রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

জলবায়ু ও আগামীর বাংলাদেশ

বিশ্বের প্রতিটি দেশ বিজ্ঞানসম্মত সমীক্ষার ভিত্তিতে উষ্ণতা বাড়ার প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে একমত হয়েছে। ইতিমধ্যে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়েছে এবং ২০৩০ সাল নাগাদ ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। ২০৫০ সাল নাগাদ ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যেতে পারে। শিল্পায়ন শুরু হওয়ার সময় থেকে হিসাব ধরে এই তাপমাত্রা বাড়ার কথা বলা হচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে ১ দশমিক ৫ বা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস খুব একটা বড় সংখ্যা নয়। কিন্তু এতটুকু বাড়লেই বিশ্বের বায়ুমণ্ডলের সঞ্চালনে বিরাট পরিবর্তন আসবে। ইতিমধ্যে আমরা লক্ষ করছি, ঋতুর সময় বদলে যাচ্ছে। যখন বৃষ্টি হওয়ার সময়, অর্থাৎ বর্ষাকালে স্বাভাবিক বৃষ্টির তুলনায় অনেক কম বৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষা ঋতুর বেশ আগে থেকে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। কোনো কোনো বছর বর্ষাকাল প্রলম্বিত হয়ে শরতেও বৃষ্টি হচ্ছে। এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে ফসলে। বন্যার প্রকোপ বাড়ছে, একই সঙ্গে খরার প্রকোপ বাড়ছে।

এসব কারণে ভবিষ্যতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খাদ্যঘাটতি দেখা দিতে পারে। একইসঙ্গে অল্প সময়ে প্রচণ্ড বৃষ্টি হতে পারে। এতে নগরগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দেবে। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ছে। জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়ছে। এর ফলে উপকূলবর্তী নিচু জায়গা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের প্রকোপ ও মাত্রা বাড়তে পারে। অর্থাৎ নিচু দ্বীপগুলো এবং উপকূলবর্তী নিচু এলাকা মানুষের বসবাসের যোগ্য থাকবে না। উষ্ণতা বাড়ার প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে ১৯৯২ সালে একটি আন্তর্জাতিক আইন চূড়ান্ত করা হয় এবং পৃথিবীর সব দেশ এটি মেনে চলার জন্য অঙ্গীকার করেছে। বাংলাদেশও বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মোটাদাগে সাতটি বিষয় নিয়ে বিশ্ব এগোতে চাইছে। এই যাত্রায় আমাদের অংশগ্রহণ কতটা সক্রিয়, তা নিয়ে কিছু বলছি। প্রথমত, যে গ্যাসগুলো বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ানোর জন্য দায়ী, সেগুলোর নিঃসরণ প্রশমন করা। এ দায়িত্ব মূলত উন্নত বিশ্বকে পালন করতে হবে। কারণ, তারাই মূলত প্রধান উদ্গিরণকারী। আমরা যত্সামান্য পরিমাণ গ্যাস উৎপাদন করি। এ গ্যাসগুলো প্রধানত কলকারখানা, যানবাহন, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও কৃষিকাজে উৎপাদিত হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে দেশগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে, তার মধ্য বাংলাদেশ অন্যতম।| প্রধান উন্নতির অগ্রযাত্রায় এবং শিল্পায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য আমাদের আরও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। তবে আমরা যদি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে মনোযোগ দিই এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করি, তাহলে গ্যাস নিঃসরণ প্রশমনের কাজ কিছুটা হলেও করা সম্ভব। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ২০৩০ সাল নাগাদ গ্যাস নিঃসরণ শতকরা ৫ ভাগ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, যে প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছি তা রক্ষার জন্য কোনো রোডম্যাপ বা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আমরা করেছি কি? এ কাজে অনেক মন্ত্রণালয়কে তৎপর হতে হবে। আমার প্রস্তাব হচ্ছে, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা কতটুকু এগোলাম, সে বিষয়ে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করা উচিত। সময়টা এ কারণে নির্ধারণ করেছি যে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বৈশ্বিক সম্মেলন হয় এবং সেখানে যেন আমাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে পারি।

বৈশ্বিক পর্যায়ে আলোচনার দ্বিতীয় বিষয়টি হলো বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে, তা মোকাবিলা করার লক্ষ্যে সক্ষমতা অর্জন করা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে দেশগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম প্রধান দেশ। কাজেই অভিযোজনের কাজে সক্ষমতা অর্জন অত্যন্ত জরুরি। এ কাজে জাতীয় মহাপরিকল্পনা তৈরি হয়েছে। এ কাজে সরকারের প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের যথোপযুক্ত ভূমিকা কাম্য। এখানেও আমার প্রশ্ন, এ কাজে কোনো রোডম্যাপ তৈরি হয়েছে কি এবং অভিযোজনের মহাপরিকল্পনা কতটুকু বাস্তবায়ন করা হলো, তা কেউ পর্যালোচনা করছে কি?

জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বৈশ্বিক কর্মকাণ্ডে তৃতীয় বিষয়টি হলো অর্থায়ন। এ লক্ষ্যে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো অর্থ জোগানের দায়িত্ব মেনে নিয়েছে। অর্থাৎ প্রধান দূষণকারী দেশগুলোর ঘাড়ে এ দায়িত্ব বর্তেছে। প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার জোগান দেওয়ার কথা। ৭০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি মিলেছে। টাকার পরিমাণ অনেক, কিন্তু এর বিতরণপ্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল। এই বৈশ্বিক অর্থায়নপ্রক্রিয়ায় অর্থ লাভের ক্ষেত্রে আমাদের তৎপরতা বাড়াতে হবে, দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং অর্থ ব্যবহারের বৈশ্বিক নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে। এ কাজেও সব মন্ত্রণালয়কে এগিয়ে আসতে হবে। অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে আমাদের সাফল্য কতটুকু এবং কোথায় আমাদের অগ্রগতি আটকে যাচ্ছে, তা পর্যালোচনা করতে হবে।

যে সাতটি বিষয়ের কথা বলেছিলাম, তার অন্য তিনটি হচ্ছে দক্ষতা অর্জন, প্রযুক্তি আহরণ এবং বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা বা জবাবদিহি অর্জন। এ তিনটি কাজেও বিশ্ব সহযোগিতা করতে প্রস্তুত, কিন্তু তাদের সাহায্য গ্রহণে আমরা কতটুকু কার্যকর, তা হিসাব–নিকাশ করা উচিত।

সপ্তম বিষয়টি হচ্ছে, অভিযোজন ও প্রশমনের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ। ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তির মাধ্যমে বিশ্ব বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশ মনে করছে, এই লক্ষ্যমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নামিয়ে আনা উচিত। আমি মনে করি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিটি বিরূপ ক্রিয়া বিবেচনায় এনে বাংলাদেশের উচিত অভিযোজনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা। পৃথিবীর প্রতিটি দেশ তার অবস্থানের ভিত্তিতে নিজের দেশের জন্য অভিযোজনের লক্ষ্য ঠিক করে নিতে পারে এবং পরে সব দেশের লক্ষ্যমাত্রা মিলিয়ে একটি বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা যেতে পারে। আমার আশা থাকল যে বাংলাদেশ এ কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং জাতীয়ভাবে তথা বৈশ্বিক পর্যায়ে উপযুক্ত ভূমিকা পালন করবে।

লেখক: ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক

 

Header Ad
Header Ad

ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা

পপ সংগীতশিল্পী মিলা ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় পপ সংগীতশিল্পী মিলা ইসলাম আবারও জীবনসঙ্গীর খোঁজে রয়েছেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিলা জানান, “আমি আমার জন্য ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না!”

২০১৭ সালে পাইলট এস এম পারভেজ সানজারিকে বিয়ে করেন তিনি। তবে বিয়ের এক বছরের মধ্যেই যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে বিচ্ছেদ ঘটান মিলা। এরপর থেকে দীর্ঘ সাত বছর একাই কাটিয়েছেন এই গায়িকা।

মিলা বলেন, “দুইটা কারণে এখনো খুঁজে পাইনি— এক, আমি আবার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। দুই, নিজে নিজে খুঁজে প্রেম করা আমার পক্ষে কঠিন, কারণ আমি সময় দিতে পারি না।” তিনি আরও বলেন, “বিয়ে খুব বেশি জরুরি বিষয় নয়। তবে একজন জীবনসঙ্গী দরকার, যে আমাকে বুঝবে।”

পপ সংগীতশিল্পী মিলা ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

একজন জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে মিলা কিছু শর্তও দিয়েছেন। তার ভাষায়, “ছেলেটা সুদর্শন হোক, সেটা ভালো, তবে সবচেয়ে জরুরি হলো— দায়িত্বশীল হতে হবে, বন্ধুর মতো আচরণ করতে হবে, আমার প্রতি মায়া থাকতে হবে। পাশাপাশি পশুপাখির প্রতিও মায়া থাকতে হবে।”

আর্থিক বিষয়েও বাস্তবতা তুলে ধরেন এই সংগীতশিল্পী। বলেন, “বর্তমানে পরিবার চালানোর মতো ইনকাম থাকলেই চলে। টাকাওয়ালা জামাই চাই না, কিন্তু ইনকাম জরুরি।”

স্টেজ শো করা একজন শিল্পী হিসেবে নিজের জীবনধারাও তুলে ধরেন মিলা। বলেন, “আমি কোথাও শো করতে গেলে রাত ১০টার মধ্যে বাসায় ফেরা নাও হতে পারে। যে আমার লাইফ পার্টনার হবে, তাকে অন্তত এটুকু বুঝতে হবে।”

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ফজল হক (৫০) নামে এক শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বংশীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ফজল হক উপজেলার বংশীনগর গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বাশতৈল ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি।

এ ঘটনায় নিহত ফজল হকের স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও তার ছেলে মনির হোসনকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। তারা দু’জনেই মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ফজল হক ও তার ভাতীজা পারভেজের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার সকালে ভাতিজা পারভেজসহ অন্তত ২৫ জন নিহত ফজল হকের দখলে থাকা জমি দখল নিতে যায়। এতে ফজল হক ও তার পরিবারের লোকজন বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা ফজল হক, ছেলে মনির হোসেন ও স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।

এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজল হককে মৃত বলে ঘোষণা করে।

বাশতৈল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ জানান, ওই জমি নিয়ে ইতোপূর্বে একাধিবার গ্রাম্য শালিস হয়েছে। রবিবার তার ভাতিজা পারভেজ, আনোয়ার, জিন্নাহসহ ২৫-৩০ জন ফজল হকের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে।

তিনি আরও জানান, ফজল হক বাশতৈল ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি হিসাবে আজই দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার কথা ছিল।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ হামলার জন্য ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নয়া দিল্লি সিন্ধু নদী পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতসহ একাধিক কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান গত বৃহস্পতিবার ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি, ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমাও বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় ইসলামাবাদ। এমন তথ্য জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পাকিস্তান বিজনেস ফোরামের (পিবিএফ) কর্মকর্তারা জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার ফলে ভারত বছরে প্রায় ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। পিবিএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যেখানে একই সময়ে পাকিস্তান থেকে ভারতের আমদানি ছিল মাত্র ৪.২ মিলিয়ন ডলার।

এছাড়াও, পাকিস্তানের মাধ্যমে আফগানিস্তানে প্রবেশ করা ভারতীয় পণ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৬৪০ মিলিয়ন ডলার। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সেই বাণিজ্যেও বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটবে, যার ফলে ভারতের আর্থিক ক্ষতি আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছে পিবিএফ।

পাকিস্তান বিজনেস ফোরামের সভাপতি খাওয়া মেহবুব উর রহমান বলেন, "পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীকে সমর্থন জানিয়ে ভারতের অগ্রহণযোগ্য প্ররোচনার বিরুদ্ধে আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "ভারত বারবার পাকিস্তানকে দোষারোপের পুরনো অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না, যা আমাদের ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।"

পিবিএফের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আমনা মুনাওয়ার আয়ান পাহেলগাম হামলার পর ভারতের আনিত অভিযোগগুলোকে ‘অবিচারপূর্ণ মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন এবং ভারতের কাশ্মীর নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন।

ফোরামের চিফ অর্গানাইজার আহমদ জাওয়াদ বলেন, "ভারতের সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত অবৈধ এবং এটি দক্ষিণ এশিয়ার শান্তির জন্য মারাত্মক হুমকি।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, "পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমতার ভিত্তিতে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান বাণিজ্য বন্ধ রাখা উচিত।"

পাকিস্তান বিজনেস ফোরাম দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে এবং একইসঙ্গে ভারতের আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান: ‍শেহবাজ শরীফ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা
ইরানের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত সাড়ে ৭ শতাধিক
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর
রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু