বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পর্ব-২

তিনি আমাদের এক অসামান্য লড়াকু মন দিয়ে গেছেন

১৯৫৬ সাল। ৬ ফেব্রুয়ারি। আবার গণপরিষদের এক অধিবেশনে বললেন, “পূর্ব বাংলায় জনসাধারণ কাফনের কাপড় পাচ্ছে না। লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। জনগণের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা, চিকিৎসা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। সংবিধানে এ নিশ্চয়তা দিতে হবে।’ ১৯৭০ সালের ২৮ অক্টোবর নির্বাচনী প্রস্ততিমূলক ভাষণেও তিনি জনগণের এসব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন।

মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্বে অসহযোগের দিনগুলোতে কার্যত তিনিই বাংলাদেশের অঘোষিত সরকার প্রধান ছিলেন। সে সময়ও তিনি সাধারণ মানুষের জীবন চলায় যাতে সামান্য কষ্ট না হয় সে দিকটায় পুরোপুরি সচেতন ছিলেন। আর তারই ধারাবাহিকতায় তিনি মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অতি অল্প সময়ে যে সংবিধান রচনা করলেন তার রাষ্ট্রীয় মৌলনীতিতে রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বাধীনতার কথা স্পষ্ট করে উল্লেখ করলেন। মানুষের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি তিনি সাম্যভিত্তিক আর্থ-সামাজিক কাঠামো গড়ার অঙ্গীকার করেন। নারীর ক্ষমতায়ন, নগর ও গ্রামের বিদ্যমান বৈষম্য দূরিকরণের মতো অঙ্গীকারগুলোও লিপিবদ্ধ করা হয় ওই সংবিধানে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জারক রসে সিক্ত ওই সংবিধানের আলোকেই তিনি বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও অর্থনৈতিক নীতিকৌশল নির্ধারণ করেন। আর তাই ১৯৭৪ সালে অকাল বন্যায় ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য সহযোগিতা বন্ধের কারণে বাংলাদেশে যে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল তা মোকাবিলার জন্যে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। এ সময়টায় তিনি সর্বক্ষণ ছট্ফট করতেন। দুবেলা ঠিক মতো ভাতও খেতেন না। অনাহারে ক্লিষ্ট মানুষের কষ্ট ভাগ করে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করতেন।

গাফ্ফার চৌধুরিকে তিনি বলেছেন (সমকাল ১৭/৩/১৮): “গাফ্ফার তুমি বিশ্বাস করবে, এই দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে না পারলে আমি আত্মহত্যা করব ভেবেছিলাম। করিনি কেন জান? আমি একজন মুসলমান। আত্মহত্যা করা ইসলাম ধর্মে মহাপাপ। দ্বিতীয়ত, বাংলার মানুষের আমার প্রতি বিশ্বাস আছে। আমি তাদের ফেলে রেখে বিশ্বাসহন্তার কাজ করতে পারি না।” সেই বিশ্বাস তিনি রেখেছিলেন। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তিনি পঁচাত্তরেই বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ফসল ফলানোর ডাক দিয়েছিলেন। ওই বছরই বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।

প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তার প্রচুর অভিযোগ ছিল; যা তিনি সুযোগ পেলেই প্রকাশ করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে গণভবনে গাফ্ফার চৌধুরিকে তার লেখা একটি কবিতার কথা জানিয়েছিলেন। গাফ্ফার ভাই জানিয়েছেন যে, রবীন্দ্রনাথের ‘বিচারের বাণী নীরবে কাঁদে’ কবিতার অনুরূপ এক কবিতা লেখেন বঙ্গবন্ধু।
‘আমার বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে/
বাংলার ভদ্রলোকেরা শুধু চুরি করে, পোটলা বাঁধে।’

১৯৭৫ এর ২৬ মার্চ সোহওরাওয়ার্দী উদ্যানে তাই তিনি বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলেছিলেন, “আমার কৃষক দুর্নীতিবাজ? আমার শ্রমিক দুর্নীতিবাজ? ... ওরাই মালিক, ওদের দ্বারাই আপনার সংসার চলে।... আমাদের লেখাপড়া শিখিয়েছে কে? ডাক্তারি পাস করায় কে? অফিসার করে কে? কার টাকায়? বাংলার দুঃখী জনগণের টাকায়?” তাই শিক্ষিত জনদের বলেছেন “ওদের ইজ্জত করুন।” আর প্রশ্ন করেছেন, “আপনি দিচ্ছেন কী? কী ফেরত দিচ্ছেন?” সাধারণ মানুষের জন্য তার অন্তর সর্বক্ষণ কাঁদত। এই আবেগমথিত ভাষণই তার বড় প্রমাণ।

১৯৫৩-৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে বঙ্গবন্ধু প্রার্থী ছাত্রনেতা খালেক নেওয়াজ খানের নির্বাচনী এলাকা ময়মনসিংহের নান্দাইল গিয়েছিলেন। কর্মীদের সঙ্গে ডাক বাংলোয় উঠেছিলেন। মশারি ছিল না। ছিল একটি কাঁথা। মাঝরাতে তিনি গাফ্ফার চৌধুরিকে সেই কাঁথাটি দিয়ে জড়িয়ে দিলেন। টের পেয়ে তা ফেরত দিতে গেলে গাফ্ফার চৌধুরিকে তিনি বলেন, ‘বাংলার মশা আমাকে কামড়াবে না।’ বাংলার মশা না কামড়ালেও, এদেশেরই কিছু ষড়যন্ত্রকারী কু-সন্তান অতর্কিতে হামলা করে ‘বাংলাদেশের আরেক নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’কে শারীরিকভাবে তার প্রিয় দেশবাসীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কালরাতে।

এর পরের দিন অর্থাৎ ১৬ আগস্ট লন্ডনের ‘দ্যা ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস’ লিখেছিল, ‘এই করুণ মৃত্যুই যদি মুজিবের ভাগ্যে অবধারিত ছিল তাহলে বাংলাদেশের জন্মের মোটেই প্রয়োজন ছিল না।’ এর কয়েকদিন পরে ২৮ আগস্ট বিবিসির সংবাদদাতা ব্রায়ান ব্যারন ‘দি লিসনার’ পত্রিকায় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, “বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের হৃদয়ে উচ্চতর আসনেই অবস্থান করবেন। তার বুলেটবিদ্ধ বাসগৃহটি গুরুত্বপূর্ণ ‘স্মারকচিহ্ন’ ও কবরস্থানটি ‘পুণ্যতীর্থে’ পরিণত হবে।’ তার সেই ভবিষ্যদ্বাণী আজ অক্ষরে অক্ষরে সত্যি হয়েছে।

তাকে আমাদের তরুণ প্রজন্মের মনে চিরদিনের জন্যে গেঁথে দিতে হলে তার মৌল চাওয়াগুলোর আলোকে আমাদের দেশকে সুশাসনের চাদর দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। দুর্নীতি, বঞ্চনা, অন্যায্যতা, অবিচার যেন সমাজের অলি-গলিতে অবাধে বিচরণ না করতে পারে সেজন্য মানবকল্যাণধর্মী গরিব-হিতৈষী বঙ্গবন্ধুর ভাবনাসমূহকে আমাদের চলার পথের পাথেয় করতে হবে। জাতির মনে তার সুদূরপ্রসারি কল্যাণ ভাবনা চিন্তার আলোকে কাঙ্ক্ষিত মুক্তির দিশা দিতে হবে।

চলমান বিশ্বঅর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি যে অনেক দেশ থেকে অনেকটাই ভালো করছে তার কারণ বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন কী করে সংকট উত্তরণ করতে হয়। কী অসামান্য নেতৃত্বের গুণে তিনি ধ্বংসস্তুপ থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাসঘাতকদের হামলায় সাময়িকভাবে লাইনচ্যুত হলেও বাংলাদেশ ফের খুঁজে পেয়েছে তার কাঙ্ক্ষিত পথরেখা বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে। তার সুদৃঢ় নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের বিস্ময়। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অর্থনীতির এক বিস্ময়কর রূপান্তর ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে। ধ্বংসস্তুপ থেকে ডানা ঝাপ্টা দিয়ে ফিনিক্স পাখির মতো উঠে দাঁড়িয়েছে বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য বাংলাদেশ।

তথাকথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ থেকে উপচে পড়ছে সমৃদ্ধির ফসল। তা সত্ত্বেও হতাশা ছড়ানোর মানুষের অভাব কিন্তু নেই। তারা সারাক্ষণ আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। তাই আমাদের নিরন্তর সজাগ থাকতে হবে যেন আমাদের অবহেলায়, অপরিণামদর্শিতার কারণে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অভিযাত্রা কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন না হয়। আমাদের নিরন্তর শুভকর্মের মাধ্যমেই প্রকাশ করে যেতে হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। আর তা করতে পারলেই শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে তাকে আমরা অনুভব করতে পারব আমাদের নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে। আর উচ্চারণ করতে পারব মহাদেব সাহার ভাষায়, “এই নাম স্বতোৎসারিত।”
‘... তুমি কেউ নও, বলে ওরা, কিন্তু বাংলাদেশের আড়াইশত নদী বলে,
তুমি এই বাংলার নদী, বাংলার সবুজ প্রান্তর
তুমি এই চর্যাপদের গান, তুমি এই বাংলা অক্ষর,
বলে ওরা, তুমি কেউ নও, কিন্তু তোমার পায়ের শব্দে
নেচে ওঠে পদ্মার ইলিশ;
তুমি কেউ নও, বলে ওরা, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের গান আর নজরুলের
বিদ্রোহী কবিতা বলে,
তুমি বাংলাদেশের হৃদয়।’

লেখক: সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সাবেক বঙ্গবন্ধু চেয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এসএন

Header Ad
Header Ad

মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার

ছবি: সংগৃহীত

মোবাইল ফোন ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর নতুন করে আরোপিত কর প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ফলে গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেট খরচ অপরিবর্তিত থাকছে।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) এনবিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশের ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলা এবং অনলাইনভিত্তিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোবাইল সিম/রিম ব্যবহারের সেবা ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এর আগে, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি এনবিআর মোবাইল সেবায় অতিরিক্ত ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছিল।

এই কর কার্যকর হলে মোবাইল সেবায় ১০০ টাকার রিচার্জে কর বেড়ে ৫৬ টাকার বেশি হয়ে যেত এবং ব্রডব্যান্ড সেবায় ৫০০ টাকার সংযোগের জন্য গ্রাহকদের অতিরিক্ত ৭৭ টাকা গুনতে হতো। গ্রাহকদের আপত্তি এবং ডিজিটাইজেশনের গতি ধরে রাখতে সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে সংশ্লিষ্ট মহল।

Header Ad
Header Ad

বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

দেশ ও প্রবাসীদের কল্যাণে ভবিষ্যতে নজর দেওয়া হবে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা শেখ হাসিনার পতনের আগেই ৩১ দফা এবং সাত বছর আগে ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেছি, যা বাস্তবায়নে আমরা জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আমীর খসরু বলেন, সরকারকে সহযোগিতা করছি, যাতে দেশ যত দ্রুত সম্ভব একটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এর বিকল্প নেই। এর বাইরে অন্য কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া করতে গেলে মানুষের মনে সন্দেহ ও ভিন্ন ধারণা তৈরি হবে। সেটা হবে অগণতান্ত্রিক।

তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলন ড্রাইভ করেছে বিএনপি। এই আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ছিলো তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া।

তিনি আরও বলেন, আজকে অনেকেই এই আন্দোলনের ক্রেডিট নিতে চায়। অথচ তারা আন্দোলন শুরুর অনেক পরে এসেছে। তারা জানে না বিদেশে কিভাবে আন্দোলন হয়েছে। লন্ডন, ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যে কিভাবে আন্দোলন হয়েছে তারা জানে না।

এ সময় আন্দোলনে প্রবাসীদের ভূমিকাকে ডকুমেন্টস বা বই আকারে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ইতিহাস সংরক্ষণ না করলে তা ভবিষ্যৎ ইতিহাসে জায়গা পাবে না। তাই প্রবাসীদের এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ বই বা ডকুমেন্ট করে জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় বিএনপি সর্বোচ্চ সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।

আলোচনা সভায় প্রবাসীরা জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রী সভায় তাদের প্রতিনিধিত্বের দাবি তুলে ধরেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, গিয়াস আহমেদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ জুলি, সুইডেন বিএনপির সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, ফ্লোরিডা বিএনপির সভাপতি এমরান হক চাকলাদার, আব্দুল খান হারুন, অস্ট্রেলিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতিব মুসলেমউদ্দীন হাওলাদার আরিফ প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

বাবা-মা চাচ্ছিলেন না আমি পৃথিবীতে আসি : অপু বিশ্বাস

অপু বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

ঢালিউড কুইন’খ্যাত অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। শোবিজে তার পথচলা দুই যুগেরও বেশি। ভক্ত-দর্শকদের তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা।

সাবলীল অভিনয় ও সৌন্দর্য দিয়ে সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। দীর্ঘ এই পথচলায় কারণে-অকারণে অসংখ্য খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। কাজের পাশাপাশি উঠে এসেছে নায়িকার ব্যক্তিজীবনও।

দীর্ঘ এই পথচলায় অপ্রকাশিত এক সত্য এবার প্রকাশ্যে আনলেন অপু বিশ্বাস। জানালেন, নায়িকার জন্মের সময় তার বাবা-মা দ্বিধায় ছিলেন। তারা চাননি আর কোনো সন্তানের জন্ম দিতে। দেবাশীষ বিশ্বাসের উপস্থাপনায় ‘বিশ্বাসে মেলায় বন্ধু’তে হাজির হয়ে এসব কথা বলেন অপু।

অপু বিশ্বাস

নায়িকার কথায়, ‘বাবা মা ওই সময় তো এত বুঝতেন না। যতটুকু মার মুখে শোনা- পাঁচ মাস পর হওয়ার পর জানতে পেরেছেন যে, আমি আসছি। তখন মা-বাবা চাচ্ছিলেন না…। যেহেতু আমার তিন ভাই-বোন অলরেডি ছিলেন।’

বাবার চেয়ে কাকা ছিলেন অপুর সবচেয়ে কাছের মানুষ। সে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কাকা আমার সবকিছু। একদম স্কুল থেকে সবকিছু। বাবাও অনেক ভালোবাসেন। কিন্তু আমার সমস্ত আবদার ছিল কাকার কাছে।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার
বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: আমীর খসরু
বাবা-মা চাচ্ছিলেন না আমি পৃথিবীতে আসি : অপু বিশ্বাস
৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ
নিজের সিনেমায় নিজের লেখা গান গাইলেন মোশাররফ করিম
আদালতে চকলেট খেতে চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী
আগামী ৩ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে যা জানা গেল
৯ বছরেও শেষ হয়নি রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত, দায়িত্ব নিতে চায় দুদক
গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল, পচাগলা ১২০ মরদেহ উদ্ধার
বোমা পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে, নিরাপদে নামলো যাত্রীরা
কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি
প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ
৭ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম
শিশুদেরও গোপন কারাগারে রেখেছিলেন হাসিনা, দেওয়া হতো না মায়ের দুধ!
অভিযানকালে জুয়াড়িদের হামলা, ডিবি পুলিশের ৭ সদস্য আহত
৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয়, নকআউট পর্বে বার্সেলোনা
চালের দাম বাড়ার আর সুযোগ দেব না, বরং কমবে: খাদ্য উপদেষ্টা