ভাংচুর ও অশোভন আচরণে দায়ী জাহাঙ্গীরের ভাষ্য
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকাপ্রকাশ ২৪.কমের প্রতিনিধি সফিকুল আহসান ইমন জানিয়েছেন, তাদের বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান ও শেখ হাসিনার জন্মভূমি গোপালগঞ্জের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট আছে।
এর মধ্যেই হলগুলোর সিটগুলো দখলের জন্য ছাত্রলীগের ভিন্ন, ভিন্ন গ্রুপের নেতারা সিট দখল করেন ও আধিপত্য বিস্তার করেন হলে এবং ক্যাম্পাসে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংকট কাটাতে নিমাণ কাজ চলমান।
তাদের অন্যতম ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র এবং এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি তার বাহিনী নিয়ে ৫ এপ্রিল গভীর রাতে শহীদ শেখ রাসেল হলে হামলা করেন। তারা ছাত্রদের পক্ষে দাঁড়ানো হলের প্রভোস্ট ও অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমসের সহকারী অধ্যাপক মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়ার সঙ্গে সবার সামনে অশোভন আচরণ করেন। স্যারকে লাঞ্চনার প্রতিবাদে ছাত্ররা আজ মানববন্ধন করেছেন।
আমাদের প্রতিনিধি দায়ী ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘শেখ রাসেল হলটিতে একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (সিস্টেমস) বিভাগের প্রায় ৪৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আমরা মূলত সমস্যার সমাধানের জন্যই গিয়েছিলাম এবং কোনোরূপ জটিলতা তৈরির উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু স্যার আমাদের দেখে কিছুটা উত্তেজিত হলে এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়।’
এরপর হল প্রভোস্টের সঙ্গে এই অশোভন আচরণের প্রতিবাদে ও সিট দখল করতে না দিতে সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে তার বাহিনীর রাত ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে রাত প্রায় ২টা পর্যন্ত কয়েক দফা সংঘষ হয়েছে। তার সঙ্গে বহিরাগতরা যোগ দিয়েছে বলে অভিযোগ ছাত্রদের। তিনটি হলের ছাত্র ও ছাত্রলীগ ক্যাডাররা মুখোমুখি হয়েছে। তারা ভাংচুর করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ।
প্রশাসন পুলিশ মোতায়েন করেছেন।
ছবি : বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম বিজয় দিবস হল।
ওএস।