রুয়েট, চুয়েট ও কুয়েটের একত্রে ভর্তির আবেদন শুরু ৬ জুন
লেখা ও ছবি : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জনসংযোগ অফিসার, মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম
বুয়েটের পর বাংলাদেশের প্রধান তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হলো ‘রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)’, ‘চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)’ এবং ‘খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’। বাংলাদেশের এই তিনটি সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার যুগান্তকারী ও ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। হাজার, হাজার মেধাবী ছাত্র, ছাত্রীর তারা জীবন বদলে দেবেন বলে অভিভাবক ও শিক্ষকদের কৃতজ্ঞতার অংশীদার হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের জন্য এর চেয়ে অনন্য আর কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে না।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিসার মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলামের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যগুলো জানানো হয়েছে।
মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম আরো লিখেছেন, “রুয়েট, চুয়েট ও কুয়েটের গুচ্ছভতি পরীক্ষা সেশন-২০২১-’২২র অনার্স ‘প্রথম বর্ষ, লেভেল-১’র সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা ৬ আগস্ট ২০২২ একত্রে হবে। বিজ্ঞান অনুষদের ছাত্র, ছাত্রীদের ফরম কিনে ও ভালোভাবে পূরণ করে জমা দিতে বলা হয়েছে। তাদের উল্লেখ করা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’
তাদের আবেদন ফরম অনলাইনে ৬ জুন সকাল ৯ টা থেকে বিক্রি শুরু হবে। আবেদন ফরম অনলাইনে নিয়ে হাতে, হাতেও জমা দেওয়া যাবে। অনলাইনেও দিতে পারবেন। আবেদন ফরম জমা দেবার শেষ সময় ১৯ জুন রবিবার ২০২২ সাল, বিকাল ৫টা। তাদের ফিরতি ম্যাসেজে কনফারমেশন দেওয়া হবে।
অনলাইন আবেদন ফরমের লিংক হলো www.admissionckruet.ac.bd.
আগের নিয়মে ভর্তির আবেদনপত্র রুয়েট, চুয়েট ও কুয়েট থেকে সরাসরি কিনতে পারবেন ছাত্র, ছাত্রীরা। তবে যে যেখানে টিকবেন, সেখানে তাকে ভর্তি হতে হবে এবং পড়ালেখা সম্পন্ন করতে হবে।
আবেদনের যোগ্যতা ও শর্তাবলী www.admissionckruet.ac.bd থেকে জানা সম্ভব হবে। রুয়েট, চুয়েট ও কুয়েটে যোগাযোগ করে জানা সম্ভব হবে। তাদের অনলাইনে যেতে পারেন যে কেউ। সেখানে প্রয়োজনী নম্বরগুলো দেওয়া আছে। তারাও ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিশেষ কিছু থাকলে জানাবেন।
৬ আগষ্টের ভর্তি পরীক্ষার জন্য যারা আবেদন ফরম কিনবেন, তাদের তালিকা ও রোল নম্বর জানিয়ে দেওয়া হবে ৪ জুলাই সোমবার ২০২২ www.admissionckruet.ac.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোটে ৫টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে। রুয়েটে ১৪টি বিভাগ আছে। ছাত্র, ছাত্রী ভর্তি হতে পারবেন ১২শ ৩৫ জন।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে। মোট আসনের সংখ্যা চুয়েটে মোটে ৯শ ৩১টি। তাদের জন্য বিভাগ আছে মোটে ১২টি।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংরক্ষিত আসন মোটে ৫টি। তাদের সিটও কম। মোটে ১ হাজার ৬৫টি। বিভাগ হলো বেশি ১৬টি।
বাংলাদেশের এই তিনটি সেরা বিজ্ঞানের উচ্চতম শিক্ষা ও গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলোতে একত্রে ভর্তি পরীক্ষা তাদের শিক্ষকদের কমিটি ‘ক’ ও ‘খ’ বিভাগ সাজিয়েছেন।
‘ক’ বিভাগে আছে ‘প্রকৌশল’ বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সবগুলো বিভাগ।
‘খ’ বিভাগে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েরই ‘আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং’ বা ‘নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা’ এবং ‘আর্কিটেকচার’ বা ‘স্থাপত্য’র বিভাগগুলোকে রাখা হয়েছে।
এবারও ‘এমসিকিউ’ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে।
প্রতিটি বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের ‘৫শ’ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। এর বাদেও তাদের ফ্রি হ্যান্ড ড্রয়িং বা মুক্ত হস্তে আঁকার জন্য ‘২ শ’ নম্বর থাকবে। ফলে মোট ৭ শ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় বসতে হবে সবাইকে।
কোনো ভুলের জন্য কোনো নম্বর কাটা যাবে কী না এই বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, শিক্ষামন্ত্রণালয়ে খোঁজ নেওয়া যেতে পারে।
অবশেষে জনসংযোগ অফিসার মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, “আজ ১ জুন, বুধবার, ২০২২ সাল, দুপুরে রুয়েট, চুয়েট ও কুয়েটের ২০২১-’২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি কুয়েটের অধ্যাপক, ড. কে.এম. আজহারুল হাসান; সদস্য সচিব, কুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ যৌথভাবে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তথ্যগুলো জানিয়ে দিয়েছেন।’
ছবি : ১. অনিন্দ্য সুন্দর চুয়েটের শহীদ মিনার, ২. রুয়েটের প্রস্তাবিত অ্যাকাডেমিক ভবনের কাজ চলছে ও ৩. মেধাবীদের কুয়েটের সমাবর্তনে এসেছেন বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদ।
ওএস।