মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আয়কর দিতে আইনমন্ত্রীর আহ্বান

মঙ্গলবার জাতীয় আয়কর দিবস উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সেমিনার আয়োজন করে

করযোগ্য আয়ের কর দিতে আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় আয়কর দিবস উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত এক সেমিনারে এ আহ্বান জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, যতো বেশি কর দেওয়া হবে, দেশ ততো উন্নত হবে। করের টাকা জনগণ দেয়। তাই এ টাকার যাতে অপব্যবহার না হয়। কর্মকর্তাদের সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কর আদায়ে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে আইন মন্ত্রণালয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, করের বিকল্প নেই। তাই কর আদায়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের দেওয়া করের টাকা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ জনগণের কল্যাণেই ব্যয় হয়। উন্নয়নের চাহিদা মেটানোর জন্য যোগ্য সবার কর দেওয়া দরকার। কর বিভাগের দক্ষতা ও সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এ বছর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের স্বীকৃতির সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশের অর্থনীতি আগের জায়গায় নেই। গ্রাম ও শহরের ব্যবধান কমে গেছে। ট্যাক্স, ভ্যাট দেওয়ার অনেক লোক রয়েছে। তাই কর আহরণ বৃদ্ধির জন্য নতুন খাত চিহ্নিত করতে হবে। তাহলে করের বোঝা কমবে।’

তিনি বলেন, ‘অডিটের নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এখানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা আমদানি নির্ভর দেশ থাকতে চাই না। মেড ইন বাংলাদেশের কার্যক্রমকে আরও জোরদার করতে হবে।’

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা বলেন, ট্যাক্স নেট বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফাঁকির প্রবণতা কমাতে করের হার কমানো হয়েছে।

ভুয়া অডিট রিপোর্ট বন্ধ হলে খেলাপি ঋণ হার কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আইসিএবির সভাপতি মাহমুদুল হাসান খসরু। আয় কর যাতে শুধু আয়ের ওপর হয়, অন্য ব্যাপারে ন্যূনতম কর হার তুলে দেয়ারও প্রস্তাব করেন তিনি।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এনবিআরের সংস্কার জরুরি। কর বাড়াতে উপজেলা পর্যায়ে অফিস করা দরকার। কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়াতে এনবিআরে বিশেষ বিবিএস লোক নিয়োগ দিতে হবে।

সেমিনারে‘রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন ও আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে আয়করের ভূমিকা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনবিআরের সদস্য শামসুদ্দিন আহমেদ। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. রহমাতুল মুনিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন।

জেডএ/এসএন

Header Ad
Header Ad

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

সহকারী অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলামকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন।

আগামীকাল (৫ মার্চ) সকালে শপথ গ্রহণ করে নতুন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম গত বছরের ১০ নভেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পান। অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এবং ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্বে ছিলেন।

এছাড়া, তিনি জানুয়ারি ২০১৮ থেকে আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ মেডিকেল ফিজিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সাল থেকে টিএমএসএসের অ্যাডভাইজার এবং ২০২১ সাল থেকে টিএমএসএস ক্যান্সার কেয়ার সেন্টার বাস্তবায়নের স্টিয়ারিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন।

Header Ad
Header Ad

নতুন দলের বেশিরভাগ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে: এম এ আজিজ

রাজনৈতিক বিশ্লেষক এম এ আজিজ। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নতুন গঠিত রাজনৈতিক দলের বেশিরভাগ প্রার্থী জামানত হারাবেন বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক এম এ আজিজ। তার মতে, স্থানীয় পর্যায়ে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা না থাকায় এসব প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারবেন না।

এম এ আজিজ বলেন, "নতুন দলগুলো তরুণদের নিয়ে রাজনীতি করছে, এলাকায় অর্থ ব্যয় করছে, মসজিদকেন্দ্রিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। কিন্তু জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে স্থানীয় গণভিত্তি দরকার, যা তাদের নেই।"

তিনি আরও বলেন, "নির্বাচনে শুধু জনপ্রিয়তা থাকলেই হবে না, সংগঠনের শক্তি ও অভিজ্ঞতাও প্রয়োজন। কিছু এলাকায় দু-একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সামগ্রিকভাবে দলের অবস্থা ভালো নয়। ফলে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।"

তার মতে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তরুণদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাবে তারা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এছাড়া, শিক্ষাঙ্গনের রাজনীতিতেও পরিবর্তন আসতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

এদিকে, কিছু বিশ্লেষকের মতে, নতুন দলগুলোর প্রার্থী সংখ্যা বাড়লেও নির্বাচনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখনও বড় দলগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ ভবিষ্যতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Header Ad
Header Ad

রোজাদারকে ইফতার করানোর বিশেষ পুরস্কার

ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ, যা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহভীতি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, "হে মুমিনরা! তোমাদের ওপর রোজাকে ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল পূর্ববর্তীদের জন্য। যেন তোমরা মুত্তাকি হতে পারো।" (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৮৩)

রোজার অন্যতম ফজিলত হলো- এটি মানুষের আত্মিক পরিশুদ্ধির পাশাপাশি পার্থিব ও পরকালীন জীবনে কল্যাণ বয়ে আনে।

হাদিসে এসেছে, "যে ব্যক্তি ঈমান ও প্রতিদানের আশায় রোজা রাখবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।" (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯০১)

আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, "মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্যই— রোজা ছাড়া। এটি আমার জন্য, আমি নিজেই তার পুরস্কার দেবো। রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের ঘ্রাণের চেয়ে সুগন্ধযুক্ত।" (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯২৭)

এমন মর্যাদার কারণে রোজাদারকে ইফতার করানো অত্যন্ত সওয়াবের কাজ।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন থেকে রোজাদারকে ইফতার করায়, তার প্রতি রাতে রহমতের ফেরেশতা দোয়া করেন। এমনকি কদরের রাতে জিবরাইল (আ.) তার সঙ্গে মুসাফা করেন।"

এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, রোজাদারের মর্যাদা কত উচ্চ। অথচ অনেক সময় আমরা রোজাদারদের কষ্ট দিই, গিবত করি, তাদের অধিকার হরণ করি, যা রমজানের শিক্ষা পরিপন্থী।

রমজানের উদ্দেশ্য হলো— তাকওয়া অর্জন, যা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে হবে। শুধু অনাহারে থাকলেই রোজার প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ হয় না, বরং আমাদের উচিত- হারাম থেকে বেঁচে থাকা, ন্যায়ের পথে চলা, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, অন্যের অধিকার রক্ষা করা।

সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভি (রহ.) বলেছেন, "রমজানের রোজা ছোট রোজা, যা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকে। কিন্তু বড় রোজা হলো— সারাজীবন আল্লাহভীতি নিয়ে চলা। ছোট রোজা ফরজ করা হয়েছে, বড় রোজার যোগ্যতা অর্জনের জন্য।"

তাই আমাদের উচিত, রমজানের শিক্ষা পুরো জীবনে বাস্তবায়ন করা এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা, যেন তিনি আমাদের রোজাসহ সব ইবাদত কবুল করেন। আমিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম
নতুন দলের বেশিরভাগ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে: এম এ আজিজ
রোজাদারকে ইফতার করানোর বিশেষ পুরস্কার
প্রধান উপদেষ্টার আপত্তিতেই ‘ডেভিল হান্ট’ নাম বদলের সিদ্ধান্ত
ভারতের প্রতিশোধ নাকি আবার অস্ট্রেলিয়া?
শ্রীমঙ্গলে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই চা শ্রমিক নিহত, আহত ১৮
নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
মার্কিন অনুদান বন্ধে ভারতে ট্রান্সজেন্ডার হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম স্থগিত
পদত্যাগ করেছেন ইরানের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জাভেদ জারিফ
পুরোনো সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয় : নাহিদ ইসলাম
খালেদা জিয়ার শারী‌রিক অবস্থা স্থি‌তিশীল: ডা. জা‌হিদ  
রাবির তথ্য অফিসার পদে নিয়োগ পেলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা
বধ্যভূমিতে জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল এনসিপি  
অনিয়মের অভিযোগে কুবির রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ছুটি  
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিতের নির্দেশ ট্রাম্পের  
নুরের ‘দলত্যাগ’ প্রসঙ্গে হান্নান মাসউদের বক্তব্যের প্রতিবাদ গণঅধিকার পরিষদের  
মধ্যরাতে ধোলাইখালে জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ  
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা
বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়