সবাইকে জ্ঞানের আলোকিত হতে হবে : অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন
লেখা ও ছবি : মো. বাবুল হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ২০২০-’২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ গতকাল রোববার ২২ মে, ২০২২ তারিখে পালন করা হয়েছে।
‘পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় নবীনবরণ আয়োজন কমিটি’ নবীনবরণের আয়োজন করেছে বলে জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন আরো জানিয়েছেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টায় ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত চলেছে। এ আমাদের সপ্তম কেন্দ্রীয় নবীনবরণ। প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। প্রায় সবাই এসেছে। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন বাংলার সহযোগী অধ্যাপক ড. মীর হুমায়ূন কবীর ও ইংরেজির সহকারী অধ্যাপক রওশন ইয়াজদানী। তাদের কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা কামাল খান। সদস্য সচিব অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. ফজলে রাব্বি খান।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন প্রধান অতিথি হিসেবে নবীনবরণে অংশ নিয়েছেন।
সভাপতিত্ব করেছেন উপ-উপাচার্য।
রাজশাহী বিভাগের অন্যতম জেলা পাবনা পদ্মা, বড়াল, যমুনা, ইছামতি, আত্রাই ও চলন বিলের। তাদের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চলতি শিক্ষাবষে পাঁচ অনুষদের মোট ২১টি বিভাগে ৯শ ৫৩ জন ছাত্র, ছাত্রী ভর্তি হয়েছেন। তারা ১৩তম ব্যাচ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের এই ক্যাম্পাস থেকেও তোমাদের সবাইকে জ্ঞানার্জন, আহরণ এবং সৃজনশীল কমকাণ্ডে অংশ নিতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রযুক্তিনির্ভর বলে আধুনিক এই প্রযুক্তিকে গ্রহণ করে জীবনের ভালো কাজে লাগাতে হবে। প্রতিদিন অল্প, অল্প হলেও ভালো কাজ করতে হবে। জমানো এই কাজগুলোই জীবনের ব্যাংকে বড় সঞ্চয় হবে।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘তোমাদের সবাইকে এই বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগ ও বন্ধুদের ভালোবাসতে হবে।’
বরণ্যে নারী মুক্তিযোদ্ধা জানিয়েছেন, ‘আমাদের যা আছে, তাই নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেছেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের ভেতরে লালন করতে হবে।’
ছাত্র-ছাত্রীদের ধর্মীয় অনুশাসনগুলো মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।
তিনি বলেছেন, ‘আলো ছাড়া কেউ চলতে পারেন না। তাই জীবনের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সবাইকে জ্ঞানের আলোকিত হতে হবে।'
তিনি শিক্ষকদের আহবান জানিয়েছেন, ‘আপনাদের নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে।’
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা কামাল খান বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীনবরণে সভাপতির বক্তব্যে বলেছেন, ‘এই পৃথিবীতে ইতিহাসের বিবর্তনে ও মানুষের প্রয়োজনে নব, নব জ্ঞানচর্চার উদ্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেছেন, ‘যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল দায়িত্ব হলো, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের বিকাশে কাজ করা। ফলে শুধু জ্ঞানার্জন নয়, আগামী শতকের সুন্দর, সুশীল বাংলাদেশও গড়ে উঠবে তোমাদের নেতৃত্বে এবং তোমারই হবে ভবিষ্যতের কর্ণধার।’
২০০৮ সালের ৫ জুন প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টির নবীনবরণে আরো কথা বলেছেন পাঁচ ডিন-বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল আলম, প্রকৌশল অনুষদের অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুল্লাহ্, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান বেং জীব ও ভু-বিজ্ঞান অনুষদের ড. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম।
বিরাট অনুষ্ঠানটিতে প্রক্টর ড. মো. হাসিবুর রহমান, চলতি দায়িত্বে রেজিষ্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম এবং ছাত্র উপদেষ্টা ড. সমীরন কুমার সাহাও আলোচনা করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের পুরোনো ও নবীন ছাত্র-ছাত্রীদের মনোভাব প্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছে।
অনুষ্ঠানের একজন নবীন শিক্ষার্থী নিজের মনোভাব প্রকাশ করেছেন এভাবে, 'আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে প্রথম দিনেই ফুল দিয়ে বরণ করা হলো বলে খুব আনন্দ লাগছে। এই আনন্দ ও ভালো লাগা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ণের পুরোটা সময় মনের গভীরে ধরে রাখব।’
ওএস।