রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে জবি উপাচার্যের শুভেচ্ছা
বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন মো. সাহাবুদ্দিন। নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রাণঢালা অভিনন্দনও জানানো হয়েছে।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে এ শুভেচ্ছা বার্তার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
শুভেচ্ছা বার্তায় বলা হয়েছে, পাবনা জেলার কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, দুদকের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন একজন বহুমাত্রিক প্রভিভার অধিকারী সজ্জন ব্যক্তি এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আদর্শ ও দর্শনে বিশ্বাসী একজন মানুষ।
আরও বলা হয়েছে, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পাবনায় প্রতিরোধ মিছিলে তিনি নেতৃত্ব দেন এবং কারাবরণ ভোগ করেন। জেল থেকে বের হয়ে তিনি পড়াশুনা শেষ করে যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে বিসিএস জুডিসিয়াল সার্ভিসে যুক্ত হন। কর্মজীবনে তিনি সততা, দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শুভেচ্ছা বার্তায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, একজন সুযোগ্য ব্যক্তি দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার আনন্দে উদ্বেলিত।
উপাচার্য আরও বলেন, নবনিযুক্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে পথ প্রদর্শক ও অর্থনৈতিক চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমে এবং বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অনবদ্য প্রত্যয়ে অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ইমদাদুল হক মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবারের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করেন।
এর আগে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন বীর মুত্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন।
মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের জুবিলি ট্যাঙ্কপাড়ার শিবরামপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও পরবর্তী সময়ে যুবলীগের সভাপতি এবং জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সাহাবুদ্দিন মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হলে মো. সাহাবুদ্দিন সামরিক আইনে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হয়।
১৯৮২ সালে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন সাহাবুদ্দিন এবং ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালে পরপর দুইবার বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দায়েরের পর এ মামলায় আইন মন্ত্রণালয় থেকে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োজিত থেকে দায়িত্ব পালন করেন সাহাবুদ্দিন।
বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেওয়া সাহাবুদ্দিন ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলনের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পাবনা প্রেস ক্লাব ও অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির জীবন-সদস্য।
এমএমএ/