তিন যুগ পর চালু হচ্ছে বাকৃবি রেলওয়ে স্টেশন
তিন যুগ পর আবারও চালু হচ্ছে বন্ধ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) রেলওয়ে স্টেশন।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশন ও আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি দল।
দলটির প্রধান হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্ব) মহাব্যবস্থপাক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। এ সময় তারা স্টেশনটি পরিদর্শন করে এর প্লাটফর্মের নকশা এবং বিভিন্ন বিষয় চূড়ান্ত করে নিয়ে যান।
স্টেশনটি চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়াবে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে চলা সব ধরনের ট্রেন। নতুন করে প্লাটফর্ম নির্মাণসহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ময়মনসিংহ শহর পর্যন্ত একটি শাটল ট্রেনও চালু করা হবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. জাকির হোসেন এবং সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৭ সালে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক টিকিট চেকার (টিটি) উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেনের কেবিনের ভেতর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ঘটনার একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের হাতে তিনি নিহত হন। এরপর ৩৬ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকে সারা দেশে রেলস্টেশনগুলো। পরে বাকি সব রেলস্টেশন চালু হলেও প্রায় তিন যুগ ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত রেলস্টেশনটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রত্যেক মাসেই বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। যার জন্য ক্যাম্পাসের দেড় থেকে দুই হাজার শিক্ষার্থীকে ঢাকায় যেতে হয়। সকালে পরীক্ষা থাকলে ভোরে ক্যাম্পাস থেকে ময়মনসিংহ স্টেশনে যেতে হয়। আবার পরীক্ষা শেষ করে ঢাকা থেকে ফিরতে গভীর রাত হয়ে যায়।
তারা বলেন, মধ্যরাতে ময়মনসিংহ স্টেশন থেকে ক্যাম্পাসে আসতে হয় যা চাকরি পরিক্ষার্থীদের জন্য বেশ অনিরাপদ ও কষ্টকর। ক্যাম্পাসে অবস্থিত স্টেশনটি পুনরায় চালু হলে এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ.কে.এম জাকির হোসেন বলেন, অনেক প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। বাকৃবিতে অবস্থিত রেল স্টেশনটির আধুনিকায়নের কাজ দ্রুতই শুরু হতে যাচ্ছে। আজ আমাদের অনুরোধে বাংলাদেশ রেলওয়ের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে এসেছিলেন। আশাকরি খুব দ্রুত আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কৰ্মচারীসহ সবাই ক্যাম্পাস থেকেই আন্তঃনগর ট্রেনসহ সব ট্রেনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারব।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহর পর্যন্ত চলার বিষয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করি সেটারও দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।
এসএন