শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আছে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা

বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থা যদি আমরা লক্ষ্য করি, তাহলে দেখা যাবে বছরে দুইবার ঋতু পরিবর্তনের সময় অথবা মৌসুমি বায়ু দিক পরিবর্তনের সময় বঙ্গোপসাগরে কিংবা আরও গভীরে মহাসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। এই নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে উত্তরে এগোয়। এটি উত্তর-পশিমে, উত্তর-পূর্বে যেতে পারে, সরাসরি উত্তরেও যেতে পারে। উত্তর-পশ্চিম হলে ভারতের উপকূলে আঘাত হানে। উত্তর-পূর্ব হলে মায়ানমারে আঘাত হানে। সরাসরি উত্তর কিংবা উত্তর-পশ্চিম কোনায় হলে বাংলাদেশে আঘাত হানে।

এটি কোন দিকে যাবে, বাতাসের চাপের দিক থেকে যেদিকে নিম্নচাপটি গতি বাড়ায় সেদিকে ঘূর্ণিঝড়টি রওনা দেয়। বছরের এই দুই সময়ে যদি সমুদ্রের পানির উত্তাপ ২৭ শতাংশ থাকে, তখন নিম্নচাপটি সমুদ্র থেকে প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করে। মনে রাখতে হবে, নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়েছে বলতে চারদিক থেকে বাতাস ধাবিত হচ্ছে, সমুদ্রের পানির উচ্চতা উপরে উঠছে। জোয়ার অস্বাভাবিক মাত্রায় হচ্ছে এবং ভাটাও অস্বাভাবিক মাত্রায় নিচে নেমে যাচ্ছে। এটি বলা যেতে পারে ভারতের দক্ষিণ এটি বলা যেতে পারে এটি ভারতের একেবারে দক্ষিণ কোনা থেকে মধ্যখানে বাংলাদেশ হয়ে মায়ানমারের দক্ষিণ পর্যন্ত যেকোনো জায়গায় আঘাত করতে পারে এবং নির্ভর করে বাতাসের গতিবেগের উপরে। এর শক্তি নির্ভর করে সমুদ্র থেকে কতটা শক্তি সে গ্রহণ করল। আমরা অনেক সময় দেখি নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং তারপর কোনদিকে থেমে আছে। যখন সে থেমে থাকে তখন সে আরও বেশি শক্তি সঞ্চয় করে।

এবারে মোখার কথা যদি বলি, ১০ থেকে ১২ দিন আগে থেকেই নিম্নচাপের কথা বলা হয়েছে। মহাকাশে যে ভূ-উপগ্রহগুলো আছে, সেগুলো থেকে ভূপৃষ্টে বা সমুদ্রপৃষ্ঠে ঘূর্ণিঝড়টি কতদূর নাগাদ শক্তিশালী হবে। সে অনুযায়ী সবগুলো পূর্বাভাস মোটামুটি সঠিক। তবে বলা বাহুল্য এই পূর্বাভাস কখনো অঙ্ক করে চলে না। দিক পরিবর্তন করে। কাজেই হয়তো একটি আনুমানিক দিক নির্দেশনা দেওয়া যায়।

এটি গেল বিজ্ঞানের ব্যাপার। মানুষকে যে পূর্বাভাস দেওয়া হবে, তাদেরকে যে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, এটি কিন্তু মানুষেরই ব্যবস্থাপনা। এই ব্যবস্থাপনায় আমি মনে করি অনেক গোলমাল আছে, অনেক উন্নতি করার ব্যাপার আছে। প্রথম কথা হচ্ছে, আমাদের আবহাওয়া দপ্তর পরিচালিত হয় সামরিক বিভাগের অধীনে অর্থাৎ মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্স। তারা নিয়ম কানুন সুক্ষ্মভাবে মেনে চলেন। কিন্তু পূর্বাভাসতো আর সূক্ষ্মভাবে মেনে চলবে না। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, পূর্বাভাস ১০০/১৫০ বছর আগে সমুদ্র জাহাজ চলাচলের জন্য প্রণীত হয়েছিল যেন জাহাজগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এই সমুদ্রগামী জাহাজকে মাছধরার ট্রলারকে আবহাওয়ার সতর্ক সংকেত দিলেতো আর কাজ হবে না। তাদের জন্য প্রয়োজন আছে। কিন্তু উপকূলে লক্ষ লক্ষ মানুষ বসবাস করে। তাদের জন্য পূর্বাভাসটুকু দিতে হবে।

আমাদের দেশে ১ থেকে ১১ আমি পুনরায় বলছি, ১ থেকে ১১ এর যে সতর্ক সংকেত এটি জাহাজের ক্যাপ্টেনের জন্য দেওয়া হয়। মানুষের জন্য দেওয়া হয় না। বাংলাদেশের ৪টি বন্দর অর্থাৎ মংলা বন্দর পায়রা বন্দর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দর এই চারটি বন্দরকে কেন্দ্র করে দেওয়া হয়। এর আগের ঘুর্ণিঝড়গুলো যদি আমরা দেখি, সতর্ক সংকেতগুলো বেশ গোলমেলে ছিল। তবে আমি বেশকিছু পরিবর্তন এসেছে। কক্সবাজারকে ১০ নম্বর সতর্ক সংকেত দিয়েছে। মংলা ও চট্টগ্রামকে ৮ নম্বর কিন্তু ঘূর্ণিঝড় চলে গেল মায়ানমারের দিকে। ঘূর্নিঝড়ের ১০ নম্বরে আমি ভুল ধরছি না। কিন্তু এটিতো জাহাজের ক্যাপ্টেনকে দেওয়া হলো। এর সঙ্গে জলোচ্ছ্বাসের খবরটুকু পরিষ্কার হতে হবে। কোন এলাকাতে জলোচ্ছ্বাস হবে, জলোচ্ছ্বাস কখন ল্যন্ড ফল করবে, এটি জানা দরকার। ভরা কাটালের সময় জলোচ্ছ্বাস আসে, পূর্ণ জোয়ারের সময় জলোচ্ছ্বাস আসে, তাহলে মহাবিপদ। ভাটার সময় যদি জলোচ্ছ্বাস আসে প্রভাবটা অনেক কম হয়। তাহলে বাতাসের গতিবেগ নিয়ে আমাদের এক ধরনের ভাবনা হবে।

জলোচ্ছ্বাসের বিষয় নিয়ে আরেক ধরনের ভাবনা হবে। আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার যে স্ট্যন্ডিং অর্ডার আছে, সে অনুযায়ী সঠিক হলেও সঠিক সংকেত যে সবসময় সঠিক কাজ করবে তা কিন্তু নয়। এই সংকেতগুলো সাধারণ মানুষের বোধগম্য করে দিতে হবে।

এর পরের কথা হচ্ছে আশ্রয় ব্যবস্থাপনা। ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত ব্যবহারের পরে আমাদের আশ্রয় ব্যবস্থাপনায় যাওয়ার কথা। খবরের কাগজে আমরা যতটকু দেখতে পাচ্ছি, অনলাইন অথবা ইন্টারনেটে যতটুকু দেখতে পেয়েছি, মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে চায়নি। তারা তাদের গুদাম বাড়িঘর ফেলে যেতে চায় না। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো সব জায়গায় পর্যাপ্ত নয়। তা ছাড়া, প্রশ্ন হচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্রে কখন যাব? ঘূর্ণিঝড় কখন আঘাত হানতে পারে? যেমন সতর্ক সংকেত অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে সম্ভাব্য সময়ের ১২/১৩ ঘণ্টা পরে। বিভিন্ন দেশে আমরা দেখি এরা ঘণ্টায় ঘণ্টায় আঘাত করে। তারপর ৪/৫ ঘণ্টা খবর নেই। আমি মনে করি, আজকের সময়ে এটি পর্যাপ্ত নয়। ভারত যদি এটি ঘন ঘন করে আপডেট দেখাতে পারে, তাহলে আমাদের এখানে হবে না কেন?

আমি মনে করি, এখানে আমাদের একটি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা আছে। আমাদের সকল দফতরগুলোতে একজন মহাপরিচালক নেতৃত্ব দেন। আবহাওয়া দপ্তরে কিন্তু একজন পরিচালক নেতৃত্ব দেন। মহাপরিচালক নেই এবং এটি বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের জন্য সঠিক হতে পারে। আমার কথা হচ্ছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে। বছরে কখনো একবার কখনো দুবার তিনবার হচ্ছে, এখন থেকে ১০/১৫ বছর পরে এর সংখ্যা আরও বাড়তে থাকবে। প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে। এই অদ্ভুত সতর্কতা সংকেত পদ্ধতি বদলাতে হবে। সতর্ক সংকেতগুলোতে সম্ভাব্য আক্রান্ত এলাকাগুলো দেখাতে হবে। এখন থেকে ঘূর্নিঝড়কে অর্থাৎ প্রাকৃতিক দূর্যোগগুলোকে মনে রেখে সম্পূর্ণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজানোর জন্য এখন থেকেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

ড. আইনুন নিশাত: ইমেরিটাস অধ্যাপক, সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

 

Header Ad
Header Ad

পোপ ফ্রান্সিসকে শেষ বিদায় জানাতে রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত

পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নিতে ইতালির রাজধানী রোমে পৌঁছেছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে রোম শহরে পা রাখেন শান্তিতে নোবেলজয়ী এই বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তি।

এর আগে, একই দিন দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে কাতার ত্যাগ করেন তিনি। দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান কাতারের প্রটোকল বিভাগের প্রধান ইব্রাহিম বিন ইউসুফ আবদুল্লাহ ফখরু।

রোমে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ভ্যাটিকান সিটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।

পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে যান ড. ইউনূস। এ সময় ভ্যাটিকান সিটির ভিকার জেনারেল এবং কার্ডিনাল মাউরো গাম্বেত্তি তাকে ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে আনুষ্ঠানিক শুভেচ্ছা জানান।

শনিবার সকালে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেবেন তিনি। অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ঐতিহাসিক সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে।

সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রোববার সকালে রোম ত্যাগ করবেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) 'বি' ইউনিটের (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ও আইন অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল চার টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ২১ টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর 'বি' ইউনিটে ৪৪০ টি আসনের বিপরীতে ২৩ হাজার ৭৯৩ জনের আবেদন পড়ে। সে হিসেবে আসন প্রতি ৫৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে।

'বি' ইউনিটে পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থী সাইফুল আয়মান বলেন, 'প্রশ্ন মোটামুটি সহজ হয়েছে। বাংলা এবং সাধারণ জ্ঞান অংশটা একটু ইজি মনে হয়েছে। ইংরেজি প্রশ্ন একটু কঠিন মনে হয়েছে সব মিলিয়ে প্রশ্ন স্যান্ডার্ট ছিল।'

আরেক পরীক্ষার্থী দিতে আদনান ইসলাম বলেন, 'আলহামদুলিল্লাহ! আজকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'বি' ইউনিটের পরীক্ষা মোটামুটি ভালোই হয়েছে। আমার কাছে ফিজিক্স এবং কেমিস্ট্রিটা একটু কঠিন মনে হয়েছে। আমি আশাবাদী ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে।'

কেন্দ্র পরিদর্শন করতে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, 'আজকে 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম সমাপ্তি হয়েছো দিকে এগোচ্ছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমরা উচ্ছ্বাস দেখতে পারছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, সাংবাদিকসহ অন্যান্য সকল সংগঠনগুলো কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল থেকেই ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছে। পরীক্ষা কার্যক্রম যাতে সুন্দর হয়, সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তৎপর। আজকের পরীক্ষা শেষ হওয়ার মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় তার স্বতন্ত্র ভর্তি কার্যক্রম সুন্দরভাবে সম্পাদন করতে পারবে বলে আমি আশা করি।'

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, 'আমরা এর আগেও সফলভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করেছি, এদিক থেকে আমাদের অভিজ্ঞতাও রয়েছে। আর আমরা সে অভিজ্ঞতাকে এ বছরও অ্যাপ্লাই করেছি। প্রত্যাশা করছি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।'

কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, 'স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা যদি পরের বার এভাবেই স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেই তবে চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে পরিকল্পনা রয়েছে। গত পরীক্ষায় রাতের বেলায় অনেক ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনতে পেরেছি তবে এইবার আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি এবং শিক্ষার্থীরাও যথেষ্ট সাহায্য করেছে। আমরা পুলিশ - প্রশাসনের যথেষ্ট সাহায্য পেয়েছি এবং শহরের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।'

'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, 'আমরা আগেও এককভাবে পরীক্ষা নিয়েছি। চার বছর পর আবারও ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছি আমাদের মনে হয় আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পেলে আমাদের জন্য ভালো হতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, ইউনিট সকল প্রধান, শিক্ষকবৃন্দ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা- কর্মচারীদের নিয়ে আমরা টিম ওয়ার্ক করেছি। প্রতিটা সেক্টরে আমরা প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করেছি। যারা কেন্দ্র পরিদর্শক আছেন তাদের সাথেও আমরা অনলাইনে ব্রিফ করেছি।'

উল্লেখ্য, চার বছর পর গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। 'এ', 'বি' এবং 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে বোমা বিস্ফোরণে নিরাপত্তা বাহিনীর ৪ সদস্য নিহত

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় ভয়াবহ গাড়িবোমা বিস্ফোরণে ‘ফ্রন্টিয়ার কনস্ট্যাবুলারি’র (এফসি) চার সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে কোয়েটার মারগেট এলাকায়। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিনজন।

পুলিশ জানায়, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এফসির একটি যান লক্ষ্য করে রাস্তার পাশে পেতে রাখা একটি শক্তিশালী ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আরও বিস্ফোরকের খোঁজ করে।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন সুবেদার শাহজাদ আমিন, নায়েব সুবেদার আব্বাস, সিপাহী খলিল ও সিপাহী জাহিদ। আহতদের মধ্যে আছেন ল্যান্স নায়েক জাফর, ল্যান্স নায়েক ফারুক ও সিপাহী খুররম সেলিম—তাদের সবাইকে তাৎক্ষণিকভাবে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে এবং সন্দেহভাজনদের ধরতে জোর তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের প্রেক্ষাপটে এই হামলাকে প্রতিশোধমূলক বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

এদিকে হামলার ঘটনায় গভীর শোক ও নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি। প্রেসিডেন্ট হাউস থেকে দেওয়া বিবৃতিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলা হয়, “পুরো জাতি শহীদদের স্যালুট জানায়, এবং তাদের আত্মত্যাগ দেশের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

উল্লেখ্য, গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স ২০২৫-এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে পাকিস্তান সন্ত্রাসপ্রবণ দেশগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। সেখানে জানানো হয়, ২০২৪ সালে সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানে নিহতের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮১ জনে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পোপ ফ্রান্সিসকে শেষ বিদায় জানাতে রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
পাকিস্তানে বোমা বিস্ফোরণে নিরাপত্তা বাহিনীর ৪ সদস্য নিহত
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
নওগাঁয় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ১
শিগগিরই স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে সরকার: প্রেস সচিব
টাঙ্গাইলে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মাছ ব্যবসায়ী খুন
সৌদিতে মক্কার কাছেই জেনিফার লোপেজের নাচ-গান, ক্ষুব্ধ মুসল্লিরা
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে, যা বলল জাতিসংঘ
হবিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
ময়ূখ রঞ্জনকে ‘গাধা’ বললেন অভিনেতা ঋত্বিক!
পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ৫ দিনের রিমান্ডে
ভারতীয় সেনার গুলিতে লস্করের শীর্ষ কমান্ডার আলতাফ লালি নিহত
ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা ‘সর্বাত্মক যুদ্ধে’ রূপ নিতে পারে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ
বাইক দুর্ঘটনায় প্রেমিক-প্রেমিকা নিহত
ঝিনাইদহে ট্রেন থেকে কোটি টাকার হেরোইন জব্দ
জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ
অপরাধী আ.লীগ নেতাদের জামাই আদরে আদালতে হাজির করা হচ্ছে
জুমার নামাজের ফজিলত, গুরুত্ব ও হাদিস