বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৬ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

১৭ বছরের যৌবনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

আজ ২৮ মে, আমাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। হাঁটি, হাটি; পা, পা করে বছরগুলো পার করেছে। ১৭তম বর্ষে পদার্পণ করেছে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে, ময়নামতি পাহাড়ের কোল ঘেঁষে লালমাটির এই ক্যাম্পাস। লিখেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি চৌধুরী মাসাবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা, চট্টগ্রামের মাঝামাঝি, কুমিল্লা শহর থেকে ১১ কিলোমিটার দক্ষিণে, সদর দক্ষিণ থানায় অবস্থিত। আর সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সবুজ গাছ গাছালিতে ছাওয়া। তবে ছোট, বড় টিলা আর উঁচু, নিচু লালমাটির ঢিবি অনন্য প্রাপ্তি। । সেখানে আছে ইতিহাসের রোমাঞ্চকর গল্প।

এককালের প্রাচীন বাংলার সমৃদ্ধ জনপদ ‘সমতট’ রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র ছিল এই লালমাই-ময়নামতি অঞ্চল। ইতিহাসের পথ বেয়ে সপ্তম শতাব্দীতে বাংলার চন্দ্রবংশীয় রাজা ভব দেবের হাতে শালবন বা আনন্দ বিহারটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বিহারটি ছিল পুরো এশিয়া মহাদেশে বৌদ্ধদের জ্ঞানঅর্জনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উচ্চতম বিদ্যাপীঠ। তৎকালীন পন্ডিত, অধ্যাপকরা সবাই নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দিয়েছেন। পৃথিবীর বহু দেশের শিক্ষাথীরা নানা শাস্ত্রীয় জ্ঞান অন্বেষণে এই আনন্দ বিহারে আসতেন। আবাসিক বিহার হিসেবে এখনো অনন্য এই শালবন বিহার।

৬৩৮ সালে বিশ্ববিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং শালবন বিহারে আসেন। তখন আনন্দ বিহারে চার হাজার ভিক্ষু (ছাত্র) দেখতে পান তিনি। হিউয়েন সাং ময়নামতি অঞ্চলে ৩৫টি বিহার (শিক্ষাকেন্দ্র) দেখেছেন বলে তার গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। তৎকালীন সমতট, বর্তমানে কুমিল্লাবাসীদের তিনি শিক্ষানুরাগী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সেই বিহার আর নেই। গড়ে উঠেছে সেখানে বাংলাদেশের অন্যতম সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। নাম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। অন্যসব ক্যাম্পাসের মতো আমাদেরও ১৭ বছরে পদার্পণের গল্পটি মোটেও সহজ ছিল না।

২০০৭ সালের ২৮ মে এই পূণ্যস্থানে প্রথম ব্যাচে মোট ৭টি বিভাগে ৩শ ছাত্র, ছাত্রী ও ১৫ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় আমাদের । এখন ৬টি অনুষদ হয়েছে। বাড়তে, বাড়তে মোট ১৯টি বিভাগ গড়ে উঠেছে। পড়ালেখা করছেন ৭ হাজার ৫৫ জন ছাত্র, ছাত্রী। আমাদের জন্য রয়েছেন ২শ ৫২ জন অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক। ৯১ জন কর্মকর্তা ও ১শ ৭৫ জন কর্মচারী রয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ৫টি আবাসিক হল। এগুলো হলো ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল’, ‘কাজী নজরুল ইসলাম হল’, কুমিল্লার সন্তানের নামে ‘শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল’, দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মহিলা জমিদার আমাদের নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীর নামে ‘নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল’ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ‘শেখ হাসিনা হল। এই হলটি নির্মাণাধীন। শিক্ষার্থীদের পরিবহন সুবিধায় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব মালিকানার ৮টি বাস, ১২টি ভাড়ায় চালিত বাস।

২০২০ সালের ২৭ শে জানুয়ারি হয়েছে প্রথম সমাবর্তন। আনন্দঘন সমাবর্তনানুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছেন আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ। অংশগ্রহণ করেছেন ২ হাজার ৮শ ৮৭ জন পাশ করা ছাত্র, ছাত্রী। ১ম ব্যাচ থেকে ৮ম ব্যাচ পর্যন্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করা এই সকল শিক্ষার্থী রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর সম্বলিত সনদ লাভ করেছেন।

নানা জল্পনা, কল্পনা; অনেক চড়াই, উৎরাই পার করে এত দূর এলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাংবাদিক হিসেবে আমি জানি, আমাদের প্রাণপ্রিয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাপ্তি ও অধিকারের অনেক ফারাক আছে। পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, অডিটোরয়াম, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, যথেষ্ট রিসার্চ সেন্টার, টিএসসি, মিডিয়া ল্যাবসহ অনেক কিছুর অপ্রতুলতা রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের ওপর ভর দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চেষ্টায় ফলে ভালোভাবে চলছে। সব আশা ও প্রত্যাশা অতিশীঘ্রই বাস্তবে রূপদান করতে চলছে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ৫০ একরকে ২শ ৫০ একরের পরিণত করার প্রশাসনের কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে তৈরি করা হয়েছে ২ কোটি টাকার প্রধান ফটক। গেল বছরের ২৪ মে ১শ ৯৮ দশমিক ৮৯ একর ভূমি অধিগ্রহণ করতে তারা কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের অফিসকে ৪৭১ কোটি ১১ লক্ষ ২২ হাজার ৫৫ টাকার চেক দিয়েছেন। ফলে ১০ এপ্রিল, ২০২২ তারিখে জেলা প্রশাসন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০০ একর ভূমি বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে কদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে বলেছেন, ‌‘সরকার কোনো সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে ৫০ থেকে ৬০ একরের বেশি জায়গা দেবে না। যাদের বেশি জায়গা আছে তারা ছেড়ে দেবেন।’ এই তথ্যটি মাথায় আছে আমাদের অধ্যাপকদের?

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উপচার্য অধ্যাপক ড. এফ. এম. আব্দুল মঈন। ১৭তম প্রতিষ্ঠাবাষিকীতে স্যার বলেছেন, ‘যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র, ছাত্রীদের মূল কাজ হচ্ছে, সৃজনশীল, একাডেমিক পড়ালেখা ও গবেষণা করা। অমুকের চামড়া তুলে নেব আমরা-এসব বাজে কাজের পেছনে সময় নষ্ট না করে সবাইকে জীবনের এই সময়গুলো ভালোভাবে, ভালো কাজে ব্যয় করতে হবে। সারাবিশ্বেই তাই হয়। আমরা জানি না বলে করি ও বিপদ আনি। ফলে আমাদের কাজ হবে, কীভাবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বাড়াতে পারি। বাংলাদেশ ও বিশ্বের বুকে নিজেরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি। শিক্ষিত ও সজ্জ্বন হতে পারি। ভালো চাকরি পেতে পারি। ভালো চাকরি ও জীবনে ভালো করতে ভালো পড়ালেখা করার কোনো বিকল্প নেই।’

ওএস।

Header Ad
Header Ad

সাবেক মেয়র তাপসের সন্ধান দিলেন ডিবি হারুন

শেখ ফজলে নূর তাপস (বামে) এবং হারুন অর রশিদ। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীরা অনেকেই দেশ ছেড়েছেন। পরিস্থিতি আরো তীব্র হওয়ার আগেই পালিয়ে গিয়েছিলেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাদের মধ্যে ছিলেন শেখ পরিবারের সদস্য এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

তাপসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ রয়েছে, যা তাকে বিতর্কের মুখে ফেলেছে। বর্তমানে তিনি কোথায় অবস্থান করছেন, কী করছেন—এই বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল রয়েছে। তার অবস্থান নিয়ে সম্প্রতি নতুন তথ্য দিয়েছেন আরেক বিতর্কিত ও পালাতক সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ।

কানাডার নাগরিক টিভির বার্তা প্রধান নাজমুস সাকিব সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন সম্প্রচার করেন, যেখানে হারুন অর রশিদের একটি কল রেকর্ড প্রকাশ করা হয়। ওই কল রেকর্ডে জানা যায়, সাবেক মেয়র শেখ তাপস বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন এবং সেখানে তিনি ভিসা ছাড়াই রয়েছেন।

জানা গেছে, শেখ তাপস ৩ আগস্ট, ২০২৩-এ ঢাকা ছাড়েন। সেদিন বিমানবন্দরে তাকে আটক করা হলেও তিনি তার পরিবারকে যুক্তরাজ্যে পাঠিয়ে দেন এবং রাতের ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর চলে যান।

এদিকে, হারুন অর রশিদও বর্তমানে পালাতক অবস্থায় আছেন। তার অবস্থান পরিষ্কার নয়, তবে জানা গেছে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের লং আইল্যান্ডে অবস্থান করছেন। ৫ আগস্টের পর তিনি সেখানে পালিয়ে যান।

তাপসের মতো, হারুনও সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের মুখে ছিলেন, এবং তার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জনমনে বেশ আলোচিত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধদের নামাজ আদায়

টাঙ্গাইলে ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে নামাজ আদায় করেছেন বিক্ষুব্ধরা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে বনবিভাগের লোকজন সুমাইয়া নামে এক নওমুসলিম নারীর ঘর ভেঙে দেয়। এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর প্রতিবাদে বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টায় টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ আদায় করেন স্থানীয়রা।

এর পর প্রশাসনের আশ্বাসে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে অবরোধটি তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এর আগে সকালে বন বিভাগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ওই নওমুসলিম নারীর বাড়ি-ঘর ভেঙে দেয়।

জানা যায়, উপজেলার গাছাবাড়ী এলাকায় এক খৃষ্টধর্মীয় গারো নারী কয়েক বছর আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে সুমাইয়া শেখ নামের ওই নারী পঁচিশ মাইল এলাকায় ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে বিনা ভাড়ায় বসবাস করে আসছেন।

স্থানীয়রা ওই নারীর প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে অর্থ দিয়ে পঁচিশ মাইল বাসস্ট্যান্ডের কাছে বসতিপূর্ণ এলাকায় ৩ শতাংশ জমির দখলস্বত্ব কিনে দিয়ে ঘর নির্মাণ করে দেন। সেই ঘরটির নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি।

এর মধ্যেই বুধবার সকালে বন বিভাগ সুমাইয়ার ঘরটি ভেঙে দেয়। পর স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হরে আছরের নামাজের পর থেকেই জলছত্র থেকে পঁচিশ মাইল এলাকায় ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে মাগরিবের নামাজ আদায় করে। পরে পঁচিশ মাইল বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা।

সমাবেশে বক্তব্য দেন- বিএডিসি মসজিদের ইমাম ইব্রাহীম তকী, মুফতি আরিফ আদনান, পঁচিশ মাইল জামে মসজিদের খতিব আব্দুল বাছেদ, মুফতি মাসুম বিল্লাহ, ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ, আব্দুস সামাদ খান, আবু হানিফ, হাফেজ সোহাইল আহমেদ প্রমুখ।

ভুক্তভোগী নওমুসলিম সুমাইয়া শেখ জানান, ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় আমি এখন অসহায়। বর্তমানে এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছি। স্থানীয়রা অনুদান ও যাকাতের টাকা দিয়ে সহযোগিতা করায় ঘর নির্মাণ করতেছি, এখনো কাজ শেষ হয়নি।

তিনি আরও বলেন- ঘরটি সরিয়ে নিতে আমাকে কোন প্রকার নোটিশ দেওয়া হয়নি। হঠাৎ করেই আমার ঘর ভেঙে দিয়েছে বনবিভাগ। অথচ চারদিকে শতশত বাড়ি ঘর, সেগুলো ভেঙে ফেলেনি। ঘরটি ভেঙে ফেলায় থাকার জায়গা আর রইল না।

উপজেলার গাছাবাড়ী বিটের বন কর্মকর্তা আব্দুল কদ্দুছ জানান, রেঞ্জ অফিস থেকে আমাকে বলেছে তাই আমি উচ্ছেদ অভিযানে গিয়েছি। আমি নতুন এসেছি, তাই বেশি কিছুই জানি না।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে রয়েছি, বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন এবং স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পেলেন ড. খলিলুর রহমান

ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানকে একই সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে খলিলুর রহমানকে এই নতুন দায়িত্ব দেয়ার কথা জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এই প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) জাহেদা পারভীন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এখন থেকে খলিলুর রহমানের পদবি হবে ‘জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং রোহিঙ্গা সমস্যাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ’। এর পাশাপাশি তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনেও সাহায্য করবেন।

গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলিসংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে নিয়োগ পান খলিলুর রহমান। খলিলুর রহমান উপদেষ্টার মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে সেদিন এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছিল। আজ তার নতুন পদায়নের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সেই প্রজ্ঞাপনের অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাবেক মেয়র তাপসের সন্ধান দিলেন ডিবি হারুন
টাঙ্গাইলে ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধদের নামাজ আদায়
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পেলেন ড. খলিলুর রহমান
ভারতে ৫ বছর সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৬ নারী
বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল ভারত
২১ এপ্রিল কাতার সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
১৬২ জনকে নিয়োগ দেবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর
বিমানে সহযাত্রীর শরীরে মূত্রত্যাগ করলেন ভারতীয় মাতাল যাত্রী!
এ বছর ৩৬ টাকায় ধান ও ৪৯ টাকায় চাল কিনবে সরকার
আওয়ামী লীগের বিচার এবং নিবন্ধন বাতিলে একমত হেফাজত ও এনসিপি
দুর্বল শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করা হবে: গভর্নর
গুলশানের এক কিলোমিটার রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করল ডিএনসিসি
যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশের জবাবে ৮৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করল চীন
মুজিববর্ষে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়, শেখ হাসিনা-রেহানার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
১৫ কোটি বাজেটের ‘বরবাদ’-এ শাকিবের পারিশ্রমিক ১ কোটি ২০ লাখ টাকা
‘অতি গোপনীয় অভিযোগ’ নিয়ে দুদকে হাসনাত-সারজিস
ডিসেম্বরের আগে সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চাওয়া হবে: সালাহ উদ্দিন
ঈদযাত্রায় সড়কে ৩১৫ দুর্ঘটনায় ৩২২ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
উদ্ধার করা সওজের জমি দখলে নিল সমন্বয়করা!
নবাব শেখের ভাইরাল সেই ‘চলমান-খাট’ নিয়ে গেছে পুলিশ