‘সবার’ ওয়েব সাইট ভালো, আইটেম ভালো এবং মন্দ
বাংলাদেশের অন্যতম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের ওয়েব সাইটের ছবির গ্যালারি অত্যন্ত দুর্বল। বহু পুরোনো কটি শোক দিবসের ফুলের মালা দেওয়ার ছবি ভাসে। সাম্প্রতিক ও ছাত্র, ছাত্রী-শিক্ষকদের কাজের কোনো ছবি কখনো ওঠে না।
একুশে ফেব্রুয়ারি লাইব্রেরি ভবনের ছবি খুব ঝাপসা।
যেকোনো প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ইন্টারনেট ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকদের প্রচুর সময় লাগে ও তারা দুর্ভোগের শিকার হন বলে জানিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ ২৪.কমের প্রতিনিধি সফিকুল আহসান ইমন। তিনি লিখেছেন, ‘এর বাদে আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ভালো ও উন্নত (https://www.bsmrstu.edu.bd/s/)।’
‘অনেক ছবির একটি গ্যালারি আছে নীচে। সেটিতে ক্লিক করলে কোনো ছবি আসে না। এ অত্যন্ত অন্যায় ও খারাপ কাজ। যেমন-https://www.bsmrstu.edu.bd/s/images/feather.png।’
তারা ভালো কাজও করেছেন। যেমন সাংবাদিক সমিতির তালিকা করে তাদের নাম ও মোবাইল নম্বর দিয়েছেন (https://www.bsmrstu.edu.bd/dev/club/)| তবে সফিকুল আহসান ইমনের নাম ও নাম্বার দেননি। গুরুতর অন্যায়।
ফরেন স্টুডেন্ট লিংকে গেলে দেখা যায় নাথিং অ্যাভেইল অ্যাবল। এই লিংক-https://www.bsmrstu.edu.bd/dev/foreign_students/। অথচ এখানে নেপালের ছাত্র, ছাত্রীরা পড়েন ও ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় সারা দেশের এবং বিদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত।
স্কলারশিপ অ্যান্ড অ্যাওয়াড দিয়ে ভালো কাজ করেছেন। লিংক https://www.bsmrstu.edu.bd/dev/scholarships/|। এমন উদ্যোগ কটি আছে।
একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, তাও আবার শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থানের-তার এমন বাজে অবস্থাগুলোর বিষয়ে জানাতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিস্টেম এনালিস্ট বি. এম. আরিফুল ইসলাম বলেছেন “আমাদের ওয়েব সাইট করেছিলেন যে প্রগ্রামার (তিনি তার নামটি জানাননি। কেন?) তাকে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. নাসির উদ্দিন দায়িত্ব দিয়েছিলেন। খুব ভালো কাজ করেছেন। সাইটের কোডিং তার করা। সেভাবেই এখনো খুব ভালোভাবে চলছে। অন্যগুলো পরে যুক্ত হয়েছে। সেই লিংকগুলোর কোডিং যুক্ত করা হয়নি।’
দায়িত্বের এই অবহেলার বিষয়ে কোনো কথা না বলে তিনি তাদের ছাত্র এই সাংবাদিককে জানিয়েছেন, ‘ইন্টারনেট ব্যবস্থা কমিটি নামের একটি নতুন কমিটি করেছেন ভিসি স্যার অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব। আমাদের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (তিনি বলেছেন ডিন স্যার। বিভাগের অধ্যাপক কীভাবে ডিন হন? এটি আসলে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব আইসিটির অধীনে একটি বিভাগ) প্রধানও আছেন। আমরা শীঘ্রই এই সাইট বদলানোর কাজ শুরু করবো।’
তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘সবকিছুরই একটি প্রসেস আছে, চলবে। এটি থাকবে না (কেন তার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। ভালো ও ওয়েবসাইটের নতুন সবনিম্ম ২৫ হাজার ১শ টাকা কী তিনি দেবেন?)
এরপর সিস্টেম এনালিস্ট বি. এম. আরিফুল ইসলাম বলেছেন, ‘নতুন ওয়েবসাইট ও আমাদের ডাটা বেইজ কনভাটের কাজ চলছে। আশা করি তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে (কোন সমস্যা? এখানে শিক্ষামন্ত্রণনালয়ের ওয়েব সাইট কেন (https://moedu.gov.bd/)? জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন কেন- https://www.bsmrstu.edu.bd/dev/nis/)।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট অত্যন্ত দুর্বল ও বাজে। তারা সেই তুলনায় অনেক এগিয়ে আছেন। এ অবশ্য সাংবাদিক ছাত্র-ছাত্রী ও আগ্রহী অধ্যাপকদের কল্যাণে।
ওএস।