গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সার্জেলের বার্ষিক বিক্রি ১ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি
ছবি: সংগৃহীত
দেশে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ হিসেবে পরিচিত 'সার্জেল'র বিক্রি বছরে এক হাজার কোটির মাইলফলক ছুঁতে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইএমএস হেলথের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে সার্জেল বিক্রি হয়েছে ৯১৮ কোটি টাকার বেশি। বছর শেষে এই বিক্রি এক হাজার কোটিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এটি দেশের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত ওষুধগুলোর একটি।
হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মো. হালিমুজ্জামান বলেন, সার্জেলের এত বেশি বিক্রি তাদের জন্য গর্বের। তবে, বিক্রির প্রবৃদ্ধি গত বছরের তুলনায় এ বছর কম। এরপরও সার্জেল দেশের বাজারে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের শীর্ষে রয়েছে।
সার্জেলের পাশাপাশি একই জেনেরিক ক্যাটাগরির আরও কয়েকটি ওষুধও বিক্রিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। 'ম্যাক্সপ্রো' ও 'প্যান্টোনিক্স' যথাক্রমে ৪৮৬ কোটি ও ৩৭৬ কোটি টাকার বিক্রি করেছে। গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যার কারণে এই ধরনের ওষুধের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। দেশের ১৮ বছরের বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে প্রায় সবাই কোনো না কোনো সময় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবন করেন।
এছাড়া, চতুর্থ সর্বোচ্চ বিক্রিত ওষুধ 'নাপা'র বিক্রি গত ৯ মাসে হয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকা। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ওষুধের মধ্যে সেফ-থ্রি, মোনাস, এক্সিয়াম, সেক্লো ও বিজোরানের বার্ষিক বিক্রি ২০০ কোটি টাকার বেশি।
দেশের ওষুধের বাজার বিশ্লেষণ বলছে, বছরে ১০০ কোটি টাকার বেশি বিক্রি হয় এমন ৩১টি জেনেরিক ওষুধ রয়েছে। ৫০ কোটি টাকার বেশি বিক্রি হয়েছে ৭৯টি জেনেরিক ওষুধের।
রেনাটা পিএলসির কোম্পানি সেক্রেটারি জুবায়ের আলম জানান, দেশের খাদ্যাভ্যাসের অনিয়ম ও স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে গ্যাস্ট্রিক ওষুধের চাহিদা বেশি। পাশাপাশি, হার্টের সমস্যা রোধে ব্যবহৃত রসুভাস্ট্যাটিন ওষুধের চাহিদাও বাড়ছে।
ম্যাক্সপ্রোর মতো ওষুধগুলোর উৎপাদন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কারখানায় হয়, যা রোগীদের সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিত করে। চিকিৎসকদের পরামর্শে এই ধরনের ওষুধের বাজার আরও সম্প্রসারিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।