শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জলবায়ু ও আগামীর বাংলাদেশ

বিশ্বের প্রতিটি দেশ বিজ্ঞানসম্মত সমীক্ষার ভিত্তিতে উষ্ণতা বাড়ার প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে একমত হয়েছে। ইতিমধ্যে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়েছে এবং ২০৩০ সাল নাগাদ ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। ২০৫০ সাল নাগাদ ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যেতে পারে। শিল্পায়ন শুরু হওয়ার সময় থেকে হিসাব ধরে এই তাপমাত্রা বাড়ার কথা বলা হচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে ১ দশমিক ৫ বা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস খুব একটা বড় সংখ্যা নয়। কিন্তু এতটুকু বাড়লেই বিশ্বের বায়ুমণ্ডলের সঞ্চালনে বিরাট পরিবর্তন আসবে। ইতিমধ্যে আমরা লক্ষ করছি, ঋতুর সময় বদলে যাচ্ছে। যখন বৃষ্টি হওয়ার সময়, অর্থাৎ বর্ষাকালে স্বাভাবিক বৃষ্টির তুলনায় অনেক কম বৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষা ঋতুর বেশ আগে থেকে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। কোনো কোনো বছর বর্ষাকাল প্রলম্বিত হয়ে শরতেও বৃষ্টি হচ্ছে। এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে ফসলে। বন্যার প্রকোপ বাড়ছে, একই সঙ্গে খরার প্রকোপ বাড়ছে।

এসব কারণে ভবিষ্যতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খাদ্যঘাটতি দেখা দিতে পারে। একইসঙ্গে অল্প সময়ে প্রচণ্ড বৃষ্টি হতে পারে। এতে নগরগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দেবে। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ছে। জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়ছে। এর ফলে উপকূলবর্তী নিচু জায়গা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের প্রকোপ ও মাত্রা বাড়তে পারে। অর্থাৎ নিচু দ্বীপগুলো এবং উপকূলবর্তী নিচু এলাকা মানুষের বসবাসের যোগ্য থাকবে না। উষ্ণতা বাড়ার প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে ১৯৯২ সালে একটি আন্তর্জাতিক আইন চূড়ান্ত করা হয় এবং পৃথিবীর সব দেশ এটি মেনে চলার জন্য অঙ্গীকার করেছে। বাংলাদেশও বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মোটাদাগে সাতটি বিষয় নিয়ে বিশ্ব এগোতে চাইছে। এই যাত্রায় আমাদের অংশগ্রহণ কতটা সক্রিয়, তা নিয়ে কিছু বলছি। প্রথমত, যে গ্যাসগুলো বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ানোর জন্য দায়ী, সেগুলোর নিঃসরণ প্রশমন করা। এ দায়িত্ব মূলত উন্নত বিশ্বকে পালন করতে হবে। কারণ, তারাই মূলত প্রধান উদ্গিরণকারী। আমরা যত্সামান্য পরিমাণ গ্যাস উৎপাদন করি। এ গ্যাসগুলো প্রধানত কলকারখানা, যানবাহন, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও কৃষিকাজে উৎপাদিত হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে দেশগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে, তার মধ্য বাংলাদেশ অন্যতম।| প্রধান উন্নতির অগ্রযাত্রায় এবং শিল্পায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য আমাদের আরও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। তবে আমরা যদি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে মনোযোগ দিই এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করি, তাহলে গ্যাস নিঃসরণ প্রশমনের কাজ কিছুটা হলেও করা সম্ভব। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ২০৩০ সাল নাগাদ গ্যাস নিঃসরণ শতকরা ৫ ভাগ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, যে প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছি তা রক্ষার জন্য কোনো রোডম্যাপ বা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আমরা করেছি কি? এ কাজে অনেক মন্ত্রণালয়কে তৎপর হতে হবে। আমার প্রস্তাব হচ্ছে, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা কতটুকু এগোলাম, সে বিষয়ে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করা উচিত। সময়টা এ কারণে নির্ধারণ করেছি যে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বৈশ্বিক সম্মেলন হয় এবং সেখানে যেন আমাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে পারি।

বৈশ্বিক পর্যায়ে আলোচনার দ্বিতীয় বিষয়টি হলো বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে, তা মোকাবিলা করার লক্ষ্যে সক্ষমতা অর্জন করা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে দেশগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম প্রধান দেশ। কাজেই অভিযোজনের কাজে সক্ষমতা অর্জন অত্যন্ত জরুরি। এ কাজে জাতীয় মহাপরিকল্পনা তৈরি হয়েছে। এ কাজে সরকারের প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের যথোপযুক্ত ভূমিকা কাম্য। এখানেও আমার প্রশ্ন, এ কাজে কোনো রোডম্যাপ তৈরি হয়েছে কি এবং অভিযোজনের মহাপরিকল্পনা কতটুকু বাস্তবায়ন করা হলো, তা কেউ পর্যালোচনা করছে কি?

জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বৈশ্বিক কর্মকাণ্ডে তৃতীয় বিষয়টি হলো অর্থায়ন। এ লক্ষ্যে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো অর্থ জোগানের দায়িত্ব মেনে নিয়েছে। অর্থাৎ প্রধান দূষণকারী দেশগুলোর ঘাড়ে এ দায়িত্ব বর্তেছে। প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার জোগান দেওয়ার কথা। ৭০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি মিলেছে। টাকার পরিমাণ অনেক, কিন্তু এর বিতরণপ্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল। এই বৈশ্বিক অর্থায়নপ্রক্রিয়ায় অর্থ লাভের ক্ষেত্রে আমাদের তৎপরতা বাড়াতে হবে, দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং অর্থ ব্যবহারের বৈশ্বিক নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে। এ কাজেও সব মন্ত্রণালয়কে এগিয়ে আসতে হবে। অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে আমাদের সাফল্য কতটুকু এবং কোথায় আমাদের অগ্রগতি আটকে যাচ্ছে, তা পর্যালোচনা করতে হবে।

যে সাতটি বিষয়ের কথা বলেছিলাম, তার অন্য তিনটি হচ্ছে দক্ষতা অর্জন, প্রযুক্তি আহরণ এবং বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা বা জবাবদিহি অর্জন। এ তিনটি কাজেও বিশ্ব সহযোগিতা করতে প্রস্তুত, কিন্তু তাদের সাহায্য গ্রহণে আমরা কতটুকু কার্যকর, তা হিসাব–নিকাশ করা উচিত।

সপ্তম বিষয়টি হচ্ছে, অভিযোজন ও প্রশমনের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ। ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তির মাধ্যমে বিশ্ব বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশ মনে করছে, এই লক্ষ্যমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নামিয়ে আনা উচিত। আমি মনে করি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিটি বিরূপ ক্রিয়া বিবেচনায় এনে বাংলাদেশের উচিত অভিযোজনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা। পৃথিবীর প্রতিটি দেশ তার অবস্থানের ভিত্তিতে নিজের দেশের জন্য অভিযোজনের লক্ষ্য ঠিক করে নিতে পারে এবং পরে সব দেশের লক্ষ্যমাত্রা মিলিয়ে একটি বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা যেতে পারে। আমার আশা থাকল যে বাংলাদেশ এ কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং জাতীয়ভাবে তথা বৈশ্বিক পর্যায়ে উপযুক্ত ভূমিকা পালন করবে।

লেখক: ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক

 

Header Ad

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন- মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)।

জানা গেছে, শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির ৬টি ডাবল ডেকার বাস ও ৩টি মাইক্রোবাসে করে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামীণ আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় উত্তর পেলাইদ গ্রামের উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির ডাবল ডেকার একটি বাস পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শে আসে। এ সময় বাসটি বিদ্যুতায়িত হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা জরুরি বিভাগে যাচ্ছি।

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ