রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫ | ১৬ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ডলারের উপর নির্ভরশীলতা কমানো উচিত

আমি মনে করি, বিনিময় হারের সঙ্গে ডলারের মূল্য সরাসরি জড়িত। সারা পৃথিবীতেই ডলারের মূল্য বাড়ছে। যারা বিনিময় হার ধরে রাখতে পারছে, তারা মূল্যস্ফীতি ভালো করে মোকাবিলা করতে পারবে। বাজারে মূল্য হারাতে থাকলে আমরা আরও বিপদে পড়ব। এখানে যেকোনো কারণেই হোক ডলারের দাম বাড়ছে, ডলারের দাম বেড়ে যাবে, কাজেই অনেকে এটি ধরে রাখার জন্য ডলার কিনে রাখছে। তারা বিদেশ যাক অথবা না যাক, তারা এমনিতেই ডলার কিনে রেখে দিচ্ছে। এটি গত দুই মাস আগেও ঘটেছিল।

আগে যেখানে ডলারের বিপরীতে ছিল ৮৫ টাকা এখন সেটি ১০০ টাকার উপরে হয়ে গিয়েছে। তাহলে ডলারে যেসব পণ্য আমদানি করবে সেগুলোর দাম বাড়বে স্বাভাবিকভাবেই। দাম বৃদ্ধি মানেই বাজারে তার প্রভাব পড়বে। সুতরাং আমদানি মূল্য বেড়ে যাওয়া মানে কস্ট অব প্রডাকশন বাড়বে। মূল্যস্ফীতি বাড়বে। বাংলাদেশ ব্যাংক এক্ষেত্রে চেষ্টা করছে। আমি বলতে চাই যে, যেসমস্ত দেশ অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে পেরেছে তারা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

আমি মনে করি, সব আমদানি ডলারে করতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। রাশিয়া থেকে আমদানি করা যায়, চাইনিজ কারেন্সি ব্যবহার করা যায়। এখন আমরা ডলারের দিকে তাকিয়ে থাকা মানে ডলারের দাম বাড়িয়ে দেওয়া। চীন অথবা রাশিয়া থেকে আমরা যদি কিছু কিনে থাকি, সেক্ষেত্রে সেই দেশের কারেন্সি ব্যবহার করতে পারি। এটি ভারতসহ অনেক দেশই করতে পেরেছে। আমরা এখনো করতে পারিনি।

আমরা যদি ভারতীয় রুপি ব্যবহার করতে পারি তারা আমাদের টাকা ব্যবহার করবে। চাইনিজ কারেন্সি বৈশ্বিকভাবেই স্বীকৃত। সমস্যা হচ্ছে সারা পৃথিবী ডলারের উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এই নির্ভরশীলতা কমানো দরকার মনে করি।

হুন্ডি একটি বড় সমস্যা বলে আমি মনে করি। হুন্ডি ও চোরাচালান একটি অন্যটির সঙ্গে জড়িত। হুন্ডির মাধ্যমেও ডলারের চাহিদা বাড়ছে। এখন একজন লোক বৈধভাবে সম্পত্তি বিক্রি করেছে, সে যদি ট্যাক্স দিয়ে থাকে, তাহলে তাকে টাকা নিতে দেওয়া হোক। অন্য দেশগুলো সহজ করে দিয়েছে। আমাদের এখানে একটি নির্দিষ্ট অংকের বাইরে টাকা নিতে গেলেই সীমাবদ্ধতা আছে। যে কারণে অর্থপাচার অথবা হুন্ডির আশ্রয় নেয় অনেকেই।

আমি মনে করি, আমাদের নীতি নির্ধারকদের আরও সমৃদ্ধ হওয়া উচিত। আমাদের চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তন আনতে হবে। নয়তো চোরাবালির একটি খেলা চলতেই থাকবে। অর্থ পাচার, কথিত হুন্ডির ব্যবহার, পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্র ইন্টিলিজেন্স এজেন্সি অথবা পুলিশ দিয়ে কথিত হুন্ডি বন্ধ করতে পারেনি। আমাদের পলিসি পরিবর্তন করতে হবে। বৈধ টাকায় বিধি-নিষেধ আরোপ করার মাধ্যমে আমরা হুন্ডি ব্যবসা ও চোরাচালান বাড়িয়ে দিচ্ছি।

আমাদের দেশে বিদেশিরা শেয়ার কিনতে পারে। লাভ হলে নিয়ে যেতে পারে। আমাদের শেয়ার বাজারে কোনো বিধি নিষেধ নেই। কিন্তু আমরা বিদেশে গিয়ে শেয়ার কিনতে পারি না। বাংলাদেশিরা এখানে বসে জুয়া খেলছে, পুলিশ ধরছে। মানুষ অসাধু পথ অবলম্বন করছে। মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। ড্রাগ অথবা মদ ছাড়া সব উন্মুক্ত করে দিতে হবে। বৈধ টাকা হলে কোথাও বাধা দেওয়া যাবে না। এতে অর্থনীতি উপকৃত হবে।

লেখক: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এসএন 

Header Ad
Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আজ রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এ সময় তারা দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রম এবং আসন্ন ঈদ উপলক্ষে গৃহীত বিশেষ পদক্ষেপগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান জানান, ঈদ উপলক্ষে সাধারণ মানুষের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে লঞ্চ টার্মিনাল, ট্রেন স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, যাতে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন। পাশাপাশি দেশের প্রধান সড়ক ও মহাসড়কে যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখার বিষয়েও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে বোঝাপড়া বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এতে করে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে এবং শ্রমিকদের মধ্যে কোনো অস্থিরতা তৈরি হবে না।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আরও জানান, গত জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সম্মানে দেশের প্রতিটি সেনানিবাসে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি, আহত যোদ্ধা এবং শহীদদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর এই মানবিক ও পেশাদার ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে একইভাবে নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাবে।

সাক্ষাতের শেষ পর্যায়ে সেনাপ্রধান প্রধান উপদেষ্টাকে আগাম ঈদ শুভেচ্ছা জানান এবং ভবিষ্যতেও সেনাবাহিনী দেশের সেবায় নিয়োজিত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের আকাশে আজ রবিবার সন্ধ্যায় পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এর ফলে আগামীকাল সোমবার সারাদেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।

রবিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব চত্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করা হয়। সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এদিকে, ঈদুল ফিতর উদযাপনে ইতোমধ্যে দেশের প্রতিটি এলাকায় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল সারাদেশে ঈদের প্রধান জামাতসহ স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

 

Header Ad
Header Ad

ফিলিস্তিনের আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল

ছবি: সংগৃহীত

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম এই মসজিদে ঈদের নামাজে ঢল নামে হাজারো মুসল্লির।

ব্যাপক কড়াকড়ি সত্ত্বেও রমজানের শেষে রবিবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ে জড়ো হন হাজার হাজার মুসল্লি। শেষ রোজার দিনও আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রায় ৭৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।

ইরান প্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসা মুসল্লিরা ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক তল্লাশির মুখে পড়েন, তবে শেষ পর্যন্ত তারা নামাজ আদায় করতে সক্ষম হন। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ঈদুল ফিতর আনন্দঘন পরিবেশে পালিত হলেও, ফিলিস্তিনিদের জন্য দিনটি আতঙ্ক ও শঙ্কার ছায়া বয়ে এনেছে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে, আর জেরুজালেমেও ঈদের দিন কঠোর অবস্থান নিয়েছে দখলদার বাহিনী।

মুসলমানদের অন্যতম বড় উৎসব ঈদুল ফিতর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হলেও ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য দিনটি ছিল উদ্বেগময়। গাজা উপত্যকায় চলমান হামলা ও আল-আকসায় ইসরায়েলি সেনাদের কড়াকড়ি উপস্থিতি ঈদের আনন্দ ম্লান করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আল-আকসায় প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। এর আগের বছর, ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যেও ১০ লাখের বেশি মুসল্লি এই পবিত্র মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর
ফিলিস্তিনের আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের আমন্ত্রণ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে গাজাবাসীর ঈদুল ফিতরের নামাজ
জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত: ডিএমপি কমিশনার
৮ বছর পর পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে ঈদ উদযাপন করলেন খালেদা জিয়া
ইসরাইলে হুথি বিদ্রোহীদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন
কারাগারে ঈদ: জেলে বন্দি নেতারা কেমন কাটাবেন ঈদের দিন?
শিল্পকলায় ‘চাঁদ রাতের আনন্দ অনুষ্ঠান’ থাকছে মাইজভান্ডারী গানের পরিবেশনা  
নিজেদের নয়, প্রকৃতিকে ঈদ উপহার দেওয়া উচিৎ : পরিবেশ উপদেষ্টা  
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যান পারাপার  
রেলের কেউ কালোবাজারিতে জড়াতে সাহস পায়নি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা    
রাজধানীতে কখন কোথায় ঈদ জামাত
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়বেন প্রধান উপদেষ্টা  
ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের জেরে প্রাইভেটকারে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ২  
খুলনায় আ.লীগ নেতাদের চাঁদায় এনসিপির ব্যানারে ইফতার  
খুলনায় মধ্যরাতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গোলাগুলি  
নির্বাচনে থাকছেনা পোস্টার, প্রার্থীর প্রচারে থাকবে কাপড়ের ব্যানার