গণঅভ্যুত্থানে আহত রাতুলের একমাত্র সম্বল ফুডকার্ট ভেঙে দেয়ার অভিযোগ

উত্তরা সাত নম্বর সেক্টর ২৮ নম্বর রোড রাতুলের একমাত্র সম্বল ফুডকার্ট ভেঙ্গে দিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ছবিঃ সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশ রাতুলের পেটে বন্দুক ঠেকিয়ে পর পর দুইবার গুলি করেছিল। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ফিরেছেন এই জীবন যোদ্ধা। চিকিৎসা চালিয়ে যেতে এবং পরিবারের হাল ধরতে উত্তরা হাইস্কুলের পাশের সড়কে দিয়েছিল একটি ছোট্ট খাবারের দোকান।
তবে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতের আঁধারে কে বা কারা তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে আহত রাতুল বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুতরভাবে আহত হয়ে নিজের চিকিৎসা খরচ এবং পরিবারকে সচল রাখতে উত্তরা সাত নম্বর সেক্টর ২৮ নম্বর রোড আমি একটি ছোট ফুডকার্ট দিয়েছিলাম। সম্প্রতি উত্তরায় একটি দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে ৭ নম্বর সেক্টরে যত ফুডকার্ট আছে তা ভাঙচুরের হুমকি দেয়া হয়।
আহত এই যোদ্ধা বলেন, আমি কমিটি ও যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের বিনীতভাবে অনুরোধ করি এবং বলি যে রাস্তায় ফুড্কার্ট অবৈধ এটা আমি নিজেও মানি এবং একটু সময় প্রার্থনা করি। তাদের বলি, আমি আমার দোকান সরিয়ে ফেলবো। আমি এখনও অনেক অসুস্থ আমার লোকবল নেই।
রাতুল বলেন, সেসময় কল্যাণ সমিতির কর্তৃপক্ষ আমার ব্যাপারটা শুনে সহমত পোষণ করে এবং দোকান চালু না করার শর্তে সাময়িক সময়ের জন্য তা রাখতে দেয়। কিন্তু পরদিন সন্ধ্যার দিকে দোকানদাররা কল দিয়ে জানায় সকলের দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। রাতুলের অভিযোগ, ভাঙচুরের সময় মসজিদের জামায়েত কমিটির কাছে অনুরোধ করা হলেও তারা শোনেনি। এসময় তার (রাতুল) দোকানসহ অন্যান্য সবার দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আক্ষেপ করে রাতুল বলেন, এই ছোট্ট দোকানটি ছিল আমার শেষ সম্বল। আর সেটাও কেড়ে নিয়ে ধ্বংস করা হলো। তিনি এর উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
