নিমতলী ট্র্যাজেডির এক যুগ, এখনও বাস্তবায়ন হয়নি অনেক পদক্ষেপ
পুরান ঢাকার নিমতলী ট্র্যাজেডির এক যুগ আজ। ২০১০ সালের এ দিনে পুরান ঢাকার নবাব কাটরার নিমতলিতে এই অগ্নিকাণ্ডে ১১৭ জন মানুষ নিহত হন। পরে ৬ জুন এক শিশু এবং ৭ জুন এক নারী মারা গেলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৯।
একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরিত হলে সেখান থেকে আশেপাশের ভবনগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণে আশেপাশের দোকানগুলোতে থাকা রাসায়নিক দ্রব্য ও দাহ্য পদার্থের সংস্পর্শে আগুন আরও দ্রুত বাড়ে। এছাড়া পুরান ঢাকার সরু গলি দিয়ে তাদের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও অগ্নিনির্বাপক গাড়ি প্রবেশ করাতেও যথেষ্ট কষ্ট হয়। আক্রান্ত এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের সে এলাকায় প্রবেশ ও কাজ করতে বাধার সম্মুখীন হতে হয় যা দ্রুত অগ্নিনির্বাপন বাধাগ্রস্থ করে।
নীমতলী ট্রাজেডির পর টাস্কফোর্স গঠন, অঙ্গিকার ও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। রাজধানী থেকে রাসায়নিকের গুদাম-কারখানা সরিয়ে নিতে হয় দুটি কমিটি। সেই কমিটি কেরানীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে জায়গা ঠিক করার সুপারিশসহ উচ্চ মাত্রার বিপজ্জনক ৫ শতাধিক রাসায়নিকের তালিকা করে প্রতিবেদন দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি তার। এ অবস্থায় পুরান ঢাকার বাসিন্দারা বলছেন, আমরা এখন আর আশ্বাসে বিশ্বাস করতে চাই না। সরকারি উদ্যোগ ও আশ্বাসের বাস্তবায়ন দেখতে চাই। নিরাপদে বসবাসের নিশ্চয়তা চাই।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নবাব কাটরার নিমতলীর ৪৩ নম্বর বাড়িতে রাত ৯টার দিকে কেমিক্যালের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অল্প সময়েই পুরো এলাকাটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরিতে রূপ নেয়। ঘটনার সময় ছয়তলা বাড়িটির নিচতলায় দুই বোন রুনা আর রত্মা এবং পাশের বাড়িতে আসমা নামে এক মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছিল।
কেএম/এএজেড