শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রচেষ্টার এক বছর

ভয়ংকর এক বৈরী পরিবেশে; অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই শুরু করেছিলাম। তখনো কভিড-১৯ বা করোনা মহামারির তাণ্ডব বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বকে ক্ষতবিক্ষত করছিল। প্রতিটা মুহূর্ত অনিশ্চয়তার মধ্যদিয়ে কাটছিল। কী হবে? কতদিন থাকবে? সামনের দিনগুলি কি আরও ভয়াবহ হবে? কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে তা কেউ জানে না। সবার সামনেই অন্ধকারাচ্ছন্ন বন্ধুর পথ! বিশ্বের প্রতিটি দেশই করোনার ধকল সামলাতে কঠিন লড়াইয়ে ব্যস্ত। করোনার ছোবলে অনেক প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। কোটি কোটি মানুষ চাকরি হারিয়ে দিশেহারা অবস্থা। অসংখ্য পরিবার ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে আরো অনেক পরিবার। অনেক স্বপ্ন, অগণিত নতুন উদ্যোগ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়েছে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে নতুন উদ্যোগ! সবার কাছেই যেন একটা বিস্ময়ের ব্যাপার ছিল!

অনেকেই আমাকে তখন ‘পাগল’ বলে মন্তব্য করেছেন। কাছের মানুষদের অনেকে নিরুৎসাহিত করেছিলেন। বন্ধুরা বলেছেন, অনেক তো হলো! আর কত? সাংবাদিকতা পেশায় ত্রিশ বছর কম সময় নয়। রিপোর্টার থেকে একটি বড় পত্রিকার সম্পাদক হয়েছ। এবার লেখালেখি করো। সেটাই বোধহয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

সে সময় বেশ কয়েকটি বড় গ্রুপের ‘অফার’ ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। দুটি গ্রুপের সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠকের পরও কী মনে করে যেন যোগদানে অনীহা প্রকাশ করলাম।

করোনায় বাসার বাইরে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা বহাল। আমি বাসায় বসে পড়ছি, লিখছি; সিনেমা দেখছি। স্ত্রী ছেলেমেয়েকে সময় দিচ্ছি। সাংবাদিকতা ও লেখালেখির কারণে পরিবারের সদস্যদের সময় দিতে পারিনি। সেই অপরাধবোধও নিজেকে তাড়িত করে। সে সময় অনেক বেকার সাংবাদিক প্রায়ই ফোন করে বলতেন, ভাই আপনার সঙ্গে কাজ করতে চাই। আপনি পত্রিকা করলে আমাকে রাখবেন। কেউ কেউ চাকরি হারিয়েই আমাকে ফোন করে বলতেন, ভাই বেকার হয়ে গেলাম। যদি সুযোগ থাকে আমাকে নেবেন।
বাসায় বসে ভাবি, কি করা যায়? পত্রিকা করার জন্য মোটেই সঠিক সময় নয়। অনলাইন মাল্টিমিডিয়া করা যেতে পারে। তা নিয়েও নানা দুশ্চিন্তা। যেভাবে ঘরে ঘরে ব্যাঙের ছাতার মতো অনলাইন গজিয়ে উঠেছে তাতে এসব করে কী হবে? সাংবাদিকতার নামে যা চলছে সেটাও কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না। মনপীড়ায় ভুগছিলাম প্রতিনিয়ত। ত্রিশ বছর সাংবাদিকতা করেও মানুষের কাছে পরিচয় দিতে পারি না। মোটকথা, পুরো পরিস্থিতিই বৈরি। তারপরও কাছের মানুষদের সঙ্গে বসলাম। কি করা যায় তা নিয়ে ভাবতে ভাবতেই ঠিক করলাম; কিছু একটা করতে হবে। কিছু মানুষেরও যদি কর্মসংস্থান করা যায়; ক্ষতি কী!

কয়েকজন কাছের মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়ালেন। সাহস দিলেন। সেই সাহসের ওপর ভর করেই শুরু করলাম ঢাকাপ্রকাশ, ঢাকাপ্রকাশ২৪ডটকম। এর একটি ইতিহাস আছে। ঢাকাপ্রকাশ ১৮৬১ সালের ৭ মার্চ ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলাভাষার পত্রিকা। ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই মূলত ঢাকাপ্রকাশ নিয়ে পথ চলতে শুরু করলাম। শুরুতেই নানামুখি ষড়যন্ত্র হচ্ছিল। প্রধান অতিথি যাতে আমাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে না আসেন সেজন্য কানপড়া দেওয়া হয়েছিল। সকল বাধাবিপত্তি উপড়ে ফেলে এগোতে লাগলাম। আমাদের স্লোগান, সততাই শক্তি, সুসাংবাদিকতায় মুক্তি। স্লােগানটি সবাই খুব পছন্দ করল। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারসহ অনেক গুণীজন আমাদের পাশে দাঁড়ালেন। আমাদেরকে উৎসাহ দিলেন। ধীরে ধীরে আমাদের অবস্থান শক্ত হতে লাগল। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আমাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন বিশাল পাঠকগোষ্ঠী। তাদের ব্যাপক উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা আমাদের চলার পথকে অনেকটাই মসৃণ করেছে।

আমরা এরমধ্যেই দেশ-বিদেশে বিপুল মানুষের সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছি। আমাদের সাইটে প্রতিনিয়ত নতুন ভিজিটর আসছেন। নতুন ও পুরোনো প্রায় ত্রিশ লাখ পাঠক আমার সাইট ভিজিট করছেন। আমাদের ফেসবুকে ফ্যান-ফলোয়ারের সংখ্যাও আট লাখের বেশি। গুগল, ইউটিউবেও আমরা শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের সাইটে দেশের বিশিষ্টজনেরা নিয়মিত লিখছেন। আমাদের স্লোগানই আমাদের বড় শক্তি। আমরা সব রাজনৈতিক দল, মত ও পথের মানুষের কথাই প্রকাশ করি। কিন্তু কোনো দলের লেজুড়বৃত্তি করি না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে পথ চলি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিই। স্বাধীনতাবিরোধী, উগ্রপন্থীদের সঙ্গে কোনো আপস করি না। আমরা সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলি। আমরা কোনো রক্ত চক্ষুকে ভয় পাই না। কারণ, আমরা ভুল খবর প্রকাশ করি না। মিথ্যার ব্যাসাতি করি না। বিগত এক বছরে কোনো সংবাদ আমাদেরকে প্রত্যাহার করতে হয়নি। অনেকের অনেক ধরনের হুমকি ধমকিও আমরা সহ্য করেছি।

আরও একটি বিষয় না বললেই নয়, আগে দেখতাম, কোনো সংবাদ প্রকাশিত হলে সেটা কারও বিরুদ্ধে গেলে কিংবা মনপূত না হলে প্রতিবাদ পাঠাতেন। আমরা প্রতিবাদ প্রকাশ করতাম। এখন উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। উকিল দিয়ে মামলার হুমকি দেওয়া হয়। অন্যায়কারীরা অন্যায় করেই যাবে, আর মিডিয়ার লোকদের তা মুখবুজে সহ্য করতে হবে! আমরা অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে বৈরী পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করছি। আমরা জানি, আমরা সফল হব; আমরাই জিতব।

আমি শুরুতেই বলেছি, বৈরী পরিবেশে আমি যে লড়াই শুরু করেছি সেটা এগিয়ে নেওয়া খুব সহজ কাজ নয়। অনেকেই হয়তো সঙ্গে থাকবে না। থাকতে পারবে না। সবাই প্রতিষ্ঠানকে নিজের মনে করতে পারে না। আর সমাজে সুযোগ সন্ধানী লোকের অভাব নেই। থাকে বর্ণচোরাও। ভেতরে ঢুকেও কেউ কেউ প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। নিজের স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। আবার কেউ কেউ আমার বিনয়কে দুর্বলতা ভেবে কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু সফল হয়নি। কুচক্রীরা কখনো সফল হয় না। এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে।

আমি প্রতিজ্ঞা করেছি; পাঁচজনও যদি আমার সঙ্গে থাকে তাদের নিয়েই আমি লড়াই চালিয়ে যাব। আমি বিশ্বাস করি, প্রচেষ্টার মৃত্যু নেই। প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমাদের স্লোগান হচ্ছে, ‘এগিয়ে চলার প্রত্যয়, সততা ও সুসাংবাদিকতায়’। গত এক বছর ধরে যারা আমাদের সঙ্গে থেকে উৎসাহ জুগিয়েছেন, নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে আমাদের চলার পথকে সহজতর করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই প্রিয় পাঠক, শুভাকাক্ষী, শুভানুধ্যায়ী ও বিজ্ঞাপনদাতাসহ সবাইকে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে থাকুন।

লেখক: প্রধান সম্পাদক ঢাকাপ্রকাশ ও সাহিত্যিক

 

Header Ad
Header Ad

ঐক্যবদ্ধ না হলে পরাশক্তিরা মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে: আজহারী

ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। ছবি: সংগৃহীত

দেশের কল্যাণে ভেদাভেদ ভুলে জাতীয় ঐক্যে আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি বলেন, ঐক্যের বিকল্প নেই। কিছুদিন আগে আমাদের লিডার ড. ইউনূস জাতীয় ঐক্যের জন্য সমস্ত দলকে ডাকছে না? ওনার কথায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রয়োজনে অন্য ধর্মের সঙ্গেও ঐক্য হওয়া দরকার। না হয় বিপদ আছে। নিজেদের মাঝে মারামারি, মনোমালিন্য করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, তাওহিদের দাওয়াতের জন্য এক হতে হবে। আমরা বিচ্ছিন্ন হলে আমাদের শক্তি কমে যাবে। একে অপরকে কাফের ফতোয়া দিয়ে নিজের মধ্যে মতানৈক্য না করি। ঐক্যবদ্ধ না হলে পরাশক্তিরা আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে। আমি পেকুয়ার তাফসিরুল কোরআন মাহফিল থেকে আলেম ওলামা ও সকল রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে বলছি, ভেদাভেদ ভুলে আমরা জাতীয় ঐক্যে আবদ্ধ হই।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে কক্সবাজারের পেকুয়ায় মরহুম মাওলানা শহীদ উল্লাহ স্মৃতি সংসদ ও সমাজ উন্নয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সাবেকগুলদীর মাঠে স্মরণকালের বৃহৎ তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান মোফাসসিরের বয়ানে আজহারী এসব কথা বলেন। রাত সাড়ে ৯টায় মঞ্চে উঠে ১১টা পর্যন্ত বয়ান করেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

আজহারীর বয়ানের আগে ভিডিও প্রজেক্টরের মাধ্যমে যুক্ত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

মাহফিলটি দুই অধিবেশনে বিভক্ত ছিল। প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম। এতে আলোচনা পেশ করেন শায়খ মুফতী ইব্রাহিম, মাওলানা আবদুল্লাহ আল আমীনসহ আরও কয়েকজন বিশিষ্ট আলেম। দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী। বয়ান করেন শায়খ সালাহ উদ্দিন মাক্কী, মাওলানা সাদিকুল রহমান আজহারী এবং ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

মাহফিলে লাখো মানুষের সমাগমে আশপাশের দুই কিলোমিটার এলাকা জনারণ্যে পরিণত হয়। অতিরিক্ত চাপের কারণে মোবাইল ইন্টারনেট সেবাও ব্যাহত হয়। ইউটিউবাররা মাহফিল সরাসরি সম্প্রচার করেন, যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায়।

পেকুয়া সমাজ উন্নয়ন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা নিয়ামত উল্লাহ নিজামী জানান, ড. আজহারীসহ অন্যান্য ইসলামী আলোচকদের উপস্থিতিতে পেকুয়ার এই মাহফিল স্মরণকালের অন্যতম বৃহৎ আয়োজনে পরিণত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

মোজাম্বিকে কারাগারে দাঙ্গায় ৩৩ জন নিহত, পালিয়েছে অন্তত ৬ হাজার বন্দি

ছবি: সংগৃহীত

মোজাম্বিকের রাজধানীতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জের ধরে একটি কারাগারে দাঙ্গার ঘটনায় অন্তত ৩৩ জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছে। এসময় অন্তত ছয় হাজার বন্দি পালিয়েছে কারাগার থেকে।

দেশটির পুলিশ প্রধান বার্নাডিনো রাফায়েল বলেছেন, বড় দিনে মাপুতো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বন্দিরা পালিয়েছে। এ ঘটনাকে তিনি বিদ্রোহ বলে উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কারাবন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় অন্তত ৩৩ জন বন্দি নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন।

প্রথম দিকে দেশটির কর্মকর্তারা দেড় হাজার বন্দির পালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এখন আপডেট খবরে বলা হচ্ছে পালিয়ে যাওয়া বন্দির সংখ্যা ছয় হাজার।

প্ল্যাটাফর্মা ইলিটোরাল ডিসাইড নামের একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, ৯ অক্টোবরের বিতর্কিত নির্বাচনের পর থেকে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫১ জন নিহত হয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা

Header Ad
Header Ad

আজ বন্ধুকে কল করার দিন

প্রতীকী ছবি

বন্ধুত্ব হলো এক অনন্য সম্পর্ক, যা নির্ভরতা আর আত্মার গভীর সংযোগে বাঁধা। এই সম্পর্ক কখনো মধুর, কখনো সামান্য তিক্ত, তবু এর গভীরতা অপরিসীম। আধুনিক যুগে আমরা বন্ধুত্বের অনুভূতি ভাগাভাগি করি চ্যাট কিংবা এসএমএসের মাধ্যমে। তবে চ্যাট বা এসএমএস কি বন্ধুর কণ্ঠের উষ্ণতার বিকল্প হতে পারে? প্রিয় বন্ধুটির কণ্ঠ না শুনলে সেই সম্পর্কের হৃদয়স্পর্শী উষ্ণতা কি সম্পূর্ণ হয়?

কবে শেষবার সেই শৈশবের প্রথম বন্ধুটার সঙ্গে কথা বলেছেন? স্কুলে যার সঙ্গে দিন কাটত গল্প আর হাসিতে, যার উপস্থিতি ছাড়া কোনো স্মৃতি অসম্পূর্ণ ছিল, আজ তার সঙ্গে দেখা করতেই কি কত প্ল্যান করতে হয়! কথোপকথনও কি আগের মতো প্রাণবন্ত থাকে?

আজকের ব্যস্ত জীবনে বন্ধুর কথা মনে পড়লে আমরা চ্যাট বা এসএমএসে সীমাবদ্ধ থাকি। কিন্তু চ্যাট বা এসএমএস কি সেই হাসিমাখা কণ্ঠের বিকল্প হতে পারে? যার কণ্ঠ এক মুহূর্তেই আপনার সব ক্লান্তি দূর করতে পারে, সেই বন্ধুটিকে কি শুধু লিখিত কথায় সন্তুষ্ট রাখা ঠিক?

আজ "কল এ ফ্রেন্ড ডে"। এই বিশেষ দিনে তাকে কল করুন। ভাবছেন এতদিন পর কী বলবেন? সহজ—যা আপনার মনের গভীরে জমে আছে, তা-ই বলুন। এমন কিছু, যা হয়তো অন্য কাউকে বলতে পারছেন না, সেটাও নির্দ্বিধায় শেয়ার করুন। বন্ধুর সঙ্গে কষ্ট কিংবা আনন্দ, সবই সহজে ভাগ করা যায়।

যদি প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থেকে থাকে, সেটাও মিটিয়ে নিন। মনে রাখবেন, বন্ধুত্বে দূরত্ব হতে পারে, কিন্তু বিচ্ছেদ নয়। তাই আর দেরি না করে ফোন হাতে নিন।

বন্ধুকে ফোন দিয়ে মন খুলে কথা বলুন, পুরনো দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করুন। তার কথাগুলো মন দিয়ে শুনুন। আর অবশ্যই তাকে ধন্যবাদ জানান—আপনার জীবনে তার জায়গার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। কারণ বন্ধুত্ব, ছোট্ট একটি শব্দ হলেও এর গভীরতা আমাদের জীবনের অনেক বড় অংশ জুড়ে থাকে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঐক্যবদ্ধ না হলে পরাশক্তিরা মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে: আজহারী
মোজাম্বিকে কারাগারে দাঙ্গায় ৩৩ জন নিহত, পালিয়েছে অন্তত ৬ হাজার বন্দি
আজ বন্ধুকে কল করার দিন
নাগরিক কমিটির ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি ঘোষণা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩৭ জন নিহত
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৬ বাংলাদেশি জেলে
সচিবালয়ের সকল বেসরকারি পাস বাতিল, ঢুকতে পারবেন না সাংবাদিকেরাও
শেখ হাসিনা-জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই
দুর্নীতিবাজদের ফাইলগুলো পুড়ে গেছে : রুহুল কবির রিজভী
শনিবার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা সুখরঞ্জন বালির
শেখ হাসিনাকে ‘নারী’ বলতে রাজি নন মৎস্য উপদেষ্টা
সূর্যের সবচেয়ে কাছে মানুষের তৈরি যান
বর্তমান সরকার রিজার্ভ বাড়িয়েছে, ব্যাংক সেক্টর সচল করছে: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জটিল রাজনৈতিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল
সংবিধান সংস্কারে রাজনৈতিক দলের সংকল্প জরুরি: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
চলতি বছরের বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হচ্ছে না
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত সবাই একই পরিবারের
ইউসুফ (আঃ)- এর সমাধিতে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬৩ বাংলাদেশি: অপরাধীদের ধরতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা