রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ফোকলোর বিভাগে ‘শাহিদা খাতুন ট্রাস্ট ফান্ড’ চালু হয়েছে

লেখা ও ছবি : আতোয়ার রহমান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগকে বাংলা একাডেমির সাবেক নারী পরিচালক, বিখ্যাত লোক গবেষক, প্রবন্ধ রচয়িতা শাহিদা খাতুনের ৩০ লাখ টাকা দানে তার নামে ‘শাহিদা খাতুন ট্রাস্ট ফান্ড’ চালু হয়েছে।

গতকাল বুধবার ৬ এপ্রিল ত্রিশালের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বরেণ্য এই ব্যক্তিত্ব ক্লাস শেষে তার চেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের হাতে প্রদান করেছেন।

শাহিদা খাতুন বাংলা একাডেমির ফোকলোর বিভাগের সাবেক পরিচালক। কাজ করেছেন ড. শামসুজ্জামান খানসহ আরো অনেক কৃতি মানুষের অধীনে। টানা দুই দশকেরও বেশি তিনি বাংলাদেশের লোক গবেষণায় নিমগ্ন ছিলেন এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানে। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ছাত্র, ছাত্রী ও অধ্যাপকদের জানিয়েছেন, ‘আগে থেকে আমার ফোকলোরের প্রতি ভালোবাসা। বাংলা একাডেমিতে কাজের সুবাদে বাংলার লোকসাহিত্য ও লোক সংস্কৃতি নিয়ে অনেক কাজের সুযোগ লাভ করেছি। এই প্রতিষ্ঠানের ফোকলোর পাঠ, পাঠোপযোগী করা, ফোকলোর চর্চা, প্রশিক্ষণ, সংগ্রহ, সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামগুলো আয়োজন এবং প্রকাশনার বিপুল কমযজ্ঞে আমি আত্মনিমগ্ন হতে পেরেছি। হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে আমার ভালোলাগা থেকে ভালোবাসাময় অবদান রয়েছে।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘বাংলাদেশের এই অন্যতম সাংস্কৃতিক পীঠস্থানের ছাত্র, ছাত্রীদের মধ্যে বাংলা সংস্কৃতি নিয়ে সত্যিকারের উপলব্ধি জন্মলাভ করে, এই সংস্কৃতির নানা বাঁকের প্রতি তারা যেন ভালোবাসা নিয়ে কাজ করতে পারে, আমাদের সমৃদ্ধ গ্রামীণ অহংকারটিকে যেন বিকশিত করতে ভূমিকা পালন করতে পারে এজন্য আমি আমার সারাজীবনের সঞ্চয় আপনাদের হাতে তুলে দিয়েছি।’

শাহিদা খাতুন আরো আশা করেছেন, আগামী দিনের বাঙালির সংস্কৃতি চচা করা এই ছাত্র, ছাত্রীদের মধ্যে ফকলোর চর্চা ও গবেষণা এবং অধ্যয়নের মাধ্যমে আবহমান কাল থেকে বাংলার গণমানুষের বহমান জীবনচর্চা ও তাদের লালিত জীবনঘনিষ্ঠ লোকজ সংস্কৃতি বাংলাদেশের সব ক্ষেত্রে ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আরো অনেক বেশি মর্যাদার সঙ্গে জায়গা করে নেবার উদ্যোগ এবং কাজে এই টাকাগুলো তিনি দান করেছেন।

শাহিদা খাতুন ট্রাস্ট ফান্ড চেক হস্তান্তরের এই বিরল উদ্যোগের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. জালাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবীর, তাদের দানের বিভাগ ফোকলোরের প্রধান মোহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সহকারী অধ্যাপক ড. মেহেদী উল্লাহ, বাংলা একাডেমির নামকরা লেখক ও উপ-পরিচালক (প্রকাশনা) আমিনুর রহমান সুলতানসহ বিভাগের সব অধ্যাপক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা।

শাহিদা খাতুনের ইচ্ছেনাসুরে, শাহিদা খাতুন ট্রাস্ট ফান্ডের টাকায় ২০২০-’২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গরীব ও অস্বচ্ছল ছাত্র, ছাত্রীদের মধ্যে চার বছরের সম্মান কোস বিএসএস অনাস, ফোকলোরে দুজনকে ও এমএসএস ফোকলোরে একজনকে মেধাবৃত্তি প্রদান করা হবে।

শাহিদা খাতুন ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত এই কৃতি নারী ফোকলোরবিদকে নিয়ে বাংলা সাহিত্যের অমর ফোকলোরবিদ ‘মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন পাঠকক্ষ’ ও ‘অধ্যাপক ড. মযহারুল ইসলাম গবেষণাগার’, ময়মনসিংহের খ্যাতিমান লোকসংগ্রাহক ‘চন্দ্রকুমার দে ফোকলোর জাদুঘর ও মোহাফেজখানা’র উদ্বোধন করা হয়েছে। তার সঙ্গে ছিলেন বিখ্যাত লেখক ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।

ওএস।

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

থাকবে না সরকারি ছুটি

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আজই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বক্তব্যের কিছু সময় পরই ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু

ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। সরকারি পর্যায়ের চুক্তির (জি টু জি) আওতায় বিপুল পরিমাণ চাল নিয়ে একটি পাকিস্তানি কার্গো জাহাজ বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এই প্রথমবার সরকার অনুমোদিত একটি কার্গো জাহাজ করাচির পোর্ট কাসিম থেকে বাংলাদেশের পথে রওনা দিয়েছে। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে মোট ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করছে, যা পাকিস্তানের ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিপি) সরবরাহ করছে।

চলতি ফেব্রুয়ারির শুরুতে এই চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়। দুই ধাপে চাল রপ্তানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রথম চালানের আওতায় ২৫ হাজার টন চাল ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। আগামী মার্চের শুরুতে দ্বিতীয় চালানে আরও ২৫ হাজার টন চাল পাঠানো হবে।

এবারের চালান বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ এটি ১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং করপোরেশনের (পিএনএসসি) কোনো জাহাজ সরকারি কার্গো নিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। এই ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সামুদ্রিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থগিত ছিল। এই উদ্যোগ দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে এবং সামুদ্রিক পথ ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরাসরি জাহাজ চলাচলের ফলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও সহজ হবে এবং দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া