রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫ | ১৬ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ইন্টারেস্ট বাড়ালেই সুবিধা করা যায় না

 

আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য মূলত নির্ভর করে ইউরোপিয়ান ও আমেরিকান মার্কেটের উপর। ওদের ওখানে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হওয়া মানে আমাদের এখানেও রপ্তানি আয় কমে যাওয়া স্বাভাবিকভাবেই। এটির একমাত্র উপায় হচ্ছে ডাইভার্সিফিকেশন করা অর্থাৎ অন্য মার্কেট দেখা। যেমন- চাইনিজ মার্কেট, ইন্ডিয়ান মার্কেট, জাপানিজ মার্কেট, কোরিয়ান মার্কেট ও রাশিয়ান মার্কেট। তবে আমাদের রপ্তানিকারকরা কতটুকু অগ্রসর হচ্ছে সেটি নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে।

রেমিট্যান্স যেটি আছে সেটি কমার কথা নয়। জানুয়ারি থেকেই অনেক লোক প্রায় আট থেকে দশ লাখ লোক বাইরে গিয়েছে। রেটের গরমিলের কারণে কিছু লোক ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে পাঠাচ্ছে। যেটি গণনাতে আসছে না। তবে ইকোনমিতে ভিন্নভাবে আসছে। একটি রিপোর্ট এসেছে অন্য মিডিয়াতে। বিজনেস ক্লাস ও ফার্স্টক্লাস বিমান ভর্তি বাংলাদেশি লোকেরা যাচ্ছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে এরা কারা? এরা বড় অংকের টাকা নিয়ে যাচ্ছে বাইরে। এখন একটি ক্লাস তৈরি হয়েছে তথাকথিত ব্যবসায়ী, ঠিকাদার পরিচয়ে যারা বাইরে গিয়ে টাকা পয়সা অপচয় করছে। আমি এ বিষয়ে একটি মতামত দিয়েছিলাম যে, এদের টুরিস্ট ভিসায় বিদেশে একবারের বেশি যেতে না দেওয়ার ব্যাপারে। সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ সীমিত আকারে করা হয়েছে। সেখানে রেস্ট্রিকশন দিলে এমনিতেই ডলারের দাম কমে আসবে।

ফরেন একচেঞ্জ রিজার্ভ বলতে আমাদের যদি এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট অপেক্ষা বেশি হয়, তাহলে রিজার্ভ বেড়ে যায়। আমি মনে করি, রেমিট্যান্স কম হওয়ার যে কারণ, সেটি আবার অন্যপথে আসছে। ব্যাংক ৯৫ হলে বাইরে নিচ্ছে ১১০ টাকা করে। এদের টাকা পয়সার কোনো অভাব নেই। আমি মনে করি, আগামী ছয় সাত মাস আমাদের একটি চিন্তার একটি বিষয় আছে। এজন্য ব্যয় কমানোটা এই মুহূর্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা আছে, তাদের কৃচ্ছতা সাধন করার দিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত। কাজের সময় কমিয়ে দিয়ে কোনো লাভ নেই। তাহলে বলা উচিত যে, তোমাদের বেতন ভাতা এমনিতেই হবে। ওদের ইকোনমি প্রডাক্টিভিটি কমে যাবে।

রিজার্ভ কমে যাওয়া শঙ্কার বিষয়। এত দ্রুত কমতে দেওয়াটা ঠিক না। এটি কমছে কেন সেটি বাংলাদেশ ব্যাংক জানে। প্রাইভেট লোকজন টুরিজম করতে গিয়েই তো বহু টাকা নিচ্ছে। এই কথাটিই আমি বুঝাতে চেয়েছি। আমাদের স্ট্র্যাটেজিক হতে হবে। তা না হলে আমাদের অর্থনীতি আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিছু লোক ফর নাথিং টাকা পয়সা নিয়ে যায়। এটি তো অন্যায়। এসব যখন চলতে থাকে তখন কিছু লোক ডলার এমনিতেই হোল্ড করতে থাকে। এসবের কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক পলিসি রেট বাড়িয়েছে। যদিও এতসব কিছু বাড়ানোর পক্ষে আমি না। ইন্টারেস্ট বাড়িয়ে পৃথিবীর কেউ কখনো সুবিধা করতে পারে নেই। ইনভেস্টম্যানরা তখন নিরুৎসাহিত হয়। আমাদের ইকোনোমিতে সুদের হার বাড়ানো আমার কাছে মনে হয় না এগুলো ভালো কিছু। এর ফলে কখনো মূল্যস্ফীতি কমবে না।

মূল জায়গা হলো কস্ট অব প্রডাকশন। উৎপাদন বাড়লে মূল্যস্ফীতি কমবে। সাধারণ মানুষ আজ ভুক্তোভোগী মূল্যস্ফীতির কারণেই। মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে দারিদ্র্যের পাশাপাশি জীবনযাত্রার মান আরও কমে যাবে। আমাদের ফরেন একচেঞ্জ রিজার্ভ ভালো হলেই কেবল আমরা শঙ্কামুক্ত থাকব। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় আগামী ছয় থেকে সাত মাস আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে পরিগণিত হবে।

লেখক: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এসএন

Header Ad
Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আজ রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এ সময় তারা দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রম এবং আসন্ন ঈদ উপলক্ষে গৃহীত বিশেষ পদক্ষেপগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান জানান, ঈদ উপলক্ষে সাধারণ মানুষের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে লঞ্চ টার্মিনাল, ট্রেন স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, যাতে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন। পাশাপাশি দেশের প্রধান সড়ক ও মহাসড়কে যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখার বিষয়েও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে বোঝাপড়া বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এতে করে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে এবং শ্রমিকদের মধ্যে কোনো অস্থিরতা তৈরি হবে না।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আরও জানান, গত জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সম্মানে দেশের প্রতিটি সেনানিবাসে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি, আহত যোদ্ধা এবং শহীদদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর এই মানবিক ও পেশাদার ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে একইভাবে নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাবে।

সাক্ষাতের শেষ পর্যায়ে সেনাপ্রধান প্রধান উপদেষ্টাকে আগাম ঈদ শুভেচ্ছা জানান এবং ভবিষ্যতেও সেনাবাহিনী দেশের সেবায় নিয়োজিত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের আকাশে আজ রবিবার সন্ধ্যায় পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এর ফলে আগামীকাল সোমবার সারাদেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।

রবিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব চত্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করা হয়। সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এদিকে, ঈদুল ফিতর উদযাপনে ইতোমধ্যে দেশের প্রতিটি এলাকায় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল সারাদেশে ঈদের প্রধান জামাতসহ স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

 

Header Ad
Header Ad

ফিলিস্তিনের আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল

ছবি: সংগৃহীত

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম এই মসজিদে ঈদের নামাজে ঢল নামে হাজারো মুসল্লির।

ব্যাপক কড়াকড়ি সত্ত্বেও রমজানের শেষে রবিবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ে জড়ো হন হাজার হাজার মুসল্লি। শেষ রোজার দিনও আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রায় ৭৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।

ইরান প্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসা মুসল্লিরা ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক তল্লাশির মুখে পড়েন, তবে শেষ পর্যন্ত তারা নামাজ আদায় করতে সক্ষম হন। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ঈদুল ফিতর আনন্দঘন পরিবেশে পালিত হলেও, ফিলিস্তিনিদের জন্য দিনটি আতঙ্ক ও শঙ্কার ছায়া বয়ে এনেছে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে, আর জেরুজালেমেও ঈদের দিন কঠোর অবস্থান নিয়েছে দখলদার বাহিনী।

মুসলমানদের অন্যতম বড় উৎসব ঈদুল ফিতর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হলেও ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য দিনটি ছিল উদ্বেগময়। গাজা উপত্যকায় চলমান হামলা ও আল-আকসায় ইসরায়েলি সেনাদের কড়াকড়ি উপস্থিতি ঈদের আনন্দ ম্লান করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আল-আকসায় প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। এর আগের বছর, ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যেও ১০ লাখের বেশি মুসল্লি এই পবিত্র মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর
ফিলিস্তিনের আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের আমন্ত্রণ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে গাজাবাসীর ঈদুল ফিতরের নামাজ
জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত: ডিএমপি কমিশনার
৮ বছর পর পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে ঈদ উদযাপন করলেন খালেদা জিয়া
ইসরাইলে হুথি বিদ্রোহীদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন
কারাগারে ঈদ: জেলে বন্দি নেতারা কেমন কাটাবেন ঈদের দিন?
শিল্পকলায় ‘চাঁদ রাতের আনন্দ অনুষ্ঠান’ থাকছে মাইজভান্ডারী গানের পরিবেশনা  
নিজেদের নয়, প্রকৃতিকে ঈদ উপহার দেওয়া উচিৎ : পরিবেশ উপদেষ্টা  
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যান পারাপার  
রেলের কেউ কালোবাজারিতে জড়াতে সাহস পায়নি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা    
রাজধানীতে কখন কোথায় ঈদ জামাত
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়বেন প্রধান উপদেষ্টা  
ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের জেরে প্রাইভেটকারে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ২  
খুলনায় আ.লীগ নেতাদের চাঁদায় এনসিপির ব্যানারে ইফতার  
খুলনায় মধ্যরাতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গোলাগুলি  
নির্বাচনে থাকছেনা পোস্টার, প্রার্থীর প্রচারে থাকবে কাপড়ের ব্যানার