শাবিপ্রবির শাহপরাণ হল
দাম বেড়েছে, বাড়েনি খাবারের মান
দাম বাড়ানো হলেও মান বাড়েনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শাহপরাণ হলের খাবারের।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ-রমজান মাসে ভালো খাবার দেওয়া হবে এমন আশ্বাসে হলে দাম বাড়ানো হয়। তবে খাবারের মান একেবারেই বাড়ানো হয়নি।
এদিকে কর্তৃপক্ষের দাবি, যে খাবার পরিবেশন করা হয়, সেটা মোটেও মানহীন না। কম দামে ভালো ও মানসম্পন্ন খাবার পরিবেশনের জন্য ডাইনিং ও ক্যাফেটেরিয়া পরিচালকদের সার্বক্ষণিক নির্দেশনা দেওয়া আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের তিনটি আবাসিক হল আছে। এর মধ্যে শাহপরান হলে ৪৪৭ আসন রয়েছে। খাবারের জন্য হলে একটি ডাইনিং ও একটি ক্যাফেটেরিয়া আছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৫২৫টি ও সৈয়দ মুজতবা আলী হলে ৬৮টি আসন আছে। এর মধ্যে মুজতবা আলী হলে ডাইনিংয়ের ব্যবস্থা নেই।
শাহপরান হলের শিক্ষার্থী সজীব জানান, তাদের ডাইনিংয়ে রোজার আগে মাছ ও মুরগির মাংস দিয়ে খেলে শিক্ষার্থীদের ২২ টাকা করে দেওয়া লাগত। রোজার মাসে একই খাবারের জন্য তাদের গুণতে হচ্ছে ৩৫ টাকা। ক্যাফেটেরিয়াতে মাছ ও ঝালফ্রাইয়ের জন্য রোজার আগে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দেওয়া লাগত। এখন দিতে হচ্ছে ৪০ টাকা। ক্যাফেটেরিয়াতে রমজানের আগে মুরগির রোস্ট ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।
শিক্ষার্থী নাইম আহমাদ ঢাকাপ্রকাশকে জানান, রোজার মাসে তুলনামূলক ভালোমানের খাবার দেওয়া হবে জানিয়ে হলের ডাইনিং ও ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের দাম বাড়ানো হয়। মাছ ও মাংসের টুকরা এখনো আগের মতোই আছে। সেই সঙ্গে প্রায় মসলাবিহীন তরকারি রান্না করায় খাবারের মানও আগের মতো স্বাদহীন। মানহীন খাবারের কারণে তাদের পুষ্টিচাহিদাও মিটছে না। এর চেয়ে বঙ্গবন্ধু হলে খাবারের মান অনেক ভালো বলে জানান তারা।
শাহপরান হল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হলে যে খাবার পরিবেশন করা হয়, সেটা মোটেও মানহীন না। কম দামে ভালো ও মানসম্পন্ন খাবার পরিবেশনের জন্য ডাইনিং ও ক্যাফেটেরিয়া পরিচালকদের সার্বক্ষণিক নির্দেশনা দেওয়া আছে। তবে রোজার আগের মতো এখনো হলের ডাইনিংয়ে ২২ টাকায় খাবার পাওয়া যাচ্ছে। কেবল যেসব ছাত্র একটু ভালো খাবার খেতে চান, তাদের জন্য রোজা উপলক্ষে দাম বাড়িয়ে সেটাই ৩৫ টাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শাহপরান হলের প্রাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান খান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, শাহপরান হলে খাবারের দাম তুলনামূলক কম। রোজা উপলক্ষে ছাত্রদের সঙ্গে বসে, তাদের পরামর্শ অনুযায়ী দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে মাছ-মাংসের আকারের পাশাপাশি মানও বেড়েছে। খাবারের মান যেন ঠিক থাকে, তা-ও তারা নিয়মিত তদারকি করছেন।
তিনি বলেন, রোববার (১০ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় হলের ছাত্রদের নিয়ে বসা হবে। ওই বৈঠকে যদি তাদের কোনো সমস্যার প্রসঙ্গ উঠে আসে, সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এসএন