‘আইজ্যাক নিউটনের বিকল্প সূত্রও তারা আবিষ্কার করে ফেলতেন’
লেখা ও ছবি : চৌধুরী মাসাবি, প্রতিনিধি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
আজ কোনো ধরণের জাঁকজমক করা ছাড়া, ভালো অনুষ্ঠান বাদে, সাদামাটা আকারে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ ২৮ মে, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৩টি সাদামাটা কর্মসূচি করেছেন তারা। সেগুলো হলো-শোভাযাত্রা, পায়রা ওড়ানো ও কেক কাটা। এভাবেই কেটেছে জন্মদিন।
সকাল ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈনের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা হয়েছে। প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ভেতরের সড়ক ও ক্যাম্পাসের পাশের সড়কগুলো ঘুরে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়েছে। এরপর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন ছাত্র, ছাত্রী ও অধ্যাপকরা। তারপর কবুতর অবমুক্তকরণ ও কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য-ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষকরা।
এ সময় একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান উপস্থাপনা করেছেন। বক্তব্য দিয়েছেন উপাচার্য ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও 'বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২২' উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেছেন, ‘আমি প্রথমদিন থেকে বলেছি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হবে উন্নমানের বিশ্ববিদ্যালয়। যেন দেশের মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পর্যায়ে যেতে পারি, সেজন্য আমরা সবাই চেষ্টা করব।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি এখানে দেখি, গুটিকয়েক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা ও কমচারী কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি করতে থাকেন। এজন্য যে সময়গুলো নষ্ট করেন ও অন্যদের ক্ষতি করেন-সেগুলো শিক্ষা ও গবেষণার পেছনে ব্যয় করলে বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনের বিকল্প সূত্রও তারা আবিষ্কার করে ফেলতেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের অনেক মেধাবী শিক্ষক আছে, শিক্ষার্থীরা তো আছেই। অথচ তারা এই সমস্যাগুলোর জন্য কাজ করতে পারে না।’
অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন আরো বলেছেন, ‘আমাদের শিক্ষার মান হবে বিশ্বমানের। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একাডেমিক অনুশীলন করবে, জ্ঞান নিয়ে চর্চা করবে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমি বলব না, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘজীবী হোক। বলব, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাক।’
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেছেন, “শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘তোমরা খেলাধুলা করবে, নেতৃত্ব দেবে, উচ্চচিন্তার অধিকারী হবে।’ আজকে যারা উপস্থিত হয়েছ, যারা হতে পারনি, তাদের সবাইকেই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।”
উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী। ছয় অনুষদের ডিন, পাঁচ হলের প্রভোস্ট, ১৯টি বিভাগের প্রধানরা ছিলেন। অনেক ছাত্র, ছাত্রী এসেছেন।
ওএস।