ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পাঁচটি আবাসিক হল থেকে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ নানা ক্ষতিকর বস্তু উদ্ধার করেছে শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে এসব উদ্ধার করেন তারা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, সাদ্দাম হোসেন হল, শেখ রাসেল হল ও লালন শাহ হলে তল্লাশি করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ১টা দেশিয় অস্ত্র, ১টি গ্রেনেড, ৬টি বুলেট, ১০টি রামদা, ২টি হকিস্টিক, ৬টি জিআই পাইপ, চাপাতি ৫টি, চাইনিজ কুড়াল ১টি, ৫০টি রড, পটকা বোমা ৩ প্যাকেট, ৫০০ গ্রাম ককটেল বারুদ, ১১ প্যাকেট কনডম, ২০০ গ্রাম পেট্রোল, ১৯ বোতল মদ, ও ৫টা গাঁজার বাঁশি পাওয়া যায়। পরে এগুলো একত্রিত করে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন তারা।
ইবি’র বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন হলে ছাত্রলীগ নেতাদের রুমে তল্লাশি চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এখনো অনেক কক্ষে যাওয়া হয়নি, আমরা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে আগামীতে আরও তল্লাশি চালাবো।’
টাঙ্গাইলের সখীপুরে আব্দুস সালাম (৪৮) নামের এক ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চকচকিয়া শ্রীপুর গ্রামের তার বাড়ির পাশের একটি লেবু বাগান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে কোনো এক সময়ে উপজেলার চকচকিয়া শ্রীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সালাম মিয়া একই এলাকার মৃত আমীর আলীর ছেলে। তিনি হাসানগঞ্জ চকচকিয়া বাজারে একটি মুদির দোকান করতো।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সালাম মিয়া গত বুধবার রাতে তার দোকান বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে বাড়ি যান। পরে তিনি বাড়ি না আসায় তার স্বজনরা রাতভর খোঁজাখুঁজি করে। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকালে তার বাড়ির পাশের লেবুর বাগানে গলা কাটা লাশ দেখতে পায় স্বজনরা। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
সালামের স্ত্রী বাছাতন বেগম বলেন, আমার স্বামী তার দোকান বন্ধ করে বাড়ি না ফেরায় আমরা তাকে সারারাত বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও পাইনি। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে লেবুবাগানে তার লাশ পাওয়া যায়।
মেয়ে ফাতেমা আক্তার বলেন, আমার বাবার কোনো শত্রু ছিল না। যারা আমার সহজ-সরল বাবাকে নির্মমভাবে গলা কেটে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত রহস্য দ্রুত উদ্ঘাটন করে আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।
শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বিতরণের বই পাওয়া যাচ্ছে খোলাবাজারে। ছবি: সংগৃহীত
দেশে বিনামূল্যের পাঠ্যবই সরবরাহের শুরু থেকে প্রত্যেকবার বছরের প্রথম দিন বই উৎসবে নতুন বই পেয়ে উৎফুল্ল হয়ে উঠতো কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মন। এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে উৎসব করেই বই তুলে দেওয়া হলেও সকল বই এখনো হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা।
কিন্তু এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে কতিপয় অসাধু চক্র। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বিতরণের বই খোলাবাজারে বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
খোলাবাজারে বিক্রয় করছে এরকম তথ্য পাওয়ার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং এই চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে নিরলসভাবে কাজ শুরু করে।
এরই অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বিতরণের বই খোলাবাজারে বিক্রয় ও মজুতদারি চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে আটকসহ দুই ট্রাক পুস্তক জব্দ করেছে ডিবি। আটককৃতরা হলো- সিরাজুল ইসলাম উজ্জ্বল (৫৫) ও মো: দেলোয়ার হোসেন (৫৬)।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে সূত্রাপুরের বাংলা বাজার ইস্পাহানি গলির বিভিন্ন গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করে ডিবি-লালবাগ বিভাগের কোতয়ালী জোনাল টিম। এ সময় তাদের হেফাজত হতে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রায় ১০ হাজার সরকারি বই জব্দ করা হয়।
ডিবি-লালবাগ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ জানতে পারে একটি অসাধু চক্র বাংলাবাজারের ইস্পাহানি গলিতে বিভিন্ন গোডাউনে প্রথম হতে দশম শ্রেণির বিনামূল্যে বিতরণের সরকারি পাঠ্যবই বিক্রয়ের উদ্দেশে মজুদ করেছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে সেখানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে ডিবি লালবাগ বিভাগের কোতয়ালী জোনাল টিম। অভিযানে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তুক বোর্ড, বাংলাদেশ এর ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের প্রায় ১০ হাজার বিনামূল্যে বিতরণের সরকারি পাঠ্যবই জব্দ করা হয় এবং ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সিরাজুল ও দেলোয়ার নামের দুইজনকে আটক করা হয়। জব্দকৃত বইয়ের আনুমানিক মূল্য আট লক্ষ টাকা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে ডিবি সূত্রে আরো জানা যায়, আটককৃতরাসহ অন্যান্য অবৈধ মজুতদারিরা বছরের শুরুতে নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করা এবং অবৈধ উপায়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে এসব বই মজুত করে বিক্রয় করে আসছিলো।
আটককৃত সিরাজুল ও দেলোয়ারের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। এই মজুতদারি চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্যদের আটক করতে ডিবি পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী থেকে ঢাকায় পাচারকালে শেরপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া থেকে প্রায় ৯ হাজার মাধ্যমিকের বই জব্দ করেছে শেরপুর সদর থানা পুলিশ। বইগুলো অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইদুল আলম বলেন, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া এলাকা থেকে বইগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মাইদুল (৩২) নামের একজনকে আটক করা হয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বিএসএফ প্রধান দলজিৎ সিং চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনার জন্য ১৬ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি ভারত সফর করবেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মহম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএসএফ ও বিজিবি প্রধানদের আসন্ন বৈঠকে যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে তার মধ্যে রয়েছে সীমান্তে সিঙ্গেল রো ফেন্স (এসআরএফ) বাস্তবায়ন। ভারত সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়াবিহীন এলাকায় এটা যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করতে চায়।
তবে সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উভয় পক্ষ কোনো প্রতিরক্ষা কাঠামো নির্মাণ করবে না মর্মে বেড়া নির্মাণে আপত্তি জানিয়েছে বিজিবি।
বৈঠকে মাদক ও আন্তঃসীমান্ত চোরাচালান মোকাবিলাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৪০৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।
সীমান্ত আইন অনুযায়ী সীমান্তের ১৫০ গজের ভেতরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা যায় না। তবুও আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে বেশ কিছু সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করছে ভারত। বিজিবির বাধার মুখে তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।