় যুবরাজ তার সফর বাতিল করেছেন। জাপানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াসি এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত এই দুই কারণেই বিশ্ববাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে গিয়েছে তেলের দাম।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আইজি মার্কেটসের বিশ্লেষক টনি সিকামোর রয়টার্সকে বলেন, ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম বেড়ে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। শুধু ইরানি প্রেসিডেন্টের মৃত্যু ও সৌদি বাদশাহর স্বাস্থ্যগত কারণে নয়, চীন আবাসন খাতকে টেনে তুলতে গত সপ্তাহে যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, তার প্রভাবে তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। চীন বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক। এই দেশের চাহিদার ওপর বিশ্ববাজারে তেলের দাম অনেকাংশে নির্ভর করে।