৬ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুস্পষ্ট পদক্ষেপের উল্লেখ নেই: সিপিডি
বাজেটে ৬ চ্যালেঞ্জের কথা বলা হলেও সেগুলো মোকাবিলায় সুস্পষ্ট পদক্ষেপের উল্লেখ নেই বলে মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
শুক্রবার (১০ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে 'জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩: সিপিডির পর্যালোচনা' শীর্ষক অনুষ্ঠানে সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন একথা জানান।
কৌশল ও সমন্বয়ের যথেষ্ট অভাব রয়েছে উল্লেখ করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, রাজস্ব আয় বেড়েছে। রপ্তানি আয়ও বেড়েছে। এগুলো ভালো দিক। কিন্তু খারাপ দিক হলো নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি, ভর্তুকির চাহিদা বাড়া, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বেড়ে যাওয়া প্রভৃতি।
রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধিকে নেতিবাচক আখ্যায়িত করে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার যে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা সেটাও বাস্তবের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
ভর্তুকি প্রসঙ্গে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, চলতি অর্থনৈতিক বছরের চেয়ে এবারের বাজেটে ভর্তুকি বেশি রাখা হয়েছে। এটা অর্থনীতির উপর চাপ বাড়াবে। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি কিছু দিনের জন্য হলেও স্থগিত রাখার দরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, কীভাবে বাজেট ঘাটতি কমানো যায় সেটিও সুস্পষ্ট করা নেই।
সিপিডি বলছে, করপোরেট ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। বিনিয়োগ বাড়াতে এটা কার্যকর হবে। কিন্তু সার্বিকভাবে এ পদক্ষেপ দরিদ্র মানুষের কোনো কাজে আসবে না।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতা দেওয়া সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল এবারের বাজেটের ৬ চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে বলেন।
প্রথম চ্যালেঞ্জ হিসেবে অর্থমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা ও অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি করাকে চিহ্নিত করেছেন।
দ্বিতীয়ত, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারে ভর্তুকির জন্য অর্থের সংস্থান করা।
তৃতীয়ত, বৈদেশিক সহায়তার অর্থ ব্যবহার এবং মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উচ্চ-অগ্রাধিকারের প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করা।
চতুর্থত, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা।
পঞ্চম চ্যালেঞ্জ হলো ভ্যাট সংগ্রহের পরিমাণ এবং ব্যক্তি আয়করদাতার সংখ্যা বাড়ানো।
সর্বশেষ চ্যালেঞ্জ হিসেবে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখাকে চিহ্নিত করেছেন অর্থমন্ত্রী।
আরইউ/এসএন