'জয়-পরাজয় মেনেই সামনে এগুতে হবে : ড. হাফিজা খাতুন
লেখা ও ছবি : মো. বাবুল হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
পাবনার একমাত্র সরকারী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টির ৫টি অনুষদের ২১টি বিভাগের ছেলেদের ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
২৯ মে উদ্বোধন করে প্রথম খেলাটি দেখেছেন বাংলাদেশের অন্যতম নারী মুক্তিযোদ্ধা এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম নারী উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী ব্লু অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।
প্রথম ম্যাচটি হয়েছে পদার্থবিজ্ঞান ও ইইসিই (ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন আরো জানিয়েছেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ৫ জুন। সেদিন বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল হবে ও অনেক ছাত্র, ছাত্রী, অধ্যাপক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং তাদের পরিবার কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে উপস্থিত হবেন।’
‘এই আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ঘিরে’, বলেছেন উপাচার্য।
গতকাল ২৯ মে রবিবার ছাত্রদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নিয়ে ও আকাশে শান্তির প্রতীক পায়রা এবং উৎসবের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে বাংলাদেশের অন্যতম কৃতি এই নারী খেলোয়াড়-অধ্যাপক তার ফুটবল টুনামেন্টের উদ্বোধন করেছেন।
অনুষদগুলোর ডিন, বিভাগগুলোর প্রধানসহ ক্রীড়ামোদী অধ্যাপক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মাঠে এসেছেন সকাল ১০টায়।
তাদের সঙ্গে ছিলেন ৫ জুন-পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২২’র ক্রীড়া ও বৃক্ষরোপন উপ-কমিটির সদস্যরা।
‘ব্লু’ অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেছেন, ‘পর্যায়ক্রমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সবকিছু শুরু হয়েছে আবার। খেলাধুলা যেমন আমাদের শরীরকে সতেজ ও উপযুক্ত রাখতে সাহায্য করে দারুণভাবে, তেমনি মনকে করে প্রাণবন্ত। শক্তি, দম এবং মেধার বিকাশে খেলার কোনো বিকল্প নেই। ফলে তোমরা মনোযোগ দিয়ে অংশগ্রহণ করবে। তাহলে সাফল্য পাবে।’
অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন জানিয়েছেন, ‘খেলার মাঠে আমাদের সবাইকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। রেফারির কথা অক্ষরে, অক্ষরে পালন করতে হবে। একজন আদর্শ খেলোয়াড়ের মতো আচরণ করে যেতে হবে।’
‘প্রতিটি খেলায় জয় ও পরাজয় আছে। সেগুলো মেনে নেবার ও পরস্পরকে সাহায্য করার মানসিকতা প্রতিটি ছাত্র, ছাত্রীর মধ্যে থাকতে হবে।’
ওএস।