নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পসরা সাজিয়েছে জারুল
সবুজ পাতার ক্যানভাসে বেগুনি জারুল ফুটিয়ে তুলেছে হাস্যেজ্জ্বল প্রকৃতি। যেন দক্ষ এক চিত্রকরের সুনিপুণ তুলির আঁচড়। বৈশাখের রুদ্র রূপ ঝেড়ে ফেলে ধরিত্রি সেজেছে মোহনীয় রূপে। গ্রীষ্মের রুক্ষতাকে দুহাতে ঠেলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়কে রাঙিয়ে তুলেছে প্রকৃতি কন্যা জারুল।
সবুজ গালিচা ভেদ করে মাথা তুলেছে বেগুনি পাঁপড়ি। তার মাঝেই আবার উঁকিঝুঁকি মারছে হলুদ পরাগ। মায়াবি জারুলের মোহনীয় ছোঁয়ায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতি সেজেছে তার আপন মহিমায়। জারুল ফুলের বেগুনি রং যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি তার পাঁপড়ির নমনীয়তা ও কোমলতা হৃদয়ে দেয় প্রশান্তির দোলা। শাখে শাখে বিশাল মঞ্জরি। দেখে যেন মনে হয়,বৈশাখী উৎসবে মেতেছে জারুল।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রায় সর্বত্র দেখা পাওয়া যায় জারুল গাছ। শীতের পাতাহীন জারুল গাছ গ্রীষ্মের শুরুতে বৃষ্টির ছোঁয়ায় সবুজ কচি পাতা এবং বেগুনি ফুলের সমাহার ঘটায়। জারুল গাছ তার ভেষজ ও কাষ্ঠল উপাধি ছেড়ে যেন নিছক সৌন্দর্যের রানী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
শীত ও বসন্তের পরে ভরা গ্রীষ্মেও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে ফুলের মায়াবি আবহে আচ্ছন্ন করে রেখেছে এ জারুল। তেজহীন রৌদ্রদীপ্ত সকাল, তপ্ত দুপুর কিংবা পশ্চিমে এলিয়ে দেওয়া সূর্যহীন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচারীদের দাঁড় করিয়ে নিজের দিকে একপলক দেখার সম্মোহনী শক্তি নিয়ে যেন ফুলগুলো পরিস্ফুটিত হয়েছে।
জারুল ফুলের সাজানো পসরা দুষ্টি কেড়েছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।
আইন ও বিচার বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোরসালিন রহমান শিখর ক্যাম্পাসের বৃষ্টিস্নাত জারুল ফুলের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ভেজা মাঠ, ভেজা রাস্তা আর কাকভেজা জারুল ফুল যেন মন মাতানো সৌন্দর্য!’
আইন ও বিচার বিভাগ চতুর্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী ফারজানা ফারজু জারুল ফুলের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য আমাকে জাদুর মতো বশীভূত করে, সত্যিই অতুলনীয়।’
ইংরেজিতে 'প্রাইড অব ইন্ডিয়া' নামে পরিচিত জারুলকে 'বাংলার চেরি' বলা হয়। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের আঙ্গিনা শোভিত হয়েছে বাংলার চেরি খ্যাত জারুল ফুল দিয়ে। দ্রোহ ও বেগুনি ফুলের নমনীয়তা মিলেমিশে একাকার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
এসএন