১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে ২০১৮ সালের পর খালেদা জিয়া প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সিলেট সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে সুফি সাধক হজরত শাহজালাল (র.) ও হজরত শাহপরানের (র.) মাজার জিয়ারত শেষে সেদিন রাতেই আবার ঢাকা ফিরে আসেন। সেটিই ছিল খালেদার জিয়ার সর্বশেষ সফর। এর ছয় বছর ৯ মাসেরও বেশি সময় পর আজ বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা রয়েছে খালেদা জিয়ার। এই দীর্ঘ সময় পর এটিই তার প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ।
অন্যদিকে দীর্ঘ ১২ বছর পর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এর আগে সর্বশেষ ২০১২ সালে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) এ বি এম আবদুস সাত্তার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে খালেদা জিয়াকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। আগামীকাল (আজ) বিকেল ৩টায় তিনি গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা হবেন।’
গত মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব খালেদা জিয়ার সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান ও অন্য পদমর্যাদার সাবেক সামরিক কর্মকর্তারাসহ ২৬ নেতার নামে একই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছে।। বিগত সময়ে দলীয়ভাবে এতসংখ্যক নেতা আমন্ত্রণ পেতেন না। খালেদা জিয়ার পাশাপাশি ২০১২ সালের পর এবারই প্রথম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার কথা থাকলেও শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে সফর পিছিয়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে তার যুক্তরাজ্যের ভিসা হয়েছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও ঠিক করা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ অন্তত ১৬ ব্যক্তি তার সফরসঙ্গী হবেন।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার প্রায় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসকদের অনুমতিসাপেক্ষে খুব শিগগির তিনি বিদেশে যাবেন।’