সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আর্থ-রাজনৈতিক 'লৌহ ত্রিভুজ' ভাঙতে হবে

আমাদের শুধু সামষ্টিক অর্থনীতির দিকে তাকালে হবে না; সামষ্টিক, মধ্যম ও ব্যষ্টিক- তিনটি পর্যায়েই মনোযোগ দেওয়া দরকার। মধ্যম ও ব্যষ্টিক অর্থনীতি উপেক্ষা করে সামষ্টিক অর্থনীতির সংকট মোকাবিলা করা কঠিন।

এটা পরিষ্কার যে, সামষ্টিক অর্থনীতিতে এক ধরনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে নানা আলোচনাও হচ্ছে। সম্প্রতি সিপিডি আয়োজিত 'সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ: কতটা ঝুঁকিপূর্ণ' শীর্ষক আলোচনা সভায় অনেকে এ বিষয়ে জোর দিয়েছেন। আমিও সেখানে কথা বলেছি। যে বিষয়টি আরও জোর দিয়ে বলা দরকার তা হলো, মধ্যম অর্থনীতিতে সংস্কারের বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কভিড-১৯-এর ধাক্কা থেকে আমাদের এক ধরনের উত্তরণ ঘটেছে বটে, তবে সে উত্তরণ পুরোপুরি হয়নি। পিপিআরসি-বিআইজিডির ২০২২-এর মে মাসের গবেষণায় আমরা দেখেছি, মহামারির দুই বছর পরও জরিপ করা পরিবারগুলোর গড় আয় মহামারি-পূর্ব আয়ের ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ নিচে।

ব্যষ্টিক পর্যায়ে অবিচারের অর্থনীতিও আলোকপাত করা দরকার। অবিচারের অর্থনীতির তিনটি চেহারা জোরালোভাবে সামনে আসছে। প্রথমটি হলো নতুন দারিদ্র্য। আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, কভিড থেকে উত্তরণের পরও তিন কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যে পড়েছে। সাম্প্রতিক মূল্যস্ম্ফীতির প্রভাবও এক্ষেত্রে প্রভাবক ভূমিকা পালন করেছে। দ্বিতীয়টি আরও দুশ্চিন্তার বিষয়। কারণ আমরা সব আলোচনা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা নিয়েই করছি। অথচ আমাদের অন্যতম লক্ষ্য এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন। এ ক্ষেত্রে তিনটি লক্ষ্যমাত্রা গতিচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। একটি হলো অপুষ্টি। এই খাতে আমাদের অবস্থার উন্নতি ঘটছিল। কিন্তু এখন পারিবারিক খাদ্য তালিকায় পুষ্টির বদলে উল্টোদিকে যাত্রার প্রবণতা স্পষ্ট। পরিস্থিতি এই উল্টোযাত্রায় বাধ্য করছে। অপরদিকে কোভিড-পরবর্তী সময়ে মাধ্যমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার বেড়েছে। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে চাকরির বাজারসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও। গৃহায়ন আরেকটি বিষয়। আমরা দেখেছি, কোভিডকালে অনেক মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে, নগরে থাকা-খাওয়ার খরচের বোঝা টানতে না পেরে। অবিচারের অর্থনীতির তৃতীয় চেহারা হচ্ছে, চলমান প্রবৃদ্ধিকেন্দ্রিক উন্নয়ননীতি কর্মসংস্থানমুখী হচ্ছে না। এর ফলে যুব বেকারত্ব আরও গভীর হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষিত বেকারত্ব।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের নজর থাকে তাৎক্ষণিক বিষয় সামাল দিতে। জরুরি বিষয় আগে সামাল দিতে হবে, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু এই মুহূর্তের সংকট যে শুধু বর্তমানে সংকট তৈরি করছে, তা নয়; একই সঙ্গে তা আমাদের নিম্নস্তরে তথা ব্যষ্টিক ও মধ্যম পর্যায়ের সমস্যাগুলোও সামনে নিয়ে আসছে। তাই এই মুহূর্তের চ্যালেঞ্জ সামাল দেওয়ার পাশাপাশি সামনে চলে আসা মধ্যমেয়াদি সমস্যার দিকেও নজর দেওয়া জরুরি।

অর্থনৈতিক এসব সংকটের কারণে সামাজিক অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি রয়েছে। এ ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি মানুষের সার্বিক চাহিদা পূরণ হচ্ছে কি না, সেটাও দেখা জরুরি। এ ক্ষেত্রে আমাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার কথা বলতেই হবে। এখানে শুধু অব্যবস্থাপনার বিষয়ই নয়, বরং কী ধরনের ব্যবস্থাপনা চলমান, তার চরিত্রও বোঝা দরকার।

আমি মনে করি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের লৌহ ত্রিভুজ গেড়ে বসেছে। এখানে শুধু ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীই নয়, আরও অনেকে এর অন্তর্ভুক্ত। আমাদের অর্থনৈতিক শাসনে কাঠামোগত ঘাটতি সব সময় কিছু না কিছু থেকেই যায়। কিন্তু ঘাটতিগুলো যখন গভীরে পৌঁছে, সেটাও একটা কাঠামোগত আকার ধারণ করে। সেটাই লৌহ ত্রিভুজের মতো গেড়ে বসেছে।

প্রথমটি হলো একমাত্রিক উন্নয়ন দর্শন। অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দিতে গিয়ে আমরা সামাজিক উন্নয়নের বিষয়গুলোকে পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। লৌহ ত্রিভুজের দ্বিতীয়টি হলো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় 'কনফ্লিক্ট অব ইন্টারঅ্যাক্ট' বা নিয়ম ও স্বজনতোষী ব্যক্তিস্বার্থের দ্বন্দ্বকে নিরন্তরভাবে উপেক্ষা করা শুধু নয়, রীতিমতো প্রশ্রয় দেওয়া। আর্থিক, জ্বালানি ও পরিবহন- অর্থনীতির এ মূল খাতগুলোর মধ্যে ব্যক্তিস্বার্থের সুবিধার্থে অনিয়মকে নিরন্তর প্রশ্রয় দেওয়াই কার্যত 'নিয়ম' পর্যায়ে উপনীত।

কয়েকটি খাতের উদাহরণ দিলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। যেমন বিদ্যুৎ খাত। এখানে সাময়িকভাবে 'কুইক রেন্টাল' শুরু হয়েছিল। এরপর কেন এটি চলমান রাখতে হলো? ব্যক্তিস্বার্থের সুবিধা নিশ্চিত করা ছাড়া এর কোনো অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা নেই। যেমন পরিবহন খাত। কেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএ অচল? কেন সড়ক নিরাপত্তায় কিছুই করা যাচ্ছে না? নিরাপদ সড়কের জন্য ১০১টি সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করতে পারছি না। এখানেও ব্যক্তিস্বার্থে অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়াই মুখ্য। যেমন ব্যাংকিং খাত। এখানেও নিয়ম করে অনিয়মের বিষয়টি ব্যাপক। আমাদের উন্নয়ন খাত বা উন্নয়ন প্রকল্পগুলোও এই প্রবণতার বাইরে নয়। কেন খরচ বাড়ে, কেন সময় বাড়ানো হয়? ব্যক্তি স্বার্থের সুবিধা নিশ্চিত করাটাই যেন বৃহত্তর উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

লৌহ ত্রিভুজের তৃতীয় বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক। এটি হচ্ছে অবিচারের অর্থনীতি, যার বোঝা সাধারণ মানুষের ওপর অব্যাহতভাবে বর্তাচ্ছে। সাধারণ মানুষ অবিরাম সংগ্রাম করছে নিজের এবং তার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে। বিনিময়ে তার মূল প্রাপ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে অবিচারের খাটুনি ও ন্যূনতম স্বস্তির অনুপস্থিতি। অবিচারের খাটুনি আমরা জনগণের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছি। সব সুখ ভোগ করছে ওপরের দিকের মানুষ, আর চাপের বোঝাটা দিচ্ছি সাধারণ মানুষের ওপর। এখানে শুধু স্বল্প আয়ের মানুষ নয়; মধ্যম আয়ের মানুষের ওপরেও চাপ বাড়ছে।

লৌহ ত্রিভুজ এই অর্থে বলছি- এ তিনটি একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত; কিংবা বলা যায় একে অন্যকে প্রভাবিত করছে। একমাত্রিক উন্নয়ন দর্শন ও নিয়মের ব্যত্যয়কে প্রশ্রয় দিয়েই যখন নীতি তৈরি ও বাস্তবায়ন হচ্ছে, তখন অবধারিত ফল হিসেবে নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে। এই লৌহ ত্রিভুজ ভাঙতে হলে একটি বড় ধাক্কার প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞ কমিটির কিছু সুপারিশ দিয়ে এর সমাধান হবে না। এর সঙ্গে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, উদ্যোগ ও উপলব্ধি জরুরি। তা না হলে এটা ভাঙা সম্ভব হবে না। এ সময়ে আমরা ক্রোনি ক্যাপিটালিজম বা স্বজনতোষী পুঁজিবাদ বলে একটা পরিভাষা ব্যবহার করি। কিন্তু আমি যে লৌহ ত্রিভুজের কথা বলছি, তা এই 'ক্রোনি ক্যাপিটালিজম' ধারণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। একে আরও বৃহত্তর চিন্তার মধ্যে আনতে হবে।

রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে- আমরা লৌহ ত্রিভুজ ভাঙতে পারব কি পারব না। আর বড় ধাক্কা ছাড়া লৌহ ত্রিভুজ ভাঙবে না। ছোট ছোট ধাক্কায় এ ত্রিভুজ নড়াচড়া করলেও আবার গেড়ে বসবে। এমনটা হলে আমাদের এসডিজির আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না। ২০২৬ সালে আমাদের এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটবে বটে, কিন্তু আমরা যে ধরনের মধ্যম আয়ের কথা চিন্তা করছি, ওই ধরনের দেশে পরিণত হতে পারব না। এসডিজি ও কাঙ্ক্ষিত মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর হতে লৌহ ত্রিভুজ ভাঙার সময় এখনই।

লেখক: অর্থনীতিবিদ, নির্বাহী চেয়ারম্যান, পিপিআরসি

এসএন

Header Ad
Header Ad

বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল আবারও উঠে এসেছেন আলোচনার কেন্দ্রে। তবে এবার কোনো সিনেমা বা গ্ল্যামার নিয়ে নয়, বরং ব্যক্তিগত জীবনের একটি রহস্যজনক ইঙ্গিত নিয়েই সরব নেটিজেনরা। ৪৯ বছর বয়সেও তার স্টাইল ও সৌন্দর্যে মোহিত ভক্তরা, কিন্তু সম্প্রতি দুবাইতে ছুটি কাটাতে গিয়ে পোস্ট করা একটি ছবিতে তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার জল্পনা।

সবুজ মনোকিনিতে একটি ম্যাঙ্গো আইসক্রিম হাতে, খোলা চুল, চোখে সানগ্লাস আর মাথায় স্টাইলিশ টুপি পরে ক্যামেরার দিকে পোজ দিয়েছেন আমিশা। সাধারণত এমন ছবিতে ভক্তরা প্রশংসায় ভরিয়ে দেন কমেন্ট বক্স। তবে এবার নজর কাড়ে তার পেট। নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন, ছবিতে ‘বেবি বাম্প’ স্পষ্ট। আর সেখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে— “তিনি কি অন্তঃসত্ত্বা?” কেউ লিখেছেন, “বিয়ের আগেই বেবি?” আবার কেউ লিখেছেন, “হে ভগবান, এটা কি সত্যি?”

 

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত

এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি আমিশা। তবে এর আগে ১৯ বছরের ছোট নির্বাণ বিড়লার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চাউর হয়। একটি ছবি ঘিরে তখনো নেটদুনিয়ায় বেশ আলোচনা হয়েছিল, যেখানে নির্বাণকে ‘ডার্লিং’ বলে সম্বোধন করেন আমিশা, আর নির্বাণও তেমনি প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন।

বর্তমানে আমিশার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। এটি নিছক গুজব, আলো ছড়ানো একটি ছবি, না কি সত্যিই জীবনের নতুন অধ্যায়—তা সময়ই বলে দেবে। তবে একথা নিশ্চিত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় থাকতে অভিনেত্রী ভালোই জানেন কীভাবে দর্শকদের কৌতূহলী করে তুলতে হয়।

Header Ad
Header Ad

পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনানীতে ছুরিকাঘাতে নিহত প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ছাত্রদল কর্মী পারভেজের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ছেলে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন। কাঁদছে স্বজন ও গ্রামের মানুষ।

তুচ্ছ ঘটনায় প্রকাশ্যে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডে হতবাক সবাই। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি স্বজন ও এলাকাবাসির। রাত ৯টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে পারভেজের লাশ।

সন্তান হারানো শোকে আজোড়ে কাঁদছেন আর বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা পারভীন আক্তার। বাবা জসিম উদ্দিন যেন শোকে পাথর। এলাকার প্রিয়মুখ পারভেজের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে কাঁদছে গ্রামের মানুষ।

মৃত্যুর আগের রাতে মায়ের সাথে শেষ কথা হয় পারভেজের। শেষবারের মতো ভিডিও কলে দেখেন ছেলের মুখ।

ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে কুয়েত প্রবাসী বাবা জসিম উদ্দিন বাড়ি এসেছেন রোববার ভোরে। একমাত্র ছেলের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। সন্তান হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা বাবা জসিম উদ্দিন।

মা পারভীন আক্তার বলেন, 'যারা আমার ছেলেরে মারছে তাদের আমার সামনে আনো। আমি জিগাইতাম কেরে আমার ছেলের মারছে।'

বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, 'আমার আর বাইচ্চা থাইক্যা কি অইবো। আমার ছেলেই তো নাই। হাত-পা ভাইঙ্গা রাখতো, সারাজীবন পালতাম, খালি বাবা ডাকটা শুনতাম। যারা আমার ছেলে মারছে তাদের প্রকাশ্যে ফাঁসি চাই।'

বাবা বিদেশে থাকায় নিজের গ্রামের বাড়িতে নতুন একতলা বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন পারভেজ। কিন্তু সে বাড়িতে আর থাকা হলো না তার। ফিরেছে লাশ হয়ে। রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ আসে গ্রামের বাড়ি ভালুকার বিরুনীয়া ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে। লাশ আসার পর সৃষ্টি হয় হৃদয় বিধারক পরিবেশ। পাগল প্রায় মা-বাবা-বোনের আহাজারিতে কান্নার রোল পড়ে।

পারভেজের মৃত্যুর খবরে ভালুকার বিরুনীয়া ইউনিয়নের কাইচান গ্রামে ভিড় করেছেন এলাকার মানুষ। এলাকায় স্বজন, ও ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত পারভেজ ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত বলে জানান স্বজন ও এলাকার মানুষেরা। তাদের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। ভিডিও ফুটেজে চিহ্নিত পারভেজের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসি দাবি জানান স্থানীয়রা।

পারভেজের পিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানান, পারভেজের বাবা বিরুনীয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক নেতা। তাদের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। পারভেজ এলাকায় আসলে বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মসূচি ও মিছিলে সবসময় অগ্রভাগে থাকতো।

এদিকে ছাত্রদল কর্মী পারভেজ হত্যার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে রোববার বিকেলে ভালুকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল ও স্থানীয়রা। এসময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক আধা ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য গত শনিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিল পারভেজ। এ ঘটনায় আটজনের নামসহ অজ্ঞাত আসামি করে বনানি থানায় মামলা করেছে নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসী ফুটবলারদের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির ধারা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। ইংল্যান্ডের ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলে খেলা ১৯ বছর বয়সী মাঝমাঠের খেলোয়াড় কিউবা মিচেল বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কিউবাকে গতকাল একটি ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল। আজ বিকেলে সেই ই-মেইলের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে তিনি আগ্রহী এবং পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুত আছেন।

জন্মসূত্রে ইংল্যান্ডের হলেও কিউবার মা বাংলাদেশের এবং বাবা জ্যামাইকান। ইতোমধ্যে সান্ডারল্যান্ডের হয়ে ৮টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তার ফুটবল যাত্রা শুরু হয়েছিল বার্মিংহাম সিটির যুব দলে।

এর আগে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব কাভালরির ফুটবলার সামিত সোমও বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে তার জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে এবং পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়াধীন।

ডেনমার্কপ্রবাসী মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়ার পথ ধরে প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ দলে খেলার এই ধারা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। হামজা চৌধুরীর অভিষেকের পর থেকেই বিষয়টি ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহও বেড়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী