রত্না আটক: উদীচীসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ

কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠরক্ষা আন্দোলনের কর্মী সৈয়দা রত্না ও তার কলেজপড়ুয়া ছেলেকে আটকের প্রতিবাদ ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), উদীচী, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বেসরকারি সংগঠন নিজেরা করি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও গ্রিন ভয়েসসহ বিভিন্ন সংগঠন।
রত্নাকে আটকের পর তাৎক্ষণিকভাবে তেঁতুলতলা মাঠে ছুটে যান বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নিজেরা করি’র সভাপতি খুশি কবিরসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আটক রত্না একজন উদীচী কর্মীও। তিনি মাঠরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: মাঠরক্ষা আন্দোলনকারী রত্নার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি
আন্দোলনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সুলতানা কামাল বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থা করছেন বলে জানান রিজওয়ানা।
মাঠে উপস্থিত হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিজেরা করি’র খুশি কবির বলেন, ‘এই মাঠ ছাড়া এই কালবাগানে আর কোনো জায়গা নাই। এখানে তারা থানা স্থাপন করতে চাইছেন। আইনে আছে খেলার মাঠ নষ্ট করা যাবে না।’
খুশি কবির বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলনে সমন্বয়কের ভূমিকা রাখছিলেন রত্না আপা। তাকে আটকের পর আমরা থানায় ঢুকতে চাইলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এটা তো নতুন আইন। থানা হলো পাবলিক প্লেস। এখানে আমাদের নতুন আইন শেখালে তো হবে না।’
খুশি কবির অভিযোগ করে বলেন, ‘কোনো অফিসার ফোন ধরছেন না। ওসি ফোন ধরছেন না। ডিসি ফোন ধরছেন না। ডিএমপি কমিশনার ফোন ধরছেন না। সবাই নাকি খুব ব্যস্ত। আমরা সকাল সাড়ে ১০টা থেকে চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: কলাবাগানে মাঠ রক্ষায় আন্দোলনকারী রত্নাকে তুলে নিল পুলিশ
লড়াইটা চলবে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করে খুশি কবির বলেন, ‘আমাদের প্রথম দাবি হলো তাকে মুক্তি দেওয়া। মাঠ নষ্ট করে থানার নির্মাণের প্রতিবাদ করতে থাকব। কিন্তু এভাবে ধরে নিয়ে যাওয়া এবং তার সঙ্গে দেখাও করতে না দেওয়া এটা স্বাধীন দেশে আমরা একেবারেই প্রত্যাশা করিনি।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আইন থাকুক বা না থাকুক শিশুদের জন্য খেলার মাঠ থাকতে হবে। বাচ্চাদের একটা খেলার মাঠ লাগবে কি না। যদি সরকার মনে করে মাঠ লাগবে তাহলে অন্য একটি মাঠের ব্যবস্থা করে দিক।’
আরইউ/এমএমএ/
