চুয়েটে ছাত্র, শিক্ষকের আলোচনা, রচনা লেখা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
লেখা ও ছবি : মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, জনসংযোগ কর্মকর্তা,চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ বাংলাদেশের জাতীয় ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম পালন করা হয়েছে। ছিল ছাত্র, ছাত্রীদের ‘বিদ্রোহীর শতবর্ষ’ নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা, সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের সংগঠন ‘জয়ধ্বনি’র আয়োজনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা। আলোচনার শুরুতেই কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও কর্মের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।
কবি নজরুলের জন্মদিন পালনে সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। তাদের এই বিশেষ আলোচনা সভার নাম ‘বিদ্রোহীর শতবর্ষ’।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, ‘আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম স্বাধীন ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার ব্যক্তিত্ব। আমরা শিশুকাল থেকেই তার বহুমাত্রিক প্রতিভা বিকশিত হতে দেখেছি। তিনি আমাদের জন্য অগ্রসর চিন্তা-চেতনার প্রতীক হয়ে থাকবেন। কবি নজরুলের দেখানো সাম্য ও মানবতার মুক্তির পথ ধরে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি আজ ২৫শে মে, বুধবার ২০২২, বিকাল ৪ টায় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল রুমে আয়োজিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে এই বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের ‘বিদ্রোহীর শতবর্ষ’-তে রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমি পুরষ্কারপ্রাপ্ত ও দৈনিক আজাদীর সহযোগী সম্পাদক রাশেদ রউফ। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের জাতীয় কবির আর্বিভাব ধূমকেতুর মতো। এরপর তিনি আর থেমে থাকেননি। শিল্প-সাহিত্যের সব শাখায় নিজের প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছেন। মুসলিম জাতিকে জাগিয়েছেন। সব শ্রেণীর মানুষকে চির উন্নত মম শির করতে চেষ্টা করেছেন। তার কবিতায় নতুন সম্ভাবনা ও শক্তি লাভ ঘটেছে। কবি নজরুল দ্বিধা, জটিলতামুক্ত, অফুরন্ত প্রাণশক্তির ছিলেন।’
উপস্থাপনা করেছেন জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।
ক্যাপশন : জাতীয় কবির ১২৩তম জন্মাবার্ষিকীতে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম রিসোর্স পার্সন বাংলা একাডেমি পুরস্কার জয়ী সাংবাদিক রাশেদ রউফকে ক্রেস্ট উপহার দিচ্ছেন ও তিনি বিদ্রোহীর শতবর্ষে আলোচনা করছেন।
ওএস।