বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আর্থ-রাজনৈতিক 'লৌহ ত্রিভুজ' ভাঙতে হবে

আমাদের শুধু সামষ্টিক অর্থনীতির দিকে তাকালে হবে না; সামষ্টিক, মধ্যম ও ব্যষ্টিক- তিনটি পর্যায়েই মনোযোগ দেওয়া দরকার। মধ্যম ও ব্যষ্টিক অর্থনীতি উপেক্ষা করে সামষ্টিক অর্থনীতির সংকট মোকাবিলা করা কঠিন।

এটা পরিষ্কার যে, সামষ্টিক অর্থনীতিতে এক ধরনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে নানা আলোচনাও হচ্ছে। সম্প্রতি সিপিডি আয়োজিত 'সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ: কতটা ঝুঁকিপূর্ণ' শীর্ষক আলোচনা সভায় অনেকে এ বিষয়ে জোর দিয়েছেন। আমিও সেখানে কথা বলেছি। যে বিষয়টি আরও জোর দিয়ে বলা দরকার তা হলো, মধ্যম অর্থনীতিতে সংস্কারের বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কভিড-১৯-এর ধাক্কা থেকে আমাদের এক ধরনের উত্তরণ ঘটেছে বটে, তবে সে উত্তরণ পুরোপুরি হয়নি। পিপিআরসি-বিআইজিডির ২০২২-এর মে মাসের গবেষণায় আমরা দেখেছি, মহামারির দুই বছর পরও জরিপ করা পরিবারগুলোর গড় আয় মহামারি-পূর্ব আয়ের ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ নিচে।

ব্যষ্টিক পর্যায়ে অবিচারের অর্থনীতিও আলোকপাত করা দরকার। অবিচারের অর্থনীতির তিনটি চেহারা জোরালোভাবে সামনে আসছে। প্রথমটি হলো নতুন দারিদ্র্য। আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, কভিড থেকে উত্তরণের পরও তিন কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যে পড়েছে। সাম্প্রতিক মূল্যস্ম্ফীতির প্রভাবও এক্ষেত্রে প্রভাবক ভূমিকা পালন করেছে। দ্বিতীয়টি আরও দুশ্চিন্তার বিষয়। কারণ আমরা সব আলোচনা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা নিয়েই করছি। অথচ আমাদের অন্যতম লক্ষ্য এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন। এ ক্ষেত্রে তিনটি লক্ষ্যমাত্রা গতিচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। একটি হলো অপুষ্টি। এই খাতে আমাদের অবস্থার উন্নতি ঘটছিল। কিন্তু এখন পারিবারিক খাদ্য তালিকায় পুষ্টির বদলে উল্টোদিকে যাত্রার প্রবণতা স্পষ্ট। পরিস্থিতি এই উল্টোযাত্রায় বাধ্য করছে। অপরদিকে কোভিড-পরবর্তী সময়ে মাধ্যমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার বেড়েছে। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে চাকরির বাজারসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও। গৃহায়ন আরেকটি বিষয়। আমরা দেখেছি, কোভিডকালে অনেক মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে, নগরে থাকা-খাওয়ার খরচের বোঝা টানতে না পেরে। অবিচারের অর্থনীতির তৃতীয় চেহারা হচ্ছে, চলমান প্রবৃদ্ধিকেন্দ্রিক উন্নয়ননীতি কর্মসংস্থানমুখী হচ্ছে না। এর ফলে যুব বেকারত্ব আরও গভীর হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষিত বেকারত্ব।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের নজর থাকে তাৎক্ষণিক বিষয় সামাল দিতে। জরুরি বিষয় আগে সামাল দিতে হবে, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু এই মুহূর্তের সংকট যে শুধু বর্তমানে সংকট তৈরি করছে, তা নয়; একই সঙ্গে তা আমাদের নিম্নস্তরে তথা ব্যষ্টিক ও মধ্যম পর্যায়ের সমস্যাগুলোও সামনে নিয়ে আসছে। তাই এই মুহূর্তের চ্যালেঞ্জ সামাল দেওয়ার পাশাপাশি সামনে চলে আসা মধ্যমেয়াদি সমস্যার দিকেও নজর দেওয়া জরুরি।

অর্থনৈতিক এসব সংকটের কারণে সামাজিক অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি রয়েছে। এ ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি মানুষের সার্বিক চাহিদা পূরণ হচ্ছে কি না, সেটাও দেখা জরুরি। এ ক্ষেত্রে আমাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার কথা বলতেই হবে। এখানে শুধু অব্যবস্থাপনার বিষয়ই নয়, বরং কী ধরনের ব্যবস্থাপনা চলমান, তার চরিত্রও বোঝা দরকার।

আমি মনে করি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের লৌহ ত্রিভুজ গেড়ে বসেছে। এখানে শুধু ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীই নয়, আরও অনেকে এর অন্তর্ভুক্ত। আমাদের অর্থনৈতিক শাসনে কাঠামোগত ঘাটতি সব সময় কিছু না কিছু থেকেই যায়। কিন্তু ঘাটতিগুলো যখন গভীরে পৌঁছে, সেটাও একটা কাঠামোগত আকার ধারণ করে। সেটাই লৌহ ত্রিভুজের মতো গেড়ে বসেছে।

প্রথমটি হলো একমাত্রিক উন্নয়ন দর্শন। অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দিতে গিয়ে আমরা সামাজিক উন্নয়নের বিষয়গুলোকে পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। লৌহ ত্রিভুজের দ্বিতীয়টি হলো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় 'কনফ্লিক্ট অব ইন্টারঅ্যাক্ট' বা নিয়ম ও স্বজনতোষী ব্যক্তিস্বার্থের দ্বন্দ্বকে নিরন্তরভাবে উপেক্ষা করা শুধু নয়, রীতিমতো প্রশ্রয় দেওয়া। আর্থিক, জ্বালানি ও পরিবহন- অর্থনীতির এ মূল খাতগুলোর মধ্যে ব্যক্তিস্বার্থের সুবিধার্থে অনিয়মকে নিরন্তর প্রশ্রয় দেওয়াই কার্যত 'নিয়ম' পর্যায়ে উপনীত।

কয়েকটি খাতের উদাহরণ দিলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। যেমন বিদ্যুৎ খাত। এখানে সাময়িকভাবে 'কুইক রেন্টাল' শুরু হয়েছিল। এরপর কেন এটি চলমান রাখতে হলো? ব্যক্তিস্বার্থের সুবিধা নিশ্চিত করা ছাড়া এর কোনো অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা নেই। যেমন পরিবহন খাত। কেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএ অচল? কেন সড়ক নিরাপত্তায় কিছুই করা যাচ্ছে না? নিরাপদ সড়কের জন্য ১০১টি সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করতে পারছি না। এখানেও ব্যক্তিস্বার্থে অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়াই মুখ্য। যেমন ব্যাংকিং খাত। এখানেও নিয়ম করে অনিয়মের বিষয়টি ব্যাপক। আমাদের উন্নয়ন খাত বা উন্নয়ন প্রকল্পগুলোও এই প্রবণতার বাইরে নয়। কেন খরচ বাড়ে, কেন সময় বাড়ানো হয়? ব্যক্তি স্বার্থের সুবিধা নিশ্চিত করাটাই যেন বৃহত্তর উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

লৌহ ত্রিভুজের তৃতীয় বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক। এটি হচ্ছে অবিচারের অর্থনীতি, যার বোঝা সাধারণ মানুষের ওপর অব্যাহতভাবে বর্তাচ্ছে। সাধারণ মানুষ অবিরাম সংগ্রাম করছে নিজের এবং তার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে। বিনিময়ে তার মূল প্রাপ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে অবিচারের খাটুনি ও ন্যূনতম স্বস্তির অনুপস্থিতি। অবিচারের খাটুনি আমরা জনগণের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছি। সব সুখ ভোগ করছে ওপরের দিকের মানুষ, আর চাপের বোঝাটা দিচ্ছি সাধারণ মানুষের ওপর। এখানে শুধু স্বল্প আয়ের মানুষ নয়; মধ্যম আয়ের মানুষের ওপরেও চাপ বাড়ছে।

লৌহ ত্রিভুজ এই অর্থে বলছি- এ তিনটি একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত; কিংবা বলা যায় একে অন্যকে প্রভাবিত করছে। একমাত্রিক উন্নয়ন দর্শন ও নিয়মের ব্যত্যয়কে প্রশ্রয় দিয়েই যখন নীতি তৈরি ও বাস্তবায়ন হচ্ছে, তখন অবধারিত ফল হিসেবে নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে। এই লৌহ ত্রিভুজ ভাঙতে হলে একটি বড় ধাক্কার প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞ কমিটির কিছু সুপারিশ দিয়ে এর সমাধান হবে না। এর সঙ্গে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, উদ্যোগ ও উপলব্ধি জরুরি। তা না হলে এটা ভাঙা সম্ভব হবে না। এ সময়ে আমরা ক্রোনি ক্যাপিটালিজম বা স্বজনতোষী পুঁজিবাদ বলে একটা পরিভাষা ব্যবহার করি। কিন্তু আমি যে লৌহ ত্রিভুজের কথা বলছি, তা এই 'ক্রোনি ক্যাপিটালিজম' ধারণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। একে আরও বৃহত্তর চিন্তার মধ্যে আনতে হবে।

রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে- আমরা লৌহ ত্রিভুজ ভাঙতে পারব কি পারব না। আর বড় ধাক্কা ছাড়া লৌহ ত্রিভুজ ভাঙবে না। ছোট ছোট ধাক্কায় এ ত্রিভুজ নড়াচড়া করলেও আবার গেড়ে বসবে। এমনটা হলে আমাদের এসডিজির আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না। ২০২৬ সালে আমাদের এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটবে বটে, কিন্তু আমরা যে ধরনের মধ্যম আয়ের কথা চিন্তা করছি, ওই ধরনের দেশে পরিণত হতে পারব না। এসডিজি ও কাঙ্ক্ষিত মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর হতে লৌহ ত্রিভুজ ভাঙার সময় এখনই।

লেখক: অর্থনীতিবিদ, নির্বাহী চেয়ারম্যান, পিপিআরসি

এসএন

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত