মিষ্টি খেতে ইবি উপাচার্যকে ১০ লাখ টাকার প্রস্তাব তরুণীর
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। ছবি: সংগৃহীত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লাখ টাকার প্রস্তাব দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছেন মিথি নামের এক তরুণী।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
বার্তায় ওই তরুণী লিখেছেন, ‘স্যার, ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন স্যার। এটা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবে না ইনশাআল্লাহ। আমার সত্যিই ওখানে কেউ নেই, প্লিজ স্যার চাকরিটা খুব দরকার।’
জিডি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মিথি নামের এক অজ্ঞাতপরিচয় নারী চাকরির বিনিময়ে ১০ লাখ টাকার প্রস্তাব দিয়ে উপাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান। এ ছাড়া মেয়েটি উপাচার্যের সঙ্গে ফোনে কথা বলার জন্য জবরদস্তি করেন। উপাচার্য তার সঙ্গে কথা না বললে ওই মেয়ে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠায়। এ বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ হলে উপাচার্যের মানহানি হবে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, উপাচার্য স্যারকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য এক চাকরিপ্রার্থী মেয়ে ১০ লাখ টাকা দিতে চাইছে। স্যারের নির্দেশে থানায় জিডি করা হয়েছে। এদিকে জিডিতে উল্লিখিত নম্বরে যোগযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, সকালে ১১ টার দিকে এক নারী আমাকে ফোন দিয়ে বলল, ‘স্যার আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই।’ আমি পরিচয় চাইলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘স্যার আপনি কী একা?’ আমি আবার কল দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চাকরির ব্যাপারে কথা বলব। আমার তো কুষ্টিয়াতে কেউ নাই। আমি কাউকে চিনি, জানিও না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ওই মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী না বলে কল কেটে দিলাম। সে আবার অনুরোধ করে বলল, প্লিজ একটা মিনিট একটু কথা বলেন। তারপর আমি কেটে দিলে একটা মেসেজ পাঠায়। সেখানে লেখা ছিল, ১০ লাখ টাকা নেন মিষ্টি খেতে। এটা আমি কাউকে বলব না। এখন দেখছি সেই মেসেজটা ডিলেট করে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা এটা একটা চক্রের ষড়যন্ত্র ছিল। এর সাথে সাথে আমি জিডিটা করেছি এবং পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি যেন দ্রুত এটা খুঁজে বের করে।’