রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

প্রচেষ্টার এক বছর

ভয়ংকর এক বৈরী পরিবেশে; অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই শুরু করেছিলাম। তখনো কভিড-১৯ বা করোনা মহামারির তাণ্ডব বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বকে ক্ষতবিক্ষত করছিল। প্রতিটা মুহূর্ত অনিশ্চয়তার মধ্যদিয়ে কাটছিল। কী হবে? কতদিন থাকবে? সামনের দিনগুলি কি আরও ভয়াবহ হবে? কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে তা কেউ জানে না। সবার সামনেই অন্ধকারাচ্ছন্ন বন্ধুর পথ! বিশ্বের প্রতিটি দেশই করোনার ধকল সামলাতে কঠিন লড়াইয়ে ব্যস্ত। করোনার ছোবলে অনেক প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। কোটি কোটি মানুষ চাকরি হারিয়ে দিশেহারা অবস্থা। অসংখ্য পরিবার ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে আরো অনেক পরিবার। অনেক স্বপ্ন, অগণিত নতুন উদ্যোগ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়েছে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে নতুন উদ্যোগ! সবার কাছেই যেন একটা বিস্ময়ের ব্যাপার ছিল!

অনেকেই আমাকে তখন ‘পাগল’ বলে মন্তব্য করেছেন। কাছের মানুষদের অনেকে নিরুৎসাহিত করেছিলেন। বন্ধুরা বলেছেন, অনেক তো হলো! আর কত? সাংবাদিকতা পেশায় ত্রিশ বছর কম সময় নয়। রিপোর্টার থেকে একটি বড় পত্রিকার সম্পাদক হয়েছ। এবার লেখালেখি করো। সেটাই বোধহয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

সে সময় বেশ কয়েকটি বড় গ্রুপের ‘অফার’ ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। দুটি গ্রুপের সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠকের পরও কী মনে করে যেন যোগদানে অনীহা প্রকাশ করলাম।

করোনায় বাসার বাইরে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা বহাল। আমি বাসায় বসে পড়ছি, লিখছি; সিনেমা দেখছি। স্ত্রী ছেলেমেয়েকে সময় দিচ্ছি। সাংবাদিকতা ও লেখালেখির কারণে পরিবারের সদস্যদের সময় দিতে পারিনি। সেই অপরাধবোধও নিজেকে তাড়িত করে। সে সময় অনেক বেকার সাংবাদিক প্রায়ই ফোন করে বলতেন, ভাই আপনার সঙ্গে কাজ করতে চাই। আপনি পত্রিকা করলে আমাকে রাখবেন। কেউ কেউ চাকরি হারিয়েই আমাকে ফোন করে বলতেন, ভাই বেকার হয়ে গেলাম। যদি সুযোগ থাকে আমাকে নেবেন।
বাসায় বসে ভাবি, কি করা যায়? পত্রিকা করার জন্য মোটেই সঠিক সময় নয়। অনলাইন মাল্টিমিডিয়া করা যেতে পারে। তা নিয়েও নানা দুশ্চিন্তা। যেভাবে ঘরে ঘরে ব্যাঙের ছাতার মতো অনলাইন গজিয়ে উঠেছে তাতে এসব করে কী হবে? সাংবাদিকতার নামে যা চলছে সেটাও কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না। মনপীড়ায় ভুগছিলাম প্রতিনিয়ত। ত্রিশ বছর সাংবাদিকতা করেও মানুষের কাছে পরিচয় দিতে পারি না। মোটকথা, পুরো পরিস্থিতিই বৈরি। তারপরও কাছের মানুষদের সঙ্গে বসলাম। কি করা যায় তা নিয়ে ভাবতে ভাবতেই ঠিক করলাম; কিছু একটা করতে হবে। কিছু মানুষেরও যদি কর্মসংস্থান করা যায়; ক্ষতি কী!

কয়েকজন কাছের মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়ালেন। সাহস দিলেন। সেই সাহসের ওপর ভর করেই শুরু করলাম ঢাকাপ্রকাশ, ঢাকাপ্রকাশ২৪ডটকম। এর একটি ইতিহাস আছে। ঢাকাপ্রকাশ ১৮৬১ সালের ৭ মার্চ ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলাভাষার পত্রিকা। ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই মূলত ঢাকাপ্রকাশ নিয়ে পথ চলতে শুরু করলাম। শুরুতেই নানামুখি ষড়যন্ত্র হচ্ছিল। প্রধান অতিথি যাতে আমাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে না আসেন সেজন্য কানপড়া দেওয়া হয়েছিল। সকল বাধাবিপত্তি উপড়ে ফেলে এগোতে লাগলাম। আমাদের স্লোগান, সততাই শক্তি, সুসাংবাদিকতায় মুক্তি। স্লােগানটি সবাই খুব পছন্দ করল। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারসহ অনেক গুণীজন আমাদের পাশে দাঁড়ালেন। আমাদেরকে উৎসাহ দিলেন। ধীরে ধীরে আমাদের অবস্থান শক্ত হতে লাগল। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আমাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন বিশাল পাঠকগোষ্ঠী। তাদের ব্যাপক উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা আমাদের চলার পথকে অনেকটাই মসৃণ করেছে।

আমরা এরমধ্যেই দেশ-বিদেশে বিপুল মানুষের সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছি। আমাদের সাইটে প্রতিনিয়ত নতুন ভিজিটর আসছেন। নতুন ও পুরোনো প্রায় ত্রিশ লাখ পাঠক আমার সাইট ভিজিট করছেন। আমাদের ফেসবুকে ফ্যান-ফলোয়ারের সংখ্যাও আট লাখের বেশি। গুগল, ইউটিউবেও আমরা শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের সাইটে দেশের বিশিষ্টজনেরা নিয়মিত লিখছেন। আমাদের স্লোগানই আমাদের বড় শক্তি। আমরা সব রাজনৈতিক দল, মত ও পথের মানুষের কথাই প্রকাশ করি। কিন্তু কোনো দলের লেজুড়বৃত্তি করি না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে পথ চলি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিই। স্বাধীনতাবিরোধী, উগ্রপন্থীদের সঙ্গে কোনো আপস করি না। আমরা সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলি। আমরা কোনো রক্ত চক্ষুকে ভয় পাই না। কারণ, আমরা ভুল খবর প্রকাশ করি না। মিথ্যার ব্যাসাতি করি না। বিগত এক বছরে কোনো সংবাদ আমাদেরকে প্রত্যাহার করতে হয়নি। অনেকের অনেক ধরনের হুমকি ধমকিও আমরা সহ্য করেছি।

আরও একটি বিষয় না বললেই নয়, আগে দেখতাম, কোনো সংবাদ প্রকাশিত হলে সেটা কারও বিরুদ্ধে গেলে কিংবা মনপূত না হলে প্রতিবাদ পাঠাতেন। আমরা প্রতিবাদ প্রকাশ করতাম। এখন উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। উকিল দিয়ে মামলার হুমকি দেওয়া হয়। অন্যায়কারীরা অন্যায় করেই যাবে, আর মিডিয়ার লোকদের তা মুখবুজে সহ্য করতে হবে! আমরা অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে বৈরী পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করছি। আমরা জানি, আমরা সফল হব; আমরাই জিতব।

আমি শুরুতেই বলেছি, বৈরী পরিবেশে আমি যে লড়াই শুরু করেছি সেটা এগিয়ে নেওয়া খুব সহজ কাজ নয়। অনেকেই হয়তো সঙ্গে থাকবে না। থাকতে পারবে না। সবাই প্রতিষ্ঠানকে নিজের মনে করতে পারে না। আর সমাজে সুযোগ সন্ধানী লোকের অভাব নেই। থাকে বর্ণচোরাও। ভেতরে ঢুকেও কেউ কেউ প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। নিজের স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। আবার কেউ কেউ আমার বিনয়কে দুর্বলতা ভেবে কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু সফল হয়নি। কুচক্রীরা কখনো সফল হয় না। এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে।

আমি প্রতিজ্ঞা করেছি; পাঁচজনও যদি আমার সঙ্গে থাকে তাদের নিয়েই আমি লড়াই চালিয়ে যাব। আমি বিশ্বাস করি, প্রচেষ্টার মৃত্যু নেই। প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমাদের স্লোগান হচ্ছে, ‘এগিয়ে চলার প্রত্যয়, সততা ও সুসাংবাদিকতায়’। গত এক বছর ধরে যারা আমাদের সঙ্গে থেকে উৎসাহ জুগিয়েছেন, নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে আমাদের চলার পথকে সহজতর করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই প্রিয় পাঠক, শুভাকাক্ষী, শুভানুধ্যায়ী ও বিজ্ঞাপনদাতাসহ সবাইকে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে থাকুন।

লেখক: প্রধান সম্পাদক ঢাকাপ্রকাশ ও সাহিত্যিক

 

Header Ad
Header Ad

ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা

পপ সংগীতশিল্পী মিলা ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় পপ সংগীতশিল্পী মিলা ইসলাম আবারও জীবনসঙ্গীর খোঁজে রয়েছেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিলা জানান, “আমি আমার জন্য ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না!”

২০১৭ সালে পাইলট এস এম পারভেজ সানজারিকে বিয়ে করেন তিনি। তবে বিয়ের এক বছরের মধ্যেই যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে বিচ্ছেদ ঘটান মিলা। এরপর থেকে দীর্ঘ সাত বছর একাই কাটিয়েছেন এই গায়িকা।

মিলা বলেন, “দুইটা কারণে এখনো খুঁজে পাইনি— এক, আমি আবার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। দুই, নিজে নিজে খুঁজে প্রেম করা আমার পক্ষে কঠিন, কারণ আমি সময় দিতে পারি না।” তিনি আরও বলেন, “বিয়ে খুব বেশি জরুরি বিষয় নয়। তবে একজন জীবনসঙ্গী দরকার, যে আমাকে বুঝবে।”

পপ সংগীতশিল্পী মিলা ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

একজন জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে মিলা কিছু শর্তও দিয়েছেন। তার ভাষায়, “ছেলেটা সুদর্শন হোক, সেটা ভালো, তবে সবচেয়ে জরুরি হলো— দায়িত্বশীল হতে হবে, বন্ধুর মতো আচরণ করতে হবে, আমার প্রতি মায়া থাকতে হবে। পাশাপাশি পশুপাখির প্রতিও মায়া থাকতে হবে।”

আর্থিক বিষয়েও বাস্তবতা তুলে ধরেন এই সংগীতশিল্পী। বলেন, “বর্তমানে পরিবার চালানোর মতো ইনকাম থাকলেই চলে। টাকাওয়ালা জামাই চাই না, কিন্তু ইনকাম জরুরি।”

স্টেজ শো করা একজন শিল্পী হিসেবে নিজের জীবনধারাও তুলে ধরেন মিলা। বলেন, “আমি কোথাও শো করতে গেলে রাত ১০টার মধ্যে বাসায় ফেরা নাও হতে পারে। যে আমার লাইফ পার্টনার হবে, তাকে অন্তত এটুকু বুঝতে হবে।”

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ফজল হক (৫০) নামে এক শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বংশীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ফজল হক উপজেলার বংশীনগর গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বাশতৈল ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি।

এ ঘটনায় নিহত ফজল হকের স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও তার ছেলে মনির হোসনকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। তারা দু’জনেই মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ফজল হক ও তার ভাতীজা পারভেজের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার সকালে ভাতিজা পারভেজসহ অন্তত ২৫ জন নিহত ফজল হকের দখলে থাকা জমি দখল নিতে যায়। এতে ফজল হক ও তার পরিবারের লোকজন বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা ফজল হক, ছেলে মনির হোসেন ও স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।

এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজল হককে মৃত বলে ঘোষণা করে।

বাশতৈল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ জানান, ওই জমি নিয়ে ইতোপূর্বে একাধিবার গ্রাম্য শালিস হয়েছে। রবিবার তার ভাতিজা পারভেজ, আনোয়ার, জিন্নাহসহ ২৫-৩০ জন ফজল হকের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে।

তিনি আরও জানান, ফজল হক বাশতৈল ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি হিসাবে আজই দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার কথা ছিল।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ হামলার জন্য ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নয়া দিল্লি সিন্ধু নদী পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতসহ একাধিক কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান গত বৃহস্পতিবার ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি, ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমাও বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় ইসলামাবাদ। এমন তথ্য জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পাকিস্তান বিজনেস ফোরামের (পিবিএফ) কর্মকর্তারা জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার ফলে ভারত বছরে প্রায় ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। পিবিএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যেখানে একই সময়ে পাকিস্তান থেকে ভারতের আমদানি ছিল মাত্র ৪.২ মিলিয়ন ডলার।

এছাড়াও, পাকিস্তানের মাধ্যমে আফগানিস্তানে প্রবেশ করা ভারতীয় পণ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৬৪০ মিলিয়ন ডলার। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সেই বাণিজ্যেও বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটবে, যার ফলে ভারতের আর্থিক ক্ষতি আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছে পিবিএফ।

পাকিস্তান বিজনেস ফোরামের সভাপতি খাওয়া মেহবুব উর রহমান বলেন, "পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীকে সমর্থন জানিয়ে ভারতের অগ্রহণযোগ্য প্ররোচনার বিরুদ্ধে আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "ভারত বারবার পাকিস্তানকে দোষারোপের পুরনো অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না, যা আমাদের ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।"

পিবিএফের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আমনা মুনাওয়ার আয়ান পাহেলগাম হামলার পর ভারতের আনিত অভিযোগগুলোকে ‘অবিচারপূর্ণ মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন এবং ভারতের কাশ্মীর নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন।

ফোরামের চিফ অর্গানাইজার আহমদ জাওয়াদ বলেন, "ভারতের সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত অবৈধ এবং এটি দক্ষিণ এশিয়ার শান্তির জন্য মারাত্মক হুমকি।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, "পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমতার ভিত্তিতে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান বাণিজ্য বন্ধ রাখা উচিত।"

পাকিস্তান বিজনেস ফোরাম দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে এবং একইসঙ্গে ভারতের আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান: ‍শেহবাজ শরীফ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা
ইরানের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত সাড়ে ৭ শতাধিক
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর
রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু