সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্তদের জীবনযাপন অসম্ভব হয়ে গেছে

বৈশ্বিক মহামারি করোনার ধাক্কা সামাল দিতে না দিতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববাজারে সব পণ্যের আমদানি মূল্য বেড়ে গিয়েছে। যখন বিশ্ববাজারে দাম কম ছিল, তখনো এখানে দাম কমানো হয়নি। এখন বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়াকে আবার দেশে মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলা হয়েছে। আমরা ক্যাবের পক্ষ থেকে বারবারই বলে আসছি, জ্বালানি তেল বিক্রি করে যে মুনাফা হয়, একটি ফান্ডে রেখে দেওয়া হোক। যখন দাম বাড়বে, তখন সেই অর্থ কাজে লাগানো হোক। এতে মানুষের উপর অকারণ প্রভাব পড়বে না এবং অর্থনীতিও সবল থাকবে।

বৈশ্বিক বাজারে একটি মুদ্রাস্ফীতির পরিবেশে আছি আমরা। জিনিসপত্রের আমদানি মূল্য যেহেতু বেড়ে যাচ্ছে, টাকার অবমূল্যায়ন হচ্ছে, একইসঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আমদানি করা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় একইধরনের যেসব পণ্য সেসবেরও দাম বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছে কারণ তাদেরও জীবন ধারণ করতে হয়। বিশেষ করে খুচরা ব্যবসায়ীরা বাড়তি মুনাফার জন্য জিনিসপত্রের দাম বাড়ায়। যার ফলে ট্যাক্সও বাড়ছে। আমদানি মূল্য যেহেতু বাড়ে টাকায়, কাজেই সেদিক থেকে ট্যাক্সও বাড়ে।

যদি সরবরাহ করা এসব পণ্যের দাম বাড়াতে হয়, তাহলে তার প্রভাব অন্যান্য পণ্যের উপর পড়বে। দেশের রপ্তানি ব্যাহত হবে এবং জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাবে। তাই আমি বলব, এখন মূল্যবৃদ্ধির সময় নয়। এজন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে। সরকারকে ভর্তুকি দিয়ে হোক, ভর্তুকি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় যে অপচয় হয়, অব্যবস্থাপনার জন্যে, দুর্নীতির জন্যে, অদক্ষতার জন্যে এবং অবশ্যই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য। তাই সাশ্রয়ী উপায় অবলম্বন করে, ভর্তুকির পরিমাণ কমাতে হবে এবং কোনো অবস্থাতেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়ানো সঠিক হবে না।

যেকোনো নিত্য প্রয়োজনীয় যেকোনো জিনিসের দাম সহনশীল রাখার উদ্দেশ্য হলো, সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নয়ন। তবে কেউ যদি সরবরাহ বিঘ্নিত করার জন্য অপচেষ্টা করে, দ্রব্য সামগ্রী মজুদ করে, পণ্য পরিবহনে বাধার সৃষ্টি করে, তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। কোনো অবস্থাতেই সাপ্লাই চেঞ্জ যেন ব্যাহত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
মানুষ আসলে শান্তিতে নেই। সেটি আমরা আজ হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত যাদের আয় খুবই সীমিত অথবা নির্দিষ্ট আয়, তাদের জন্য খুব সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সীমিত আয় দিয়ে তাদের জীবন যাত্রা সুস্থভাবে পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার। কাজেই আমি বলব, কোনো ক্ষেত্রেই দাম বৃদ্ধি সুফল বয়ে আনবে না। বরং এতে করে অসামঞ্জস্যতা আরও বেড়ে যাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। কাজেই দাম বাড়িয়ে নয় বরং পলিসির পরিবর্তন করে সমাধানের নতুন পথ খুঁজে বের করতে হবে।

এ ছাড়া যেসব অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজারে সংকট তৈরি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় অনিয়ম বন্ধ হচ্ছে না। সবচেয়ে বড় বিষয়, বাজারকে কখনো নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বাজার স্বাভাবিক করার জন্য সরকারের পলিসিতে পরিবর্তন আনতে হবে।

হুটহাট করে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়াতে চরম বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। বিশেষ করে, মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্ত এবং নির্ধারিত আয়ের মানুষের খুবই কষ্ট হচ্ছে। বাজারের এই অস্থিরতার কারণে বড় ধরনের সমস্যায় এসব মানুষ। বাজারকে স্বাভাবিক রাখতে সরকারের মনিটরিং পলিসি থেকে শুরু করে ফিজিক্যাল পলিসিতে পরিবর্তন আনতে হবে। সেই সঙ্গে কৃষিপণ্য উৎপাদনশীলতায় জোর দিতে হবে। একই জমিতে কৃষক যেন বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন করতে পারেন এবং বেশি ফসল পান সেদিকে জোর দিতে হবে। আর যারা কৃত্রিমভাবে সংকট তৈরি করে মুনাফা লুটতে চান, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

লেখক: সভাপতি, ক্যাব।

এসএন

 

 

Header Ad
Header Ad

টঙ্গিবাড়ীতে ঈদের দিনে ১০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি, উপকৃত ৪২০ পরিবার

ছবি: সংগৃহীত

ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশন মাত্র ১০ টাকায় ৪২০টি পরিবারের মাঝে গরুর মাংস বিতরণ করেছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে কামারখাড়া হাই স্কুল মাঠে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের মাধ্যমে অসহায় ও দুস্থ পরিবারগুলোকে ১০ টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস দেওয়া হয়।

বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশন শুধু ঈদের দিনেই নয়,প্রতিবছর রমজানে বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ, মেধাবৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন এবং অসহায়দের জন্য নানা সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

১০ টাকায় গরুর মাংস কিনতে আসা খালেদা বেগম বলেন, "১০ টাকা আজকাল বাচ্চারাও নিতে চায় না, অথচ আমরা এখানে ১০ টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস পাচ্ছি। যারা এই আয়োজন করেছেন, আল্লাহ তাদের ভালো রাখুক।"

একইভাবে বৃদ্ধ মো. ফজল বলেন, "বাজারে গরুর মাংসের যে দাম, ভাবছিলাম ঈদের দিন মাংস খেতে পারব না। কিন্তু বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশনের জন্য ঈদের দিনেও মাংস খেতে পারছি, এ জন্য আমি খুব খুশি।"

বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক (হিরা) বলেন, "এটি আমাদের চতুর্থবারের মতো আয়োজন। আমরা চাই, সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষও যেন ঈদের দিনে মনে করে তারা নিজের টাকায় গরুর মাংস কিনে খেতে পারছে। এই চিন্তা থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ।"

এই মানবিক উদ্যোগ স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ঈদের দিনেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত, এক বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঢাকা, ফরিদপুর, পটুয়াখালী ও রাঙামাটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (৩১ মার্চ) প্রকাশিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, সিলেট বিভাগের দু-একটি স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আগামীকাল মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

এছাড়া, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে গরমজনিত অসুস্থতা বাড়তে পারে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের পর্যাপ্ত পানি পান এবং সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে জামাল হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার কাদপুর গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ছেলে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে আটক করেছে।

রোববার (৩০ মার্চ) রাতে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের শফি ইটভাটা সংলগ্ন সেতাই-বালুন্ডা সড়কের পাশে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে শার্শা থানার ওসি কে এম রবিউল ইসলাম নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

ওসি কেএম রবিউল ইসলাম জানান, "লাশের পাশে একটি অ্যাপাচি ৪ভি কালো রঙের মোটরসাইকেল এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত কিছু মেহগনি গাছের চলাকাঠ পাওয়া গেছে। নিহতের মুখ ও মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।"

প্রাথমিকভাবে নিহতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নিহত জামাল হোসেন মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া সীমান্ত এলাকা থেকে ফেনসিডিল বহন করে শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে সরবরাহ করতেন।

পুলিশের সন্দেহভাজন তালিকায় থাকা কাদপুর গ্রামের আলী হোসেন খাঁর ছেলে জাহিদ হাসানকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এদিকে, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের কারণ ও এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টঙ্গিবাড়ীতে ঈদের দিনে ১০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি, উপকৃত ৪২০ পরিবার
ঈদের দিনেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত, এক বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১
চীনে বিশাল তেলক্ষেত্র আবিষ্কার, মজুদ ১০ কোটি টনের বেশি
রাজধানীতে সুলতানি আমলের আদলে ঈদ আনন্দ মিছিল
গাজীপুরে বাসচাপায় শিশুসহ দুই যাত্রী নিহত, আহত ৪
টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল জামাত অনুষ্ঠিত
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: পরমাণু চুক্তি না হলে ইরানে বোমা হামলা ও নিষেধাজ্ঞা
লোহাগাড়ায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত
বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
ঈদের সকালেও নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ
ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস
টাঙ্গাইলে ঈদের মাঠে সংঘর্ষের শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি
বছর ঘুরে এলো খুশির ঈদ, আজ দেশজুড়ে উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ
মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান
ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার নারী-শিশুসহ নিহত ৪
ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
ঈদের আগের দিন গাজীপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান