বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

স্বপ্রণোদিত হয়েই সংস্কার করা উচিত

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েছে এবং ক্রমান্বয়ে তা নিচের দিকে যাচ্ছে। এটি আসলে ভালো অবস্থা নয়, কাঙ্ক্ষিত নয়। এ অবস্থার কারণ, রপ্তানি আয় যতটুকু বাড়ছে, আমদানি ব্যয় তার চেয়ে অনেক বেশি হারে বাড়ছে। এর উপর রেমিট্যান্স প্রবাহ নেতিবাচক। এর ফলে চলতি হিসাবে বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যা আমাদের জন্য উদ্বেগজনক।

আমাদের শিল্প উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল, জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য বিশ্ববাজার থেকে আমদানি করতে হয়। এ ছাড়া অন্যান্য ভোগ্যপণ্য ও বিলাসী পণ্য তো রয়েছেই। যে হারে আমদানি ব্যয় বাড়ছে, তাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অবশ্যই একটা স্বস্তিকর অবস্থায় থাকা খুব প্রয়োজন। কিন্তু আমরা দেখলাম, গত এক বছরের মধ্যে রিজার্ভ খুব দ্রুত নেমে গেছে। সে পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণ চেয়েছে। আগে থেকেই এ ঋণ চাওয়া হয়েছে, যা একটা ভালো দিক। সরকার বুঝতে পেরেছে, ঘাটতিটা আরও বেড়েও যেতে পারে। শ্রীলঙ্কা সংকটে পড়ে যাওয়ার পর আইএমএফের কাছে ধরনা দিয়েছে। তাদের অর্থ পেতে অনেক সময় লেগেছে। আমাদের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো নয়। তারপরও চিন্তা বা উদ্বেগের কিছু দিক তৈরি হয়েছে। বৈদেশিক খাত অনেকটাই বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত। কাজেই এখানে আমাদের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয় রয়েছে।

দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, আইএমএফ কিছু শর্তসাপেক্ষে ঋণ দিয়ে থাকে। বিভিন্ন দেশ যখন তাদের কাছে ঋণের জন্য যায়, তখন তারা কিছু বিষয় দেখে থাকে। আইএমএফ নিশ্চিত করতে চায়, ঋণগ্রহীতা দেশ তাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার উন্নতি করবে এবং তারা ফেরত দিতে পারবে। এ জন্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কিছু শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজন পড়ে। বাংলাদেশ বা যেকোনো স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, সুশাসন ও অনুশাসন সবসময় ভালো থাকে, তা নয়। তাই তাদের ঋণে শর্ত থাকে। বাংলাদেশ আগেও যখন আইএমএফের ঋণ নিয়েছে, তখনো শর্ত মেনেই ঋণ নিয়েছে।

শর্তের মধ্যে মোটাদাগে কী কী থাকে, আমরা সবাই জানি। মূলত তারা কিছু সংস্কারের কথা বলে। অর্থনীতি সম্পর্কিত প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। এবার তারা বলেছে, বাংলাদেশের জন্য আর্থিক খাত, রাজস্ব খাত, জ্বালানি খাত ইত্যাদিতে এক ধরনের সংস্কার আনতে হবে। সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হবে। অর্থনীতিতে যেকোনো নাজুক অবস্থা মোকাবিলা করতে এবং কাঠামোগত পরিবর্তনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। উন্নয়ন যেন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়, পরিবেশবান্ধব হয়- সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। আর্থিক খাত, বিশেষ করে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমানো এবং বিভিন্ন দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতার কথা বলেছে তারা। এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় বলা হয়েছে, তা হচ্ছে মূল্যস্ফীতি কমানো এবং আধুনিক মুদ্রানীতি কাঠামো। এটি বলতে গিয়ে তারা সুশাসন নিশ্চিত করা, সুদের হারের সীমা তুলে দেওয়া এবং বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছে।

তারা বলেছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা যাতে বজায় থাকে এবং সম্ভাবনা যাতে আরও এগিয়ে নেওয়া যায়, সে জন্য সহায়ক বাণিজ্য খাত তৈরি করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের পদক্ষেপ নিতে হবে। আর্থিক খাত শক্তিশালী ও বৈচিত্র্যময় করা দরকার। মানবসম্পদ উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে হবে। সুশাসনের কথা তো তারা বারবারই বলেছে। এগুলোর মাধ্যমে যাতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়- সে কথা তারা বলেছে।

আইএমএফ তিনটি উইন্ডোতে ঋণ দিচ্ছে। এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ), এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইইএফ) এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ)। আরএসএফ নতুন একটা উইনডো, যা জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত। এতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং এর সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ব্যবস্থা শক্তিশালী করার কথা বলা হয়েছে। এর মাধ্যমে এমন একটা অবস্থা থাকতে হবে, যাতে জলবায়ু সম্পর্কিত অনেক বিনিয়োগ হয়। জলবায়ু বা পরিবেশবান্ধব শিল্প-কারখানা করতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানি কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাড়াতে হবে। শিল্প-কারখানা থেকে দূষণ বন্ধ করতে হবে।

শুরুতে আমি রাজস্ব খাতের কথা বলেছিলাম। কর-জিডিপির অনুপাত আমাদের ৯ শতাংশের কম। এত কম কর-জিডিপির অনুপাত থাকলে আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে কষ্ট হবে। এ ছাড়া দরিদ্র মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নে সমস্যা হবে। এজন্য আমাদের রাজস্ব বাড়াতে হবে। কিন্তু আমাদের তো সে অবস্থা নেই। সেই শক্তি কিন্তু আমরা এখনো অর্জন করতে পারিনি। সেজন্য প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বাড়ানো দরকার বলে আইএমএফ মনে করছে। আইএমএফ এসব শর্ত দিচ্ছে তাদের ম্যান্ডেটের অংশ হিসেবে। কিন্তু এগুলো তো আমাদের নিজেদেরই করার কথা। বাংলাদেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং অর্থনৈতিক ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করতে সংস্কার কার্যক্রম তো একটা চলমান বিষয় হওয়া উচিত।

দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এর আগে আমাদের যেসব প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার হয়েছে, সেগুলো দাতা সংস্থাগুলোর ঋণের শর্তের কারণে হয়েছে। আমরা স্বপ্রণোদিত হয়ে সেগুলো করতে পারিনি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও যদি আমরা কারো শর্তের কারণে সংস্কার করি, তাহলে তো আমাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার যে সক্ষমতা রয়েছে, তা বোঝা যাবে না। আমরা কেন দাতা সংস্থার অপেক্ষায় থাকব? তাদের টাকা নেব, তার বিনিময়ে সংস্কার করব- এট তো শোভনীয় নয়। আমরা যদি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন করতে চাই, তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং সুশাসন নিশ্চিত করার কাজ নিজেদেরই করতে হবে। সেটা দুঃখজনকভাবে হয়নি।

এখন মনে করা হচ্ছে, আইএমএফ ঋণের জন্য যেসব শর্ত দিয়েছে, সেগুলো করতেই হবে। তাদের ঋণের অর্থ একবারে আসবে না। চার বছর ধরে আসবে সাতটা কিস্তিতে। একেকটা কিস্তির পর কোন বিষয়ে কী অর্জিত হলো দেখে পরের কিস্তি ছাড় করা হবে।
ভর্তুকির বিষয়ে আইএমএফের বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়নি। ভর্তুকি সার্বিকভাবে ভালো নয়। এতে সম্পদের অপচয় হয়। তবে আমাদের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা খাতের জন্য কিছুদিন পর্যন্ত প্রয়োজন অনুসারে ভর্তুকি দিতেই হবে। এ ক্ষেত্রে ভর্তুকি বন্ধ করা ঠিক হবে না।

সব মিলিয়ে আশা করি, এখন যে ঋণটা দেওয়া হবে, তার মাধ্যমে অর্থনীতিতে আশ্বস্ত হওয়ার মতো একটা অবস্থা তৈরি হবে। ঋণের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারব- এটাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা। সবশেষে আবারও বলব, বাংলাদেশকে নিজে থেকে স্বপ্রণোদিত হয়ে সংস্কার কর্মসূচি নেওয়া ও বাস্তবায়ন করা দরকার।

ড.ফাহমিদা খাতুন: নির্বাহী পরিচালক, সিপিডি

এসএন

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪