রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আইইউবি, লুম্বিনির শিক্ষা সহায়তা পাবে বান্দরবান ইউনিভার্সিটি

সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা সহযোগিতা উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ‘বান্দরবান ইউনিভার্সিটি’। ২০১৯ সালে শুরু।

পার্বত্য তিনটি জেলা-বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং চট্টগ্রাম বিভাগের রঙ্গুনিয়া, সাতকানিয়া এবং আশপাশের উপজেলাগুলোর মোট ২৫০ জন ছাত্র, ছাত্রীকে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান করা হচ্ছে এখানে। ধীরে ধীরে ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ছে।

বান্দরবান পৌর শহরে আছে তাদের অস্থায়ী ক্যাম্পাস। তিনটি অনুষদ আছে। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, ব্যবসায় প্রশাসন, ইংরেজিসহ কটি বিষয়ে পড়ানো হচ্ছে।

বান্দরবান জেলা সদরের প্রবেশপথে সূর্যালোকে ১শ একর জমিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরি করা হচ্ছে।

আইইউবি-ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এই দেশের প্রধান বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশের কৃষ্টি, কালচার তুলে ধরতে ও তাদের রক্ষা এবং উন্নত করতে নানা ধরণের গবেষণা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আছে এই কৃতি শিক্ষক, গবেষক ও ছাত্র, ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে।

২০০৯ সালে শুরু করা লুম্বিনি লিমিটেড তিন পার্বত্য জেলায় একমাত্র শতভাগ রপ্তানীমুখী তৈরি পোষাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। নিটওয়্যার সোয়েটার তৈরি প্রধান পণ্য। আদিবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬শ শ্রমিক কাজ করেন। পোষাক রপ্তানী করা হয় ইউরোপের বাজারে। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম প্রধান ক্রেতা দেশ।

এছাড়াও সামাজিক উন্নয়ন কাজে জড়িয়ে আছে লুম্বিনি লিমিটেড। তাদের বান্দরবান অঞ্চলের সুপেয় পানির সঙ্কট দূর করতে একটি বিরাট পানিবিশুদ্ধকরণ প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের বিশুদ্ধ পানি খাচ্ছেন ২শ ৫০টি পরিবার। এর বাদেও লুম্বিনির বিশুদ্ধ পানি স্থানীয় বাজারগুলোতে এবং বিদ্যালয় ও মহামহাবিদ্যালয়সহ অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে দেওয়া হয়।

লুম্বিনি লিমিটেডের কর্মরত শ্রমিক পরিবারগুলোর ছেলে, মেয়েদের পড়ালেখার সুযোগ তৈরি করতে কারখানা কমপ্লেক্সে এই সদাশয় মালিকপক্ষ একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরি করে শিক্ষকদের সব খরচ ও বিদ্যালয়ের আর্থিক যোগান প্রদান করে চলেছেন।

বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় ও তৈরি পোষাক প্রস্তত প্রতিষ্ঠান লুম্বিনি লিমিটেডের সঙ্গে ভাষা এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশের ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)।

১৩ এপ্রিল,২০২২ সালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা সদরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়েছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি।

নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আইইউবি'র উপাচার্য অধ্যাপক ড. তানভীর হাসান, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. ইমাম আলী ও লুম্বিনি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মো. সুলতান উদ্দিন ইকবাল সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন।

আরো উপস্থিত ছিলেন লুম্বিনি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাদাত মোশাররফ খান।

প্রথম সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর হয়েছে আইইউবি ও বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। তাতে লেখা আছে, “বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলার নৃ-গোষ্ঠীর লুপ্তপ্রায় ভাষাগুলো সংরক্ষণে আইইউবি'র সেন্টার ফর এনডেনজারড ল্যাংগুয়েজেস’র সঙ্গে যৌথভাবে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়। এই সেন্টারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাশিন সেন্টার ফর মাল্টিলিংগুয়াল এক্সেলেন্স’র অন্তভুক্ত একটি আলাদা বিভাগ। এর বাদেও বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নে সহযোগিতা করবে আইইউবি।”

আরেকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে আইইউবি, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় ও লুম্বিনি লিমিটেডের।

তাতে বলা হয়েছে, ‘বান্দরবানভিত্তিক তৈরি পোষাক প্রস্ততকারী প্রতিষ্ঠান লুম্বিনি লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের দইুজন বাছাইকৃত, সেরা নারী শিক্ষার্থী প্রতিবছর দুটি সেমিস্টার ঢাকার আইইউবি ক্যাম্পাসে পড়বেন। তাদের অন্তত একজন শিক্ষার্থী কোনো নৃগোষ্ঠীর সদস্য হতে হবে।’

‘২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শুরু হবে এই শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম। চলবে এই চুক্তির অধীনে ২০২৭ সাল পর্যন্ত।’

‘প্রতি বছর বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষার্থী লুম্বিনি লিমিটেডে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন। এই খাতে বছর প্রতি জনপ্রতি শিক্ষার্থীর জন্য আড়াই লাখ টাকা করে মোট পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দেবে লুম্বিনি।’

এই অনন্য কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, “আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার আগ্রহ রয়েছে। সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটানো তাদের অনেকের পরিবারের পক্ষেই কঠিন হয়েছে। শিক্ষা যদি তাদের ঘরের দুয়ারে পৌঁছানো যায়, তাহলে তারা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে। এজন্যই বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়েছে। আমরা যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি, আমাদের আইইউবি'র মতো দেশের প্রধান বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবির সঙ্গে শিক্ষা-সহযোগিতা অভিজ্ঞতা বিনিময় করে সঠিকভাবে এগুনো সম্ভব হবে।”

আইইউবির ভিসি অধ্যাপক ড. তানভীর হাসান বলেছেন, ‘মাতৃভাষাই শিক্ষার মূল বাহন হওয়া উচিত। সরকার ইতোমধ্যে মারমা, চাকমা ও ত্রিপুরা ভাষায় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করেছেন। নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এর বাইরেও আমাদের নৃগোষ্ঠীগুলোর অনেক ভাষা এখনো তাদের শিক্ষাদানের মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি। ফলে ভাষাগুলো ধীরে, ধীরে হারিয়ে যেতে পারে বলে আমাদের আশঙ্কা। এই ভাবনা থেকে আইইউবি লুপ্তপ্রায় ভাষাগুলো নিয়ে কাজ করাতে সেন্টার ফর ইন ডেনজার্ড ল্যাংগুয়েজেস প্রতিষ্ঠা ও কাজ করছে।’ তিনি জানিয়েছেন, আদিবাসীদের বান্দরবানে আইইউবির এই কার্যক্রম আগামীদের আলো হবে।

বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. ইমাম আলী বলেছেন, ‘আইইউবি অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা সমঝোতা চুক্তিতে আমাদের বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় ধারণ করবে। আমরা শুধু শিক্ষার্থীদের সনদপত্রই দেব না, তাদের দক্ষ মানবসম্পদ করব। আমরা চাই তাদের মধ্যে মানবিক গুণাবলীরও যেন বিকাশ ঘটে। তাতে তাদের সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতাও তৈরি হবে।’

লুম্বিনি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মো. সুলতান উদ্দিন ইকবাল বলেছেন, ‘সমঝোতা স্মারকগুলোতে আমরা বান্দরবান জেলায় নারীর ক্ষমতায়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করতে পেরেছি।’

ওএস।

Header Ad
Header Ad

জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে না।

রোববার বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওই পোস্টে ইশরাক লিখেছেন, "জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার ফরকার হবে না। তার আগে অন্তত ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ ঢাকায় আমার সঙ্গে যুদ্ধ করে, আমাকে কবরে পাঠিয়ে তারপর করতে পারলে করবে।"

তিনি আরও লিখেছেন, "এই সরকারকে এর চাইতে স্পষ্ট ভাষায় আর কিছু বলার নাই। আর আমাদের দলীয় কেউ যদি ভুলেও স্বপ্ন দেখেন, যেই হন না কেন আপনাদের চিনবো না। অতএব এলাকায় ফ্যাসিবাদের স্থান দেওয়ার আগে ১০০ বার চিন্তা করে নিয়েন। আগে বরখাস্তকৃত কমিশনের/কাউন্সিলর পদধারী হাসিনার কিলার বাহিনীদের বিচার, শাস্তি ও নির্মূল করতে হবে।"

 

তরুণ এই বিএনপি নেতা তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনায় স্থানীয় নির্বাচন থাকতে পারে। কিছু নতুন দল বা ছোট দল নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার চেষ্টা করতে পারে। তবে তার মতে, "এই মার্কাবিহীন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে খুনি হাসিনার অমানুষ জালেম বাহিনীর উত্থান ঘটবে।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, "আমাদের স্পষ্ট দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে এই ব্যাপারে। এর বাইরে, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র প্রার্থী বা মহানগর বিএনপির সদস্য হিসেবে, বা একজন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, যে অবস্থানেই বিবেচনা করা হোক না কেন, আমি জানিয়ে দিচ্ছি—ঢাকার অলিগলির রাজনীতি কীভাবে চলে তা আমি জানি।"

ইশরাক হোসেন তার পোস্টের শেষ অংশে বলেন, "ঢাকা ও অন্যত্র স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে কোনো উদ্যোগকে চক্রান্ত হিসেবেই গণ্য করা হবে। হাসিনার কমিশনার/কাউন্সিলরা কিভাবে হয় এবং তারা কীভাবে ফিরে আসতে পারে, সেটাও আমাদের মুখস্থ।"

Header Ad
Header Ad

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!

ছবি: সংগৃহীত

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহতের ঘটনায় দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছে সরকার।

তবে পরিপত্র জারির পর থেকেই অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি কি সরকারি ছুটি থাকবে? এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নানা আলোচনা চলছে।

সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী, ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি থাকবে না। দিবসটি ‘গ’ শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা জাতীয়ভাবে পালন করা হবে, তবে ছুটি থাকবে না।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকার প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে এটি সরকারি ছুটি ছাড়া জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হবে।

এর আগে মন্ত্রিপরিষদসচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করা হবে, তবে এদিন সরকারি ছুটি থাকবে না।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া নির্মম হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক এই দিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের মাধ্যমে সেনা সদস্যদের আত্মত্যাগকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা

মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবির কর্তৃক মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। মধুর ক্যান্টিনে শিবিরের উপস্থিতি মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করে। মুক্তিযুদ্ধকে ভারতীয় ষড়যন্ত্র বলে শিবির বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের অবমাননা করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে দেয় ছাত্রসংগঠনটি ।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র রাজনীতির সূতিকাগার ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিনের প্রতিষ্ঠাতা স্বত্বাধিকারী মধুদা ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অপারেশন সার্চলাইট এর হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন। জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামি ছাত্রসংঘ পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগী হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকা পালন করে। শহীদ মধুদা’র হত্যাকাণ্ডের নৈতিক দায় জামায়াতে ইসলামী, তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রসংঘ এবং পরবর্তীতে ইসলামি ছাত্রশিবিরকে নিতে হবে।

ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি। ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবিরের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন শহীদ মধুদার প্রতি এবং তার পরিবারের প্রতি অসম্মানজনক। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবির এর সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, শহীদের নিজের আঙিনায় খুনির সহযোগীদের বিচরণ খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। অনুতাপ এবং বিবেকবোধ থেকেই ছাত্রশিবির এর মধুর ক্যান্টিনে আসা উচিত নয়।

তারা আরও উল্লেখ করেন, অপারেশন সার্চলাইট এ শহীদ মধুদা’র মতো অসংখ্য মানুষ শহীদ হওয়ার প্রেক্ষিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ইসলামি ছাত্রশিবির নানাভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভারতীয় ষড়যন্ত্র বলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে এবং বীর শহীদদেরকে অবমাননা করছে। মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী