কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে ব্রিটেনের ইউসিএ’র খবরটি ভুয়া
লেখা ও ছবি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি চৌধুরী মাসাবি
ব্রিটেনের এপসমের ফামল্যান্ডের বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় দি ইউনিভার্সিটি ফর দি ক্রিয়েটিভ আর্টস (ইউসিএ)। এটি আছে দক্ষিণাঞ্চলে। ২০০৫ সালে বিশেষায়িত করা হয়। ২০০৮ সালে পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে এই সরকারী প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৬ সালে ইউসিএকে যুক্ত করা হয় দি ওপেন কলেজ অব দি আর্টসের (ওসিএ) সঙ্গে। এটি একটি দূর শিক্ষণ কলা বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাদের শিক্ষণ সহযোগী হলো ইউসিএ। ওসিএতে পার্ট টাইম ডিগ্রি ১০ হাজার পাউন্ডের কমে দেওয়া হয়। চারটি ক্যাম্পাস আছে ইউসিএ’র। সেগুলো হলো ইপসম, ফানহাম, মাইডস্টোন ও রচেস্টার।
উইকিপিডিয়াতে ইংরেজিতে আরো লেখা, আর্টস বা কলার বিষয়গুলোর এই ইউসিএ ব্রিটেনের দ্বিতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে প্রায় ৬ হাজার ছাত্র, ছাত্রী পড়ালেখা করেন।
তাদের পাঠ্যবিষয়গুলো হলো-কৃষি, শিল্পকলা, নকশা, মিডিয়া অ্যান্ড পারফরমেন্স আর্টসের বিষয়গুলো। তারা উচ্চতর শিক্ষা, অনার্স, মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রদান করেন।
তাদের অ্যাকাডেমিক স্কুলগুলো হলো-বিজনেস, এগ্রিকালচার, ক্রাফট অ্যান্ড ডিজাইন, ফ্যাশন অ্যান্ড টেক্সটাইল, ফিল্ম, মিডিয়া অ্যান্ড পারফরমিং আর্টস, চারুকলা, ফটোগ্রাফি অ্যান্ড ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশন ও উচ্চতর শিক্ষা।
তাদের পাঁচটি গবেষণা কেন্দ্র আছে। সেন্টার ফর দি ডিজিটাল স্কলারশিপ, সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডিজাইন, ক্রাফটস স্টাডি সেন্টার, ফাইন আর্ট অ্যান্ড ফটোগ্রাফি রিসার্চ সেন্টার ও ইন্টারন্যাশনাল টেক্সটাইল রিসার্চ সেন্টার।
ব্রিটেনের প্রথম বিজনেস স্কুল ফর দি ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রিজ তাদের ইপসম ক্যাম্পাসে আছে।
এই ইউসিএ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। ফলে তারা কোন ছাত্র, ছাত্রীকে মাস্টার্স লেভেলে পড়ালেখা ও গবেষণার জন্য ভর্তি করবেন না বলেও ব্রিটেনের বাঙালি কমিউনিটির একটি ইন্টারনেট ভিত্তিক টেলিভিশন ও বাংলাদেশের কটি বেসরকারী গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করে একটিই অনলাইন সূত্রে।
এই খবর কোনো একভাবে জানার পর বাংলাদেশের অন্যতম সরকারী এই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোড়পাড় সৃষ্টি হয় ও চলতে থাকে।
আজ ৩১ মে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক স্বাক্ষর করা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই খবরগুলোর পর ৯ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন নিজে ইউনিভার্সিটি ফর দি ক্রিয়েটিভ আর্টস (ইউসিএ) কর্তৃপক্ষতে মেইল করেছেন।
এরপর দীর্ঘ বিরতি। তারপর গতকাল ৩০ মে সোমবার তারা এই খবরটি ভুয়া বলে নিশ্চিত করেছেন।
তারা আরো জানিয়েছেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র, ছাত্রী ইউসিএতে ভর্তির জন্য আবেদন করলে তাকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলো হলো বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগ, ইংরেজি, বাংলা, সমাজবিজ্ঞান (এখানে কেবল ইউসিএর সঙ্গে মেলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা। যদিও কোনো আলাদা ফটোগ্রাফি এবং পারফরমিং আটস এখানে পড়ানো হয় না। আরো আছে বাণিজ্য। আমাদের দেশে বাণিজ্যের খুব চাহিদা আছে।), প্রকৌশল ও আইন। ফলে কেন ও কোন বিষয়ে ইউসিএতে পড়তে যাবেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রীরা স্পষ্ট নয়।
ওএস।