শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জনসংখ্যাধিক্যের সমস্যা

সবকিছুরই একটি সর্বোচ্চ বহন ক্ষমতা আছে। তা অতিক্রম করলে প্রবল চাপ, যন্ত্রণা এবং শেষে ভাঙন দেখা দেবে। আমাদের দেশে বলা হচ্ছে টিএফআর অনেক কম এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২ শতাংশ। তাই চিন্তার কিছু নেই এবং ৫৬ হাজার বর্গমাইলে ১৮ কোটি মানুষ জনসম্পদ। আমাদের মামলার সংখ্যা ৩৫ লাখ, বিচারকের সংখ্যা ২২০০ এর মতো এবং আইনজীবীদের সংখ্যা ৯১ হাজারের কাছাকাছি। ৭ বছর আগে এই মামলার সংখ্যা ছিল ৩০ লক্ষ।

বিশেষ করে জমির উপর বর্ধিত জনসংখ্যার বেআইনি প্রবেশের ফলে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ভীতিকরভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলখানায় ধারণক্ষমতার চাইতে ২.৫ গুণের বেশি মানুষকে আটকে রাখতে হচ্ছে ১২-১৪ বছর পর্যন্ত। কারণ পুলিশ ও বিচারকদের প্রাণপণ চেষ্টা সত্ত্বেও মামলা তদন্ত করে রায় প্রদান করা পর্যন্ত সময় লাগছে কয়েক বছর এবং রায় কার্যকর হতে সময় লাগছে ৮-১২ বছর পর্যন্ত। মামলা জট এবং তাতে জড়িত বিপুল সংখ্যক মানুষের নাম, অপরাধের ধরণ ও ধারা, পিতা-মাতার নাম, ঘটনাস্থল, সাক্ষী, আলামত ও অন্যান্য উপাত্ত নিশ্চিত করে এর কম সময়ে বিচার কাজ করা অসম্ভব।

শাজনিন খুনের মামলার রায় কার্যকর হতে ১৮ বছর এবং আহসান উল্লাহ্ মাস্টার খুনের মামলার রায় কার্যকর হতে ১২ বছর সময় লেগেছিল। তারা ছিলেন প্রতাপশালী মানুষ কিন্তু নির্দোষ। সাধারণ বিচার প্রার্থীদের অবস্থা কেবল অনুমেয় নয় বরং দেখা যাচ্ছে। এতটুকু ভূমিতে ১৭ কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা নির্বাহ (প্রায় এক কোটি প্রবাসী), শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যানবাহন, চলাচল এবং বিনোদন দিনে দিনে কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। কারণ বছরে ২২ লক্ষ মানুষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্জ্য ও পয়ঃনিষ্কাশন অত্যন্ত দুর্গন্ধপূর্ণ হয়ে উঠছে।

জলাবদ্ধতা কার সৃষ্টি? সমৃদ্ধির অনুসঙ্গ টায়ার-টিউব, শক্তবর্জ্য, শিল্পবর্জ্য, প্লাস্টিক ও চিকিৎসাবর্জ্য কোথায় রাখব? গৃহে তো দূরের কথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ কোথায় বানাব? একটি ফ্ল্যাটে ২০ তলায় শিশু আছে অন্তত ৪০ জন। খেলার জায়গা নিচে খুব বেশি হলে আছে ২০ ফুট। যা রাত ১২টা-১টা পর্যন্ত যানবাহন দিয়ে ভরা। তাদের কেউ কেউ তাই খেলছে বাইরের রাস্তায় এবং তাতে গাড়ির কাচ ও গৃহের জানালা ফেটে বচসা এবং অশ্লীল ভাষা বিনিময়ের ঘটনা ঘটছে। খ্রিস্টান ধর্মে বলা হয় মৃতের সৎকার হচ্ছে ‘এ ডিসেনট বেরিয়াল’। এতে মানুষের শেষ মর্যাদা নিহিত আছে। আর আমার শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলামের অনুসারী বাঙালি মুসলমানকে কবর দেওয়ার জন্য নানা স্থানে তদবির করতে হয়। কবরের জমি কিনতে চাইলে তার দাম এক কোটি ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রদান করতে হয় এবং তা দুলর্ভ। ফলে লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষকে পুরোনো মৃতের হাড়-গোড় এবং দূষিত ভগ্নাবশেষের সঙ্গে কবরস্থ করতে হচ্ছে।

এভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এই অমর্যাদা এবং অসম্মান বাড়তে থাকবে। সিকাটুলী পুকুর কি রক্ষা করা গেছে সর্বাত্মক আন্দোলন করেও? ৩ দিনের ছুটিতে ৩৯৮ জনের প্রাণহানি কী তদন্ত কমিটি করে সুরাহা করা যাবে? বছরের অন্তত ১২টি দিন পোকামাকড়ের মতো বিস্তারে ট্রেন, বাস, ট্রাক এবং বিভিন্ন জলযানে চড়ে মানুষ যেভাবে যাতায়াত করেন তা কি মর্যাদার নাকি নিরাপত্তার? পাকা জায়গা বৃদ্ধি পাচ্ছে কারণ গৃহ নির্মাণ, তাহলে বৃষ্টির পানি মাটির ভেতরে ঢুকবে কি করে? গাছ লাগাব কোথায়? অক্সিজেন কমছে, তাপ বাড়ছে, ছায়া কমছে এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড বাড়ছে।

দুটি ১২ তলা বা ২০ তলা ভবনের মধ্যেবর্তী স্থানে ফায়ার ব্রিগ্রেড যে প্রস্থের রাস্তা চায় তা এখন কতটুকু অবশিষ্ট আছে? ড্রেনের বর্জ্য ঠিকাদাররা ড্রেনের পাকা পাড়ের উপর ফেলে রাখেন। কেবল তো দোষ দিলে হবে না সেগুলো রাখার জায়গা কোথায় আছে? বুড়িগঙ্গার পানিতে গৃহস্থলী, ধোপার এবং শিল্পবর্জের এক বড় অংশ গিয়ে পড়ছে। জলযানের এবং যাত্রীর ব্যবহৃত বর্জ্যের স্থানও বুড়িগঙ্গা। এগুলো ফেলার জায়গা কোথায়? এটি পারস্পরিক দোষারোপ করার বিষয় নয়। এটি সক্ষমতার বিজ্ঞানসম্মত বিবেচনার বিষয়।

যারা কাজ করেন তারা যে কতটা অতিষ্ঠ— তার একটি প্রমাণ এই যে, কয়েক বছর আগে এক বড় কর্তা বলেছিলেন যমুনা থেকে পানি এনে বুড়িগঙ্গার পানি দূষণমুক্ত করা হবে। আমরা নানা বিষয়ে অতীতের কর্তৃপক্ষের দোষ দিয়ে বলি যে সঠিক নগর, শিক্ষা, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ইত্যাদির সুষ্ঠু পরিকল্পনা ছিল না বলেই আজ এই অবস্থা। আবার কেউ বলেন, একটি বসবাসযোগ্য জনপদ রেখে যাব বা গড়ে তুলব, তার মানে তার এই অনুভূতিটি হচ্ছে যে, এটি বসবাস যোগ্য নয়। ধানমন্ডির আবাসিক এলাকাকে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন ইটের বস্তি। এইসবের প্রধান কারণটি কী?প্রায়ই বলি যে কোনো স্থানে ছিল উপচে পড়া ভিড়। তো এইভাবে মানুষ বাড়লে এই ভিড় কি কমবে নাকি বাড়বে? তারপর সমৃদ্ধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথা প্রতি ২ হাজার মার্কিন ডলার গড় আয় বাড়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত যানবাহন এখনো কিছুই বাড়েনি। এটির গড় এখনো ০.২৫টি, উন্নত দেশে সেটি গড়ে প্রায় ০৩ টি। মানুষের সমৃদ্ধি যে বৃদ্ধি পায় তার লক্ষ্য ব্যাংকে ২ কোটি টাকা সঞ্চয় রেখে ঘর্মাক্ত গণপরিবহনে চড়ার লক্ষ্যে নয় বরং একটি সু-শীতল মোটরগাড়িতে চড়বার জন্য। তো এই জনসংখ্যায় ব্যক্তিগত গাড়ি সামান্য সংখ্যক বৃদ্ধি পেলেও চলার গতি কী হবে? আশ্চর্যজনক যে এ নিয়ে ড. ইউনুসের মতো মানুষও একটি মন্তব্য করেননি। এখন ঢাকা শহর তো বটেই টঙ্গী, জয়দেবপুর ও নারায়ণগঞ্জ এর মতো স্থানেও রাস্তা এবং রেলওয়ে স্টেশন এর দুপারে মাইলের পর মাইল বর্জ্যের স্তুপে পরে থাকে কর্তৃপক্ষের আন্তরিক চেষ্টা সত্ত্বেও, কারণ স্থানের অভাব। কোথাও কোথাও ১৪ থেকে ৮৫ মাইল লম্বা যানযট মহাসড়ক গুলোকে স্থবির করে রাখছে। এবং বিভিন্ন শহরে যানবাহনের গড় গতি ঘণ্টায় এখন সাড়ে ৪ কিলোমিটারে এসে ঠেকেছে।

যারা বলেন জনসংখ্যা জনসম্পদ তাদের স্ব-বিরোধী অবস্থান প্রায় স্পষ্ট হয়ে উঠে। যখন দেখি সরকারি টিভিতে তো বটেই বেসরকারি চ্যানেলেও পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলা হচ্ছে একটি সন্তান থাকলে আর নয়, দুটি থাকলে কখনোই নয়। তাহলে এই সম্পদবীদদের মতে জনসম্পদ কোন পর্যন্ত? এটি কি ১৮ কোটি, ২০ কোটি, ২২ কোটি নাকি ৪০ কোটি, তা বলেন না কেন তারা। জনসংখ্যা যদি জনসম্পদই হবে তাহলে এই সম্পদ কমানোর জন্য এই প্রচেষ্টা কেন? মানুষ তো চায় সম্পদ বৃদ্ধি করতে। মাত্র ১২/১৩ লক্ষ রোহিঙ্গা জনসম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের এতো প্রচেষ্টা কেন? গাড়ি পার্কিং নিয়ে প্রতিদিন চারশত বর্গমাইলের প্রায় সর্বত্র যে অশ্লীল এবং কুৎসিত কলহ হয় তা হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির সঙ্গে কতটুকু সঙ্গতিপূর্ণ? কেউ অপরাধ করতেই পারেন কিন্তু নূন্যতম নৈতিক প্রত্যাশা হচ্ছে এই যে, তাকে বিচার করে নির্দোষ/দোষী প্রমাণ সাপেক্ষে কারাগার থেকে ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু সাধ্যের অতীত মামলাভার থাকার ফলে অভিযুক্তদের আটকে রাখতে হচ্ছে। ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা মুজিব বলেছিলেন, আজ বড় দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় একটি ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি হতে ২ বছর সময় লাগে। এর প্রধান কারণ জন্যসংখ্যাধিক্য।

আমাদের অবশ্যই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আজ যখন নারায়ণগঞ্জের ৭ খুন মামলার শাস্তি ৮ বছরেও বাস্তবায়ন করা যায় না সে অবস্থা দেখলে জাতির পিতা তো শোকে মূর্ছা যেতেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৩০ এর দশকে বলেছিলেন আমাদের জন্মশাসন করতেই হবে। এই দুজনের প্রতিভা অপর যে কোনো বাঙালির চেয়ে আলোকবর্ষ দুরের কিন্তু এখন মনে হয় আমরা অনেকেই এই দুজনের চেয়ে বেশি বুঝি। গায়ে গায়ে ধাক্কা দিয়ে পদপথ, ড্রেন, রাস্তা, মহাসড়ক, হাট-বাজার, শিক্ষালয়, চিকিৎসালয় ও যানবাহন তথা সর্বত্র চলা মানব মর্যাদার পরিপন্থী। মানুষ বন্যপ্রাণী, গাছ বা আসবাবপত্র নয়।

দুজন মানুষের মধ্যে অবশ্যই ব্যক্তিগত শালীন দূরত্ব বজায় রাখা অত্যাবশ্যক। অন্তত এই দিক বিবেচনা হলেও জনসংখ্যাকে কমিয়ে আনার ব্যাপক উদ্যোগ সমাজের সর্বনিম্ন ইউনিট থেকে গ্রহণ করতে হবে। ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে, বর্ধিত জনসংখ্যার ব্যবহৃত জ্বালানি তাপমাত্রা বাড়াচ্ছে। ঢাকা শহরে ৫০ লক্ষ লোকের জীবন-যাপন সম্ভব অথচ সেখানে আছেন প্রায় সোয়া ২ কোটি। এমনি ৫৬ হাজার বর্গমাইলে ইউএনএফপি এর মতে যে জনসংখ্যা হওয়ার কথা তা করার দীর্ঘমেয়াদি এবং স্বল্প মেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বড় মুনাফার জন্য প্রয়োজন বড় বাজার, বড় বাজারের জন্য প্রয়োজন বিপুল মানুষ, এই নীতিতে বিশ্বাসী যারা আছেন— সরকার যেন তাদের সঙ্গে নিয়ে এর একটি সমন্বয় করে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেন। এই প্রত্যাশা করি। আমাদের অনেকে পট করে বলে ফেলেন যে, বিকেন্দ্রীকরণ হচ্ছে এই সমস্যার সমাধান। ঢাকায় আমার জীবিকা এবং একটি ফ্ল্যাট বা বাসস্থানের মালিক। এই ধরনের মানুষদের বিকেন্দ্রীকরণ করে ঢোলসমুদ্র বা আন্ধারমানিকে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। তাদের ঢাকার ফ্ল্যাটে কেউ তো থাকবেন এবং যানবাহনও থাকবে। তাহলে এর ফল তো শূন্য। আর তুঘলকী আইন প্রয়োগ করে বাড়ির মালিকদের বাইরে পাঠিয়ে দিলে এই বাড়িগুলোর ব্যাংক ঋণ, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল এবং করপোরেশন ও আয়কর কে বহন করবেন?

আমরা কোনোভাবেই জাতির পিতা বা রবীন্দ্রনাথের মেধার ধারের কাছেও অবস্থান করি না। তারা দুজনেই সমষ্টির স্বার্থ বুঝতেন। একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, প্রকৃতির বিরুদ্ধে গেলে প্রকৃতিও একসময় আমাদের বিরুদ্ধে যাবে। আকাশ ছিদ্র হয়ে গেছে বা ১২ হাজার মাইল দূরের সাম্রাজ্যবাদীরা আমাদের দুর্দশার জন্য দায়ী- এ কথা দীর্ঘদিন বলা যাবে না। রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাই জনসংখ্যা কমানোর উদ্যোগ চালু রাখতে হবে। মুনাফার দিকে আমরা উদাসীন নই। তাই সন্তান সংখ্যা কম করার প্রলোভন দেখিয়ে এবং তাতে নানা রকম প্রণোদনা দিলে তা ফলপ্রসূ হবে বলে আশা করা যায়। অন্ততপক্ষে মানব মর্যাদার পরিপন্থী গায়ে গায়ে ধাক্কা দিয়ে চলা এবং অমর্যাদাকর শেষ কৃত্য রোধ করার জন্য হলেও দেশের জনসংখ্যা কমাতে হবে।

লেখক: মাসুদ আহমেদ, গল্পকার

আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত