বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৫ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রচেষ্টার এক বছর

ভয়ংকর এক বৈরী পরিবেশে; অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই শুরু করেছিলাম। তখনো কভিড-১৯ বা করোনা মহামারির তাণ্ডব বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বকে ক্ষতবিক্ষত করছিল। প্রতিটা মুহূর্ত অনিশ্চয়তার মধ্যদিয়ে কাটছিল। কী হবে? কতদিন থাকবে? সামনের দিনগুলি কি আরও ভয়াবহ হবে? কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে তা কেউ জানে না। সবার সামনেই অন্ধকারাচ্ছন্ন বন্ধুর পথ! বিশ্বের প্রতিটি দেশই করোনার ধকল সামলাতে কঠিন লড়াইয়ে ব্যস্ত। করোনার ছোবলে অনেক প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। কোটি কোটি মানুষ চাকরি হারিয়ে দিশেহারা অবস্থা। অসংখ্য পরিবার ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে আরো অনেক পরিবার। অনেক স্বপ্ন, অগণিত নতুন উদ্যোগ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়েছে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে নতুন উদ্যোগ! সবার কাছেই যেন একটা বিস্ময়ের ব্যাপার ছিল!

অনেকেই আমাকে তখন ‘পাগল’ বলে মন্তব্য করেছেন। কাছের মানুষদের অনেকে নিরুৎসাহিত করেছিলেন। বন্ধুরা বলেছেন, অনেক তো হলো! আর কত? সাংবাদিকতা পেশায় ত্রিশ বছর কম সময় নয়। রিপোর্টার থেকে একটি বড় পত্রিকার সম্পাদক হয়েছ। এবার লেখালেখি করো। সেটাই বোধহয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

সে সময় বেশ কয়েকটি বড় গ্রুপের ‘অফার’ ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। দুটি গ্রুপের সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠকের পরও কী মনে করে যেন যোগদানে অনীহা প্রকাশ করলাম।

করোনায় বাসার বাইরে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা বহাল। আমি বাসায় বসে পড়ছি, লিখছি; সিনেমা দেখছি। স্ত্রী ছেলেমেয়েকে সময় দিচ্ছি। সাংবাদিকতা ও লেখালেখির কারণে পরিবারের সদস্যদের সময় দিতে পারিনি। সেই অপরাধবোধও নিজেকে তাড়িত করে। সে সময় অনেক বেকার সাংবাদিক প্রায়ই ফোন করে বলতেন, ভাই আপনার সঙ্গে কাজ করতে চাই। আপনি পত্রিকা করলে আমাকে রাখবেন। কেউ কেউ চাকরি হারিয়েই আমাকে ফোন করে বলতেন, ভাই বেকার হয়ে গেলাম। যদি সুযোগ থাকে আমাকে নেবেন।
বাসায় বসে ভাবি, কি করা যায়? পত্রিকা করার জন্য মোটেই সঠিক সময় নয়। অনলাইন মাল্টিমিডিয়া করা যেতে পারে। তা নিয়েও নানা দুশ্চিন্তা। যেভাবে ঘরে ঘরে ব্যাঙের ছাতার মতো অনলাইন গজিয়ে উঠেছে তাতে এসব করে কী হবে? সাংবাদিকতার নামে যা চলছে সেটাও কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না। মনপীড়ায় ভুগছিলাম প্রতিনিয়ত। ত্রিশ বছর সাংবাদিকতা করেও মানুষের কাছে পরিচয় দিতে পারি না। মোটকথা, পুরো পরিস্থিতিই বৈরি। তারপরও কাছের মানুষদের সঙ্গে বসলাম। কি করা যায় তা নিয়ে ভাবতে ভাবতেই ঠিক করলাম; কিছু একটা করতে হবে। কিছু মানুষেরও যদি কর্মসংস্থান করা যায়; ক্ষতি কী!

কয়েকজন কাছের মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়ালেন। সাহস দিলেন। সেই সাহসের ওপর ভর করেই শুরু করলাম ঢাকাপ্রকাশ, ঢাকাপ্রকাশ২৪ডটকম। এর একটি ইতিহাস আছে। ঢাকাপ্রকাশ ১৮৬১ সালের ৭ মার্চ ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলাভাষার পত্রিকা। ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই মূলত ঢাকাপ্রকাশ নিয়ে পথ চলতে শুরু করলাম। শুরুতেই নানামুখি ষড়যন্ত্র হচ্ছিল। প্রধান অতিথি যাতে আমাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে না আসেন সেজন্য কানপড়া দেওয়া হয়েছিল। সকল বাধাবিপত্তি উপড়ে ফেলে এগোতে লাগলাম। আমাদের স্লোগান, সততাই শক্তি, সুসাংবাদিকতায় মুক্তি। স্লােগানটি সবাই খুব পছন্দ করল। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারসহ অনেক গুণীজন আমাদের পাশে দাঁড়ালেন। আমাদেরকে উৎসাহ দিলেন। ধীরে ধীরে আমাদের অবস্থান শক্ত হতে লাগল। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আমাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন বিশাল পাঠকগোষ্ঠী। তাদের ব্যাপক উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা আমাদের চলার পথকে অনেকটাই মসৃণ করেছে।

আমরা এরমধ্যেই দেশ-বিদেশে বিপুল মানুষের সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছি। আমাদের সাইটে প্রতিনিয়ত নতুন ভিজিটর আসছেন। নতুন ও পুরোনো প্রায় ত্রিশ লাখ পাঠক আমার সাইট ভিজিট করছেন। আমাদের ফেসবুকে ফ্যান-ফলোয়ারের সংখ্যাও আট লাখের বেশি। গুগল, ইউটিউবেও আমরা শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের সাইটে দেশের বিশিষ্টজনেরা নিয়মিত লিখছেন। আমাদের স্লোগানই আমাদের বড় শক্তি। আমরা সব রাজনৈতিক দল, মত ও পথের মানুষের কথাই প্রকাশ করি। কিন্তু কোনো দলের লেজুড়বৃত্তি করি না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে পথ চলি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিই। স্বাধীনতাবিরোধী, উগ্রপন্থীদের সঙ্গে কোনো আপস করি না। আমরা সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলি। আমরা কোনো রক্ত চক্ষুকে ভয় পাই না। কারণ, আমরা ভুল খবর প্রকাশ করি না। মিথ্যার ব্যাসাতি করি না। বিগত এক বছরে কোনো সংবাদ আমাদেরকে প্রত্যাহার করতে হয়নি। অনেকের অনেক ধরনের হুমকি ধমকিও আমরা সহ্য করেছি।

আরও একটি বিষয় না বললেই নয়, আগে দেখতাম, কোনো সংবাদ প্রকাশিত হলে সেটা কারও বিরুদ্ধে গেলে কিংবা মনপূত না হলে প্রতিবাদ পাঠাতেন। আমরা প্রতিবাদ প্রকাশ করতাম। এখন উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। উকিল দিয়ে মামলার হুমকি দেওয়া হয়। অন্যায়কারীরা অন্যায় করেই যাবে, আর মিডিয়ার লোকদের তা মুখবুজে সহ্য করতে হবে! আমরা অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে বৈরী পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করছি। আমরা জানি, আমরা সফল হব; আমরাই জিতব।

আমি শুরুতেই বলেছি, বৈরী পরিবেশে আমি যে লড়াই শুরু করেছি সেটা এগিয়ে নেওয়া খুব সহজ কাজ নয়। অনেকেই হয়তো সঙ্গে থাকবে না। থাকতে পারবে না। সবাই প্রতিষ্ঠানকে নিজের মনে করতে পারে না। আর সমাজে সুযোগ সন্ধানী লোকের অভাব নেই। থাকে বর্ণচোরাও। ভেতরে ঢুকেও কেউ কেউ প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। নিজের স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। আবার কেউ কেউ আমার বিনয়কে দুর্বলতা ভেবে কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু সফল হয়নি। কুচক্রীরা কখনো সফল হয় না। এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে।

আমি প্রতিজ্ঞা করেছি; পাঁচজনও যদি আমার সঙ্গে থাকে তাদের নিয়েই আমি লড়াই চালিয়ে যাব। আমি বিশ্বাস করি, প্রচেষ্টার মৃত্যু নেই। প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমাদের স্লোগান হচ্ছে, ‘এগিয়ে চলার প্রত্যয়, সততা ও সুসাংবাদিকতায়’। গত এক বছর ধরে যারা আমাদের সঙ্গে থেকে উৎসাহ জুগিয়েছেন, নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে আমাদের চলার পথকে সহজতর করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই প্রিয় পাঠক, শুভাকাক্ষী, শুভানুধ্যায়ী ও বিজ্ঞাপনদাতাসহ সবাইকে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে থাকুন।

লেখক: প্রধান সম্পাদক ঢাকাপ্রকাশ ও সাহিত্যিক

 

Header Ad
Header Ad

কঠিন বিপাকে মিজানুর রহমান আজহারী  

মিজানুর রহমান আজহারী। ছবিঃ সংগৃহীত

জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী জানিয়েছেন, নতুন করে রেস্ট্রিকশনে পড়েছে তার ফেসবুক পেইজ! রিচ ডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানান।

ওই পোস্টে আজহারী বলেন, ‘ফেসবুকে কয়েক দফা রেস্ট্রিকশন পার করে আসার পর, বিগত ৬ মাস পূর্বের একটি পোস্টের জের ধরে আবারও নতুন করে রেস্ট্রিকশন এসেছে। নির্যাতিত ভাইদের নিয়ে কথা বলাসহ আরও বেশ কিছু বিষয়ে শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করায় এর আগেও রেস্ট্রিকশনের কবলে পড়েছি আমরা।’

তিনি বলেন, ‘ভাষা ও শব্দগত বিকৃতি ঘটিয়ে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের চোখ ফাঁকি দেওয়াটা এখন সহজসাধ্য নয়। প্রতিটা রেস্ট্রিকশন মানেই দাওয়াহ প্রচারের এই বড় প্লাটফর্মটা হারানোর ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। এবার ফেসবুক লাস্ট ওয়ারনিং দিয়ে জানিয়েছে যে—আর কোনো ভায়োলেশন হলে পেইজটি আমাদের হাত ছাড়া হয়ে যাবে।’

শুভানুধ্যায়ীদের প্রত্যাশা থাকে—যেন চলমান প্রতিটি ইস‍্যুতেই আমরা কথা বলি বা শক্ত অবস্থান প্রকাশ করি উল্লেখ করে আজহারী বলেন, ‘আমাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে এটা বুঝাতেই আজকের এই পোস্ট। স্পর্শকাতর অনেক বিষয়ে চাইলেও আমরা ইচ্ছেমতো সব বলতে বা লিখতে পারি না। প্রজেক্ট আলফা সংক্রান্ত বেশ কিছু আপডেট দেওয়ার ছিল। লেটেস্ট পোস্টে যে হারে রিচ ডাউন করা হয়েছে, এটা জারি থাকলে জানি না প্রজেক্ট সংক্রান্ত আপডেটগুলো আপনাদের পর্যন্ত কতটুকু পৌঁছবে। সপ্তাহে প্রতি জুমার নামাজের পর পরই আমাদের নিয়মিত আপডেট থাকে। সেগুলো ম্যানুয়ালি চেক করার আহ্বান রইল।’

Header Ad
Header Ad

ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ  

ছবিঃ সংগৃহীত

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদত্যাগ ও ‘অপশাসন-নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারি ও ১৮ই ফেব্রুয়ারি হরতালের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার ( ২৮ জানুয়ারি) রাতে দলটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবং হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নে পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকেই মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে ৫ই ফেব্রুয়ারি বুধবার পর্যন্ত দাবির লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি করবে দলটি।

ছয়ই ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার দেশে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১০ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ।

আর ১৬ই ফেব্রুয়ারি রোববার অবরোধ এবং ১৮ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘কঠোর’ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ অন্যান্য মামলা প্রত্যাহার এবং 'প্রহসনমূলক বিচার' বন্ধেরও দাবি জানানো হয়।

এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শেখ হাসিনাকে 'প্রধানমন্ত্রী' হিসেবে উল্লেখ করেছে ক্ষমতাচ্যুত দলটি।

ক্ষমতাচ্যুত এই দলের পক্ষ থেকে এর আগে গত ১০ই নভেম্বর রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েও নামতে পারেনি আওয়ামী লীগ।

এমন অবস্থার মধ্যেই মঙ্গল হরতাল, অবরোধ, সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দিলো আওয়ামী লীগ।

যদিও ৫ই অগাস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের কোথাও দলটির সক্রিয় কোন কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। দলটির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাই দেশের বাইরে, পলাতক অথবা কারাগারে রয়েছেন। গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই রয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

দনিয়ায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে বিএনপি কর্মী খুন

নিহত মিনহাজুর। ছবিঃ সংগৃহীত

যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজের সামনে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে খুন বিএনপি কর্মী। পেশায় তিনি প্রকৌশলী ছিলেন।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। স্বজন ও বন্ধুরা বলছেন, নিহত মিনহাজুর বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে স্থানীয় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করেছে।

মিনহাজুর বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করছিলেন। বন্ধু ও স্বজনরা বলছেন, তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। তার বাবা ওলামা দলের নেতা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক ফারুক বলেন, গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। রাত পৌনে ৮টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত মিনহাজুরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার বন্ধু শামীমসহ কয়েকজন। শামীম বলেন, মিনহাজ বিএনপির রাজনীতি করত। তার বাসা সাদ্দাম মার্কেট তুষারধারা এলাকায়।

শামীমের অভিযোগ, ছাত্রলীগের স্থানীয় এক নেতাসহ কয়েকজন মিনহাজুরকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।

নিহতের ভগ্নিপতি খালিদ মাহফুজ বলেন, বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করছিলেন মিনহাজ। তাঁর বাসা যাত্রাবাড়ীর সাদ্দাম মার্কেটের তুষারধারা এলাকায়। তাঁর বাবা হাফেজ কারি মো. রফিকুল ইসলাম মহানগর দক্ষিণ ওলামা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুরে। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন মিনহাজ। এক বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী মিষ্টি হাওলাদার সন্তানসম্ভবা বলে জানা গেছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কঠিন বিপাকে মিজানুর রহমান আজহারী  
ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ  
দনিয়ায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে বিএনপি কর্মী খুন
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগ মূহুর্তে হঠাৎ আইসিসির নির্বাহীর পদত্যাগ  
গাজীপুরের কাঁচাবাজারের আড়তে আগুন  
ইন্টারনেটের মান বাড়াতে ও দাম কমাতে আইনি নোটিশ
ট্রাম্পের হুমকির পর গ্রীনল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে ফ্রান্স  
দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন খালেদা জিয়া  
কর্মসূচি প্রত্যাহার : ৩০ ঘণ্টা পর ঘুরল ট্রেনের চাকা  
আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা রেলের আন্দোলনে: নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাব্বানির শ্বশুর
বেরোবিতে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার ধাঁধা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
ভারতে গোমূত্রের পর এবার চীনে বিক্রি হচ্ছে বাঘমূত্র!
ব্রাজিল বাংলাদেশে নির্বাচন দেখতে চায়: আমীর খসরু
ছাত্র আন্দোলনের মুখে সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
আইনি লড়াইয়ে নয়নতারার বিপক্ষে ধানুশের বড় জয়
দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জামায়াতের নিয়ন্ত্রণে চলছে: রিজভী
জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে ৫ আগস্টের মতো পরিণতি হবে: তারেক রহমান
ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুসকে রক্ষা করতে চান? জেনে নিন উপায়
৩৩৭ জনকে নিয়োগ দেবে বন অধিদপ্তর, আবেদন অনলাইনে
নবাবগঞ্জে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, আটক ১