মাদকাসক্ত ব্যক্তি জীবনে সফল হয়নি: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, কোনো মাদকাসক্ত ব্যক্তি জীবনে সফল হতে পারেনি। এ সময় তিনি মাদকের কুফল উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জীবনে ভুল করেও কখনো মাদকের সঙ্গে জড়িত হবে না। মাদকাসক্ত হয়ে মা-বাবার স্বপ্নকে ধ্বংস করা যাবে না। কোনোভাবেই মাদক নেওয়ার মতো পাপের রাস্তায় পা বাড়ানো যাবে না। শনিবার (৪ জুন) রাজারবাগের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ৭৮৪ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
এ সময় ডিএমপি পরিবারের মেধাবী সন্তানদের অনুপ্রেরণা জোগাতে শিক্ষাবৃত্তি-২০২১ উপলক্ষে। এইচএসসি, এসএসসি, ও-লেভেল, উচ্চ শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষাসহায়তা বৃত্তি ক্যাটাগরিতে বৃত্তি দেওয়া হয়। ভালো ফলাফলের জন্য এইচএসসিতে ২৭৫ জন, এসএসসিতে ৩৩৬ জন, ও-লেভেলে দুইজন, উচ্চ শিক্ষাবৃত্তি ৮৩ জন ও শিক্ষাসহায়তা বৃত্তি পেয়েছে ৮৮ জন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ হতে হবে' জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ বাণীকে প্রতিপাদ্য হিসেবে ধারণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিনন্দন জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জাতিকে যদি উন্নত করতে হয় শিক্ষা ছাড়া উপায় নেই। আমরা যে অবস্থায় আছি তার চেয়ে একটু ভালো অবস্থানে আমাদের সন্তানদের দেখতে চাই। আর এর জন্য তাদের সুশিক্ষিত করার কোনো বিকল্প নেই।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, তোমাদের আজকের এ সফলতা জীবনের একটা ক্ষুদ্র পদক্ষেপ। তবে প্রতিটা পদক্ষেপে সফল হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কেউ তোমাকে তার অবস্থান ছেড়ে দেবে না। তোমাকেই তোমার অবস্থান অর্জন করে নিতে হবে। জীবনে সফলতার শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই, জ্ঞান অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। কর্মক্ষেত্রে জ্ঞানের ঘাটতি নিয়ে সফল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, বাবাকে বাবা হিসেবে মূল্যায়ন করতে হবে তার পদমর্যাদার হিসেবে নয়। প্রত্যেক বাবা-মায়েই তার সন্তানকে মানুষ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকেন। বাবা-মায়ের সেই চেষ্টাকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। সন্তান যেন মানুষ হয় সে চেষ্টায় বাবা-মা কঠোর পরিশ্রম করেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রতিরোধে প্রথম বুলেটটি নিক্ষেপ করা হয় পুণ্য ভূমি রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স থেকে। একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে রাজারবাগে এলে গর্বে আমার বুক ভরে যায়। আমি এর জন্য খুবই গর্ববোধ করি।
কেএম/এএজেড