বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

মধ্যম আয়ের বাংলাদেশে উদ্ভাবনের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে

আমাদের দেশ নানামুখী চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে। এখানে অর্থনীতি, সুশাসন, রাজনীতি- সব জায়গায় একটি সংকট যেমন স্পষ্ট, তেমনি এর সঙ্গে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ একত্র হয়ে সমস্যা আরও তীব্রতর হচ্ছে। কিন্তু এসব সমস্যা তো আমাদেরই সমাধান করে এগোতে হবে। তাই এর মধ্যেও সমাধানমুখী চিন্তা লালন করা, সফলতা থেকে শিক্ষা নেওয়া, সংকট মোকাবিলায় নিজের মধ্যে প্রেরণা তৈরি করা- সব মিলিয়েই আমাদের ভাবতে হবে।

পরিবর্তন একটি নিত্য প্রক্রিয়া। অর্ধশতাধিক বছর ধরে আমরা নানামুখী পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। আগের সমস্যা আর এখনকার চ্যালেঞ্জ এক নয়। পুরোনো ও নতুন চ্যালেঞ্জ সমাধানে নিজের মধ্যে এক ধরনের সংকল্প ও পরিবর্তনের তাগিদ অনুভব করা জরুরি। অন্যদের মধ্যেও এই তাগাদা তৈরি করা জরুরি। সংকট সমাধানে সে জন্য উদ্ভাবনী চিন্তা, সুনির্দিষ্ট কৌশলও এর বাইরে নয়। ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষের জীবন পরিবর্তন করার চ্যালেঞ্জ এখনো স্পষ্ট। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও নারীর অধিকারসম্পন্ন সুন্দর সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখতে হবে।

বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন একটি সংকট। সুপেয় পানির সংকট কোথাও কোথাও বড় সমস্যা। নগর দারিদ্র্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর উন্নম্নয়ন- সব ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করছি এবং এগোচ্ছি। সব সমাধান আমরা জেনে গেছি- এমন আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। প্রতিনিয়ত কাজ করে যাওয়া এবং তার কার্যকারিতার পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া মানুষের কর্মসংস্থানেও এটি ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। আড়ংয়ের উদাহরণ নেওয়া যায়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ যেটি ঘটেছে সেটি হলো, গ্রামীণ নারীদের সুযোগ তৈরি।

বলাবাহুল্য, সময়ের আলোকে এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। ক্ষুদ্রঋণ এখন আর সেই অর্থে ক্ষুদ্র নেই। একটা সময় ছিল, যখন গ্রামের নারীদের অল্প কিছু ঋণ দেওয়া হতো এবং কিস্তিতে তারা সেটি শোধ করতেন। এখন ক্ষুদ্রঋণের কয়েকটি ধরন তৈরি হয়েছে। যারা কিছুটা অবস্থাপন্ন, ব্যবসার জন্য তাদের ঋণ দেওয়ার কার্যক্রম হলো প্রগতি। প্রগতি এসএমই অর্থাৎ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণ দেয়। তারা প্রয়োজন অনুসারে অর্থ পেয়ে থাকেন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম ইউপিজি-আল্ট্রা পুওর গ্র্যাজুয়েশন। অর্থাৎ যারা একেবারে হতদরিদ্র তাদের দারিদ্র্য থেকে বের করার কার্যক্রম রয়েছে। ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আমরা লক্ষ্য করছি।

আগামীতেও সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থার যথাযথ ভূমিকার প্রয়োজন রয়েছে। সে ক্ষেত্রে সরকারের দিক থেকে আগ্রহ লাগবে। যেমন সরকার শিক্ষা খাতে ব্যাপক ব্যয় করছে। তারপরও সেখানে সমস্যা রয়ে গেছে। বিশেষ করে শিক্ষক প্রশিক্ষণের কথা বলা যায়। সরকার চাইলে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা করা উচিত। নগর স্বাস্থ্য, বিশেষ করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের যে সাংগঠনিক দক্ষতা রয়েছে, সেটি কাজে লাগাতে পারে। আবার বিচার ব্যবস্থায় মামলার যে জট রয়েছে, সেখানে মামলাজট কমাতে এডিআর তথা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে উন্নয়ন সংস্থাগুলোকেও কাজে লাগাতে পারে। আমরা জানি, বিমানবন্দরে আমাদের বিশেষ অভিবাসী কর্নার রয়েছে। সেখানে কোনো অভিবাসী সমস্যায় পড়লে সরকারের দায়িত্বশীলরাই সমাধানের জন্য আমাদের কাছে পাঠান। ফলে উন্নয়ন সংস্থাগুলো এক ধরনের ভূমিকা রাখছে। সরকার নিয়ন্ত্রণমূলক মানসিকতা না নিয়ে, তাদের উপর আস্থা রেখে কাজে লাগালে নিঃসন্দেহে আরও ভালো উদাহরণ তৈরি হবে। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের পরিবর্তনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেরও ব্যাপক অবদান রয়েছে।

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান: নির্বাহী চেয়ারম্যান, পিপিআরসি ও চেয়ারম্যান, ব্র্যাক

এসএন

Header Ad
Header Ad

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে আজ বিএনপির র‌্যালি, রাজধানীতে ব্যাপক প্রস্তুতি

ছবি: সংগৃহীত

গাজা ও রাফায় ইসরায়েলের চালানো নৃশংস গণহত্যা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি র‌্যালির আয়োজন করেছে দলটি।

বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিকেল ৪টায় র‌্যালি শুরু হবে। এটি কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মগবাজার হয়ে বাংলামটরে গিয়ে শেষ হবে। র‌্যালিতে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দীর্ঘদিন পর আয়োজিত এই কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। ঢাকা মহানগর বিএনপির পাশাপাশি বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা গতকাল দিনভর প্রস্তুতি সভায় অংশ নেন। এই কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে দায়িত্বশীল নেতাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজিত সভায় ২৬টি থানা, ৭১টি ওয়ার্ড এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দক্ষিণ মহানগর বিএনপিও একইভাবে যৌথ সভা করে কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রস্তুতি নেয়। নেতাকর্মীরা পাড়া-মহল্লায় মাইকিং করে জনসাধারণকে র‌্যালিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।

এ বিষয়ে মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, “ইসরায়েলের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতা থেকে নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ— কেউই রেহাই পাচ্ছে না। বাড়িঘর ধ্বংসের পাশাপাশি হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। এই বর্বরতা ও গণহত্যার প্রতিবাদ জানাতেই আমরা এই কর্মসূচি পালন করছি।”

ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি ও ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদ জানাতে বিএনপির আজকের কর্মসূচিতে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেন থেকে ছোড়া ব্যালিস্টিক মিসাইল সৌদি আরবে পড়েছে, লক্ষ্য ছিল ইসরায়েল

ছবি: সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সৌদি আরবের ভেতরে এসে পড়েছে। লক্ষ্য ছিল ইসরায়েল, তবে মাঝপথেই সেটি সৌদিতে পড়ে যায় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা আনাদোলু ও টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আনাদোলু জানিয়েছে, বুধবার ইয়েমেন থেকে ইসরায়েল অভিমুখে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র সৌদি আরবে এসে পড়ে। ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা কেএএন জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েল লক্ষ্য করে ছোড়া হলেও তা সৌদি আরবের মাটিতে পড়েছে। তবে এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি।

টাইমস অব ইসরায়েল-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল— যা সম্ভবত ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়েছিল— তা সৌদি আরবের অভ্যন্তরে গিয়ে পড়ে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি শনাক্ত করলেও তা কোনো হুমকি সৃষ্টি করেনি বলে সতর্কতা সাইরেনও বাজানো হয়নি।

এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সৌদি আরব কিংবা হুথি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখলে রেখে নিজেদের দেশের বৈধ বাহিনী হিসেবে দাবি করে আসছে। ২০২৩ সাল থেকে হুথিরা লোহিত সাগর ও আশপাশের জলপথে বাণিজ্যিক জাহাজ ও ইসরায়েল লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালিয়ে আসছে।

হুথি গোষ্ঠী বলছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করতেই এসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় ২০৯ জন উদ্ধার, আটক ১২ পাচারকারী

ছবি: সংগৃহীত

সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় ২০৯ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। বুধবার (৮ এপ্রিল) রাতে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন এলাকার ছেরাদ্বীপের পূর্ব পাশে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে মানবপাচারকারী চক্রের ১২ সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কোস্টগার্ডের দায়ের করা মামলার সূত্র ধরে জানা যায়, বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে টহলরত অবস্থায় একটি পুরাতন ইঞ্জিনচালিত কাঠের বোটের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। পরে সেটিকে অনুসরণ করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছেরাদ্বীপের পূর্ব পাশে আটক করা হয়।

বোটে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাদের অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় পাচার করা হচ্ছিল। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৪২ জন বাঙালি পুরুষ এবং ১৬৭ জন রোহিঙ্গা রয়েছেন। রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৬৭ জন পুরুষ, ৭২ জন নারী এবং ২৮ জন শিশু রয়েছে।

এ ঘটনায় কোস্টগার্ড বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করেছে। পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মানবপাচারের এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে উপকূলীয় এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান ওসি গিয়াস উদ্দিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে আজ বিএনপির র‌্যালি, রাজধানীতে ব্যাপক প্রস্তুতি
ইয়েমেন থেকে ছোড়া ব্যালিস্টিক মিসাইল সৌদি আরবে পড়েছে, লক্ষ্য ছিল ইসরায়েল
সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় ২০৯ জন উদ্ধার, আটক ১২ পাচারকারী
পাল্টা শুল্ক স্থগিত করায় ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার ধন্যবাদ, ৯০ দিনের জন্য শুল্ক থাকছে ১০ শতাংশ
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ৩৮, নিখোঁজ ৩৪
শুল্ক আরোপের পর বিশ্বনেতারা আমার পশ্চাদ্দেশে চুমু খাচ্ছেন: ট্রাম্প
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে গণধোলাইয়ে দুই চাঁদাবাজ নিহত
সাবেক মেয়র তাপসের সন্ধান দিলেন ডিবি হারুন
টাঙ্গাইলে ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধদের নামাজ আদায়
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পেলেন ড. খলিলুর রহমান
ভারতে ৫ বছর সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৬ নারী
বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল ভারত
২১ এপ্রিল কাতার সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
১৬২ জনকে নিয়োগ দেবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর
বিমানে সহযাত্রীর শরীরে মূত্রত্যাগ করলেন ভারতীয় মাতাল যাত্রী!
এ বছর ৩৬ টাকায় ধান ও ৪৯ টাকায় চাল কিনবে সরকার
আওয়ামী লীগের বিচার এবং নিবন্ধন বাতিলে একমত হেফাজত ও এনসিপি
দুর্বল শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করা হবে: গভর্নর
গুলশানের এক কিলোমিটার রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করল ডিএনসিসি
যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশের জবাবে ৮৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করল চীন